google-site-verification: google90012c42a1ba93ca.html

google-site-verification: google90012c42a1ba93ca.html

জানা নেই আমার

আমি ৃথিবীর সেরা বলদ তাই শেষ থেকে শুরু করছি। সবাই জানে চলার পথের চিন্তা চেতনা ৃষ্টি ভঙ্গী সকলের এক নয়। তারপরেও আমার ভাবনা, চিন্তা, চেতনা যুগের সাথে সামঞ্জস্যহীন, তাই অনেকের কাছে এটা পাগলামী বা অট্টহাস্যের খোরাক যোগায় কিন্তু জীবন ধারণের খোরাক যোগায়না। ৃথিবীতে আলোর দর্শন পেয়ে কত পাহাড় গড়েছি স্বপ্নের আবার নিজের অযোগ্যতা এবং ব্যর্থতায় সে পাহাড় ধুলোয় মিশিয়েও দিয়েছি। আজ হয়ত আর সফল হবার স্বপ্ন দেখিনা কিন্তু অস্তিত্ব খুজে পাওয়ার প্রবল আকাংখা পিছু ছাড়েনা। আমাদের জন্মগত প্রাপ্ত সম্পদ হলো আবেগ আর এই আবেগের কারণেই আমরা অন্য ভাষাভাষির চেয়ে অনেকটাই সতন্ত্র। এবং আবেগ হলো আমাদের প্রথম ও প্রধান সম্বল। আমরা যা কিছুই করিনা কেন তা আমাদের আবেগেরই বহিঃপ্রকাশ। আর আবেগের ফলশ্রুতির কারনেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাংগালী বঙ্গ্বন্ধুর শুধু একটি মাত্র ডাকে সাড়ে সাত কোটি মানুষ আত্মত্যাগে উদ্বজীবীত হয়েছিল। প্রানের মায়া সাংগকরে মা কে রক্ষায় ঝাপিয়ে পড়েছিল। বঙ্গ্বন্ধু শুধু তেজস্বী বক্তা ছিলেন তা নয় আমি মনে করি  তিনি শধু উদাহরণ দিয়েছিলেন একজন ঙ্গগালীর শুধু ভোকাল পাওয়ার যদি বিশ্বকে কাপিয়ে দিতে পারে তাহলে এ জাতির সুপ্ত ক্ষমতা কেমন হতে পারে? ৃষ্টিই যে সুন্দর বা লোভনীয় তা কিন্তু নয়। বরং বিশ্লেষন ক্ষমতাও অুদ্ভত, এই দেশকে নিয়ে গর্ব করার কেউ নেই কিন্তু ৃষ্টিকর্তার গর্বের শেষ নেই এই দেশ নিয়ে। এটা তখনি প্রকট ভাবে আবির্ভূত হয় যখন দেখি শত "না" এর মাঝেও সুখ শান্তি মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়। আমাদের ৃষ্টিকর্তা প্রতিটা যুগে যুগে দিব্য জ্ঞ্যনী পাঠিয়েছেন কিন্তু কয় জনের নাম আমরা জানতে পেরেছি? যে কজনের পেয়েছি তা হয়ত নিকট অতীতের বাকি গুলোর তথ্য আমরা পায়নি বা সংরক্ষণ করিনি কেন জানেন? হয়ত অধিকাংশই অমর কীর্তিগূলো সমাজের দরিদ্র ও অল্পশিক্ষিত শ্রেনীর অবদান। আমরা হয়ত দার্শনিক লালনের কথাটাও জানতে পারতাম যদি তিনি ধনী না হতেন। বিশ্ববাসী আজ যে সভ্যতার আলো বিতরণ করে চলেছে তার সূতিকাগার কিন্তু বঙ্গাল ভূখন্ড। আমি আশ্চর্য হয়ে ভাবি একমাত্র এই দেশের অতি দরিদ্র শ্রেনীর মানুষগুলোই ভোগে নয় ত্যগেই প্রৃত সূখ  এটা মেনে চলে। এটাই একমাত্র ভূখণ্ড যেখানে ৌহার্দ সম্প্রিতী ভাৃত্ববোধ শেখাতে হয়না, জন্মসূত্রেই শিখে যায়।