google-site-verification: google90012c42a1ba93ca.html

google-site-verification: google90012c42a1ba93ca.html

রাষ্ট্রীয় শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন হওয়া উচিৎ পর্ব ১

প্রতিটি ভূখণ্ডের মানুষের রয়েছে নিজস্ব কিছু সংস্কৃতি কিছু জীবন বৈচিত্র‍্য কিছু বিশ্বাস কিছু স্বতন্ত্রতা যা নিয়ে গড়ে উঠে তার নিজস্ব এক রাষ্ট্র। সে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাও হওয়া উচিৎ তার স্বতন্ত্রতা নিয়ে। বিশেষ করে প্রাথমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে এটা অবশ্যই করা উচিৎ। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় রাষ্ট্রীয় অধিকর্তাবৃন্দ তা না করে উন্নত দেশে উন্নত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এসে নিজ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার এমন উন্নয়ন পরিকল্পনা করেন যে মূলত নিজস্ব স্বতন্ত্রতা সেখানে থেকে বিদায় নেয় এবং শিক্ষা শিশু বা শিক্ষার্থীদের সামনে বোঝা হয়ে যায়। সবাই উন্নয়নের নামে উন্নয়ন যজ্ঞ চালান ব্যয় হয় অজস্র সম্পদ কিন্তু মূল লক্ষ্য থেকে যায় অধরা। কেউ আদৌতে এটা চিন্তা করেনই না যে একটা আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আসলে কেমন হওয়া উচিৎ এবং উন্নত জীবনের যে স্বপ্ন দর্শন করাবেন সেই উন্নত জীবনের সংজ্ঞাটায় বা কি? যে কারিকুলাম প্রণীত হয় তাতে আদৌতে ইতিহাস ঐতিহ্য কতটুকু তুলে ধরা হয়েছে তা নিয়ে গবেষণার সূযোগই বা কতটুকু রাখা হয়েছে? আদৌতে শিক্ষার সংজ্ঞা কি হওয়া উচিৎ বা শুধু নাম স্বাক্ষরতা দিয়ে শিক্ষিতের হার নির্ধারণ এগুলো নিয়ে শিক্ষাকে মূল্যায়ন করা যায়না। তাছাড়া ঢালাও একটা স্বভাব হলো অতীত কে অবহেলা করা বা তা কুসংস্কার বলে উড়িয়ে দেওয়া। আমরা মনে করি যে আমরা যে জীবন যাপন করি তা হলো জিষ্ট বা গবেষণার ফসল। কিন্তু আদৌতে কি তাই? অতীতের মানুষ যে জীবনযাত্রা যাপন করত তা কি পুরোটায় ভূল? না তা কখনোই নয়। বরং তারাও গবেষণালব্ধ জ্ঞ্যন নিয়েই জীবন যাপন করত। তারা যেটা করতো সেটার পেছনেও ছিল জ্ঞান চর্চার ফসল। সাধনার অর্জন যেমন আহ্নিক বা সূর্য স্নান, চোখে কাজল, গায়ে তেল মাখানো কোনটা অস্বীকার করবেন? মেয়েদের কব্জি পর্যন্ত ব্লাউজ, শাড়ি পরা, ছেলেদের ধুতি পরা পুকুরে বা নদীতে স্নান করা কোনটা অমুলক ছিল? শিশু শিক্ষায় চক খড়ি বা সিলেটের ব্যবহার, হাতে টানা পাখা সব কিছুর পেছনে রয়েছে শক্ত অখন্ডিত যুক্তি এটা মানেন বা না মানেন অস্বীকার করার পর্যাপ্ত যুক্তি কেউ তুলে ধরতে পারবেননা। একজন শিশুর জন্য কাংখিত বিদ্যালয় আদৌ কেমন হওয়া উচিৎ? একজন শিশু বিদ্যালয়ে এসে কি শিখবে? কেনই বা একজন শিশু নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসবে? বিদ্যালয়ে এসে যেটা শিখবে সেটা তার ব্যক্তি জীবনে কি কাজে আসবে এ সকল প্রশ্নের যুক্তি যুক্ত অর্থ উত্তর কেউ কি দিতে পারবে? আসলে এ সকল প্রশ্নের যথাযথ উত্তর কেউ কোনদিন খোজেনা জানার চেষ্টাও করেনা। বিদ্যালয় গুলো কি আদৌ শিক্ষক বান্ধব করা হয়েছে যেটা শিশু বান্ধব হবে। একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেমন হবে? একটি বিদ্যালয় হবে শিশুর সর্বাঙ্গীণ বিকাশ সাধনের এবং বিনোদনের কেন্দ্র। যেখানে থাকবে খেলার মাঠ, সাতার কাটার জন্য পুকুর, খেলাধুলার সকল উপকরণ, দেশীয় এবং বিদেশি খেলার সরঞ্জাম, থাকবে বিনোদনের সুযোগ। শিক্ষা অর্জন কখনো ঢাক ঢোল পিটিয়ে হয় কি? তবে কেন এত ঢাকঢোল পিটিয়ে শিক্ষা অর্জনের আয়োজন? বিদ্যালয় কি? ল্যাটিন স্কুলা থেকে স্কুল শব্দের উৎপত্তি, যেখানে কিছু জ্ঞ্যন অন্বেষণকারী একত্রিত হয়ে অর্জিত জ্ঞ্যন পর্যালোচনার জন্য একত্রিত হয়ে কিছু আনন্দঘন সময় একত্রে অতিবাহিত করেন। কিন্তু আমরা যে স্কুল বা বিদ্যালয় তৈরী করি সেটাকে জ্ঞ্যন অর্জনের একমাত্র কেন্দ্র  হিসাবে দাড় করিয়েছি। ফলে আমরা হয়ত সার্টিফিকেট ধারী পাচ্ছি, এ প্লাস ধারীর সংখ্যা পাচ্ছি কিন্তু জ্ঞানীর সংখ্যা পাচ্ছিনা। আর জ্ঞ্যনীর সংখ্যা বাড়ছেনা বলে আমাদের মাঝে দেশপ্রেমিক এর সংখ্যা বাড়ছেনা। আমাদের এখন পরিবর্তন হবার সময় এসেছে।