google-site-verification: google90012c42a1ba93ca.html

google-site-verification: google90012c42a1ba93ca.html

নদীর সুরক্ষা আমাদের জন্য

বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এদেশের নদীগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আমরা এমন একটা অবস্থানে এসেছি যে নিয়ন্ত্রন ভেংগে নদীগুলো ভাংগন অসময়ে বন্য ইত্যাদি সমস্যায় জর্জরিত। নদীভাংগন ঠেকাতে আমাদের কার্যকর ও যুৎসই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। নদীভাংগন ঠেকাতে বাধ কোন সমাধান নয়। বরং আমাদের উচিৎ পরিকল্পিত ভাবে বাশ বনায়ন করা উচিৎ। বাশ এমন এক উদ্ভিদ যার শেকড়গুলোর গঠন ভাংগন রোধে কার্যকর ভুমিকা রাখবে। এবং বন্যা রোধে টেকসই হতে পারে। কারন যে কোন উদ্ভিদ এর তুলনায় বাশ বেশি ঘন হয়। এবং এর ধারণ ক্ষমতা অত্যান্ত বেশি

শান্তি

শান্তি সে তো অনেকদুর। শান্তি শান্তি ওশান্তি নাকি অশান্তি। শান্তি তখনই শান্তি আসবে যখন আপনি আমি শান্ত হব। আসলে কি আমরা শান্ত হতে পারছি? না আমরা শান্ত হতে পারছিননা বেপরোয়া মন আর আর্থ সামাজিক প্রতিযোগিতা আমাদের শান্ত হতে দেয়না। কেন এই প্রতিযোগিতা কারণ আমরা অতৃপ্ত। কেন অতৃপ্ত কারণ আমরা লোভী। আরো পাবার আকাঙ্ক্ষা আমাদের অতৃপ্ত করে রাখে। আমরা যতদিন প্রকৃতির মাঝে ছিলাম যতদিন আমরা প্রকৃতির কাছে ছিলাম যতদিন আমরা প্রকৃতির প্রদত্তে সন্তুষ্ট ছিলাম ততদিন আমাদের শান্তি ছিল। যখনই আমরা প্রকৃতি থেকে দূরে সরেছি তখনই আমাদের অতৃপ্তি বেড়েছে। রুক্ষ প্রযুক্তির যুগে বেশি পাবার আকাঙ্ক্ষা আমাদের কায়িক পরিশ্রম কমিয়ে মানসিক পরিশ্রমের পরিমান বাড়িয়ে দিয়েছে। আর যখন মানসিক পরিশ্রম বেড়েছে তখনই আমাদের মস্তিষ্ক বেশি ব্যস্ততা অনুভব করছে। শত ব্যস্ততার কারণে শান্তি নামক শব্দ এবং অনুভুতি জালিকার মত বিন্যস্ত স্মৃতি থেকে খুজে পেতে জটিলতা অনুভব করছে এই কারণে আমরা আর শত চেষ্টা করেও শান্তি ফেরাতে পারছিনা। এককালে বুজুর্গ ব্যক্তিরা একা একা ধ্যান করে বা সময় কাটিয়ে নিজের উপর নিয়ন্ত্রন আনতেন বা লোভ ত্যাগ করতে পারতেন। এখন আর আমাদের একাকী সময় নেই যেহেতু বিবেককে আমরা একাকীত্ব দিতে ব্যর্থ হচ্ছি সেহেতু বিবেক আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছে। 

ওমর ফারুক চৌধুরী র ভাবনা

ফেরিওয়ালাঃ
আজ থেকে ২০০ বছর পর আমার বাড়িতে, আমার ঘরে যারা বসবাস করবে, যারা আমার জায়গা জমি ভোগ করবে আমি তাদের চিনিনা। তারাও আমাকে চিনবেনা। কারন তাদের জন্মের অনেক আগেই আমি কবরবাসি হয়ে যাব। আর ততদিনে মুছে যাবে আমার নাম নিশানা। কবরটাও নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। আমার সন্তানরা যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন তারা হয়ত মনে পড়লে দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলবে!
কিন্তু তাদের মৃত্যুর পর তাদের সন্তানরা তাদের যতটুকু মিস করবে আমাকে ততটুকু মিস করবে না। হয়ত বাবার কবর জিয়ারত করে দোয়া করার সময় দাদার জন্যও একটু করবে। কিন্তু তার পরের প্রজন্ম আর মনে রাখবেনা।
প্রায় ২০০ বছর আগে মারা গেছে আমার দাদার দাদা।
যিনি আমার পূর্ব পুরুষদের জন্য ঘর বাড়ি, জায়গা জমি রেখে গেছেন। একিই বাড়ি, একিই জায়গা জমি আমরা এখন ভোগ করছি। কিন্তু উনার কবরটা কোথায় সেটা আমরা জানিনা। হয়ত আমার দাদার পিতা জানতেন। কিন্তু দাদার পিতা তো বেঁচে নেই, দাদাও বেঁচে নেই।
   আর এমন সময় প্রায় ২০০ বছর পর আল্লাহর হুকুমে উনি একদিন কবর থেকে জীবিত হয়ে নিজের বাড়িতে এসে দাবী করলেন যে এই বাড়ি এই জায়গা জমি সব আমার। পরিচয় দিয়ে বললেন আমি অমুক, এই বাড়িতে আমার সন্তানদের রেখে গিয়েছিলাম। তোমরা কারা? আমার বাড়ি ঘর ছেড়ে দাও। তখন হয়ত আমরা সোজা উত্তর দিব আপনাকে তো চিনিনা, নামও শুনিনি কোনদিন!কিন্তু দেশে যদি আইন থাকে যে কোন কারনে মৃত ব্যক্তি যদি আল্লাহর হুকুমে জীবিত হয়ে এসে তার রেখে যাওয়া জায়গা জমি দাবী করে তাহলে তার জায়গা জমি ফেরত দিতে হবে। তাহলে জায়গা জমি ছাড়বোই না বরং পুরো গুষ্টি শুদ্ধ একত্রিত হয়ে ঐ ব্যাক্তিকে পিটিয়ে বের করে দিব। এর পর শুরু হবে মামলা মোকদ্দমা। কাকে পিটাব? যিনি আমার পূর্ব পুরুষদের জন্ম দিয়ে লালন পালন করে নিজের তীল তীল করে গড়া জায়গা জমি দিয়ে গিয়েছিলেন তাকে?এখন হয়ত ভাবছেন আমার মাথা খারাপ হয়ে গেছে? অথবা মেয়াদ উত্তীর্ণ গাজা খেয়ে লিখছি?  তা না হলে ২০০ বছর আগের মৃত মানুষ কি করে জীবিত হয়ে সম্পত্তির দাবী করবে? না, জীবিত হয়ে আপনার সম্পত্তি দাবী করার কোন সম্ভবনা নেই। নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারেন। তবে সাত পাঁচ করে যে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন সেটা কবরে নিয়ে যেতে পারবেননা। আর যাদের জন্য রেখে যাচ্ছেন তারা ও আপনাকে মনে রাখবেনা এটা নিশ্চিত। অন্যের সম্পত্তি জবর দখল করে ভাবছেন আপনি জিতে গেছেন? সুদ, ঘুষ, কমিশন বাণিজ্য করে সম্পদের পাহাড় গড়ে ভাবছেন আপনি জিতে গেছেন? তাহলে আপনি আস্ত একটা বোকা ! এই শব্দটা ব্যবহার করার জন্য স্যরি! ক্ষমা করবেন।আমাদের সময় খুব কম! তাই এই সুদ, ঘুষ ,দুর্নীতি ক্ষমতার অপব্যবহার ,সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ ইত্যাদি । কোন লাভ নেই ভাইজান ।। সময় থাকা কালীন ভালো হয়ে কবরের খোরাক সংগ্রহ করুন ঐটাই বুদ্ধিমানের কাজ।। আসুন নিজেকে  সৎ মানুষ হিসেবে তৈরি করি পরকালের জন্য পূর্ণতা সন্ধয় করি।। ঐটাই আপনার জন্য প্রকৃত সম্পদ।

আমি ও আমিত্ব

ফেরিওয়ালাঃ

আমি ও আমরা বা আমাদের এই ভাবতে এই করতে জীবন আমাদের ওষ্ঠাগত তবুও বিশ্রাম নেই ছুটতে ছূটতে আজ আমরা ক্লান্ত তবুও কেন যেন কেউ থামছিনা। শুধু পাওয়ার আর পাওয়ার প্রচেষ্টায় আজ এতটা নিচে নেমে গেছি যে মানবিকতা শুন্য। বিজয় যেন শুধু আমিত্বে। কিন্তু কেনো? আজ গুনির কদর নেই মানির মান নেই প্রতিবেশির টান নেই আত্মীয়তার বালাই নেই দেশের প্রতি প্রেম নেই নেই কোন মানবিকতা

শব্দের সীমারেখা

 শব্দের গন্তব্য কোথায়? শব্দের গন্তব্য আসলে নিদৃষ্ট। শব্দ যেখানে উৎপন্ন হয় সেখানেই স্থীর থাকে অর্থাৎ একটি শব্দ যখন উৎপন্ন হয় তখন যতদুর পর্যন্ত...

ঠগীদের বংশধরেরাই আজ আমাদের ঠকাচ্ছে

ঠগী: উপমহাদেশের এক ভয়ঙ্কর খুনী সম্প্রদায়
একটি সংস্কৃত শব্দ যা থেকে ঠগী শব্দটি উদ্ভূত। শাব্দিকভাবে এর অর্থ ধোঁকাবাজপ্রতারক। বাংলা অভিধানে ঠগী বলতে বিশেষ শ্রেণীর এক দস্যু দলকে বোঝায় যারা পথিকের গলায় রুমাল বা কাপড় জড়িয়ে হত্যা করে। ঠগীরা ছিল ভারতবর্ষের একটি বিশেষ শ্রেণীর খুনী সম্প্রদায়। এদের মতন নিষ্ঠুর আর নিপুণ খুনীর দল পৃথিবীতে শুধু নয়, ইতিহাসেই বিরল। ঠগীরা ১৩ থেকে ১৯ শতকে বাংলাসহ উত্তর ভারতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। তারা যত মানুষ হত্যা করেছে, পৃথিবীর ইতিহাসে তা নজিরবিহীন। কেবল ১৮৩০ সালেই ঠগীরা প্রায় ৩০,০০০ মানুষ হত্যা করেছে।১৩৫৬ সালে ঐতিহাসিক জিয়াউদ্দীন বারানি লিখিত ‘ফিরোজ শাহর ইতিহাস’ গ্রন্থে ঠগীদের কথা প্রথম জানা যায়। এই ঠগী শ্রেণীর মানুষেরা উত্তর ভারতে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। এরপর বহু শতাব্দী ধরে বংশ পরম্পরায় তাদের এই কর্মকান্ড চালাতে থাকে। এরা ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াতো, পথে যাত্রীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতো। তারপর সময় সুযোগ বুঝে যাত্রীদের মেরে ফেলে সবকিছু লুট করতো। ১৭ আর ১৮ শতকের প্রথম দিকে ভারতের পথিকদের জন্য মূর্তিমান এক আতঙ্কের নাম এই ঠগী।
ঠগীদের ছদ্মবেশ কিন্তু বাংলায় তাদের আগমন ঘটে ১২৯০ সালের দিকে। ফিরোজ শাহর ইতিহাস গ্রন্থ হতে জানা যায়, ১২৯০ এর সুলতানী শাসনের সময় প্রায় হাজার খানেক ঠগ ধরা পরে। কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে সুলতান তাদের কোনো রকম সাজা না দিয়ে দিল্লীতে ফিরে না আসার শর্তে, অনেকটা আপ্যায়নের সাথে নৌকায় তুলে দিয়ে ভাটির দেশে- তথা এই বাংলায় পাঠিয়ে দেয়। আর তারপর থেকেই বাংলার জলে-স্থলে, মাঠে-ঘাটে ছড়িয়ে পরে এই খুনির দল। বাংলায় ঠগীদের ইতিহাসের সূত্রপাত সম্ভবত এখান থেকেই। শত শত বছর ধরে ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায় হারিয়ে যেত অগণিত পথিক। কোথায়, কীভাবে হারাত, জানত না কেউ। কোনো এক জাদুবলে যেন তারা মুছে যেত পৃথিবীর বুক থেকে। কত মানুষ হারিয়েছিল এভাবে? গিনেস বুকের হিসাবে এই সংখ্যা ২০ লক্ষ! নিরীহ পথিকদের ভুলিয়ে-ভালিয়ে নিয়ে যেয়ে হত্যা করে তাদের মালামাল লুট করত যারা- ভারতীয় কিংবদন্তীতে আমরা তাদের ঠগী বলে চিনি। সেই ঠগী, যারা ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম খুনিদের মধ্যে অন্যতম বলে চিহ্নিত। ঠগী ছিল ১৭ আর ১৮ শতকের প্রথম দিকে ভারতের পথিকদের জন্য মূর্তিমান এক আতঙ্কের নাম।ঠগীরা সবসময় চলত দল বেঁধে। তারা ব্যবসায়ী, তীর্থযাত্রী কিংবা সৈন্যের ছদ্মবেশে ভ্রমন করত। এদেরই লোকজন গোপনে বাজার কিংবা সরাইখানা থেকে পথযাত্রীদের সম্বন্ধে যাবতীয় তথ্য যোগাড় করত। তারপর যাত্রীদের সংগে মিশে যেত। যাত্রা বিরতিতে যাত্রীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করত। সহযাত্রীদের সৌহার্দ্য, নিরাপত্তা আর বিশ্বাসের উষ্ণ আমেজে, গরম খাবার খেয়ে পথ চলতি ক্লান্ত যাত্রীরা নিশ্চিন্তে বিশ্রাম নিতে থাকেন। আর তখনেই আসতো সর্দারের হুকুম। সর্দারের নির্দেশ পাওয়া মাত্রই যাত্রীদের ওপর ঘটতো নির্মম হত্যাকাণ্ড। একজন যাত্রীকে খুন করত তিনজনের একটি দল। একজন মাথা ধরে রাখত,অন্যজন ফাঁস পরাত, আরেকজন পা চেপে ফেলে দিত। কেউ পালিয়ে গেলেও রক্ষা নেই, ঠগীদের অন্য দলটি কাছেপিঠেই ওত পেতে থাকত। এই ঠগীরা নানা সাঙ্কেতিক ভাষায় নিজেদের মধ্যে কথা আদান প্রদান করতো। যেমন- ‘বাসন মেজে আনার কথা’ বলার মধ্য দিয়ে সর্দার তার এক সাঙেতকে কবর তৈরি করার নির্দেশ দিত। ‘ঝিরনী’ শব্দে হত্যার প্রস্তুতি আর ‘তামাকু লাও’ শব্দের  মাধ্যমে হত্যার আদেশ দেয়া হতো। এই নির্দেশ পাওয়া মাত্রই মুহূর্তের মধ্যে ফাঁস জড়ানো হতো শিকারের গলায়। যেকোনো সংগঠিত অপরাধী সমাজের মতোই এরূপ নিজস্ব নানা সাঙ্কেতিক ভাষায় ঠগীরা নিজেদের মধ্যে কথা আদান প্রদান করত। গোষ্ঠীভুক্ত না হলে এই সংকেতের পাঠোদ্ধার ছিল অসম্ভব। বিভিন্ন ভূমিকা আর দক্ষতার ভিত্তিতে পেশাদারি শ্রম বিভাজনের কাঠামো তৈরি করেছিল ঠগীরা। দলের সদস্যদের খুবই নির্দিষ্ট সব দায়িত্ব ছিল। সর্বাগ্রে থাকতো ‘সোথা’রা। সম্ভাব্য শিকার চিহ্নিত করা, তার সাথে ভাব জমানোর ও শিকার সম্পর্কে নানা তথ্য যোগাড়ের দায়িত্ব থাকতো তাদের ওপর। পুলিশের গতিবিধি নজরে রাখতো যারা তাদেরকে বলা হতো ‘তিলহাই’, তারা দল থেকে খানিকটা পিছনে থাকত। নিরাপদ জায়গা দেখে তাঁবু গড়ার দায়িত্ব থাকত ‘নিসার’দের উপর। কবর তৈরি করারে দায়িত্ব যার তাকে বলা হতো ‘বিয়াল’। শিকারকে যে ধরে রাখবে তাকে বলা হতো ‘চামোচি’। শিকার যাতে বাধা দিতে না পারে তার জন্য হাত আটকে রাখার দায়িত্ব ‘চুমোসিয়া’র। ‘চুমিয়া’ শিকারের পায়ে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেবে। ‘ভোজারা’ মৃতদেহগুলো কবরে নিয়ে যাবে । ‘কুথাওয়া’র দায়িত্ব হলো দেহগুলোর হাঁটু ভেঙে থুতনির সঙ্গে লাগিয়ে ভাঁজ করে কবরে দেওয়া। মৃতদেহ পাহারা দেয়া ও বিপদের গন্ধ পেলে জানান দেয়ার দায়িত্বপ্রাপ্তদের বলা হতো ‘ফুরকদেনা’। আর হত্যাকাণ্ডের জায়গাটা সাফসুতরো করে ফেলার দায়িত্ব ছিল ‘ফুরজানা’দের। সদ্য মৃত মানুষদের কবরের ওপর বসত ঠগীদের অমৃতের ভোজ। সে ভোজ আর কিছু নয়, গুড়ের ভোজ। একলা পথিক পেলেই সাদরে তাকে দলের সাথে ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানাত। তাদের মতে, যে একবার এই গুড় খাবে, সে ঠগী হয়ে যাবে। ঠগীদের মধ্যে হিন্দু-মুসলমান-শিখ সব ধর্মের লোকই ছিল। ঠগিদের ফাঁস দেয়ার কৌশল ঠগীদের খুনের অস্ত্রটা ছিল বেশ অবাক করার মতো। অতি সাধারণ, কিন্তু সাংঘাতিক কার্যকর। এক ফালি হলদে কাপড়ের টুকরো। দুই ভাঁজে ভাঁজ করলে মাত্র ৩০ ইঞ্চি। ১৮ ইঞ্চির মাথায় একটা গিট। তাতে একটা রুপোর টাকা বা তামার ডবল পয়সা বাঁধা। নিপুণ ঘাতকের হাতে সেটাই হয়ে উঠে অব্যর্থ মরণ ফাঁস। ফেলুদার গল্পে ব্যবহৃত ঠগীদের সেই অস্ত্র ঠগীদের সম্বন্ধে ব্রিটিশ সরকার প্রথম জানতে পারে ১৮১২ সালে । সেসময় গঙ্গার ধারে একটি গণকবর পাওয়া যায়। তাতে ৫০টি মৃতদেহ পাওয়া যায়। তারপরও বিভিন্ন স্থানে পাওয়া যাচ্ছিল গণকবর। এসময় ব্রিটিশদের বদন্যতায় যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়। রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা পায়। ফলে ঠগীদের দৌরাত্ম্য কিছুটা কমতে থাকে। কিন্তু পুরোপুরি তাদের মূলোৎপাটন করা যাচ্ছিল না।  ব্রিটিশ সরকার ঠগীদের নিমূর্ল করার জন্য উইলিয়াম শ্লিমানকে দায়িত্ব দেয়। বেঙ্গল আর্মির অফিসার উইলিয়াম হেনরি শ্লিমান বেঙ্গল আর্মির অফিসার  উইলিয়াম হেনরি শ্লিমান ছিলেন অত্যন্ত বিচক্ষণ ব্যক্তি। তিনি দেখলেন, কিছুতেই অন্যান্য দুস্কৃতিকারীদের থেকে ঠগীদের পৃথক করা যাচ্ছে না। ঠগীরা নিপুণ কৌশলে অপরাধ ঢেকে রাখছিল। শ্লিমান গুপ্তচর নিয়োগ করলেন, গঠন করলেন বিশেষ পুলিশ বাহিনী ও আলাদা বিচার আদালত। পাশাপাশি ঠগীদের অপরাধস্থল বিশ্লেষণ করে তৈরি করলেন মানচিত্র এবং অপরাধের দিনক্ষণের একটি তালিকা তৈরি করলেন যাতে পরবর্তী হত্যার সময়কাল আঁচ করা যায়। নিজের লোকদের ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশে অস্ত্রসহ সেসব স্থানে পাঠাতে থাকেন। তারপর ১৮৩০ সালে শ্লিমানের গুপ্তচরদের দক্ষতায় ঠগীরা দলে দলে ধরা পড়তে থাকে। এদের কারো কারো মৃত্যুদণ্ড, কারো যাবজ্জীবন জেল, কারো বা দ্বীপান্তর দিয়ে এদের দমন করতে সক্ষম হন। বাকী যারা ছিল তারা ভয়ে পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়। ফলে ভারতবর্ষ ঠগী মুক্ত হয়। ঠগীদের দীর্ঘ বিচারপর্বে উঠে আসে নানা অজানা বিচিত্র কাহিনী যা শুনে সভ্য সমাজের সবাই বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে। ঠগীদের জবানবন্দি থেকে খুনের যে হিসাব পাওয়া যায় তা ছিল খুবই মর্মস্পর্শী। ১৯৩৩ সালে উইলিয়াম শ্লিমানের নাতি জেমস শ্লিমানের লেখায় জানা যায়, একজন ঠগী মাসে গড়ে  ৮-১০ জনকে খুন করত। সে হিসেবে প্রায় ২০ লক্ষেরও অধিক মানুষ এই ঠগীদের শিকার হয়েছিল বলে অনেক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, যা অস্বীকার করারও কোনো উপায় নেই। কারণ বাহরাম বলে এক নিষ্ঠুর ঠগীর নিজের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ৯৩১ জন মানুষকে সে খুন করেছিল বলে দাবি করে এবং পরবর্তীতে ঐ নাম গিনেস বুক অব রেকর্ডে ওঠে। সে আরেক গল্প। কিন্তু ঠগীদের এই নিষ্ঠুরতম ইতিহাস আজ কালের অতলে হারিয়ে গেলেও মাঝে মাঝে পারিপার্শ্বিক কিছু ঘটনা সেই ইতিহাসকে নতুন করে উস্কে দেয়। 
সংগৃহীতঃ রোয়ার মিডিয়া।

বিশ্বশান্তি স্থাপনে শব্দহীন পৃথিবী প্রয়োজন

সমগ্র বিশ্বব্যাপী আজ শান্তির আয়োজন। আর এই শান্তি রক্ষার্থে সামরিক প্রতিযোগিতা অস্ত্রের ঝনঝনানী মানবতা লংঘন কত কিছুই না করা হচ্ছে অথচ শান্তির শুভাগমন ঘটেনা। কিন্তু কেনই বা ঘটেনা প্রশস্ত রাজপথ বিলাসবহুল নৌপথ দ্রুতগতির আকাশপথ তবুও শান্তি আসেনা কেন আসেনা? আসলে শান্তি অর্জনের জন্য যেটা দরকার সেটা কেউ করেনা। শান্তি আনার জন্য দরকার শান্তিকামী মানুষের মৌনতা। শান্তির জন্য দরকার নীরবতা। কিন্তু আমরা কি কখনো নীরব থাকি? শান্তি এমন এক অবস্তুগত কিন্তু কিন্তু এবং অতি আবশ্যকীয় উপাদান যাকে কেন্দ্র করে বুদ্ধিদীপ্ত প্রাণীর জীবন আবর্তিত হয়। আর এই শান্তি অদৃশ্যগত উপাদান হলেও শান্তির কিছু নিয়ামক আছে যেটা ছাড়া আসলে শান্তি পূর্ণতা পায়না বা শান্তি শান্তি রুপে গণ্য হয়না। শান্তির সাধারণ কিছু নিয়ামক হলো উজ্জ্বল রোদ্রে ঝিরঝিরে বাতাস পাখির কলকাকলি অযান্ত্রিক শব্দ বা প্রকৃতির মুখরতা। শান্তি হলো সবুজ মাঠে জুড়িয়ে যাওয়া আখি। এখন যারা শান্তি নিয়ে গবেষণা করেন বা শান্তি অন্বেষণ করেণ তারা কিন্তু বট বা পাইকড় গাছ রোপন করেননা। খাদ্যাভ্যাস এ নিরামিষ ভোজী হননা। তবে শান্তি কেন আসবে। শান্তি হলো এমন একটা উপযুক্ততা যেখানে কৃত্রিমতার স্থান নেই। প্রকৃতিকে উজাড় করে বা প্রকৃতির স্বাভাবিক আইন বা শৃংখলা ভেংগে দিয়ে শান্তির উপাসনা করা নিরেট বোকার কর্ম। শান্তির জন্য জেট বিমানের বিকট শব্দ বোমা বিষ্ফোরনের প্রাণ কাপানো আর্তনাদ মানুষের বুকফাটা হাহাকার শান্তি আনতে পারেনা। শান্তি পেতে হলে আগে অন্তরাত্মার কাপুরুষতা দূর করতে হবে। অন্তরাত্মা যদি ভয়ে কেপে উঠে তবে নিজের অস্ফুট স্বরে যে গোংগানী বা শব্দ বের হয়ে আসে তা শতক্রোশ দূরে হয়ত বিকট শব্দ হয়ে শান্তি বিঘ্নিত করে। অর্থাৎ আপনি যত কৃত্রিম শব্দ তৈরী করবেন তত অশান্তির বীজ রোপন করলেন। আর এই বোপিত বীজ অংকুরিত হয়ে ধীরেধীরে আপনার সামগ্রিক শান্তিকে বিঘ্নিত করবে। একটা সময় মুনি ঋষি বা মহাজ্ঞ্যনীরা একাকীত্ব গ্রহণ করতেন বা সন্যাস যাত্রা করতেন বা ধ্যান করতেন কারণ হলো অপ্রয়োজনীয় শব্দ উৎপন্ন করা থেকে বিরত থাকা। এই বিরত থাকার প্রক্রিয়া তাদের চারিপাশকে এতই শান্তিময় করে তুলেছিল যে তারা সৃষ্টিকর্তার আহবান উপলব্ধি করতে পারতেন। আজ আর মানুষের কানে সৃষ্টিকর্তার আহবান পৌছায়না। কারণ মানুষ শান্তিতে নেই। শান্তি প্রক্রিয়ায় যে কার্যকর ভূমিকা নেওয়া দরকার তা হলো মৌনতা অর্জন করা এবং করানো যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে শান্তি অর্জন করা যায়না বর্তমান বিশ্বের সার্বিক বিশ্লেষণ সেটারই ইংগিত বহন করে। অধুনা সমাজ ব্যবস্থায় অশান্তির মূল কারণ অসংযত শব্দের উৎপত্তি। আগের যুগে মানুষ সংগীত শুনত এমন সংগীত যেটা মানুষের মনকে শান্ত করত। মানুষ এখনো সংগীত শোনে কিন্তু সংগীতের আর সেই সংযত করার ক্ষমতা নেই যা মানুষের মনকে শান্ত করতে পারে। বরং মনকে আরো বিক্ষিপ্ত করে যা শান্ত করার বিপরীত। যখন কোন দেশ শান্তি প্রতিষ্ঠার নামে অন্য আরেকটি দেশের উপর আগ্রাসন চালায় তাতে কি লাভ হয় শত শত জীবনহানী গুলি ও বোমার বিকট শব্দ। পরাজিত পক্ষের আত্মঘাতী হামলা, প্রতিশোধ পরায়ন মনোবৃত্তি মানুষকে আরো হিংস্র করে তোলে ফলে দেখা যায় কর্তৃত্ব প্রমানে বা নিজেদের ক্ষমতা প্রমানে তারা সামাজিক প্রতিষ্ঠান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সহ মানুষের অতি প্রয়োজনীয় ও অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান গুলোর উপর হামলা করে অথচ সে জায়গাগুলো নিরাপদ, আস্থা এবং শান্তির প্রতীক হিসাবে পরিচিত ছিল। অথচ যদি আগ্রাসনকারী শব্দযন্ত্রনা সৃষ্টি করতে যে পরিমান বিনিয়োগ করে তার চেয়ে অনেক কম পরিমানে সংশ্লিষ্ট দেশে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ করে সুশিক্ষা ও সঠিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারত তবে শান্তি প্রতিষ্ঠা সহজ ও কার্যকর হতো। হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতনা বরং শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়ে যেত। শব্দযন্ত্রনা মানুষের মনকে ভীতসন্ত্রস্ত করে তোলে ফলে মানুষ নিরাপত্তার অভাব বোধ করে। এবং আত্মরক্ষার্থে অস্থিরতা অনুভব করে ফলে শান্তি দূরে সরে যায়। যেমন হঠাৎ করে কারো কানের কাছে চিৎকার করলে মানুষ ভয় পেয়ে চমকে উঠে। শুধু মানুষই নয় প্রাণিজগৎ এর প্রতিটি প্রানীরই শান্তি বিঘ্নিত হয় শব্দের কারনে। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার মুল উপায় হলো শব্দ নিয়ন্ত্রণ করা পারত পক্ষে শব্দ উৎপন্ন না করা সেটা যে কোন ধরেনের শব্দই হোকনা কেন। শক্তির কোন বিনাশ নেই শক্তি একরুপ থেকে আর এক রুপে রুপান্তরিত হয়। শব্দ যেহেতু একধরণের শক্তি তাই উৎপন্ন হওয়া শব্দও একধরণের শক্তি হয়ত নিদৃষ্ট শব্দ একসময় আমরা শুনতে আর পাইনা তাই বলেকি শব্দটি শেষ হয়ে গেল? না তা শেষ হয়ে যায়না বরং বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ঘুরে বেড়ায় কিন্তু শব্দের শক্তি মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বাধা অতিক্রম করতে পারেনা। যেহেতু মাধ্যাকর্ষণ শক্তি সংশ্লিষ্ট শব্দ শক্তির চেয়ে বেশি তাই শব্দশক্তি মাধ্যাকর্ষণ সীমা অতিক্রম করতে পারেনা ফলে বায়ুমন্ডলেই আবর্তিত হয়। এবং এই আবর্তন কালে শব্দের শক্তি শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী উপাদানের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কনাগুলো ধংস করে ফেলে। যার ফলে বায়ুমণ্ডলে অবস্থানকারী বা আবর্তনকারী জীবের মনে শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী উপাদান কমে যায় এবং অশান্তি সৃষ্টিকারী উপাদানের অনুপাত বৃদ্ধিপায় যা অতি সহজে মানুষের মনকে বিক্ষিপ্ত করে তোলে এবং শান্তি অর্জনের পথ রুদ্ধ হয়ে যায়।

শক্তির সক্ত

ফেরিওয়ালা নিবেদিত
শক্তি অবিনশ্বর এর কোন বিনাস নেই শুধু রূপান্তরিত হয়। বিজ্ঞান প্রমান করে শব্দ একপ্রকার শক্তি। তাহলে শব্দ কখোনো শেষ হয়না শুধু রুপান্তরিত হয়। তাহলে আমরা যে শব্দ করি এবং তা হারিয়ে যায় কোথায়? এরতো শেষ হবার কথা ছিলনা তবে কেন নিদৃষ্ট সময় পরে তা আর শোনা যায়না? আসলে সেটা শেষ না হয়ে যার উদ্দ্যেশ্যে শব্দ করা হয়েছিল তার মাধ্যমে রুপান্তরিত হয়ে ফিরে আসে। যেমন আমি আমার সন্তান কে ডাকলাম এই ডাক দিতে আমি যে শব্দ করলাম তার প্রতিউত্তর দিল আমার সন্তান জ্বী বাবা। অর্থাৎ আমি যে শব্দটি করলাম তা সমাপ্ত না হয়ে নিদৃষ্ট কাল পরে অন্য কারো মাধ্যমে ফিরে আসে। আর বার বার শব্দের এই রুপান্তর হতে হতে তা এক সময় শেষ নে হয়ে বিবর্তিত হতে হতে বিরক্তিকর শব্দ বা কম্পন তৈরী করে হয়ত তা গরুর ডাক হাসের প্যক প্যক ইত্যাদিতে বিবর্তিত হয় যদিও এটা আমাদের কাছে অপ্রয়োজনীয় তবুও মহাজাগতিক কারণে তা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ মহাজাগতিক সৃষ্টিতে শক্তির পরিমান নিদৃষ্ট। ফলে শেষ হবারো সুযোগ নেই আবার নতুন শক্তি গঠনের সুযোগ নেই। শক্তি এমন একটি ধারণা যেটা মহাজগতে পরিভ্রমন করে ফলে আমরা একই শক্তি বারবার উপলব্ধি করতে পারিনা। দদ্রুপ শব্দ শক্তিও মহাজাগতিক পরিভ্রমণে ব্যস্ত বলে একে একই আংগিকে একই জায়গায় বারবার খুজে পাওয়া যায়না। 
হা: হা: হা: আমার প্রিয়তমা আমাকে বলত আমি নাকি স্বপ্ন বিলাসী আসলেই কি তাই আমি কল্পনাবিলাসী।
২৫/১১/২০১৭
ফেরিওয়ালা।

দুর করুন এসিডিটি।

এখনতো প্রায় মানুষের একটি সাধারণ সমস্যা হলো এসিডিটি। অথচ আজ থেকে বিশ পচিশ বছর আগেও এই ভূখন্ডের মানুষ বাসি পানতা কড়কড়া খেতো কিন্তু সমস্যা হয়নি। অথচ এখন টাটকা খাবার খেলেও গ্যস বা এসিডিটি সমস্যা দেখা দেয়। সহজ ভাবে আমরা দোষ দেই খাদ্যগুলো অস্বাস্থ্যকর। কিন্তু একটিবারও ভেবে দেখিনা যে খাবারটি মুখরোচক তা শরীরের জন্য আবশ্যক তাহলে এটি অস্বাস্থ্যকর হয় কিভাবে? আসলে এই ভূখন্ডের মানুষ যে কোন খাবারের সাথে মুখরোচক সালাদ হিসাবে খেত কাচা দেশি পেয়াজ ও মরিচ যা উত্তম গ্যাস শোষকের কাজ করে এসিডিটি থেকে রক্ষা করত। এখন মুখে গন্ধ হবে ভেবে খায়না তাই তো এত সমস্যা আশাকরি সহজ সমাধান পেলেন। এখন পরীক্ষা করে দেখুন। আর পেয়াজের গন্ধ দুর করতে সরিষার তেলের বোতলে মুখ লাগিয়ে মুখ দিয় নিঃশ্বাস ছাড়ুন সহজ সমাধান। ধন্যবাদ

বৈধত্ব বা অবৈধত্ব।

যখন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়তাম তখন অনেক কিছুই বুঝতাম না মাঠে খেলতে যেতামনা দ্বন্দ হবে ভয়ে। প্রতিবেশী দুচারজন ছেলে ছাড়া আর কারো সাথে যোগাযোগ ছিলনা। সারাজীবন সযত্নে চরিত্র আগলে রেখেছিলাম বিয়ের আগে কাউকে স্পর্শ করা দুরের কথা কথা বলতেই ভয় পেতাম। সে কারণে নিজের সরলতার কারণে সবার স্নেহের পাত্র ছিলাম। মন খুলে সকলের সাথে উঠাবসা এটাই জীবনের কাল। মানুষের মাঝে চলতে গিয়ে কিছু মানুষের প্রতি সখ্যতা বাড়ে সেই সাথে বেড়ে চলে চরিত্রহীন খেতাব। অন্য মানুষ খেতাব দিলে কিছু মনে হতনা ভাবতাম না কিন্তু যখন পাশের মানুষ এ কথা বলে সত্যিই আহত হয়েছি। নিন্দুক নিন্দা করতে পারে তাই বলে কাছের মানুষ! হ্যা আপনি প্রথম এবং প্রচণ্ড আঘাতটা কাছের মানুষের কাছ থেকেই পাবেন। সবাই সাধারণত তাই পেয়ে থাকে। কারণ আপনি আপনার দূর্বলতা বা গোপন কথা বা কর্ম তাদের সাথেই করে থাকেন। ভাবুনতো যে আপনার সম্বন্ধে কিছুই জানেনা সে কিভাবে আপনাকে আঘাত করবে? মানুষের চরমভাবে আপন মানুষ থাকে শুধু একজনই কারণ জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টিকরা হয়েছে একজন আরেকজনের পরিপুরক। এমন পরিপূরকের বাইরে বাকি সবই অভিনয়। এবং কোন কোন অদৃশ্য কারণে সবকিছুই পরিপুরককে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়। এমন পরিপূরকের সাথে জীবণের কোন না কোন সময় সাক্ষাৎ আপনার ঘটবেই। হয়ত অনেকে চিনতে পারবেন অনেকে পারবেননা। যদি চিনে নিতে পারেন তবে আপনি আর পেছনে পড়ে রবেননা। আপনার গতি হবে ঝঞ্জার মত উদ্যমতা হবে সাগরের ঢেউএর মত যা কখনই ক্লান্ত হবেনা। তবে পরিপুরকের সাথে সাক্ষাতের সময়টা হবে অদ্ভুৎ রকমের সুন্দর। মৃদু কিন্তু সুন্দর বাতাস বইবে। আপনাদের সাক্ষাতে আকাশ আনন্দে চোখের জল ফেলবে। আপনার বুকটা ধিক ধিক করে উঠবে। আমনি অপ্রস্তুত হয়ে পড়বেন। সাক্ষাতের পরপরই আপনি সুসংবাদ পাবেন।  আপনার মাঝে বীরত্ব ফুটে উঠবে। প্রাণ উৎফুল্ল হবে। আপনি তৎপর হয়ে উঠবেন সফলতার জন্য। এখনতো আমাদের প্রেম ভালবাসা হৃদয় দিয়ে হয়না। প্রযুক্তির প্রভাবে আমরা আবেগশুন্য হয়ে পড়ছি। প্রয়োজনের দাসত্ব করছি। ভালবাসা হয়ে গেছে প্যান্থারের মত। এখন চরিত্র সতিত্বের ধার কেউ ধারেনা। উপস্থিত প্রয়োজন মেটানো বড় কথা? নইলে প্রিয়াকে খোলা মাঠে বা ঝোপে ঝাড়ে উন্মুক্ত করতনা কেউ, বা বিয়ের আগেই সব কিছু বিলিয়ে দিতনা কোন নারী আবার পুরুষও নারীর আবরণ উন্মুক্ত করতনা। আগে একতরফা ভালবেসে বা প্রেমের ব্যার্থতার জন্য চিরকুমার পাওয়া গেছে, আইবুড়ো চিরকুমারীও পাওয়া গেছে এখন কি পাওয়া যায়? যায়না। কারণ আমরা সভ্যতার শিখরে চড়া অসভ্য প্রাণী। একজনকে বলতে শুনেছিলাম আই লাভ ইউ না বাল শুধু,,,,,,,,,   মারার তাল। এখন ভালবাসাগুলো আবেগ অনুভুতির চেয়ে জৈবিক তাড়না বিতাড়নে বেশি ডিপেন্ড করে। অর্থাৎ টেষ্ট ইট দেন ডিসাইডের মত। আসলে একজন নারীর কাছে জীবনের চেয়ে ইজ্জতের মূল্য অনেক বেশী তাই কোন প্রকৃত নারী যে কোন জায়গায় বা স্বামী ছাড়া আর কারো সামনে অনাবৃত হতোনা। আর তাদের এই অনাবৃত হওয়াটা প্রথমে জন্ম দেয় মিথ্যার আর সেই মিথ্যা জ্যামিতিক হারে বাড়তে বাড়তে সামাজিক অবক্ষয় বৃদ্ধি করে। ভালবেসে যারা বাবা মায়ের অমতে অন্যের বাহুডোরে আবদ্ধ হয় সেটাই হলো অনাসৃষ্টির মুল কারণ। এবং যেহেতু সেটা অবৈধ তাই সেটাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হওয়া সবকিছুই অবৈধ,,,,,,, যেহেতু কামরিপুর তাড়োনাই এটা ঘটে যাছে তাই এখানে আবেগ অনুভুতি পারিপার্শ্বিকতা বিশ্লেষণহীন অনাবিষ্কৃত থেকে যায়। এবং কিছুদিন পর শুরু হয় ফলাফল। অনেক সময় ফলাফল সহ্যসীমা অতিক্রম করে মর্মান্তিক হয়। এর অন্যতম কারণ হলো যথাসময়ে যথোপোযূক্ত আবেগ অনুভুতি কাজ করেনি বা বহিঃপ্রকাশ ঘটেনি। যদি সেটা হতো তবে ফলাফল মধুর হতো।

বাঙ্গালী কী

আসলে বাঙ্গালী হলো নৃতাত্বিক ও ভূতাত্ত্বিক সরলতা ও মানবিকগুনাবলী ও মূল্যবোধ সমৃদ্ধ একটি জাতির অবস্থান ভিত্তিক পরিচয়। বাংলা হলো উল্লিখিত জাতির ভাব বিনিময়ের মাধ্যম শুধু তা নয় বা এটি শুধু ভাষা বা একটি ভূখন্ড বা শুধু একটি জাতি নয়। এটি হলো একটি নৃগোষ্ঠীর বংশগত অবস্থান যা সংশ্লিষ্ট জাতির মানবীয় গূনাবলী, শিক্ষা দক্ষতা ভাবের আদানপ্রদান সহ একশব্দে প্রকাশিত সামগ্রিক পরিচয়। প্রকৃতি যেহেতূ শ্রেষ্ঠ শিক্ষক তাই এই ভূতাত্বিক অঞ্চলের মানুষগুলো স্বশিক্ষায় সুশিক্ষিত ছিল এবং সেই শিক্ষা তাদেরকে মানবীয় গুণাবলী অর্জনে যথেষ্ঠ সহায়ক ছিল। নির্মল পরিচ্ছন্ন প্রকৃতির কোলে বেড়ে উঠা মানুষগুলো ছিল প্রকৃতির মত উদার লোভলালসা ও জিঘাংসাহহীন ছিল এদের জীবনযাত্রা। সাদা সিধে জীবন এবং প্রকৃতির সরলতার মত স্নিগ্ধ জীবনযাত্রায় প্রবৃত্ত মানুষগুলোর অতিথি পরায়নতা ছিল মুগ্ধকর। সৎ জীবনযাপন এবং পরিশ্রমী মানষিকতা ছিল এদের সুস্থ সুন্দর জীবন ও সমৃদ্ধির মূল কারণ। হাজারো নদী অববাহিকায় পরিচ্ছন্ন গাত্রদাহন এবং নদীর উচ্ছলালতার মতই প্রানোচ্ছল ছিল এই নৃগোষ্ঠীর সুখী স্বাচ্ছন্দ্য জীবনধারা। নিয়ম মাফিক সহজ সরল জীবন যাপন এবং পরিশ্রম হেতু এই অঞ্চলের মানূষগুলো সুস্থ ও সুঠাম দেহের অধিকারী ছিল। তবুও তাদের আগ্রাসী মনোভাব ছিলনা ছিলনা বীরত্ব প্রদর্শনের হীন ইচ্ছা। প্রকৃতির কোলে প্রকৃতির সাথে লড়াই করে বেচে থাকা এই মানুষগুলোর সরলতার মূল হাতিয়ার ছিল এই অঞ্চলের আবহাওয়া। নাতিশীতোষ্ণমণ্ডলএর এই ভূখন্ডে স্নিগ্ধ আবহাওয়া এখানকার মানুষের মন মেজাজকে রুক্ষ হতে দেয়নি বরং আগলে রেখেছে গভীর মমতায়। বীরত্ব প্রদর্শনে ব্রত না থাকলেও আত্মরক্ষার্থে কঠোর মনোভাব পোষন করত এই অঞ্চলের মানুষ। আবহাওয়ার মতই শান্ত স্বভাব অর্জনকারী এই মানুষগুলোর  উদারতার মুল কারন উদার প্রকৃতি ঝর্নার বিশুদ্ধ জল বয়ে এনেছিল মনের স্বচ্ছতা, নদীর স্রোত এদের কে অর্জন করিয়েছে দূর্বার গতি, সবুজ প্রান্তর এনেদিয়েছিল অবুঝের মত সরল মানষিকতা, নির্মল বাতাস এদের চরিত্রকে দিয়েছিল নির্মল সততা পাখির কলকাকলি এদের করেছিল বিনোদন প্রেমি সুরেলা ও কোমল ভাষাজ্ঞ্যন সমৃদ্ধ, ফুলের সৌরভ এনে দিয়েছিল পবিত্র মন, মিষ্টি রোদ এনেদিয়েছিল উজ্জলতা, বৃষ্টির রিমঝিম শব্দ বয়ে এনে দিল নতুন সৃষ্টির উল্লাস, খোলা নীল আকাশ উড়িয়ে এনেছিল কবিত্ব, সূর্যস্নান শেখাল নীরোগ থাকার মন্ত্র, বটবৃক্ষের বয়ে অকৃত্রিম বন্ধন কর্দমাক্ত মাটি দিল রুপচর্চার উপায় গাছের ছায়া শিখিয়েছে প্রিয়জনকে  আগলে রাখার মানসিকতা। আর আজো সেকারনেই এই ভূন্ড বাংলা, ভাষা বাংলা আর আমরা বাংগালী। কত দেশের মানুষ এসে এখান থেকে মানবীয় গুণাবলী অর্জন করে নিয়ে গেছে নিজ দেশে। বলা যায় অধুনা বিশ্বে মানবীয় গুণাবলী রপ্তানী হতো এখান থেকে। অথচ আজ এই দেশেই মানবিক সংকট মানবীয় গুনাবলীর আকাল। পর্যাপ্ত পানি প্রবাহের কারনে এখানকার মাটিতে আয়োডিনের পরিমান ছিল কম বা শুন্য। তাইতো এইমাটিতে জীবিকা নির্বাহকারী মানুষগুলো ছিল কুটিল চিন্তা মুক্ত। সবদিক থেকে এগিয়ে থাকা মানুষগুলো শুধুমাত্র ডিপ্লোম্যাটিক বা কুটবুদ্ধির দিক থেকে ছিল যথেষ্ট পিছিয়ে। পক্ষান্তরে অধিক আয়োডিনভোগী মানুষগুলো অধিক কুটবুদ্ধি সম্পন্ন হওয়ায় তারা যখন এই অঞ্চলে আগমন করে এখানকার মানুষগুলো সরল ভাবেই তাদেরকে গ্রহণ করে কিন্তু আগত অতিথিরা কুটবুদ্ধি সম্পন্ন হওয়ায় তারা এই অঞ্চলের মানুষের সরলতাকে পুজি করে সখ্যতা গড়ে তোলে এবং এদেরকে নানারকম জটিল ভাবনায় মানষিক চাপ বাড়াতে থাকে। পরিবর্তিত হতে থাকে এখানকার মানুষের মানষিকতা। সামগ্রিকতা ছেড়ে মানুষ ব্যক্তিক লাভ লোকসানের দিকে ঝুকে পড়ে সরে যেতে থাকে সরলতার কক্ষপথ থেকে। বিভিন্ন জাতি বর্ণের মানুষের সংমিশ্রণ ও প্রভাবে আমরা হারাতে বসেছি আমাদের মূল পরিচয়। উজাড় হয়ে চলেছে আমাদের প্রকৃতি লুপ্ত হতে চলেছে আমাদের নৃতাত্ত্বিক তাৎপর্য। যেখান থেকে মানবীয়তা রপ্তানী হতো সেখানেই আজ মানবিক সংকট। আমদানি করা আধুনিকতায় রপ্তানি হয়ে গেছে আমাদের সুখ স্বাচ্ছন্দ্য ও শান্তি। বটবৃক্ষের ব নেই বলে আজ ছিড়ে যাচ্ছে আমাদের সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধন। ছায়াহীন রুক্ষ প্রকৃতিতে শিশু শিখছে কেউ কাউকে আগলে রাখেনা তাই হয়ত পিতামাতার ঠায় আজ বৃদ্ধাশ্রম অথবা রাস্তায়। যখন তোমার মাঝে নুন্যতম বংগালবোধ নেই তবে কেন নিজেকে বাংগালী দাবী কর? আজকে তুমি বা আমি যা তাকে আর যাই হোক নিজেকে বাংগালী পরিচয় দেওয়া যায়না।

বড় ছোট

মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব কিন্তু অন্যান্য জীব সেরা নয় একথাও ঠিক নয়। কারন কোন কোন জীবের আকৃতি ধারণ করতে কয়েক জন মানুষের প্রয়োজন পড়ে।  আবার। আবার মানুষ কিন্তু সেরাটা নিয়েই গবেষণা করে। যেমন আমাদের অনেক বড় বড় মনীষী নিয়ে গবেষণা চলে আবার জীব নিয়েও গবেষণা চলে। আসলে কেউ কিছুই নায় সবকিছুই ব্যক্তি সময় পরিবেশ ইত্যাদির উপর নির্ভর করে। 

মাদক কে না বলি

ফেরিওয়ালা নিবেদিত
বাংলাদেশের মাদক সমস্যা এত প্রকট যে এর ভুক্তভোগী প্রায় সকলেই। কেউ বা প্রত্যক্ষ অথবা কেউ পরোক্ষ। এর জন্য আমরা কখোনো চিরুনী অভিযান কখোনো ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে দন্ড দিয়ে যুবসমাজ কে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করছি। এর ফলাফল কতটা সুখকর আমাদের জন্য? অথচ মাদক নিরাময়ের সহজ সমাধানটা এই ভূখণ্ডেই আছে অথচ হাইব্রিড এর উৎপাদন এতটাই বেড়ে গেছে যে প্রকৃত দেশি উৎপাদন আজ শুন্যের কোঠায়। অথচ এগুলোই পারত মাদক কে নির্মূল করতে। দেশি কাগজি জাতের লেবুর ভেষজ গুন হচ্ছে শরীরের রক্তে মিশে গিয়ে। মাদক গ্রহণে উৎসাহ প্রদানকারী স্নায়ু গুলোকে নিস্তেজ করে দিয়ে রক্ত পরিশোধন করে সুস্থ জীবনের পথে পরিচালিত করে। অথচ হাইব্রিড প্রজাতির লেবুগুলোর সেই গুনাগুণ সীমিত। তাই সমাজ কে মাদকের ভয়াল গ্রাস থেকে সমাজ জাতি ও দেশ কে রক্ষা করতে দেশি প্রজাতির কাগজি লেবুর কোন বিকল্প নেই। আসুন দেশি প্রজাতির কাগজি লেবুর উৎপাদন বৃদ্ধি করে সকাল বিকাল মাদকাসক্ত সন্তানকে তার রস পান করায় এবং সমাজ কে মাদক মুক্ত করি।

পেয়াজ

ফেরিওয়ালা নিবেদিত
এখনতো প্রায় মানুষের একটি সাধারণ সমস্যা হলো এসিডিটি। অথচ আজ থেকে বিশ পচিশ বছর আগেও এই ভূখন্ডের মানুষ বাসি পানতা কড়কড়া খেতো কিন্তু সমস্যা হয়নি। অথচ এখন টাটকা খাবার খেলেও গ্যস বা এসিডিটি সমস্যা দেখা দেয়। সহজ ভাবে আমরা দোষ দেই খাদ্যগুলো অস্বাস্থ্যকর। কিন্তু একটিবারও ভেবে দেখিনা যে খাবারটি মুখরোচক তা শরীরের জন্য আবশ্যক তাহলে এটি অস্বাস্থ্যকর হয় কিভাবে? আসলে এই ভূখন্ডের মানুষ যে কোন খাবারের সাথে মুখরোচক সালাদ হিসাবে খেত কাচা দেশি পেয়াজ ও মরিচ যা উত্তম গ্যাস শোষকের কাজ করে এসিডিটি থেকে রক্ষা করত। এখন মুখে গন্ধ হবে ভেবে খায়না তাই তো এত সমস্যা আশাকরি সহজ সমাধান পেলেন। এখন পরীক্ষা করে দেখুন। আর পেয়াজের গন্ধ দুর করতে সরিষার তেলের বোতলে মুখ লাগিয়ে মুখ দিয় নিঃশ্বাস ছাড়ুন সহজ সমাধান।  আমরা সবাই শুধু মুখে বলি টেকশই উন্নয়ন টেকশই উন্নয়ন টেকশই জীবনমান কিন্তু টেকশই জীবন বা টেকশই উন্নয়ন কি করে সম্ভব এই পথে কেউ চলেনা। সবাই মুল ছেড়ে শাখা প্রশাখায় বিচরণ করে টেকশই উন্নয়ন ভাবনা সম্ভব নয়। টেকশই জীবন মান বৃদ্ধি করতে আমাদের প্রকৃতি নির্ভরতা বাড়াতে হবে। আমাদেরকে ফিরতে হবে অতীতে। তবেই আমরা টেকশই জীবনে ফিরতে হবে।

Every child is brilliant

ফেরিওয়ালা নিবেদিত
Children are just brilliant and they need your encouragement. They will cross the walls of all obstacles in our encouragement. The baby's brain is like a rare memory card, which can be kept here for the future so it will be stored for future. What is to be worried about the child is that he should stay away from falsehood. False is like a virus, it affects the brain and gradually consumes the information stored in the brain, so that the child's brain can not work properly. Gradually the nerves become weak and the child's attention and memory power decreases. And if a little more pressure is over, they lose the effectiveness. In fact, there is some information from the birth of a child in the brain that makes him competent in the right way. But we often ruined her self-confidence by obstructing it.

শিক্ষকের মর্যাদা

ফেরিওয়ালা নিবেদিত
মাথা চলেনা। একটি বিষয়ে সবসময় নিজেকে প্রশ্ন করি। অন্যের কাছে মর্যাদা পেতে হবে এই মানসিক অবস্থা নেই তবুও ভাবছি। একজন পেশাজীবী হিসাবে আমার যদি নিজে নিজের প্রতি সম্মানবোধ না থাকে তবে পেশাজীবী হিসাবে আমি অযোগ্য। প্রসংগত: আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জনাব আব্রাহাম লিংকন এর প্রধান শিক্ষকের নিকট লেখা চিঠি। শত শত টাকার সরকারি অর্থ ব্যয় করে বিদ্যালয়গোলো আধুনিক ব্যন্যারে ছাপিয়ে প্রদর্শন করা হয় বিদ্যালয়গুলোতে যেন ছাত্ররা সেটা পড়ে শিক্ষকের প্রতি আরো শ্রদ্ধাশীল হতে পারে এই জন্য। আমার প্রশ্ন হলো আব্রাহাম লিংকন যখন পত্রটি লিখেন তখন কি তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন? হয়ত না। তখন তিনি যুক্তরাস্ট্রের নাগরিক ছিলেন মাত্র। এমন অসংখ্য লিংকন পত্র না লিখলেও হয়ত মৌখিকভাবে বা আধুনিক টেকনোলজি ব্যবহার করে আমাদের এই সকল বিষয়েই আলোকপাত করেন কিন্তু সেগুলো কিন্তু বিদ্যালয়ে শোভা পায়না। তবে কেন আব্রাহাম লিংকনেরটা শোভা পায়, ক্রিয়েটিভিটির নামে কেন শিশুদের সংগে এমন প্রতারণা? কারো মনে আছে কিনা কবি কাদের নেওয়াজের লেখা শিক্ষাগুরুর মর্যাদা কবিতাটি কিন্তু ইতিহাস নির্ভর সত্য একটি রচিত কবিতা যখন সমগ্র ভারতবর্ষ মোঘল শাসনের আওতায় ছিল সেটার চর্চা কেন কেউ করেনা, তবে কি আমরা আমাদের শিক্ষক হবার যোগ্যতা হারিয়েছি? শিশুরাও কি আমাদের আচার আচরন কাজ কর্ম দেখে এটা নিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে এমন মানুষ শিক্ষাগুরু হওয়ার যোগ্যতা রাখেনা। তাই তারা সমাজে বেড়ে উঠে ভুলে যায় শিক্ষকের কথা? আমরাতো শিশুদের এটাও শেখাই দূর্জন বিদ্যান হইলেও পরিত্যজ্য। আমরাই কি আমাদের সম্মান বিসর্জন দিচ্ছিনা।

জানিনা আমি

ফেরিওয়ালা নিবেদিত
আমি পৃথিবীর সেরা বলদ তাই শেষ থেকে শুরু করছি। সবাই জানে চলার পথের চিন্তা চেতনা দৃষ্টি ভঙ্গী সকলের এক নয়। তারপরেও আমার ভাবনা, চিন্তা, চেতনা যুগের সাথে সামঞ্জস্যহীন, তাই অনেকের কাছে এটা পাগলামী বা অট্টহাস্যের খোরাক যোগায় কিন্তু জীবন ধারণের খোরাক যোগায়না। পৃথিবীতে আলোর দর্শন পেয়ে কত পাহাড় গড়েছি স্বপ্নের আবার নিজের অযোগ্যতা এবং ব্যর্থতায় সে পাহাড় ধুলোয় মিশিয়েও দিয়েছি। আজ হয়ত আর সফল হবার স্বপ্ন দেখিনা কিন্তু অস্তিত্ব খুজে পাওয়ার প্রবল আকাংখা পিছু ছাড়েনা। আমাদের জন্মগত প্রাপ্ত সম্পদ হলো আবেগ আর এই আবেগের কারণেই আমরা অন্য ভাষাভাষির চেয়ে অনেকটাই সতন্ত্র। এবং আবেগ হলো আমাদের প্রথম ও প্রধান সম্বল। আমরা যা কিছুই করিনা কেন তা আমাদের আবেগেরই বহিঃপ্রকাশ। আর আবেগের ফলশ্রুতির কারনেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাংগালী বঙ্গবন্ধু শুধু একটি মাত্র ডাকে সাড়ে সাত কোটি মানুষ আত্মত্যাগে উদ্বজীবীত হয়েছিল। প্রানের মায়া সাংগকরে মা কে রক্ষায় ঝাপিয়ে পড়েছিল। বঙ্গ্বন্ধু শুধু তেজস্বী বক্তা ছিলেন তা নয় আমি মনে করি  তিনি শধু উদাহরণ দিয়েছিলেন একজন ঙ্গগালীর শুধু ভোকাল পাওয়ার যদি বিশ্বকে কাপিয়ে দিতে পারে তাহলে এ জাতির সুপ্ত ক্ষমতা কেমন হতে পারে? ৃষ্টিই যে সুন্দর বা লোভনীয় তা কিন্তু নয়। বরং বিশ্লেষন ক্ষমতাও অুদ্ভত, এই দেশকে নিয়ে গর্ব করার কেউ নেই কিন্তু ৃষ্টিকর্তার গর্বের শেষ নেই এই দেশ নিয়ে। এটা তখনি প্রকট ভাবে আবির্ভূত হয় যখন দেখি শত "না" এর মাঝেও সুখ শান্তি মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়। আমাদের ৃষ্টিকর্তা প্রতিটা যুগে যুগে দিব্য জ্ঞ্যনী পাঠিয়েছেন কিন্তু কয় জনের নাম আমরা জানতে পেরেছি? যে কজনের পেয়েছি তা হয়ত নিকট অতীতের বাকি গুলোর তথ্য আমরা পায়নি বা সংরক্ষণ করিনি কেন জানেন? হয়ত অধিকাংশই অমর কীর্তিগূলো সমাজের দরিদ্র ও অল্পশিক্ষিত শ্রেনীর অবদান। আমরা হয়ত দার্শনিক লালনের কথাটাও জানতে পারতাম যদি তিনি ধনী না হতেন। বিশ্ববাসী আজ যে সভ্যতার আলো বিতরণ করে চলেছে তার সূতিকাগার কিন্তু বঙ্গাল ভূখন্ড। আমি আশ্চর্য হয়ে ভাবি একমাত্র এই দেশের অতি দরিদ্র শ্রেনীর মানুষগুলোই ভোগে নয় ত্যগেই প্রৃত সূখ  এটা মেনে চলে। এটাই একমাত্র ভূখণ্ড যেখানে সৌহার্দ্য সম্প্রীতি ভ্রাতৃত্ববোধ শেখাতে হয়না, জন্মসূত্রেই শিখে যায়।

আমিত্ব

ফেরিওয়ালা নিবেদিত 
আমি ও আমরা বা আমাদের এই ভাবতে এই করতে জীবন আমাদের ওষ্ঠাগত তবুও বিশ্রাম নেই ছুটতে ছূটতে আজ আমরা ক্লান্ত তবুও কেন যেন কেউ থামছিনা। শুধু পাওয়ার আর পাওয়ার প্রচেষ্টায় আজ এতটা নিচে নেমে গেছি যে মানবিকতা শুন্য। বিজয় যেন শুধু আমিত্বে। কিন্তু কেনো? আজ গুনির কদর নেই মানির মান নেই প্রতিবেশির টান নেই আত্মীয়তার বালাই নেই দেশের প্রতি প্রেম নেই নেই কোন মানবিকতা. 

রাষ্ট্রীয় শিক্ষা ব্যবস্থা পর্ব

ফেরিওয়ালা নিবেদিতঃ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা হয়তো আধুনিক কিন্তু টেকসই বা যুগোপযোগী নয়। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় ভলেই এত কিছু করার পরেও ঝরে পড়া রোধ করা যাচ্ছেনা। নিশ্চিত করা যাচ্ছেনা শতভাগ শিক্ষার হার। উপরন্তু নানা রকম সুযোগ সুবিধা দিয়ে প্রজন্মগুলোকে পরনির্ভরশীল বা হাতপাততে অভ্যস্ত করে তুলছি আমরাই। নিম্নগামী পরিস্রাবন নীতি না থাকায় বিলীন হচ্ছে আমাদের দেশাত্মবোধ। হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের মানবিকতার গুনাবলী। টেকনোলজির পজিটিভ ব্যবহার এর অভাবে টেকনোলজী হয়ে যাচ্ছে অভিশাপ। শেকড়ের সন্ধানে না গিয়ে আকাশ সংস্কৃতির কল্যাণে ধার করা বা আমদানিকৃত সংস্কৃতির উপস্থাপন বিনোদন যোগালেও ভুলে যাচ্ছি আমাদের প্রকৃত সংস্কৃতি। ঐতিহ্যগুলো হয়ে গেছে দিবস নির্ভর। কোন রাষ্ট্রের ইতিবাচকতা গ্রহণে ব্যার্থ হলেও নেতিবাচকতা গ্রহণ করছি যেন প্রতিযোগিতার মতো করে। রাষ্ট্র এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত বিধি নিষেধ করতে পারেনা এর যেমন নানাবিধ সীমাবদ্ধতা তেমন রয়েছে নেতৃত্বের ব্যর্থতা সর্বোপরি নেতৃত্বে কোন শেকড়ে জন্ম নেওয়া কোন মানুষ না থাকা। যেভাবেই বলিনা কেন দেশ কখনো এই ভূখণ্ডের শেকড় থেকে উঠে আসা মানুষের নেতৃত্বে চলেনি। সবসময় এ দেশের নেতৃত্ব দিয়ে গেছে বর্তমান বা কয়েক পুরুষ পুর্বে মাইগ্রেশন করে আসা মানুষেরা। তাই হয়তো শেকড়ের সন্ধানে উৎসাহী হয়না কেউ পাছে যদি নিজ শেকড়ে টান পড়ে।

রাষ্ট্রীয় শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন হওয়া উচিৎ পর্ব ১

প্রতিটি ভূখণ্ডের মানুষের রয়েছে নিজস্ব কিছু সংস্কৃতি কিছু জীবন বৈচিত্র‍্য কিছু বিশ্বাস কিছু স্বতন্ত্রতা যা নিয়ে গড়ে উঠে তার নিজস্ব এক রাষ্ট্র। সে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাও হওয়া উচিৎ তার স্বতন্ত্রতা নিয়ে। বিশেষ করে প্রাথমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে এটা অবশ্যই করা উচিৎ। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় রাষ্ট্রীয় অধিকর্তাবৃন্দ তা না করে উন্নত দেশে উন্নত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এসে নিজ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার এমন উন্নয়ন পরিকল্পনা করেন যে মূলত নিজস্ব স্বতন্ত্রতা সেখানে থেকে বিদায় নেয় এবং শিক্ষা শিশু বা শিক্ষার্থীদের সামনে বোঝা হয়ে যায়। সবাই উন্নয়নের নামে উন্নয়ন যজ্ঞ চালান ব্যয় হয় অজস্র সম্পদ কিন্তু মূল লক্ষ্য থেকে যায় অধরা। কেউ আদৌতে এটা চিন্তা করেনই না যে একটা আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আসলে কেমন হওয়া উচিৎ এবং উন্নত জীবনের যে স্বপ্ন দর্শন করাবেন সেই উন্নত জীবনের সংজ্ঞাটায় বা কি? যে কারিকুলাম প্রণীত হয় তাতে আদৌতে ইতিহাস ঐতিহ্য কতটুকু তুলে ধরা হয়েছে তা নিয়ে গবেষণার সূযোগই বা কতটুকু রাখা হয়েছে? আদৌতে শিক্ষার সংজ্ঞা কি হওয়া উচিৎ বা শুধু নাম স্বাক্ষরতা দিয়ে শিক্ষিতের হার নির্ধারণ এগুলো নিয়ে শিক্ষাকে মূল্যায়ন করা যায়না। তাছাড়া ঢালাও একটা স্বভাব হলো অতীত কে অবহেলা করা বা তা কুসংস্কার বলে উড়িয়ে দেওয়া। আমরা মনে করি যে আমরা যে জীবন যাপন করি তা হলো জিষ্ট বা গবেষণার ফসল। কিন্তু আদৌতে কি তাই? অতীতের মানুষ যে জীবনযাত্রা যাপন করত তা কি পুরোটায় ভূল? না তা কখনোই নয়। বরং তারাও গবেষণালব্ধ জ্ঞ্যন নিয়েই জীবন যাপন করত। তারা যেটা করতো সেটার পেছনেও ছিল জ্ঞান চর্চার ফসল। সাধনার অর্জন যেমন আহ্নিক বা সূর্য স্নান, চোখে কাজল, গায়ে তেল মাখানো কোনটা অস্বীকার করবেন? মেয়েদের কব্জি পর্যন্ত ব্লাউজ, শাড়ি পরা, ছেলেদের ধুতি পরা পুকুরে বা নদীতে স্নান করা কোনটা অমুলক ছিল? শিশু শিক্ষায় চক খড়ি বা সিলেটের ব্যবহার, হাতে টানা পাখা সব কিছুর পেছনে রয়েছে শক্ত অখন্ডিত যুক্তি এটা মানেন বা না মানেন অস্বীকার করার পর্যাপ্ত যুক্তি কেউ তুলে ধরতে পারবেননা। একজন শিশুর জন্য কাংখিত বিদ্যালয় আদৌ কেমন হওয়া উচিৎ? একজন শিশু বিদ্যালয়ে এসে কি শিখবে? কেনই বা একজন শিশু নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসবে? বিদ্যালয়ে এসে যেটা শিখবে সেটা তার ব্যক্তি জীবনে কি কাজে আসবে এ সকল প্রশ্নের যুক্তি যুক্ত অর্থ উত্তর কেউ কি দিতে পারবে? আসলে এ সকল প্রশ্নের যথাযথ উত্তর কেউ কোনদিন খোজেনা জানার চেষ্টাও করেনা। বিদ্যালয় গুলো কি আদৌ শিক্ষক বান্ধব করা হয়েছে যেটা শিশু বান্ধব হবে। একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেমন হবে? একটি বিদ্যালয় হবে শিশুর সর্বাঙ্গীণ বিকাশ সাধনের এবং বিনোদনের কেন্দ্র। যেখানে থাকবে খেলার মাঠ, সাতার কাটার জন্য পুকুর, খেলাধুলার সকল উপকরণ, দেশীয় এবং বিদেশি খেলার সরঞ্জাম, থাকবে বিনোদনের সুযোগ। শিক্ষা অর্জন কখনো ঢাক ঢোল পিটিয়ে হয় কি? তবে কেন এত ঢাকঢোল পিটিয়ে শিক্ষা অর্জনের আয়োজন? বিদ্যালয় কি? ল্যাটিন স্কুলা থেকে স্কুল শব্দের উৎপত্তি, যেখানে কিছু জ্ঞ্যন অন্বেষণকারী একত্রিত হয়ে অর্জিত জ্ঞ্যন পর্যালোচনার জন্য একত্রিত হয়ে কিছু আনন্দঘন সময় একত্রে অতিবাহিত করেন। কিন্তু আমরা যে স্কুল বা বিদ্যালয় তৈরী করি সেটাকে জ্ঞ্যন অর্জনের একমাত্র কেন্দ্র  হিসাবে দাড় করিয়েছি। ফলে আমরা হয়ত সার্টিফিকেট ধারী পাচ্ছি, এ প্লাস ধারীর সংখ্যা পাচ্ছি কিন্তু জ্ঞানীর সংখ্যা পাচ্ছিনা। আর জ্ঞ্যনীর সংখ্যা বাড়ছেনা বলে আমাদের মাঝে দেশপ্রেমিক এর সংখ্যা বাড়ছেনা। আমাদের এখন পরিবর্তন হবার সময় এসেছে।

সত্যনন্দী আমার অনুভব

ফেরিওয়ালা নিবেদিত

সত্যনন্দীর ফেরিওয়ালা। সত্যনন্দী ফেরিওয়ালার শত জনমের প্রেম। ১৩ কোটি জীবের যোনি ভ্রমণ করে  বিভিন্ন রুপে বারবার ফিরে পৃথিবীর বুকে ফিরে আসা ফেরিওয়ালার সব কিছু। প্রতিটা পুনর্জন্মে সত্যনন্দীও পৃথিবীর বুকে অনুরুপ আবির্ভুত হয়ে ফেরিওয়ালেকে ভালবাসত অনন্ত  সময়ে অফুরন্ত আবেগে। ফেরিওয়ালার
সকল ভাবনার সংগী তার সত্যনন্দী ফেরিওয়ালার সকল ব্যার্থতার সংগী তার সত্যনন্দী ফেরিওয়ালার সকল সফলতার সংগী তার সত্যনন্দী ফেরিওয়ালার সকল স্কোরশুন্যতার সংগী তার প্রিয়তমা সত্যনন্দী। সত্যনন্দীর ভালবাসা স্বর্গ থেকে আসা অমর প্রেম। সত্যনন্দী ফেরিওয়ালার জন্য সৃষ্টিকর্তার পাঠানো উপহার। সত্যনন্দীই একমাত্র জন যে কখোনো ফেরিওয়ালার সথে প্রতারণা করেনি, সত্যনন্দীই ফেরিওয়ালার জন্য একমাত্র নি:স্বার্থ এক অভিব্যক্তি যে শুধু ভালবাসতে জানে পরিপূর্ন আবেগে। সমাজের প্রত্যাখ্যাত ফেরিওয়ালা  মানুষিক বিকারগ্রস্ত। সামাজিক স্রোতের বিপরীতে তার নড়বড়ে সদা কম্পমান অবস্থানে সে বাস করে। সদা স্বার্থবাদী মানবতায় বার বার হেরে যাওয়া হারিয়ে যাওয়া বাজারের অচল পয়সা ফেরিওয়ালার একমাত্র নিরাপদ আশ্রয় সত্যনন্দীর আবেগময় ভালবাসা। সত্যনন্দীই একমাত্র স্বর্গীয় আত্মা যে নিস্বার্থভাবে নিজেকে উপস্থাপন করেছে ফেরিওয়ালার জন্য কিন্তু অকৃতজ্ঞ ফেরিওয়ালা সমাজের সবার মন রক্ষার জন্য সবকিছু উজাড় করে দিয়েও কারও মন রক্ষা করতে পারেনি। কিন্তু যে সত্যনন্দীর মন রক্ষার নুন্যতম মন রক্ষার চেষ্টাও করেনি শুধু স্বর্গীয় আত্মার সেই সত্যনন্দীর মনের গভীর ভালবাসা সিক্ত করেছে ফেরিওয়ালার আবেগ অনুভুতিকে। সত্যনন্দী কাছে বা দূরে যেখানেই থাক তার কল্পময় জীবনের প্রতিটা মুহুর্তে একে অপরের পাশাপাশি অবস্থান। যখন ফেরিওয়ালার জীবন আকাশ নিকস কালো মেঘে ছেয়ে গেছে কাছের মানুষগুলোও নিজেকে সরিয়ে নিয়েছে, নিজের ছায়াও যখন ভয়ে আত্মগোপন করেছে  ঠিক তখব দিশাহারা ফেরিওয়ালার একমাত্র সহায় অবলম্বন হয়ে সত্যনন্দী তার আচল কোন ঠাই দিয়েছে। ফেরিওয়ালা এখন ভাবনায় দিশে হারা যদি শুধু আচল কোনে অবস্থানে যদি এই প্রাপ্তি তখ পূর্ন বসনে আরো কত আবেগ লুকিয়ে রেখেছে সত্যনন্দী। কিন্তু কখনো আচল কোন ছেড়ে পূর্নবসনের আবেগের পথে পা বাড়াতে পারেনি। কারণ ফেরিওয়ালা কাপুরূষ বলে সত্যনন্দীকে হারানোর ভয়ে আর সামনে বাড়েনি। অন্তরাত্মার পূর্নতা যখন শুধু আচল কোনেই মিলেছে তখন আর কেন আর পুর্নবসনে ঢেকে রাখা আবেগ অপচয় করেনি। বরং সেটুকু সঞ্চিত রাখার সূযোগ বা অনুরোধ ফেরিওয়ালার। ফেরিওয়ালার ঐকান্তিক ইচ্ছা সে যখন বারবার পূনর্জন্ম নিয়ে আসবে এই কণ্টকাকীর্ণ পৃথীবিতে ১৩ কোটি জীবের যোনি ভ্রমনে আবির্ভুত হবে বার বার সে যেন প্রতিজন্মেই সত্যনন্দীর আচলে ঠায় লাভ করে। সত্যনন্দীর জন্যই যেন ফেরিওয়ালা বারবার জন্মগ্রহন করে।

ছাত্র রাজনীতি ও বর্তমান

ফেরিওয়ালা নিবেদিতঃ

ফেরিওয়ালা: ন্যায় বিরোধী অন্যায়

 অন্যায় কি অন্যায় হলো অন্যের চোখে যেটা ন্যায় নয়। মানুষ কি অন্যায় করে? না মানুষ কখনো অন্যায় করেনা। মানুষ যেটা করে সেটা হলো কাজ। স্বভাবতই অন্যা...

পরীক্ষা ও পাঠ্যপুস্তক কেন?

ফেরিওয়ালাঃ সমাজের শিক্ষা ব্যবস্থা কেন পরীক্ষা নির্ভর এবং পুস্তক নির্ভর?আসলে সবাই জানে প্রকৃতি হলো শ্রেষ্ঠ শিক্ষক। যারা প্রকৃতির কাছাকাছি থাকে তারা সরাসরি শিক্ষকের তত্বাবধানে থাকে। এবং যারা প্রকৃতির কাছাকাছি থেকে জীবন সার্ভাইভ করে তাদের দক্ষতা ও জ্ঞ্যন বেশি এবং তারা অন্য যে কোন পরিবেশে সার্ভাইভ করা ব্যক্তির চেয়ে অনেক বেশি মেধাবী। আর যারা প্রকৃতির থেকে দূরে অবস্থান করে তারা প্রকৃতির থেকে শিক্ষা নেওয়া ঐ সকল মেধাবীদের মেধাবীদের ভয় পায়। আর যেহেতু প্রকৃতি থেকে দূরে থাকা মানুষগুলোই নীতি নির্ধারক তাই তারা নিজেদের বিজয়ী দেখানো ও ঘোষনার জন্য পরীক্ষা পদ্ধতির প্রবর্তন করে সমাজকে গ্রেড বা ফলাফল নির্ভর করে ফেলেছে। এবং তা একদিনে হয়নি যুগে যুগে হয়েছে এবং আর্থসামাজিক মানষিকতাকে ফলাফল নির্ভর করে ফেলেছে। এ কারণে প্রকৃতির কাছাকাছি থাকা মানুষগুলো প্রকৃতি নামক শিক্ষক থেকে জ্ঞ্যান অর্জনে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে শুধু গ্রেড অর্জনের পেছনে ছুটছে। যার ফলাফল হলো শিক্ষিতের সংখ্যা গাণিতিক হারে বাড়ছে আর সুশিক্ষিতের সংখ্যা জ্যামিতিক হারে কমছে। আর সমাজের উপরতলার নীতি নির্ধারক মানুষেরা প্রকৃতির কাছাকাছি থাকার জন্য প্রকৃতিকে উপরতলায় তুলে নিয়ে যাবার চেষ্টা করছে আর নীচতলার প্রকৃতি ধ্বংস করার আয়োজন সম্পন্ন করছে নীতি প্রণয়ন করে। যেন প্রকৃতির কাছাকাছি থাকা মানুষগুলো গ্রেডের দিকে তাকিয়ে থাকছে সামনে এগিয়ে যাবার নামে আর পেছন থেকে ধংস হয়ে যাওয়া প্রকৃতির আর্তনাদ সামনে দৌড়াতে থাকা মানুষগুলোর কানে পৌছায়না।

চরিত্র ও নৈতিকতা

ফেরিওয়ালা নিবেদিতঃ
চরিত্র বা নৈতিকতা এমন এক অবস্তুগত ধারণা যার সাথে বস্তুনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে ব্যক্তি ও সমাজের। এটা সবসময় আর্থিক মূল্যে বিচার্য নয়। তবে মানুষের বৈষয়িক উন্নয়নের বা অধপতনের পেছনে চরিত্র বা নৈতিকতার যথেষ্ঠ প্রভাব রয়েছে। যেমন একজন চরিত্রহীন ব্যক্তি যদি বাণিজ্য করতে যায় বা বাণিজ্য করে তবে তার আত্মিক নৈতিকতাহীনতার কারণে তার বাণিজ্যে ঘাটতি বা লস হবে এবং একসময় মূলধন হারিয়ে যাবে। তদ্রূপ কেউ যদি নীতিহীন হয় তবে তার উন্নয়ন আপাত দৃষ্টিতে দেখা গেলেও সার্বিক ভাবে সে দেউলিয়াত্বে থাকে হয়তো এই দেউলিয়াত্বের  বহিঃপ্রকাশ দৃশ্যমান নয় তবুও সে সার্বিক ভাবে অন্তত নিজের কাছে নিজেই দেউলিয়াত্বের কারণে ছোট হয়ে যায় এবং সবদিক থেকেই তার নানাবিধ দূর্বলতা প্রকাশিত হতে থাকে কথা ও কাজের মাঝে ব্যপক ব্যবধান পরিলক্ষিত হয়। তেমনি যদি  কোন নারী চরিত্রহীন হয় তবে সে যেখানে আস্তানা গাড়বে বা যেখানে অবস্থান করবে তা তার কাছে বা তার সাথে অবস্থানরত সকলের উপর এর প্রভাব পড়ে। তার নিকটবর্তী সকলের জন্য অশান্তি, অনুন্নয়ন, ব্যথা, জরাজীর্নতা ইত্যাদি এসে অবস্থান নেয়। যদিও আমরা এজন্য নানা পারিপার্শ্বিকতাকে দায়ী করি তবু্ও বাস্তবতা  সেটাই। কারণ যার আত্মার পরিশুদ্ধতা নেই সে নারী হোক বা পুরুষ তার উন্নয়ন সম্ভব নয়। হয়তো আপাত দৃষ্টিতে তাদের ধন সম্পদ প্রভাব প্রতিপত্তি দেখা গেলেও আত্মিকতা বিচারে সে হীন। যদিও আমরা সামাজিকভাবে তাদের ধনী সম্পদশালী, প্রভাবশালী, প্রতিপত্তিশালী বিচার বিশ্লেষণ করি কিন্তু আদৌতে তা নয়। বরং এইভাবে বিশ্লেষণ করা মানে সৃষ্টিকর্তার অবাধ্যতা করার শামিল কারণ যার নামাজ নাই তার চরিত্র নাই, আর যার চরিত্র নাই তার ঈমানই নাই। প্রতিটি ব্যক্তি নারী বা পুরুষ অন্তত পূর্বের এমন চরিত্রহীনতা বা নৈতিকতাহীনতা থেকে বের হয়ে এসে অনুতপ্ত হয়ে তওবা করে নতুন করে শুরু করা উচিৎ নতুবা তার সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। তার কোন শ্রম কোনো কাজেই আসবেনা।

সিরাজউদ্দৌলার পরের স্বাধীন নবাব

ফেরিওয়ালা সংগৃহীতঃ
নবাব নুর উদ্দিন মুহাম্মদ বাকের জং! ইতিহাসে ঠাঁই না পাওয়া বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব!

বাংলা - বিহার - উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাব হিসেবে আমরা সকলেই এক কথায় জানি নবাব সিরাজ উদ দৌলার নাম। কিন্তু ১৭৫৭ সালের ২৩ শে জুন সিরাজের পতন হওয়ার পরেও প্রায় আড়াই দশক বাংলার বুকে স্বাধীন নবাবের অস্তিত্ব ছিলো। আর সেই নবাব হলেন মোগল প্রিন্স নুর উদ্দিন মুহাম্মদ বাকের জং। অবশ্য রাজধানী মুর্শিদাবাদ কখনোই তার নিয়ন্ত্রণে ছিলো না। তিনি মূলত বৃহত্তর উত্তরবঙ্গে স্বাধীন নবাবী পরিচালনা করেছেন এবং ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন বারেবারে। 

জাগো বাহে কোনঠে সবাই!

ইংরেজদের ভাষায় ফকির মজনু শাহ বা লেখক সৈয়দ শামসুল হকের লেখা চরিত্র কৃষক নেতা নুরুলদীন এর নাম অনেকেরই জানা। কিন্তু এই দুটোর মাঝে একটা আসল পরিচয় সবার অজানাই রয়ে গেছে। ফকির মজনু শাহ ওরফে নুরুলদীনের আসল নাম হলো নুর উদ্দিন মুহাম্মদ বাকের জং। তিনি একজন মোগল শাহজাদা, মোগল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের চাচাতো ভাই। ১৭৫৭ সালে নবাব সিরাজের পতনের পর মুর্শিদাবাদে পুতুল নবাব হিসেবে মীর জাফর, মীর কাসেমদের বসায় ব্রিটিশরা। ঠিক সে সময় দিল্লি হতে মোগল শাহজাদা নুর উদ্দিন বাকের জং রংপুর - দিনাজপুর অঞ্চলে আগমন করেন নবাবীর দাবিদার হয়ে। ধারণা করা হয়, মোগল রাজদরবার থেকেই তাকে পাঠানো হয়।

ব্রিটিশরা যে নুর উদ্দিনকে মেনে নিবে না, সেটা তিনি ভালো করেই জানতেন। তাই শুরু থেকেই ব্রিটিশদের সাথে লড়াই করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন নবাব নুর উদ্দিন বাকের জং। এরই ধারাবাহিকতায় ১৭৬০ সালে সংগঠিত হয় " ব্যাটল অফ মাসিমপুর " যুদ্ধ। এই যুদ্ধে নবাবের কাছে হেরে যায় ব্রিটিশরা এবং তাদের অনুগত বিহারের ডেপুটি নবাব রামনারায়ণের বাহিনী। মাসিমপুর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন শাহজাদা দ্বিতীয় শাহ আলম, যিনি পরবর্তীতে মোগল সম্রাট হন। মাসিমপুরে বিজয় অর্জনের পর সমগ্র উত্তরবঙ্গ নিয়ন্ত্রণে আসে নবাব নুর উদ্দিন বাকের জংয়ের। আর ব্রিটিশদের মধ্যে শুরু হয় আতংক। ব্রিটিশদের লিখিত ইতিহাস অবশ্য নবাবের নাম দিয়ে লিখা হয়নি। তারা এটাকে " ফকির বিদ্রোহ " হিসেবে নামকরণ করে।

১৭৬০ সাল থেকে ১৭৮৩ সাল পর্যন্ত সুদীর্ঘ ২৩ বছর উত্তর ও মধ্য বঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় নবাবের সাথে ব্রিটিশ এবং তাদের অনুগত জমিদারদের সংঘাত হয়। কিন্তু কোনোভাবেই ব্রিটিশরা নবাবকে নির্মূল করতে সক্ষম হয়নি। অবশেষে ১৭৮৩ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের এক যুদ্ধে পিছন থেকে আঘাত করে আহত করে এক ব্রিটিশ সেনা। আর সেই আঘাতের কারণে কয়েকদিন পর মৃত্যু বরণ করেন নবাব।
রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার ফুলচৌকি নামক স্থানে রাজধানী নির্মাণ করার কাজ শুরু করেছিলেন নবাব নুর উদ্দিন বাকের জং। কিন্তু তিনি পুরোপুরি তা সমাপ্ত করতে পারেননি।
তবে এরপরেও বেশকিছু দাপ্তরিক দালান, কোর্ট, মসজিদ এবং প্রাসাদের কাজ আংশিক সমাপ্ত হয়। এগুলোর মধ্যে মসজিদটা ছাড়া আর কোনোকিছু এখন অক্ষত নাই। অবশ্য মসজিদটার কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন করেন তার পুত্র শাহজাদা কামাল উদ্দিন।
ব্রিটিশরা নবাবের এই রাজধানী ইতিহাস থেকে মুছে দিতে কামানের মাধ্যমে মসজিদ আর বসবাসের প্রাসাদটি ছাড়া আর সব স্থাপত্য গুঁড়িয়ে দেওয়া দেয়। পাশাপাশি ঐ এলাকা জুড়ে গড়ে তোলা হয় শালবন। যাতে গাছ গাছালি, বন বাঁদাড়ে ঢেকে পড়ে তাদের শত্রুর সকল চিহ্ন।
মোগল প্রিন্স এই নবাবের সাথে জড়িয়ে আছে বেশকিছু ঐতিহাসিক নাম। তার সহযোগী ছিলেন ভবানী পাঠক এবং জমিদার জয়দুর্গা দেবী চৌধুরাণী ( দেবী চৌধুরাণীর নামে রংপুর অঞ্চলে একটা রেলস্টেশনের নামকরণ করা হয়েছে। বঙ্কিমচন্দ্রের " দেবী চৌধুররাণী " উপন্যাসের নায়িকাও এই মহীয়সী নারী )। 
এছাড়া নবাবের মৃত্যুর পর বহু বছর অবধি বেঁচে ছিলেন ভবানী পাঠক। ভবানী পাঠককে ১৮৩০ এর দশকে ব্রিটিশরা এমব্যুশ করে হত্যা করে নবাবের কন্যা শাহজাদী লালবিবির সাথে রংপুর অঞ্চলে। নবাব ব্রিটিশ সৈন্য দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার পর তার সেবা শুশ্রূষা করেন ধনাঢ্য নারী যোদ্ধা লাল মনি। এই লালমনির নামেই নামকরণ হয় লালমনিরহাট জেলার। নবাবের কন্যা লালবিবি হলেন মোঘল বাদশাহ দ্বিতীয় আকবরের বউ। আর তাদের ওরশে জন্মগ্রহণ করেন শেষ মোঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ। আর এই বাহাদুর শাহের মাতা তথা নবাব নুর উদ্দিন বাকের জং এর কন্যা লালবিবির কবরও রংপুর জেলায়। ব্রিটিশরা সরাসরি গুলি করে এই মহিয়সী নারীকে হত্যা করে। ভবানী পাঠক কেও এইদিন রাণীর সাথে হত্যা করা হয়।
 রাণী ভবানী। নাটোরের বিখ্যাত জমিদার। নবাব নুর উদ্দিন তার লড়াই সংগ্রামে সহায়তা করার জন্য রাণীকে চিঠি লিখে আমন্ত্রণ জানান। তবে রাণী তার এই আমন্ত্রণে সাড়া দেননি।
জায়গার নাম→ দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার নামকরণ হয় এস্থানে নবাবের ঘাঁটি স্থাপন করা থেকেই।
ব্রিটিশদের ইতিহাস বিকৃতি!

বাংলার বৈধ ও যোগ্য নবাব নুর উদ্দিন বাকের জংকে ব্রিটিশরা ইতিহাসে ঠাঁই দেয় ফকির মজনু শাহ নামে। ব্রিটিশরা কখনো প্রচার করতে দেয়নি যে, নবাবের সাথে তাদের যুদ্ধ হচ্ছে। কেননা এটা প্রচারিত হলে পুরো দেশজুড়ে আরো অধিক সংখ্যক মানুষ বিদ্রোহে জড়িয়ে যেতো। ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ ডব্লিউ হান্টারের ভাষায় মজনু শাহ একজন স্বঘোষিত নবাব ছিলো এবং তিনি  নবাবের মোঘল পরিচয়কেও অস্বীকার করেন । অথচ এটা সম্পূর্ণ ইতিহাস বিকৃতি। তৎকালীন রংপুর দিনাজপুর অঞ্চলের সব সাধারণ জনগণই নবাবকে গ্রহণ করে নেন। আর এই সাধারণ মানুষের শক্তিতে বলীয়ান হয়েই সুদীর্ঘ দুই যুগ ব্রিটিশদের ভিত কাঁপিয়ে তোলেন আমাদের নবাব নুর উদ্দিন। আজো রংপুর দিনাজপুর অঞ্চলের মানুষের মুখে মুখে, ছড়ায়, কিংবদন্তীতে একটিই নাম- নবাব নুর উদ্দিন! 

নবাবের মৃত্যুর পর ব্রিটিশরা সবসময় কড়া নজর রাখতো নবাব নুর উদ্দিনের বংশধরদের উপর। যাতে কখনোই নবাব এবং তার রাজধানীর পরিচয় প্রকাশিত না হয়। ব্রিটিশ আমলের পুরোটা সময় পর্যন্ত এসব নিয়ে কথা বলাটা দন্ডনীয় ছিলো। নবাব পরিবারের বসবাসকৃত অঞ্চল এবং আশেপাশের অঞ্চলে নিয়মিত পুলিশ গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতো, যাতে কেউ নবাবের কাহিনি প্রচার বা করে। ব্রিটিশরা নবাবের আসল মৃত্যু সাল পর্যন্ত লুকিয়ে রেখেছিলো। নবাব শহীদ হন ১৭৮৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারিতে , কিন্তু ব্রিটিশ ইতিহাসে লিখা হয় ১৭৮৭ সালে নবাবের মৃত্যুর কথা। নবাব নুর উদ্দিনের বীরত্বপূর্ণ জীবন ও সংগ্রাম নিয়ে কয়েকজন ব্রিটিশ বিরোধী সন্ন্যাসী মিলে রচনা করেন " অজ্ঞাতের ইতিহাস " নামক বই। ব্রিটিশ সরকার এই বইটির সব কপি খুঁজে খুঁজে ধ্বংস করে ফেলে। 

সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো, ব্রিটিশরা এদেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার ৭৫ বছর পরেও এদেশের ইতিহাসে স্বীকৃতি মেলেনি এই নবাবের। এখনো ব্রিটিশদের শিখানো ফকির বিদ্রোহ হিসেবে অবমূল্যায়ন করা হয় নবাবের সংগ্রামকে। সাধারণভাবে  ভাবলেও এটা বুঝা যায়, সাধারণ ফকির বা সন্ন্যাসী দ্বারা কখনো এতোবড় শক্তির বিপক্ষে লড়াই করা সম্ভব ছিলোনা। একমাত্র রাজশক্তির বলে বলীয়ান কোনো যোগ্য নেতৃত্বই ব্রিটিশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ভারতবর্ষে এরকম সংগ্রাম চালাতে পারেন। 

নবাব নুর উদ্দিন বাকের জংয়ের বংশধরেরা এখনো ফুলচৌকিতে বসবাস করেন। তারই ষষ্ঠ বংশধর হায়দার আলী চৌধুরী কর্তৃক রচিত হয় " পলাশী যুদ্ধোত্তর আজাদী সংগ্রামের পাদপীঠ " নামক বইটি। এই বইটি পাঠ করলে বুঝা যাবে, ব্রিটিশরা কত কসরত করেছিলো আমাদের এই নবাবকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে। আর তারা সফলও হয়েছে।
মসজিদের সদর দরজা বরাবর নবাবের কবর সভ্য ব্রিটিশ জাতির অসভ্যতার দৃষ্টান্ত। মোগলহাটের যুদ্ধে আহত হওয়ার পর ১৭৮৩ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে নিজ নির্মিতব্য রাজধানী ফুলচৌকিতে শাহাদাত বরণ করেন নবাব নুর উদ্দিন বাকের জং। তার শাহাদাতের পরপরই সমগ্র রাজধানী দখলে চলে আসে ব্রিটিশদের।  ব্রিটিশরা তখন বাধ্য করে নির্মিতব্য মসজিদের সদর দরজা বরাবর এই স্বাধীন নবাবকে কবরস্থ করতে। নবাবকে মৃত্যুর পরেও নিকৃষ্ট ভাবে অপমানিত করতেই এই অসভ্যতা।
নবাবের কবরের যাতে আর অস্তিত্ব না থাকে, সেজন্য পরবর্তীতে তারা জায়গাটি সমান করে ফেলে এবং সেখানে বাগান করে। নবাবের ছেলে শাহজাদা কামালউদ্দিন বাবার মৃত্যুর অনেক পরে মসজিদের কাজ পুরোপুরি সমাপ্ত করেন। কিন্তু তখনো সদর দরজায় নবাবের কবরের উপর দিয়ে হেঁটেই মসজিদে ঢুকতে হতো মুসল্লীদের। ১৮৫৭ পরবর্তী সময়ে তৎকালীন বিখ্যাত আলেম মাওলানা কারামত আলী জৌনপুরী ব্রিটিশদের সাথে থাকা তার ভালো সম্পর্কের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নবাবের কবরের অমর্যাদা দূর করার কাজ হাতে নেন। তিনি সদর দরজা বন্ধ করতে সক্ষম হয় এবং পাশে একটা ছোট গেইট নির্মাণ করেন। তখন থেকে আজ পর্যন্ত এই মসজিদের সদর দরজা বন্ধ এবং সবাই ছোট গেইট দিয়েই মসজিদে প্রবেশ করেন।
নবাব নুর উদ্দিন বাকের জং আমাদের শেষ স্বাধীন নবাব! তার স্মৃতি রক্ষা করার দায়িত্ব ও আমাদেরই।


সাজের অনবদ্য ঐতিহ্য

ফেরিওয়ালা সংগৃহীত 
প্রতিটি সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের প্রত্যেকেই সুন্দরের পুজারী।   কোলাহলমুখর জীবনের কোনো এক  অবসর হতে পারে তা পহেলা বৈশাখ অথবা ফাল্গুন, হয়তোবা বিয়ে বাড়িতে নন্দিত বঙ্গ ললনার মাঝে আপনার মনোযোগ গিয়েছে আটকে, দেখা  গেল তার খোঁপার মাঝে শোভা পাচ্ছিল আপনার পছন্দের রঙিন ফুল বলেছিলেন মনে মনে, আলগা করোগো খোপার বাধন,‘দিল ওহি মেরা ফাঁস গায়ী’! 
অথবা 
চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা;
জীবনানন্দ দাশের সেই বনলতা সেন; অথবা সুন্দরী সেই রাজকন্যা, যাকে রাক্ষসীর হাত থেকে বাঁচাতে রাজকুমার উঁচু পাহাড়ে উঠেছিল কন্যার দীর্ঘ সোনালী চুল বেয়ে - এভাবে কখনো গল্প, কখনো ইতিহাস, কখনো বা শিল্পীর নিপুণ তুলি আঁচড়ে বাংগালী রমনীর কেশ বিন্যাস আমাদের  মনকে রাঙিয়েছে দিনের পর দিন। কেশ বিন্যাাসে ঐতিহ্যবাহী  বাঙালি সংস্কৃতিতে খোঁপা গ্রামবাংলার নারীর  সৌন্দর্য রহস্যের এক  গোপন মাত্রা। সেই সাথে অন্য রঙ যোগ করবে দৃষ্টিন্দন চুলের বেণী। দ্বিজ ঈশান রচিত ‘কমলা’ চরিত্রটিতে লেখকের বর্ণনায় পাওয়া যায় -কখনও খোঁপা বান্ধে কন্যা কখন বান্ধে বেনি। কূপে রঙ্গে সাজে কন্যা মদনমোহিনী।
ভাষাবিদ সুকুমার সেনের মতে, 'খোঁপা’ শব্দটির উদ্ভব সংস্কৃত শব্দ ‘ক্ষম্পেক' থেকে, যার অর্থ এঁটেসেটে যা রাখা যায়। আবার, ছত্রাকের সংস্কৃত আভিধানিক রূপ হলো 'ক্ষপ', যা থেকে 'ঝোপ' শব্দটির উদ্ভব, এর সাথেও খোঁপা শব্দের মিল খুঁজে পাওয়া যায়। মিষ্টস্বাদের জিলিপির সাথে খোঁপার ধরন অনেকটা মেলে বলে ‘জিলিপি রকমের খোঁপা’ বলে একটা কথা বাংলায় প্রচলিত আছে। অসংখ্য  রকমের খোঁপার পরিচয় পাওয়া যায়। সেই হাজার বছর আগে বাংলার নারীরা চুল রাখতেন লম্বা করে, সেই সাথে পুরুষেরাও। সেকালে নারী-পুরুষ সবাই সেলাইবিহীন কাপড় পরতো, তাই লম্বা চুল কিছুটা পোশাকেরও কাজ করতো। অনেকে ঘাড়ের পাশ দিয়ে চুল ছেড়েও রাখতেন। খোঁপা অবশ্য মেয়েরাই বাঁধতেন, আর খোঁপা করার সময় ব্যবহার করতেন বিভিন্ন রঙের ফুল, ফুলের মালা। সবচেয়ে প্রাচীন দু'টি খোঁপার নাম ‘কূরীর’ ও ‘কুম্ব’, যা সেই প্রাচীন বৈদিক যুগের নারীরা অনুসরণ করতেন। যুগের প্রয়োজনে খোঁপার বিবর্তনের ইতিহাসটাও অনেক বেশি প্রাণচাঞ্চল্যকর। সামাজিক রূপরেখার ধরনের সাথে বাংলার অনবদ্য ঐতিহ্য শাড়ির সাজে পরিবর্তন ঘটতে থাকলে, তার সাথে বিবর্তনের সুর মেলালো খোঁপার শৈলী, এমনকি চুল বাঁধার ধরনও। যুক্ত হলো হাতে রেশমি চুড়ি, কানে ঝুমকো দুল। তার কয়েক শতক পরে চুলের ক্লিপ, প্লাস্টিকের ফ্যাশনেবল কাঁটা। অন্যদিকে পোশাকে যুক্ত হতে থাকল নিত্যনতুন সাজ। বাংলায় এলো মধ্যযুগ, তারপর আধুনিক যুগ। এদিকে বিলেতি শাসন, অন্যদিকে বিলেতফেরত কর্তাদের ঘরে ঘরে নতুন সাজসামগ্রীর সমারোহ। এভাবেই প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সভ্যতার ফ্যাশনগুলো মিশে নতুন এক রূপ ধারণ করতে থাকলো বাংলার পরিবর্তনশীল সমাজব্যবস্থায়। খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, এইতো বিংশ শতাব্দীর শুরুতেও গ্রামবাংলার নারীদের ‘পরিপাটি’ চুল আর ‘খোঁপ করা’ চুল এ দুইয়ের মধ্যে অর্থের তেমন কোনো পার্থক্য ছিল না। তখন একেক খোঁপার সাজ ছিল একেক রকম। বড় বড় খোঁপা মানে ছিল নারীর শৈলী ও মননে রুচিশীলতার ছাপ। “যত বড় খোঁপা, তত বেশি ভাব”- এরকম একটি কথাও প্রচলিত ছিল। মধ্যযুগে অমৃতিপাক, লোটন, পান, টালি, খেজুরছড়ি, এলোকেশী, বিনোদবেণী, প্রজাপতি ইত্যাদি খোঁপার নামের সন্ধান পাওয়া যায়। বিখ্যাত ছিল ‘শান্তিপুর’ নামের একটি খোঁপার স্টাইল। অনেকে আবার ভারতের বাঘনাপাড়ার খোঁপা বাঁধার ধরন পছন্দ করতেন। 
“উলার মেয়ের কলকলানি, শান্তিপুরের চোপা" গুপ্তিপাড়ার হাতনাড়া, আর বাঘনা পাড়ার খোপা" গ্রামে-গঞ্জে এরকম অনেক মজার মজার কথা শুনতে পাওয়া যায়। এগুলো প্রচলিত ছিল বাংলায়। ‘বিনোদবেণী’ একটি খোঁপার নাম, যে খোঁপায় মুগ্ধ হয়ে নজরুল গেয়েছিলেন -“সই ভালো ক'রে বিনোদ–বেণী বাঁধিয়া দে মোর বঁধু যেন বাঁধা থাকে বিননী–ফাঁদে।”

যতীন্দ্রকুমার সেন তার ‘কামিনী-কুন্তল’ (১৩২৬ আশ্বিন, ‘মানসী ও মর্ম্মবাণী’ পত্রিকা) রম্যরচনায় বিংশ শতাব্দীর ট্রেন্ডে উঠে আসা খোঁপার অনন্য বিবরণ দিয়েছেন। তার মতে, হিন্দুস্তানি মেয়েরা তখন বাঁধতো খোট্টা খোঁপা, তবলার বিঁড়ের মতো ছিল বিঁড়ে খোঁপা, বণিকবাড়ির মেয়েরা  কেশসজ্জায় স্থান দিত বেনে খোঁপা, মাথার মাঝখানে বাঁধতে হতো ব্রহ্মচূড় ও বৈষ্ণবচূড়, সন্ন্যাসিনীর মতো ছিল ভৈরবী খোঁপা। সময় না থাকলে দ্রুত চুল বাঁধতে ‘গোঁজ খোঁপা’র প্রচলন ছিল; আর মাথার যেকোনো জায়গায় খোঁপার অবস্থান থাকলে তাকে বলা হতো ‘খেয়াল খোঁপা’। শুরু আর শেষ যে কোথায়, তা বোঝা যেত না ‘গোলকধাঁধা খোঁপা’য়; আবার সামান্য হাটাঁচলায় সহজে খসে পড়লে, তার নাম হলো ‘সোহাগী খোঁপা’। ছিল মৌচাকের মতো কুশন খোঁপা, দোল খেতে থাকা দোলন খোঁপা। এরকম আরো ছিল স্বামীভোলানো, চ্যাটাই, হেঁটোভাঙ্গা, আঁটাসাঁটা, ডায়মন কাঁটা ইত্যাদি।
খোঁপা ইতিহাসের কথা বলে
কিছু খোঁপার নাম খেয়াল করলে বাংলায় বিদেশীদের আগমনের কথা জানতে পারা যায়। যেমন- ফিরিঙ্গি খোঁপা, বিবি গোঁজ, টায়রা খোঁপা (যেখানে ঘড়ি লাগানো সম্ভব ছিল!), অ্যারোপ্লেন খোঁপা এরকম।কিছু খোঁপার অবশ্য নামটাই পরিবর্তন হয়েছে, এরকই একটি হল অ্যারোপ্লেন খোঁপা, এর পূর্বনাম ছিল প্রজাপতি খোঁপা। পানিপথের প্রথম যুদ্ধে কামানের ব্যবহার অথবা ব্রিটিশদের কামানের ব্যবহারে তিতুমীর বাঁশের কেল্লার খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে যাওয়ার গল্প আমরা সবাই জানি। এরকম কামানের আদলে বুনতে হতো ‘তোপ খোঁপা’। খোঁপা নিয়ে তখন বসে ছিলেন না নব্য ইংরেজি শিক্ষা গ্রহণ করতে থাকা বাঙালি শিক্ষিতরাও। প্রাথমিক ইংরেজি জ্ঞান অর্জন করতে থাকা মেয়েদের পড়তে হতো ‘সেঞ্চুরি প্রাইমার’, বিজ্ঞান পড়ার সময় ‘বিজ্ঞান রিডার’ ছিল ম্যাট্রিকুলেশন, বিএ ফেল, প্রেমচাঁদ-রায়চাঁদ ইত্যাদি নামের খোঁপা। আবার বিএ পাশ করার পরও একটা খোঁপা পড়ার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারতো বঙ্গনারীরা, নামটা অনুমেয়, ‘বিএ পাশ খোঁপা’! খোঁপা অবশ্য আজকাল আলাদাভাবে বিক্রি করতেও দেখা যায়। চুল নিয়ে আজও যতটুকু পরিচর্যার প্রচলন রয়েছে, তাতে প্রবীণ কেউ যদি বলেন খোঁপা বাঁধা নিয়ে আগেকার যুগে রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলত তখন, তাতে খুব বেশি অবাক হবার কিছু নেই। চুলের খোঁপা নিয়ে অবশ্য এখনো প্রতিযোগিতা চলে, তবে সেটা গ্রামে-গঞ্জে, নগণ্যপ্রায়। শুধু খোঁপা নিয়ে গল্প করলে কাজটা হয়তো ঠিক হবে না; কেননা সুন্দরী ললনার চুলের বেণীর বিনুনিও ছিল সৌন্দর্যপিয়াসী বাঙালি সমাজের অনেক পছন্দসই একটা ব্যাপার। নাহলে রবি গুহ মজুমদারের কথায় শচীন দেব বর্মণ গাইতেন না, “তোমার সাপের বেণী দুলে না/দুলে না হাওয়ার বাঁশি শুনে”; তারও অনেক আগে ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর ভালোবেসে বলে গিয়েছিলেন-“বিননিয়া বিনোদিণী বেণীর শোভায়। সাপিনী তাপিনী তাপে বিবরে লুকায়।।”

তবুও কেন জানি, ইতিহাস, সাহিত্য তথা গ্রন্থে বাঙালি চুলের বেণীর আলাদা তেমন কোনো বর্ণনা পাওয়া যায় না। আজকাল চুলের বেণীর স্টাইলগুলোই খুব মানাচ্ছে নতুন নতুন ফ্যাশনগুলোর সাথে; কেননা হাল আমলের ডিজাইন করা পোশাক-পরিচ্ছদের সাথে চুলের বেণীর সাজসজ্জাটাই এ যুগের ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে হাল ফ্যাশনের সাথে তাল মিলিয়ে আজ আবার নতুন করে 'ট্র্যাডিশনাল' খোঁপা নিয়ে ভাবছেন বাংলার ফ্যাশনপ্রেমীরা। আবার, এই একবিংশ শতাব্দীতে, এইতো দিনকয়েক আগে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে খোঁপায় প্রতীকী অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল ‘গাঁ ঘেষে দাঁড়াবেন না’ লিখা খোঁপার কাঁটা। এভাবে শতাব্দীকাল ধরে বাঙালি নারীর চুলের সাজ এবং তার সাথে ঐতিহ্যবাহী সাজসামগ্রী হয়ে থাকুক বঙ্গকন্যাদের সৌন্দর্য ও অস্তিত্বের অনন্য প্রতীক। ভালো থাকুন, বাংলাকে ভালোবাসুন।

নারী

ফেরিওয়ালা নিবেদিত
নারী যাকে বলা হয় সৃষ্টির রহস্য যার মায়া ভেদ করে রহস্যা উন্মোচন করার সাধ্য কারো নেই। এই নারীর হৃদয় হচ্ছে রক্তের অতি কঠিন কনা গুলো দিয়ে তৈরী। অথচ তাদের মমতা এত বেশি যে পরিমাপের সাধ্য কারো নেই। নারী এমন একটি মমত্ব যেটা শুধু আপনজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনা এদের মমত্ব সকলের জন্যই বরাদ্দকৃত। একজন নারীকে শুধু নারী বললেই শেষ হয়ে যায়না। প্রতিটি পেশাজীবীর যে পেশাদারিত্ব থাকে একজন নারীকে সেই সকল পেশাজীবীর পেশাদারিত্বের জ্ঞ্যান দক্ষতা তাকে একজনমেই অর্জন ও প্রয়োগ করতে হয়।

সংখ্যা বিজ্ঞান যে বিজ্ঞান বদলে দেবে মানুষের জীবন।

সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছু পাল্টে যায়। পাল্টে যায় মানুষের জীবন। এই পাল্টানোর পেছনে আমরা দায়ী করি পারিপার্শ্বিক নানা নিয়ামককে কিন্তু আসলেই কি পাল্টে যাবার ক্ষেত্রে সেই নিয়ামকগুলোই দায়ী? হয়ত হ্যাঁ নয়তো না কিন্তু এই নিয়ে গবেষণার সময় আমাদের নেই বা আমরা এই নিয়ে গবেষণা করিও না। কিন্তু সকল পরিবর্তন এর পেছনে মূলত দায়ী হলো সংখ্যা। অবাক হবার কিছু নেই মানুষ ও পৃথিবীর গঠন সূচনা ও সমাপ্তি সব কিছুই সংখ্যা নির্ভর এমনকি ব্যক্তি জীবনের উত্থান পতন স্থীরতা সব কিছুই সংখ্যা নির্ভর। কেউ মানেন বা না মানেন। প্রতিটি সৃষ্টির পেছনে রয়েছে সংখ্যার মাত্রা। মানুষের উন্নতি -অবনতি, উত্থান-পতন জয়-পরাজয়, আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্না এককথায় ইতিবাচক নেতিবাচক যা কিছুই ঘটুক সব কিছুই সংখ্যা ও সংখ্যার মাত্রার উপর নির্ভরশীল। সংখ্যার এই নিগুড় তত্ত্ব একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন। মানুষ যদি সেটা জানত তবে মানুষ সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ এর ক্ষমতা রাখতে পারতো ঠিক যেমন ০১ এর বাইনারী ক্ষমতায় কম্পিউটার এর মাধ্যমে অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। সংখ্যা ও সংখ্যার মাত্রা ব্যক্তি বা সৃষ্টি যে সংখ্যার দ্বারা সৃষ্ট হয়েছে সেই সংখ্যা ও তার মাত্রার উপর আগমনকারীর আগমনের পরে সংখ্যা বা সংখ্যার মাত্রার প্রভাব রয়েছে বলেই একই আকার আকৃতি বা সূচনার পরেও মানবের আচার আচরণ, চাল চলন, সফলতা ব্যার্থতা ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। মানুষ যদি নিজের আগমন বা জন্মগ্রহণ করার জন্য প্রভাবিত সংখ্যা সম্বন্ধে অবগত থাকত এবং সেই সাথে তার জীবন কে প্রভাবিতকারী ইতিবাচক ও নেতিবাচক সংখ্যা সম্বন্ধে জানতে পারতো তবে মানুষ নিজের জয় পরাজয়, সাফল্য ব্যার্থতা, উত্থান পতন সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারতো এবং সেটাই হতো প্রকৃত ডিজিটালাইজেশন। যদি আমরা সফল ব্যক্তির সফলতার পেছনে সংখ্যার প্রভাব বা ব্যর্থ ব্যক্তির ব্যর্থতার পেছনে প্রভাব বিস্তারকারী সংখ্যার বিষয়টি উদঘাটন করতে পারি তবে ব্যর্থ ব্যক্তিকে সফল করা বা সফল ব্যক্তিকে ব্যর্থ করে দিতে পারা যাবে। কিন্তু এটি করতে গেলে মানুষের সঠিক জন্ম তারিখ হতে তার জীবনের ছোট খাট প্রতিটি বিষয়ের সঠিক তথ্য ও পরিসংখ্যান জানতে হবে।

হজরত কুতুবউদ্দিন কাকি ( রাঃ)

কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী (রা:) এঁর জীবন ও কর্ম পরিচিতিঃ কুতুবুল আকতাব হযরত খাজা সৈয়দ মুহাম্মদ কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু’র (জন্ম ১১৭৩-মৃত্যু ১২৩৫) ছিলেন একজন মুসলিম সুফি সাধক। তিনি দক্ষিণ কিরগিস্তানের উশ নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। ১৬তম শতাব্দিতে মোগল সম্রাট আকবরের উজির আবুল ফজল ইবনে মোবারক রচিত কুতুবউদ্দিন (রা:) এঁর জীবনী ‘‘আইন-ই- আকবর”-এ উল্লেখ করা হয়, তাঁর পিতার নাম কামালুদ্দিন। তিনি খাজা কুতুবউদ্দিন (রা:) এঁর দেড় বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। খাজা কুতুবউদ্দিন রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু’র আসল নাম বখতিয়ার এবং পরে কুতুবউদ্দিন নামটা দেয়া হয়। তিনি হোসাইন ইবনে আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়লা আনহু’র মাধ্যম হয়ে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র বংশের সাথে মিলিত হয়েছেন। তার মা, যিনি নিজেই একজন শিক্ষিত মহিলা ছিলেন, তাঁর শিক্ষার জন্য শাইখ আবু হিফসকে নিয়োগ দেন।হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি (রা:) তার ভ্রমণের সময় যখন আউশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, খাজা কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার (রা:) তাঁর হাতে বায়াত গ্রহণ করেন এবং তাঁর থেকে খেলাফতও গ্রহণ করেন। এভাবেই তিনি খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু’র প্রথম খলিফা হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি চিশতিয়া ত্বরিকার সাধক ছিলেন। তার নামেই দিল্লীর বিখ্যাত কুতুব মিনার উৎসর্গ করা হয়। শিষ্যত্ব গ্রহণ করার আগেই চিশতিয়া ত্বরিকা শুধুমাত্র আজমীর এবং নাগাউর এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। দিল্লীতে স্থায়ীভাবে এই ত্বরিকাকে প্রতিষ্ঠায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর দরগাহ্ (সমাধি) মেহরাউলের জাফর মহলের পাশেই অবস্থিত এবং পুরানো দরগাহ্ দিল্লিতে অবস্থিত, যেখানে তাঁর ওরশ পালিত হয়।
ভারতের অনেক বিখ্যাত শাসক তাঁর ওরশ মহা-সমারোহ উদযাপন করতেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন কুতুবউদ্দিন আইবাক, ইলতুতমিশ যিনি কুতুবউদ্দিন কাকী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু’র জন্য “ঘান্দাক কি বাউলি” নামে এক গভীর নলকূপ স্থাপন করেন, শের শাহ সুরি যিনি একটি বড় গেইট তৈরী করেন, বাহাদুর শাহ যিনি দরগাহের পাশে মতি মসজিদ নির্মাণ করেন, ফারুক শিয়ার যিনি মার্বেলের মসজিদ নির্মাণ করেন তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত শিষ্য এবং খলিফা হলেন ফরিদ উদ্দিন গঞ্জেশকর রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, যিনি আবার দিল্লির বিখ্যাত সাধক নিজাম উদ্দিন আউলিয়া (রা:) এঁর পীর (সূফি গুরু)। নিজাম উদ্দির আউলিয়া (রা:) এঁর শিষ্য হলেন মুসলিম সুফি সাধক কবি আমির খসরু (রা:)।দিল্লী যাত্রাঃ
দিল্লী সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা ইলতুতমিশের (১২১১-১২৩৬) এর অবসরের সময় নিজ পীর, খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, একান্ত ইচ্ছায় খাজা কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু দিল্লিতে চলে যান এবং সেখানেই বসবাস করতে থাকেন। কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী (রা:) এঁর আধ্যাত্মিক ক্ষমতা ও দক্ষতা এবং মানবতার অপার মহিমা অবলোকন করে প্রচুর মানুষ প্রায় তাঁর সাক্ষাত লাভে প্রতিদিন আসা যাওয়া করতেন। তিনি এই আধ্যাত্মিক পথে সাধারণ মানুষকে বায়াত দানও শুরু করে দিয়েছিলেন।ফলাফলের বা প্রতিদানের আশা না করে অভাব গ্রস্থদের সাহায্য করার মতার্দশের বিশ্বাসী ছিলেন তিনি। তাঁর বিশিষ্ট শিষ্য, ফরিদ উদ্দিন গঞ্জেশকার (রা:), তাঁকে কবচের (তাবিজ) বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন করেন যেগুলো ছিল বির্তকিত কেননা এগুলো ইসলামে মূর্তিপূজার মত ধর্মীয় সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এর উত্তরে কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী (রা:), ইচ্ছা বা বাসনার পরিপূর্ণতা হওয়া কোন কিছুর উপর নির্ভর করে না, কবচ বা তাবিজে আল্লাহর নাম এবং তাঁর কথা বা আয়াত রয়েছে এবং এগুলো মানুষকে দেয়া যাবে। সেমায় নিমগ্ন হয়ে তিনি চিশতিয়া ত্বরিকার আধ্যাত্মিক সঙ্গীতের ঐতিহ্যকে বজায় রাখেন এবং আরো সমৃদ্ধ করেন। ধারণা করা হয় যে, হিন্দু ধর্মে ভক্তি নিবেদনের সঙ্গীতের সাথে সুরের সমন্বয় করা হয়, যাতে স্থানীয় মানুষদের সাথে সর্ম্পক স্থাপনের সহায়ক হিসেবে কাজ করে এবং দুই সম্প্রদায়ের মাঝে পারষ্পরিক সমন্বয় সহজ হয়। ১৪ রবিউল আউয়াল ৬৩৩ হিজরীতে (২৭ নভেম্বর ১২৩৫ খ্রিস্টাব্দ) তিনি একটি সেমা মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন, যেখানে কবি আহমদ-এ-জাম নিম্নোক্ত পঙ্গক্তিটি গেয়ে শুনান:
"যারা আত্মসমর্পণের খঞ্জরে নিহত হয়েছে, অদৃশ্য থেকে তাঁরা প্রতিনিয়ত নব জীবন প্রাপ্ত হয়েছে।"
খাজা কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী (রা:) এই আধ্যাত্মিক পঙ্গক্তি দ্বারা এতটাই পরমানন্দ লাভ করলেন যে, তিনি ততক্ষণাৎ মূর্ছা গেলেন। ঐ আধ্যাত্মিক পরমানন্দের মাঝেই চারদিন পর তিনি ইন্তেকাল করেন। তাঁর দরগাহ, (মাজার), দিল্লির মেহরুলে অবস্থিত কুতুব মিনার কমপ্লেক্সের নিকটে জাফর মহলের পাশে অবস্থিত। তাঁর জোর নির্দেশ ছিল, ইন্তেকালের পর তাঁর নামাজে জানাজার নেতৃত্ব সে ব্যক্তিই দিবেন, যিনি কখনও কোন হারাম কাজ করেননি এবং আসরের সালাত এর সুন্নত কখনও ছাড়েননি।
কাকী উপাধি প্রাপ্তি ঃকাকি নামটি দিল্লীর একটি ঘটনার পর, তাঁর উপাধি হিসেবে যুক্ত হয়। ঘটনাসুরে, তিনি তাদের চরম দরিদ্রতা, দারিদ্র সত্ত্বেও স্থানীয় রুটিওয়ালা থেকে ঋণ না নিতে তিনি তাঁর স্ত্রীকে নিষেধ করেন। পরবর্তিতে স্ত্রীকে বলেন, যখনই প্রয়োজন হবে তখন ঘরের এক কোণা থেকে যেন কাক (এক ধরনের রুটি) নেন। এরপর, যখনই প্রয়োজন হত আশ্চর্জনকভাবে তারঁ স্ত্রী ঘরের কোণা থেকে কাক পেয়ে যেত। ইতিমধ্যে রুটিওয়ালা এটা ভেবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ল যে, কেন খাজা কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী (রা:) ঋণ নেয়া বন্ধ করে দিল। রুটিওয়ালা চিন্তা করলেন হয়ত তিনি প্রায়শ খাজা কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু’র সাথে রাগারাগি করতেন, সেজন্য খাজা কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী (রা:) ঋণ নেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে, রুটিওয়ালার স্ত্রী কুতুবউদ্দিন রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু’র স্ত্রীর কাছ থেকে এর কারণ জানতে চাইলেন। তিনি তাকে কাক এর আশ্চর্যজনক ঘটনাটি বর্ণনা করলেন। এই গোপন রহস্যটি উন্মোচিত হওয়ার পর যদিও কাক আসা বন্ধ হয়ে যায়, ঐ দিন থেকে মানুষ কুতুবউদ্দিনকে কাকি নামে সম্বোধিত করতে থাকে।

খাজা কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকীর (রা:) এঁর মতাদর্শঃ চিশতিয়া ত্বরিকার অন্যান্য সাধকদের মত খাজা কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী (রা:) কোন আনুষ্ঠানিক মতবাদ প্রণয়ন করেননি। তিনি সবসময় মজলিসের আয়োজন করতেন যেখানে তিনি ত্বরিকতের গোপন রহস্য তত্ত্ব নিজ শিষ্যদের কাছে উন্মোচিত করতেন। জনসাধারণের মধ্যে পরিচালিত এই মজলিসে যেসব বিষয়ের উপর জোর দেয়া হতো সেগেুলো হল- আত্ম-ত্যাগ ও বাসনা শূণ্য প্রেম, আল্লাহর উপর সম্পূর্ণ বিশ্বাস, সকল মানুষকে একইরূপ আচরণ করা এবং যথাসাধ্য তাদের সাহায্য করাসহ ইত্যাদি। তাকে যেসব আবদার করা হত, তিনি সে দিনই ঐ আবদার পূরণ করে দিতেন। ফলাফলের বা প্রতিদানের আশা না করে অভাবগ্রস্থদের সাহায্য করার মতাদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন।
খাজা কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী (রা:) এঁর উপাধি সমূহঃ (১) কুতুব-উল-আকতাব। (২) মালিক-উল-মাশায়খ। (৩) রাইস-উস-সালেকীন। (৪) সিরাজ-উল-আউলিয়া। হযরত কুতুবুদ্দীন বখতিয়ার কাকী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ইন্তেকাল করলেন। তাঁর জানাযার জন্য পঙ্গপালের মতো ছুটে এলো বহু মানুষ। বিশাল মাঠে জানাযার আয়োজন করা হলো। জনসমুদ্রে পরিণত হলো মাঠ। জানাযার সময় হলে একজন ঘোষক ঘোষণা করলেন, হযরত বখতিয়ার কাকী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ইন্তেকালের পূর্বে আমাকে ওসিয়ত করে গেছেন, যার মাঝে চারটি গুন থাকবে তিনি যেন বখতিয়ার কাকী (রা:) এঁর জানাযা পড়ান। গুন চারটি হলো 
১. যার জীবনে কোনদিন তাকবীরে উলা ছোটেনি।
২. যার কোনদিন তাহাজ্জুদ কাযা হয়নি।
৩. যে কোনদিন গায়রে মাহরামের দিকে বদনজরে তাকাননি।
৪. এমন ইবাদতগুযার যার কোনদিন আসরের সুন্নতও ছোটেনি। 
একথা শোনার পর পুরো মাঠে নিরবতা ছেয়ে গেলো। সবাই নিস্তব্ধ। কে আছেন এমন? এভাবেই কেটে গেলো বেশ কিছুক্ষণ। এরপর ভীড় ঠেলে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে এলেন একজন। সবার দৃষ্টি তাঁর দিকে। ধীরে ধীরে জানাযার দিকে এগিয়ে এলেন। লাশের মুখ থেকে চাদর সরিয়ে বললেন, কুতুবুদ্দীন ! তুমি নিজে তো চলে গেলে কিন্তু। আমাকে অপদস্ত করে গেলে। তারপর তিনি জনসম্মুখে আল্লাহ তা‘য়ালাকে সাক্ষী রেখে কসম খেয়ে বললেন, আমার মাঝে এই চারটি গুণ আছে। জনতা বিস্ময়য়ে হতবাক হয়ে গেলো। আরে !! ইনি কে?? তিনি আর কেউ নয়। তিনি হলেন তৎকালীন বাদশাহ শামসুদ্দীন আলতামাশ (রা:)। (সুবহানাল্লাহ) একজন বাদশাহ যদি নিজের সকল ব্যস্ততা সত্বেও এমন আবেদের জীবন যাপন করতে পারেন । তাহলে আমরা যারা বিভিন্ন চাকরি বা ব্যবসা কিংবা অন্য কোন পেশায় নিয়োজিত আমরা কি পারিনা এভাবে নিজেকে ইবাদতে ব্যস্ত রাখতে। হে আল্লাহ! আমাদের সবাইকে বেশী বেশী ইবাদত বন্দেগী করার তৌফিক দান করুন। আমিন

ফেরিওয়ালা: আমি প্রগতিবাদী কাপুরুষ।

সমাজ এখন দুটি ভাগে বিভাজিত তথাকথিত জ্ঞ্যনপাপী মানুষ দ্বারা। একটি পক্ষ প্রগতির পথে অপর পক্ষ গোড়ামীর পক্ষে। এবং দু পক্ষই সকল অপকর্মের জন্য এক...

ফেরিওয়ালা: আমি প্রগতিবাদী কাপুরুষ।

 সমাজ এখন দুটি ভাগে বিভাজিত তথাকথিত জ্ঞ্যনপাপী মানুষ দ্বারা। একটি পক্ষ প্রগতির পথে অপর পক্ষ গোড়ামীর পক্ষে। এবং দু পক্ষই সকল অপকর্মের জন্য এক...

প্রগতিবাদী কাপুরুষ

ফেরিওয়ালা নিবেদিত
সমাজ এখন দুটি ভাগে বিভাজিত তথাকথিত জ্ঞ্যনপাপী মানুষ দ্বারা। একটি পক্ষ প্রগতির পথে অপর পক্ষ গোড়ামীর পক্ষে। এবং দু পক্ষই সকল অপকর্মের জন্য একে অপরকে দোষারোপ করে চলে অবিরাম। যারা প্রগতি বাদী তারা ধর্মীয় অনুভূতিকে কাপুরুষতা বলে আখ্যায়িত করে। আবার ধর্মীয় গোড়ামীসম্পন্ন কিছু মানুষ প্রগতিবাদীদের নাস্তিক আখ্যায়িত করে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে চেষ্টা করে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে দুপক্ষেরই জাত শত্রু। আমার কাছে প্রগতি যেমন গুরুত্ববহ তেমনি ধর্মীয় অনুভুতি আবশ্যকীয়। আমি জ্ঞ্যনী নয় বলে প্রগতিবাদীদের যুক্তি মানতে বা বুঝতে পারিনা আবার সামাজিক জীব বলে পরিপূর্ন ধার্মিক হবার যোগ্যতাও অর্জন করিনি। আমি অল্প বিদ্যায় নিজেকে প্রগতিবাদী ধর্মীয় কাপুরুষ। কারন আমার কাছে উন্নয়ন যেমন আবশ্যক তেমনি অদৃশ্য রবের উপাসক হওয়াও আনিবার্য। যখন আমি এসএসসি পরীক্ষার্থী তখন একটা রচনা মুখস্থ করতাম নিয়মানুবর্তিতা বা ডিসিপ্লিন। কিন্তু দ্বাদশ শ্রেণীতে আর পড়ার সুযোগ হয়নি। আমার তখন মনে হয়েছিল ডিসিপ্লিন বুঝে শুধু স্কুল জীবনের জন্যই প্রযোজ্য কলেজ জীবনের জন্য নয়। আমার কাছে ধর্ম হলো শৃংখলা বোধ। অর্থাৎ অদৃশ্য রব আমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য কিছু আইন প্রশাসক তথা রাসুল বা নবী প্রেরণ করেছেন এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসক বা নবীগন মানুষকে উক্ত শৃংখলাবোধের মাধ্যমে প্রগতির পথে পরিচালিত করেছেন। এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসক বা নবীগন মানুষের মাঝে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন কিভাবে ডিসিপ্লিন বা ধর্ম অনুসরণ করে প্রগতি অর্জন সম্ভব। প্রায় সকল রাসুলগণই কিন্তু বিরুপ পরিবেশে প্রগতি অর্জনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। যদিও বিভিন্ন রাসুলগন বিভিন্ন ডিসিপ্লিন বা ধর্মপালন শিখিয়েছেন তবুও কোন ডিসিপ্লিনই আর একটি ডিসিপ্লিনের সাথে সাংঘর্ষিক নয়। বরং প্রতিটি মুল ডিসিপ্লিনই পরিপূর্ন অনুসরন করলে প্রগতি অর্জন সম্ভব তবে কেনইবা প্রগতিবাদীরা ডিসিপ্লিন বা ধর্মকে মানতে চাননা? বা ধর্মকে প্রগতির পথে প্রতিবন্ধক মনে করেন? আমারতো মনে হয় উনারা ডিসিপ্লিন বোঝেননা। শৃংখলাবোধ প্রগতির পূর্বশর্ত। আমরা কোন ডিসিপ্লিন অনুসরণ করব সেটা আমাদের ইচ্ছা ও আন্তরিকতার উপর নির্ভর করে। কিন্তু আমরা যে ডিসিপ্লিনই অনুসরন করতে চাইনা কেন আমাদেরকে পরিপুর্ণভাবেই করতে হবে তবেও সম্ভব মুক্তি ও প্রগতি। কিন্তু যদি এমন হয় এই ডিসিপ্লিনের একলাইন আর এক ডিসিপ্লিনের আধা লাইন এভাবে অনুসরন করি তবে নিশ্চিত ভাবে তা বিভ্রান্তীর সৃষ্টি করবে এবং প্রগতি বাধাপ্রাপ্ত হবে। তবে ডিসিপ্লিন যায় অনুসরন করিনা কেন মূল ডিসিপ্লিন অনুসরন আবশ্যক। সামাজিক সুবিধাবাদীদের সংযোজিত বা পরিমার্জিত কোন ডিসিপ্লিন প্রগতি বয়ে আনতে পারেনা।

আমি প্রগতিবাদী কাপুরুষ।

সমাজ এখন দুটি ভাগে বিভাজিত তথাকথিত জ্ঞ্যনপাপী মানুষ দ্বারা। একটি পক্ষ প্রগতির পথে অপর পক্ষ গোড়ামীর পক্ষে। এবং দু পক্ষই সকল অপকর্মের জন্য একে অপরকে দোষারোপ করে চলে অবিরাম। যারা প্রগতি বাদী তারা ধর্মীয় অনুভূতিকে কাপুরুষতা বলে আখ্যায়িত করে। আবার ধর্মীয় গোড়ামীসম্পন্ন কিছু মানুষ প্রগতিবাদীদের নাস্তিক আখ্যায়িত করে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে চেষ্টা করে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে দুপক্ষেরই জাত শত্রু। আমার কাছে প্রগতি যেমন গুরুত্ববহ তেমনি ধর্মীয় অনুভুতি আবশ্যকীয়। আমি জ্ঞ্যনী নয় বলে প্রগতিবাদীদের যুক্তি মানতে বা বুঝতে পারিনা আবার সামাজিক জীব বলে পরিপূর্ন ধার্মিক হবার যোগ্যতাও অর্জন করিনি। আমি অল্প বিদ্যায় নিজেকে প্রগতিবাদী ধর্মীয় কাপুরুষ। কারন আমার কাছে উন্নয়ন যেমন আবশ্যক তেমনি অদৃশ্য রবের উপাসক হওয়াও আনিবার্য। যখন আমি এসএসসি পরীক্ষার্থী তখন একটা রচনা মুখস্থ করতাম নিয়মানুবর্তিতা বা ডিসিপ্লিন। কিন্তু দ্বাদশ শ্রেণীতে আর পড়ার সুযোগ হয়নি। আমার তখন মনে হয়েছিল ডিসিপ্লিন বুঝে শুধু স্কুল জীবনের জন্যই প্রযোজ্য কলেজ জীবনের জন্য নয়। আমার কাছে ধর্ম হলো শৃংখলা বোধ। অর্থাৎ অদৃশ্য রব আমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য কিছু আইন প্রশাসক তথা রাসুল বা নবী প্রেরণ করেছেন এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসক বা নবীগন মানুষকে উক্ত শৃংখলাবোধের মাধ্যমে প্রগতির পথে পরিচালিত করেছেন। এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসক বা নবীগন মানুষের মাঝে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন কিভাবে ডিসিপ্লিন বা ধর্ম অনুসরণ করে প্রগতি অর্জন সম্ভব। প্রায় সকল রাসুলগণই কিন্তু বিরুপ পরিবেশে প্রগতি অর্জনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। যদিও বিভিন্ন রাসুলগন বিভিন্ন ডিসিপ্লিন বা ধর্মপালন শিখিয়েছেন তবুও কোন ডিসিপ্লিনই আর একটি ডিসিপ্লিনের সাথে সাংঘর্ষিক নয়। বরং প্রতিটি মুল ডিসিপ্লিনই পরিপূর্ন অনুসরন করলে প্রগতি অর্জন সম্ভব তবে কেনইবা প্রগতিবাদীরা ডিসিপ্লিন বা ধর্মকে মানতে চাননা? বা ধর্মকে প্রগতির পথে প্রতিবন্ধক মনে করেন? আমারতো মনে হয় উনারা ডিসিপ্লিন বোঝেননা। শৃংখলাবোধ প্রগতির পূর্বশর্ত। আমরা কোন ডিসিপ্লিন অনুসরণ করব সেটা আমাদের ইচ্ছা ও আন্তরিকতার উপর নির্ভর করে। কিন্তু আমরা যে ডিসিপ্লিনই অনুসরন করতে চাইনা কেন আমাদেরকে পরিপুর্ণভাবেই করতে হবে তবেও সম্ভব মুক্তি ও প্রগতি। কিন্তু যদি এমন হয় এই ডিসিপ্লিনের একলাইন আর এক ডিসিপ্লিনের আধা লাইন এভাবে অনুসরন করি তবে নিশ্চিত ভাবে তা বিভ্রান্তীর সৃষ্টি করবে এবং প্রগতি বাধাপ্রাপ্ত হবে। তবে ডিসিপ্লিন যায় অনুসরন করিনা কেন মূল ডিসিপ্লিন অনুসরন আবশ্যক। সামাজিক সুবিধাবাদীদের সংযোজিত বা পরিমার্জিত কোন ডিসিপ্লিন প্রগতি বয়ে আনতে পারেনা।

জানা নেই আমার

আমি ৃথিবীর সেরা বলদ তাই শেষ থেকে শুরু করছি। সবাই জানে চলার পথের চিন্তা চেতনা ৃষ্টি ভঙ্গী সকলের এক নয়। তারপরেও আমার ভাবনা, চিন্তা, চেতনা যুগের সাথে সামঞ্জস্যহীন, তাই অনেকের কাছে এটা পাগলামী বা অট্টহাস্যের খোরাক যোগায় কিন্তু জীবন ধারণের খোরাক যোগায়না। ৃথিবীতে আলোর দর্শন পেয়ে কত পাহাড় গড়েছি স্বপ্নের আবার নিজের অযোগ্যতা এবং ব্যর্থতায় সে পাহাড় ধুলোয় মিশিয়েও দিয়েছি। আজ হয়ত আর সফল হবার স্বপ্ন দেখিনা কিন্তু অস্তিত্ব খুজে পাওয়ার প্রবল আকাংখা পিছু ছাড়েনা। আমাদের জন্মগত প্রাপ্ত সম্পদ হলো আবেগ আর এই আবেগের কারণেই আমরা অন্য ভাষাভাষির চেয়ে অনেকটাই সতন্ত্র। এবং আবেগ হলো আমাদের প্রথম ও প্রধান সম্বল। আমরা যা কিছুই করিনা কেন তা আমাদের আবেগেরই বহিঃপ্রকাশ। আর আবেগের ফলশ্রুতির কারনেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাংগালী বঙ্গ্বন্ধুর শুধু একটি মাত্র ডাকে সাড়ে সাত কোটি মানুষ আত্মত্যাগে উদ্বজীবীত হয়েছিল। প্রানের মায়া সাংগকরে মা কে রক্ষায় ঝাপিয়ে পড়েছিল। বঙ্গ্বন্ধু শুধু তেজস্বী বক্তা ছিলেন তা নয় আমি মনে করি  তিনি শধু উদাহরণ দিয়েছিলেন একজন ঙ্গগালীর শুধু ভোকাল পাওয়ার যদি বিশ্বকে কাপিয়ে দিতে পারে তাহলে এ জাতির সুপ্ত ক্ষমতা কেমন হতে পারে? ৃষ্টিই যে সুন্দর বা লোভনীয় তা কিন্তু নয়। বরং বিশ্লেষন ক্ষমতাও অুদ্ভত, এই দেশকে নিয়ে গর্ব করার কেউ নেই কিন্তু ৃষ্টিকর্তার গর্বের শেষ নেই এই দেশ নিয়ে। এটা তখনি প্রকট ভাবে আবির্ভূত হয় যখন দেখি শত "না" এর মাঝেও সুখ শান্তি মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়। আমাদের ৃষ্টিকর্তা প্রতিটা যুগে যুগে দিব্য জ্ঞ্যনী পাঠিয়েছেন কিন্তু কয় জনের নাম আমরা জানতে পেরেছি? যে কজনের পেয়েছি তা হয়ত নিকট অতীতের বাকি গুলোর তথ্য আমরা পায়নি বা সংরক্ষণ করিনি কেন জানেন? হয়ত অধিকাংশই অমর কীর্তিগূলো সমাজের দরিদ্র ও অল্পশিক্ষিত শ্রেনীর অবদান। আমরা হয়ত দার্শনিক লালনের কথাটাও জানতে পারতাম যদি তিনি ধনী না হতেন। বিশ্ববাসী আজ যে সভ্যতার আলো বিতরণ করে চলেছে তার সূতিকাগার কিন্তু বঙ্গাল ভূখন্ড। আমি আশ্চর্য হয়ে ভাবি একমাত্র এই দেশের অতি দরিদ্র শ্রেনীর মানুষগুলোই ভোগে নয় ত্যগেই প্রৃত সূখ  এটা মেনে চলে। এটাই একমাত্র ভূখণ্ড যেখানে ৌহার্দ সম্প্রিতী ভাৃত্ববোধ শেখাতে হয়না, জন্মসূত্রেই শিখে যায়।

অকৃতজ্ঞ নদী

কবে যেন পড়েছিলাম বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এদেশে অসংখ্য নদনদী জালের ন্যায় ছড়িয়ে আছে। অকৃতজ্ঞ এই নদীগুলোর কারনে  রবীন্দ্রনাথ, দার্শনিক লালনের মত ক্ষনজন্মা মানুষগুলো কুড়ে হয়ে গিয়েছিলেন সব কাজকর্ম ফেলে নদীপথে ঘুরে বেড়াতেন আর অযথা সৃষ্টি করতেন নানা গান কবিতা গল্প। কি বোকা তারা আর বোকা বলেই ভালবাসত নদীকে। আমরা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি যুগের মানুষ আমাদের দরকার গতি নদীর দরকার নেই। তাইতো আমরা তৈরী করছি অপরিকল্পিত ব্রিজ, সেতু বাধ ইত্যাদি। এই অকর্মন্য নদী গুলো আর কিছু না করলেও আমাদের ড্রেনেজ ব্যবস্থার খরচ বাচিয়ে দিয়েছে অনেকটাই। যদিও এককালে সারাবছর প্রমত্তা থাকার কারনে ভাংগন কবলিত হয়েছে কত মানুষ, বিলিন হয়ে গেছে কত জনপদ অবশ্য আমরা তা অনেক অংশেই কমিয়ে ফেলেছি ওদেরকে মৌসুমী প্রকৃতির করে ফেলেছি। গাধার মত একসময় ভাবতাম আমাদের দেহের রক্ত সংবহনের মাধ্যমে জীবনের যে সুস্থতা বা প্রান সঞ্চার হয় এবং শিরা উপশিরাগুলো জালের মত যেমন ছড়িয়ে আছে ঠিক তেমনি নদীগুলোও এই দেশের প্রান সঞ্চারী। জীবনানন্দের ধানসিঁড়ি, রবীর ছোট নদী মধুসূদনের সতত মানিকের পদ্মা সবগুলোই কি সুন্দর ভাবে আমাদের ইতিহাসের পাতা বৃদ্ধি করছে তবুও কিছু বোকা এদের রক্ষার দাবী করে আর কিছু বুদ্ধিমান খননের নামে নিজের জীবন মান বৃদ্ধি করছে। বিশের বৃহত্তম বদ্বীপ নাকি নদীর সৃষ্টি। আরে বোকা নদী তোরা এই ব্দ্বীপ গঠন না করলে কি সুন্দর আমরা ইউরোপের মত উন্নত বা মধ্যপ্রাচ্যের মত ক্ষণিজ সমৃদ্ধ দেশে জন্ম নিতাম। আমাদের সেই সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত করে এই গাধারা শত শত বছরের পলি জমিয়ে গড়ে তুলেছে এই দেশ। তার এই অন্যায়ের শাস্তি দিতেই আমরা বুদ্ধিমান ন্যয় বিচারকরা শুকিয়ে শুকিয়ে মেরে ফেলছি ওদের। ওরা যাতে সংঘবদ্ধ হতে দেওয়া ঠিক হবেনা ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করে একছাতার নিচে আসা বন্ধ করা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। বন্ধুদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা আমার জানা নেই। ওদের দেশ থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করা ৫৪ নদীর মধ্যে ৫৩ নদীতে বাঁধ নির্মাণ করেছে যে উপকার তারা করেছে তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ কারন আমাদের এত বাধ নির্মানের সামর্থ্য হয়ত নেই।। উজানে বাঁধ দিয়ে শুষ্ককালে পানি প্রত্যাহার করায় ভাটি অঞ্চলের নদী গুলো প্রাকৃতিকভাবে যে পরিমাণ পানি প্রাপ্তির অধিকার রাখে তা পাচ্ছে না। যার ফলে আমাদের কৃষিপ্রধান দেশে সেচের সংকট সৃষ্টি হয়ত একটু হচ্ছে কিন্তু নদীতে গড়ে উঠা চরগুলোতে আমরা ফসল উৎপাদন করতে পারছি আবাসন করতে পারছি এমন কি শরনার্থীদের কেউ জায়গা করে দিতে পারছি। বর্ষাকালে অতিরিক্ত পানি হঠাৎ ছেড়ে দেয়ায় অতিরিক্ত পলি এসে ভাঙ্গন এবং পলি পতনে নদী ভরাট হয়ে আমাদের স্থলভাগ বেড়ে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য হারানো নদীগুলোর নতুন নতুন চেহারা দেখতে পারছি। নদীর তলদেশ উঁচু হয়ে গভীরতা কমে যাচ্ছে বলে ডুবে যাওয়ার ভয় থাকছেনা দুপাড় প্রশস্ত হচ্ছে বলে বনায়ন ও বাধ নির্মানের সুযোগ হচ্ছে ফলে অনেকের কর্মসংস্থান হচ্ছে কারও কারো জীবন মান বাড়ছে। হাজার বছর ধরে সেচের জন্য কৃষক নদী-খাল-বিলের উপর নির্ভর করেছে তা থেকে পরিত্রান পেয়েছি ভূ-গর্ভস্থ পানি তুলে আর্সেনিকের বিষে শরৎ এর আকাশের মত নীল হয়ে যাচ্ছে।  দেশএর উৎপাদন বাড়াতে কৃষি জমির চাপ কমিয়ে আমরা পাক কাদা ছেড়ে  চাষা পরিচয় ত্যগকরে ভদ্দল্লোক (ভদ্র লোক) হতে পারছি শিল্পকারখানা করছি নগরায়ন করছি নদীর কি দরকার সুইমিং পুল আছেনা। সব জল গড়িয়ে গিয়েতো নোনা জলই হতো আর দক্ষিণাঞ্চলে উপকূল হতে ক্রমশ দেশের অভ্যন্তরে নোনাজল প্রবেশ করত। নোনাজল সহিষ্ণু জাতের ধান উদ্ভাবন করতে হতো।
নদী কেবল পানিই বহন করে সেচ কিংবা বন্যার জন্য তা না;অপচনশীল দ্রব্য বহনের ক্ষেত্রে নদীর মতো আর এত সস্তা মাধ্যম নেই জানেনতো সস্তার বার অবস্থা। তাইতো নদীপথ কমিয়ে আনছি। বিশেষ ভাবে অজ্ঞরা (বিশেষজ্ঞ) যেটা বলল না বলল তাতে কি! জলাভূমিকে জলাভূমির মতো রক্ষা করতে গেলে দেশি কৈ শিং এইসব আজে বাজে মাছ যা কুটতেই বিরক্ত এই সব মাছের সংখ্যা বেড়ে যেত উন্মুক্ত জলাশয় বাড়ির আশে পাশে আরো দুষিত হতো। আমরা তো আর মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর ময়নামতির মত সভ্যতায় ফিরে যাবনা যে আমাদের নদীর প্রয়োজন হবে। আমাদের দেশে সবধর্ম বর্নের মানুষই তো আছে তাই আর কাউকে ধর্মের বানী পৌছাতে মাহীসাওয়ার বা কুমিরের সওয়ার হয়ে আসতে হচ্ছে না তাহলে নদীর দরকার কি? সব নদী মরে যাক তাহলে আমরা কত খেলার যায়গা পাবো। এখন যদি কোন স্থাপনা করতে কিছুর দরকার পড়ে তাহলে আকাশ পথে আনব। আমরাতো স্বাধীন তাই আর মুক্তি যুদ্ধ করতে হচ্ছেনা যে হানাদার পরাজিত করতে নদী ব্যবহার করব।

ফেরিওয়ালা: অকৃতজ্ঞ নদী

 কবে যেন পড়েছিলাম বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এদেশে অসংখ্য নদনদী জালের ন্যায় ছড়িয়ে আছে। অকৃতজ্ঞ এই নদীগুলোর কারনে  রবীন্দ্রনাথ, দার্শনিক লালনের ...

অকৃতজ্ঞ নদী

ফেরিওয়ালা নিবেদিতকবে যেন পড়েছিলাম বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এদেশে অসংখ্য নদনদী জালের ন্যায় ছড়িয়ে আছে। অকৃতজ্ঞ এই নদীগুলোর কারনে  রবীন্দ্রনাথ, দার্শনিক লালনের মত ক্ষনজন্মা মানুষগুলো কুড়ে হয়ে গিয়েছিলেন সব কাজকর্ম ফেলে নদীপথে ঘুরে বেড়াতেন আর অযথা সৃষ্টি করতেন নানা গান কবিতা গল্প। কি বোকা তারা আর বোকা বলেই ভালবাসত নদীকে। আমরা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি যুগের মানুষ আমাদের দরকার গতি নদীর দরকার নেই। তাইতো আমরা তৈরী করছি অপরিকল্পিত ব্রিজ, সেতু বাধ ইত্যাদি। এই অকর্মন্য নদী গুলো আর কিছু না করলেও আমাদের ড্রেনেজ ব্যবস্থার খরচ বাচিয়ে দিয়েছে অনেকটাই। যদিও এককালে সারাবছর প্রমত্তা থাকার কারনে ভাংগন কবলিত হয়েছে কত মানুষ, বিলিন হয়ে গেছে কত জনপদ অবশ্য আমরা তা অনেক অংশেই কমিয়ে ফেলেছি ওদেরকে মৌসুমী প্রকৃতির করে ফেলেছি। গাধার মত একসময় ভাবতাম আমাদের দেহের রক্ত সংবহনের মাধ্যমে জীবনের যে সুস্থতা বা প্রান সঞ্চার হয় এবং শিরা উপশিরাগুলো জালের মত যেমন ছড়িয়ে আছে ঠিক তেমনি নদীগুলোও এই দেশের প্রান সঞ্চারী। জীবনানন্দের ধানসিঁড়ি, রবীর ছোট নদী মধুসূদনের সতত মানিকের পদ্মা সবগুলোই কি সুন্দর ভাবে আমাদের ইতিহাসের পাতা বৃদ্ধি করছে তবুও কিছু বোকা এদের রক্ষার দাবী করে আর কিছু বুদ্ধিমান খননের নামে নিজের জীবন মান বৃদ্ধি করছে। বিশের বৃহত্তম বদ্বীপ নাকি নদীর সৃষ্টি। আরে বোকা নদী তোরা এই ব্দ্বীপ গঠন না করলে কি সুন্দর আমরা ইউরোপের মত উন্নত বা মধ্যপ্রাচ্যের মত ক্ষণিজ সমৃদ্ধ দেশে জন্ম নিতাম। আমাদের সেই সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত করে এই গাধারা শত শত বছরের পলি জমিয়ে গড়ে তুলেছে এই দেশ। তার এই অন্যায়ের শাস্তি দিতেই আমরা বুদ্ধিমান ন্যয় বিচারকরা শুকিয়ে শুকিয়ে মেরে ফেলছি ওদের। ওরা যাতে সংঘবদ্ধ হতে দেওয়া ঠিক হবেনা ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করে একছাতার নিচে আসা বন্ধ করা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। বন্ধুদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা আমার জানা নেই। ওদের দেশ থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করা ৫৪ নদীর মধ্যে ৫৩ নদীতে বাঁধ নির্মাণ করেছে যে উপকার তারা করেছে তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ কারন আমাদের এত বাধ নির্মানের সামর্থ্য হয়ত নেই।। উজানে বাঁধ দিয়ে শুষ্ককালে পানি প্রত্যাহার করায় ভাটি অঞ্চলের নদী গুলো প্রাকৃতিকভাবে যে পরিমাণ পানি প্রাপ্তির অধিকার রাখে তা পাচ্ছে না। যার ফলে আমাদের কৃষিপ্রধান দেশে সেচের সংকট সৃষ্টি হয়ত একটু হচ্ছে কিন্তু নদীতে গড়ে উঠা চরগুলোতে আমরা ফসল উৎপাদন করতে পারছি আবাসন করতে পারছি এমন কি শরনার্থীদের কেউ জায়গা করে দিতে পারছি। বর্ষাকালে অতিরিক্ত পানি হঠাৎ ছেড়ে দেয়ায় অতিরিক্ত পলি এসে ভাঙ্গন এবং পলি পতনে নদী ভরাট হয়ে আমাদের স্থলভাগ বেড়ে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য হারানো নদীগুলোর নতুন নতুন চেহারা দেখতে পারছি। নদীর তলদেশ উঁচু হয়ে গভীরতা কমে যাচ্ছে বলে ডুবে যাওয়ার ভয় থাকছেনা দুপাড় প্রশস্ত হচ্ছে বলে বনায়ন ও বাধ নির্মানের সুযোগ হচ্ছে ফলে অনেকের কর্মসংস্থান হচ্ছে কারও কারো জীবন মান বাড়ছে। হাজার বছর ধরে সেচের জন্য কৃষক নদী-খাল-বিলের উপর নির্ভর করেছে তা থেকে পরিত্রান পেয়েছি ভূ-গর্ভস্থ পানি তুলে আর্সেনিকের বিষে শরৎ এর আকাশের মত নীল হয়ে যাচ্ছে।  দেশএর উৎপাদন বাড়াতে কৃষি জমির চাপ কমিয়ে আমরা পাক কাদা ছেড়ে  চাষা পরিচয় ত্যগকরে ভদ্দল্লোক (ভদ্র লোক) হতে পারছি শিল্পকারখানা করছি নগরায়ন করছি নদীর কি দরকার সুইমিং পুল আছেনা। সব জল গড়িয়ে গিয়েতো নোনা জলই হতো আর দক্ষিণাঞ্চলে উপকূল হতে ক্রমশ দেশের অভ্যন্তরে নোনাজল প্রবেশ করত। নোনাজল সহিষ্ণু জাতের ধান উদ্ভাবন করতে হতো।
নদী কেবল পানিই বহন করে সেচ কিংবা বন্যার জন্য তা না;অপচনশীল দ্রব্য বহনের ক্ষেত্রে নদীর মতো আর এত সস্তা মাধ্যম নেই জানেনতো সস্তার বার অবস্থা। তাইতো নদীপথ কমিয়ে আনছি। বিশেষ ভাবে অজ্ঞরা (বিশেষজ্ঞ) যেটা বলল না বলল তাতে কি! জলাভূমিকে জলাভূমির মতো রক্ষা করতে গেলে দেশি কৈ শিং এইসব আজে বাজে মাছ যা কুটতেই বিরক্ত এই সব মাছের সংখ্যা বেড়ে যেত উন্মুক্ত জলাশয় বাড়ির আশে পাশে আরো দুষিত হতো। আমরা তো আর মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর ময়নামতির মত সভ্যতায় ফিরে যাবনা যে আমাদের নদীর প্রয়োজন হবে। আমাদের দেশে সবধর্ম বর্নের মানুষই তো আছে তাই আর কাউকে ধর্মের বানী পৌছাতে মাহীসাওয়ার বা কুমিরের সওয়ার হয়ে আসতে হচ্ছে না তাহলে নদীর দরকার কি? সব নদী মরে যাক তাহলে আমরা কত খেলার যায়গা পাবো। এখন যদি কোন স্থাপনা করতে কিছুর দরকার পড়ে তাহলে আকাশ পথে আনব। আমরাতো স্বাধীন তাই আর মুক্তি যুদ্ধ করতে হচ্ছেনা যে হানাদার পরাজিত করতে নদী ব্যবহার করব।

মনোযোগ ও মনোযোগ

ফেরিওয়ালা নিবেদিত 
ইদানিং লক্ষ্য করছি শ্রেণীকক্ষে মোবাইল নিষিদ্ধ করার জন্য কিছু মানুষ জোর দাবী তুলেছে। আর এটাই স্বাভাবিক কারন পাঠদানের সময় ফোন বেজে উঠলে শিশুর পাঠের প্রতি মনোযোগ নষ্ট হচ্ছে আসলেই কি তাই? এদেশের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে রাস্তার পাশে বা লোকালয়ে বা বাজারের পাশে এছাড়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান উচ্চ বিদ্যালয় বা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কোথাও বা মহাবিদ্যালয়ের পাশে। যার ফলে দেখা যায় রাস্তায় চলাচল করা গাড়ির শব্দে ও হর্ণেওতো মনোযোগ নষ্ট হয়। তাছাড়া রাস্তার পাশে বা বাজারের পাশে স্কুল হলে শিশুরা জানালা দিয়ে বাইরে দেখে যে কে হেটে যাচ্ছে কে কথা বলছে কিসে যাচ্ছে এগুলোকি মনোযোগ নষ্টের কারন নয়। আমি প্রায়শই লক্ষ্য করি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছেলে মেয়েরা নানা অজুহাতে নিকটতম প্রাথমিক বিদ্যালয়এর আংগিনায় এসে অনর্থক হই হট্টগোল করে তাদের বা নিজ বিদ্যালয় এর শিক্ষকেরা যেন না দেখতে পায়। এতে শ্রেণি পাঠদানে ব্যঘাত ঘটেনা? আসলে কি শুধু মোবাইলের কারনেই পাঠদান ব্যহত হয় বলে মনে হয়না। তাছাড়া কিছু ইনোভেটিভ শিক্ষকরা বিশেষ করে দূর্গম এলাকায় বা ইলেক্ট্রনিক প্রযুক্তিগত উপকরন নেই সে সকল বিদ্যালয়ে স্মার্টফোন উপযুক্ত উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করে থাকেন। এছাড়া এই স্মার্টফোনের মাধ্যমে শিশুদের কে যুগোপযোগী শিক্ষা দেওয়া প্র‍্যাক্টিস করা সঠিক এবং দ্রুত সমাধান দেওয়া বিভ্রান্তি দূর করা সহজ হয়। তাছাড়া আমি আরো লক্ষ্য করেছি কিছু কিছু শিক্ষক পাঠদানের সহায়তার জন্য পাঠ্যপুস্তক না নিয়ে ফোনেই বই ডাউনলোড করে তা দেখে পড়ান। আমরা কেন শুধু নেতিবাচক ভাবনায় বিভোর থাকি। আমারতো মনে হয় বিদ্যালয়টিয় উপযুক্ত জায়গায় স্থাপন করা হয়নি। আমি এমন কোন রাস্তার পাশে অবস্থিত বিদ্যালয় পায়নি যেখানে কোন বোর্ড টানানো আছে যে সামনে বিদ্যালয় হর্ণ বাজাবেননা। আসলে কিছু মানুষ অতি উতসাহি লোক যারা শুধু নেতিবাচক ভাবনা ভাবতেই অভ্যাস্ত যারা ইতিবাচকতা ভাবতেই ব্যার্থ। আসলে স্মার্টফোন নিষিদ্ধ নয় বরং ব্যবহারে সচেতনতা আনতে হবে। এমন অনেকেই আছেন যারা এখন আর ঘড়ি ব্যবহার করেননা স্মার্টফোনকেই ঘড়ি হিসাবে ব্যবহার করেন। এছাড়া আনন্দঘন কোন উপস্থাপনা বা চিত্র ধারন বা শিখতে উৎসাহিত করতেও স্মার্টফোন প্রয়োজন হয়। এছাড়া সময়মত শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হওয়া যথা সময়ে পাঠদান শুরু ও শেষ করতেও স্মার্টফোন কার্যকর। তাছাড়া রুটিন থেকে শুরু করে পাঠদানের ধারাবাহিক কার্যক্রম সম্পন্ন করতেও ফোন একটি কার্যকর উপাদান। আমি অনেক সময় দেখেছি যে ইমাম সাহেব জুম্মার খুৎবা পড়তেও স্মার্টফোন ব্যবহার করেন খুৎবার বই না নিয়ে। তবে কেন এত কথা। শুধু নিজেদের স্মার্টফোন ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির এই শতাব্দীতে যারা বলেন স্মার্টফোন শ্রেণীকক্ষে নিষিদ্ধ করতে হবে আমিতো মনে করি তারা প্রযুক্তি যুগে প্রবেশ করতে ব্যার্থ হয়েছেন। এখনো মনমানষিকতায় আদিমত্বের প্রভাব এখনো আছে আদিম মনোভাব বা হিংস্র মনোভাব বা লোলুপতা এখনো তাদের মাঝে বিদ্যমান। https://www.facebook.com/humayun.k.rana

মোবাইলের শব্দে শিশুর মনোযোগিতা নষ্ট হওয়া

ইদানিং লক্ষ্য করছি শ্রেণীকক্ষে মোবাইল নিষিদ্ধ করার জন্য কিছু মানুষ জোর দাবী তুলেছে। আর এটাই স্বাভাবিক কারন পাঠদানের সময় ফোন বেজে উঠলে শিশুর পাঠের প্রতি মনোযোগ নষ্ট হচ্ছে আসলেই কি তাই? এদেশের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে রাস্তার পাশে বা লোকালয়ে বা বাজারের পাশে এছাড়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান উচ্চ বিদ্যালয় বা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কোথাও বা মহাবিদ্যালয়ের পাশে। যার ফলে দেখা যায় রাস্তায় চলাচল করা গাড়ির শব্দে ও হর্ণেওতো মনোযোগ নষ্ট হয়। তাছাড়া রাস্তার পাশে বা বাজারের পাশে স্কুল হলে শিশুরা জানালা দিয়ে বাইরে দেখে যে কে হেটে যাচ্ছে কে কথা বলছে কিসে যাচ্ছে এগুলোকি মনোযোগ নষ্টের কারন নয়। আমি প্রায়শই লক্ষ্য করি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছেলে মেয়েরা নানা অজুহাতে নিকটতম প্রাথমিক বিদ্যালয়এর আংগিনায় এসে অনর্থক হই হট্টগোল করে তাদের বা নিজ বিদ্যালয় এর শিক্ষকেরা যেন না দেখতে পায়। এতে শ্রেণি পাঠদানে ব্যঘাত ঘটেনা? আসলে কি শুধু মোবাইলের কারনেই পাঠদান ব্যহত হয় বলে মনে হয়না। তাছাড়া কিছু ইনোভেটিভ শিক্ষকরা বিশেষ করে দূর্গম এলাকায় বা ইলেক্ট্রনিক প্রযুক্তিগত উপকরন নেই সে সকল বিদ্যালয়ে স্মার্টফোন উপযুক্ত উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করে থাকেন। এছাড়া এই স্মার্টফোনের মাধ্যমে শিশুদের কে যুগোপযোগী শিক্ষা দেওয়া প্র‍্যাক্টিস করা সঠিক এবং দ্রুত সমাধান দেওয়া বিভ্রান্তি দূর করা সহজ হয়। তাছাড়া আমি আরো লক্ষ্য করেছি কিছু কিছু শিক্ষক পাঠদানের সহায়তার জন্য পাঠ্যপুস্তক না নিয়ে ফোনেই বই ডাউনলোড করে তা দেখে পড়ান। আমরা কেন শুধু নেতিবাচক ভাবনায় বিভোর থাকি। আমারতো মনে হয় বিদ্যালয়টিয় উপযুক্ত জায়গায় স্থাপন করা হয়নি। আমি এমন কোন রাস্তার পাশে অবস্থিত বিদ্যালয় পায়নি যেখানে কোন বোর্ড টানানো আছে যে সামনে বিদ্যালয় হর্ণ বাজাবেননা। আসলে কিছু মানুষ অতি উতসাহি লোক যারা শুধু নেতিবাচক ভাবনা ভাবতেই অভ্যাস্ত যারা ইতিবাচকতা ভাবতেই ব্যার্থ। আসলে স্মার্টফোন নিষিদ্ধ নয় বরং ব্যবহারে সচেতনতা আনতে হবে। এমন অনেকেই আছেন যারা এখন আর ঘড়ি ব্যবহার করেননা স্মার্টফোনকেই ঘড়ি হিসাবে ব্যবহার করেন। এছাড়া আনন্দঘন কোন উপস্থাপনা বা চিত্র ধারন বা শিখতে উৎসাহিত করতেও স্মার্টফোন প্রয়োজন হয়। এছাড়া সময়মত শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হওয়া যথা সময়ে পাঠদান শুরু ও শেষ করতেও স্মার্টফোন কার্যকর। তাছাড়া রুটিন থেকে শুরু করে পাঠদানের ধারাবাহিক কার্যক্রম সম্পন্ন করতেও ফোন একটি কার্যকর উপাদান। আমি অনেক সময় দেখেছি যে ইমাম সাহেব জুম্মার খুৎবা পড়তেও স্মার্টফোন ব্যবহার করেন খুৎবার বই না নিয়ে। তবে কেন এত কথা। শুধু নিজেদের স্মার্টফোন ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির এই শতাব্দীতে যারা বলেন স্মার্টফোন শ্রেণীকক্ষে নিষিদ্ধ করতে হবে আমিতো মনে করি তারা প্রযুক্তি যুগে প্রবেশ করতে ব্যার্থ হয়েছেন। এখনো মনমানষিকতায় আদিমত্বের প্রভাব এখনো আছে আদিম মনোভাব বা হিংস্র মনোভাব বা লোলুপতা এখনো তাদের মাঝে বিদ্যমান। https://www.facebook.com/humayun.k.rana

Education Policy of Lord Mekhle and 3rd world

ফেরিওয়ালা নিবেদিতঃ
Downward Fertility Policy Lord McLean's education policy is once thought to be deceptive, but it seems to be time-bound now. The education system has been driven from top to bottom in the downward stages of policy. Where it has been said education or knowledge will gradually move downwards from above. Nature is its finest example. How do we take care of such a plant? The water from above helps gradually increase the seedlings by developing food mixed in the ground and then progressing downwards. We are from below to grow a plant. Children learn to imitate adults Accordingly, they are learning from the senior members of the society and they are learning. They are reading from their childhood but they are distracted by the society they read so that they do not use what they are learning from the book, they are learning from the elders of the society, because the rate of education increases but the changes are not happening.And the intellectuals in the era can oppose this policy, because it is necessary to change before starting this policy, which is contrary to the interests of the person. So they chose the way from the bottom to the bottom, so it is seen that the child is the child

সত্যনন্দীর পরিচিতি

সত্যনন্দীর ফেরিওয়ালা। সত্যনন্দী ফেরিওয়ালার শত জনমের প্রেম। ১৩ কোটি জীবের যোনি ভ্রমণ করে  বিভিন্ন রুপে বারবার ফিরে পৃথিবীর বুকে ফিরে আসা ফেরিওয়ালার সব কিছু। প্রতিটা পুনর্জন্মে সত্যনন্দীও পৃথিবীর বুকে অনুরুপ আবির্ভুত হয়ে ফেরিওয়ালেকে ভালবাসত অনন্ত  সময়ে অফুরন্ত আবেগে। ফেরিওয়ালার
সকল ভাবনার সংগী তার সত্যনন্দী ফেরিওয়ালার সকল ব্যার্থতার সংগী তার সত্যনন্দী ফেরিওয়ালার সকল সফলতার সংগী তার সত্যনন্দী ফেরিওয়ালার সকল স্কোরশুন্যতার সংগী তার প্রিয়তমা সত্যনন্দী। সত্যনন্দীর ভালবাসা স্বর্গ থেকে আসা অমর প্রেম। সত্যনন্দী ফেরিওয়ালার জন্য সৃষ্টিকর্তার পাঠানো উপহার। সত্যনন্দীই একমাত্র জন যে কখোনো ফেরিওয়ালার সথে প্রতারণা করেনি, সত্যনন্দীই ফেরিওয়ালার জন্য একমাত্র নি:স্বার্থ এক অভিব্যক্তি যে শুধু ভালবাসতে জানে পরিপূর্ন আবেগে। সমাজের প্রত্যাখ্যাত ফেরিওয়ালা  মানুষিক বিকারগ্রস্ত। সামাজিক স্রোতের বিপরীতে তার নড়বড়ে সদা কম্পমান অবস্থানে সে বাস করে। সদা স্বার্থবাদী মানবতায় বার বার হেরে যাওয়া হারিয়ে যাওয়া বাজারের অচল পয়সা ফেরিওয়ালার একমাত্র নিরাপদ আশ্রয় সত্যনন্দীর আবেগময় ভালবাসা। সত্যনন্দীই একমাত্র স্বর্গীয় আত্মা যে নিস্বার্থভাবে নিজেকে উপস্থাপন করেছে ফেরিওয়ালার জন্য কিন্তু অকৃতজ্ঞ ফেরিওয়ালা সমাজের সবার মন রক্ষার জন্য সবকিছু উজাড় করে দিয়েও কারও মন রক্ষা করতে পারেনি। কিন্তু যে সত্যনন্দীর মন রক্ষার নুন্যতম মন রক্ষার চেষ্টাও করেনি শুধু স্বর্গীয় আত্মার সেই সত্যনন্দীর মনের গভীর ভালবাসা সিক্ত করেছে ফেরিওয়ালার আবেগ অনুভুতিকে। সত্যনন্দী কাছে বা দূরে যেখানেই থাক তার কল্পময় জীবনের প্রতিটা মুহুর্তে একে অপরের পাশাপাশি অবস্থান। যখন ফেরিওয়ালার জীবন আকাশ নিকস কালো মেঘে ছেয়ে গেছে কাছের মানুষগুলোও নিজেকে সরিয়ে নিয়েছে, নিজের ছায়াও যখন ভয়ে আত্মগোপন করেছে  ঠিক তখব দিশাহারা ফেরিওয়ালার একমাত্র সহায় অবলম্বন হয়ে সত্যনন্দী তার আচল কোন ঠাই দিয়েছে। ফেরিওয়ালা এখন ভাবনায় দিশে হারা যদি শুধু আচল কোনে অবস্থানে যদি এই প্রাপ্তি তখ পূর্ন বসনে আরো কত আবেগ লুকিয়ে রেখেছে সত্যনন্দী। কিন্তু কখনো আচল কোন ছেড়ে পূর্নবসনের আবেগের পথে পা বাড়াতে পারেনি। কারণ ফেরিওয়ালা কাপুরূষ বলে সত্যনন্দীকে হারানোর ভয়ে আর সামনে বাড়েনি। অন্তরাত্মার পূর্নতা যখন শুধু আচল কোনেই মিলেছে তখন আর কেন আর পুর্নবসনে ঢেকে রাখা আবেগ অপচয় করেনি। বরং সেটুকু সঞ্চিত রাখার সূযোগ বা অনুরোধ ফেরিওয়ালার। ফেরিওয়ালার ঐকান্তিক ইচ্ছা সে যখন বারবার পূনর্জন্ম নিয়ে আসবে এই কণ্টকাকীর্ণ পৃথীবিতে ১৩ কোটি জীবের যোনি ভ্রমনে আবির্ভুত হবে বার বার সে যেন প্রতিজন্মেই সত্যনন্দীর আচলে ঠায় লাভ করে। সত্যনন্দীর জন্যই যেন ফেরিওয়ালা বারবার জন্মগ্রহন করে।

লর্ড মেকলের নিম্ন গামী পরিস্রবন নীতি ও আমার ভাবনা

নিম্নগামী পরিস্রবন নীতি লর্ড মেকলের যে শিক্ষানীতি তা একসময় প্রহসন মনে হলেও এখন সেটা যুগোপযোগী মনে হচ্ছে। নিম্নগামী পরিস্রবন নীতিতে শিক্ষা ব্যবস্থাকে উপর থেকে নিচের দিকে ধাবিত করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে শিক্ষা বা জ্ঞ্যন উপর থেকে ক্রমান্বয়ে নিচের দিকে ধাবিত হবে। প্রকৃতি তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। যেমন একটি চারাগাছ এর যত্ন আমরা কিভাবে নিই? উপর থেকে পানি দেই সেটা ক্রমান্বয়ে নীচের দিকে ধাবিত হয়ে মাটিতে মিশে খাদ্য তৈরি করে চারাগাছটিকে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। একটি চারাগাছকে বড় করে তোলার জন্য আমরা কিন্তু নীচ থেকে উপরের দিকে পানিকে ধাবিত করিনা। আবার নিম্নগামী পরিস্রবন নীতির সার বস্তু হলো জ্ঞ্যন উপর থেকে চুইয়ে চুইয়ে নীচের দিকে পড়বে এটার অর্থ এমন যে বড়দের দেখে ছোটরা শিখবে। এবং এটাই কিন্তু সমাজে কার্যকর। শিশুরা বড়দের অনুকরণ করে শেখে। তদনুযায়ী সমাজের সিনিয়রদের দেখে তাদের শেখার কথা এবং তারা তাই শিখছে। শৈশব থেকে তারা পড়ছে কিন্তু তারা যা পড়ে সমাজ তার বীপরিত তাই তারা বই থেকে যা শিখছে সেটা ব্যবহার না করে তারা সমাজের বড়দের দেখে শিখছে ফলে শিক্ষার হার বাড়লেও কাংখিত পরিবর্তন কিন্তু ঘটছেনা
আর তৎকালীন সময়ের বুদ্ধিজীবীরা এই নীতির বিরোধিতার কারন হতে পারে যে এই নীতি চালু করতে গেলে আগে নিজেদের পরিবর্তন আবশ্যক যা ব্যক্তি স্বার্থের পরিপন্থী। তাই তারা নীচ থেকে উপরের দিকে যাবার পথটি বেছে নেয় ফলে দেখা যায় যে বিষয়টি শিশুর মনে জ্ঞ্যন ও বাস্তবতার সংগে সাংঘর্সিক হয়ে যায় এ ক্ষেত্রে শিশুরা বড়দের অনুকরণ করাকে নিরাপদ মনে করে ফলে পুথির জ্ঞ্যন পুথিতেই সীমাবদ্ধ থাকছে। আর কাংখিত আচরনিক পরিবর্তন অপরিবর্তনীয় রয়ে যাচ্ছে। আমি বোকা বলে এইভাবে ভেবেছি জ্ঞ্যনীরা সঠিকটা ভাববেন এটাই প্রত্যাশা।