google-site-verification: google90012c42a1ba93ca.html

google-site-verification: google90012c42a1ba93ca.html

আমি প্রগতিবাদী কাপুরুষ।

সমাজ এখন দুটি ভাগে বিভাজিত তথাকথিত জ্ঞ্যনপাপী মানুষ দ্বারা। একটি পক্ষ প্রগতির পথে অপর পক্ষ গোড়ামীর পক্ষে। এবং দু পক্ষই সকল অপকর্মের জন্য একে অপরকে দোষারোপ করে চলে অবিরাম। যারা প্রগতি বাদী তারা ধর্মীয় অনুভূতিকে কাপুরুষতা বলে আখ্যায়িত করে। আবার ধর্মীয় গোড়ামীসম্পন্ন কিছু মানুষ প্রগতিবাদীদের নাস্তিক আখ্যায়িত করে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে চেষ্টা করে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে দুপক্ষেরই জাত শত্রু। আমার কাছে প্রগতি যেমন গুরুত্ববহ তেমনি ধর্মীয় অনুভুতি আবশ্যকীয়। আমি জ্ঞ্যনী নয় বলে প্রগতিবাদীদের যুক্তি মানতে বা বুঝতে পারিনা আবার সামাজিক জীব বলে পরিপূর্ন ধার্মিক হবার যোগ্যতাও অর্জন করিনি। আমি অল্প বিদ্যায় নিজেকে প্রগতিবাদী ধর্মীয় কাপুরুষ। কারন আমার কাছে উন্নয়ন যেমন আবশ্যক তেমনি অদৃশ্য রবের উপাসক হওয়াও আনিবার্য। যখন আমি এসএসসি পরীক্ষার্থী তখন একটা রচনা মুখস্থ করতাম নিয়মানুবর্তিতা বা ডিসিপ্লিন। কিন্তু দ্বাদশ শ্রেণীতে আর পড়ার সুযোগ হয়নি। আমার তখন মনে হয়েছিল ডিসিপ্লিন বুঝে শুধু স্কুল জীবনের জন্যই প্রযোজ্য কলেজ জীবনের জন্য নয়। আমার কাছে ধর্ম হলো শৃংখলা বোধ। অর্থাৎ অদৃশ্য রব আমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য কিছু আইন প্রশাসক তথা রাসুল বা নবী প্রেরণ করেছেন এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসক বা নবীগন মানুষকে উক্ত শৃংখলাবোধের মাধ্যমে প্রগতির পথে পরিচালিত করেছেন। এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসক বা নবীগন মানুষের মাঝে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন কিভাবে ডিসিপ্লিন বা ধর্ম অনুসরণ করে প্রগতি অর্জন সম্ভব। প্রায় সকল রাসুলগণই কিন্তু বিরুপ পরিবেশে প্রগতি অর্জনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। যদিও বিভিন্ন রাসুলগন বিভিন্ন ডিসিপ্লিন বা ধর্মপালন শিখিয়েছেন তবুও কোন ডিসিপ্লিনই আর একটি ডিসিপ্লিনের সাথে সাংঘর্ষিক নয়। বরং প্রতিটি মুল ডিসিপ্লিনই পরিপূর্ন অনুসরন করলে প্রগতি অর্জন সম্ভব তবে কেনইবা প্রগতিবাদীরা ডিসিপ্লিন বা ধর্মকে মানতে চাননা? বা ধর্মকে প্রগতির পথে প্রতিবন্ধক মনে করেন? আমারতো মনে হয় উনারা ডিসিপ্লিন বোঝেননা। শৃংখলাবোধ প্রগতির পূর্বশর্ত। আমরা কোন ডিসিপ্লিন অনুসরণ করব সেটা আমাদের ইচ্ছা ও আন্তরিকতার উপর নির্ভর করে। কিন্তু আমরা যে ডিসিপ্লিনই অনুসরন করতে চাইনা কেন আমাদেরকে পরিপুর্ণভাবেই করতে হবে তবেও সম্ভব মুক্তি ও প্রগতি। কিন্তু যদি এমন হয় এই ডিসিপ্লিনের একলাইন আর এক ডিসিপ্লিনের আধা লাইন এভাবে অনুসরন করি তবে নিশ্চিত ভাবে তা বিভ্রান্তীর সৃষ্টি করবে এবং প্রগতি বাধাপ্রাপ্ত হবে। তবে ডিসিপ্লিন যায় অনুসরন করিনা কেন মূল ডিসিপ্লিন অনুসরন আবশ্যক। সামাজিক সুবিধাবাদীদের সংযোজিত বা পরিমার্জিত কোন ডিসিপ্লিন প্রগতি বয়ে আনতে পারেনা।