google-site-verification: google90012c42a1ba93ca.html

google-site-verification: google90012c42a1ba93ca.html

মনোযোগ ও মনোযোগ

ফেরিওয়ালা নিবেদিত 
ইদানিং লক্ষ্য করছি শ্রেণীকক্ষে মোবাইল নিষিদ্ধ করার জন্য কিছু মানুষ জোর দাবী তুলেছে। আর এটাই স্বাভাবিক কারন পাঠদানের সময় ফোন বেজে উঠলে শিশুর পাঠের প্রতি মনোযোগ নষ্ট হচ্ছে আসলেই কি তাই? এদেশের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে রাস্তার পাশে বা লোকালয়ে বা বাজারের পাশে এছাড়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান উচ্চ বিদ্যালয় বা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কোথাও বা মহাবিদ্যালয়ের পাশে। যার ফলে দেখা যায় রাস্তায় চলাচল করা গাড়ির শব্দে ও হর্ণেওতো মনোযোগ নষ্ট হয়। তাছাড়া রাস্তার পাশে বা বাজারের পাশে স্কুল হলে শিশুরা জানালা দিয়ে বাইরে দেখে যে কে হেটে যাচ্ছে কে কথা বলছে কিসে যাচ্ছে এগুলোকি মনোযোগ নষ্টের কারন নয়। আমি প্রায়শই লক্ষ্য করি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছেলে মেয়েরা নানা অজুহাতে নিকটতম প্রাথমিক বিদ্যালয়এর আংগিনায় এসে অনর্থক হই হট্টগোল করে তাদের বা নিজ বিদ্যালয় এর শিক্ষকেরা যেন না দেখতে পায়। এতে শ্রেণি পাঠদানে ব্যঘাত ঘটেনা? আসলে কি শুধু মোবাইলের কারনেই পাঠদান ব্যহত হয় বলে মনে হয়না। তাছাড়া কিছু ইনোভেটিভ শিক্ষকরা বিশেষ করে দূর্গম এলাকায় বা ইলেক্ট্রনিক প্রযুক্তিগত উপকরন নেই সে সকল বিদ্যালয়ে স্মার্টফোন উপযুক্ত উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করে থাকেন। এছাড়া এই স্মার্টফোনের মাধ্যমে শিশুদের কে যুগোপযোগী শিক্ষা দেওয়া প্র‍্যাক্টিস করা সঠিক এবং দ্রুত সমাধান দেওয়া বিভ্রান্তি দূর করা সহজ হয়। তাছাড়া আমি আরো লক্ষ্য করেছি কিছু কিছু শিক্ষক পাঠদানের সহায়তার জন্য পাঠ্যপুস্তক না নিয়ে ফোনেই বই ডাউনলোড করে তা দেখে পড়ান। আমরা কেন শুধু নেতিবাচক ভাবনায় বিভোর থাকি। আমারতো মনে হয় বিদ্যালয়টিয় উপযুক্ত জায়গায় স্থাপন করা হয়নি। আমি এমন কোন রাস্তার পাশে অবস্থিত বিদ্যালয় পায়নি যেখানে কোন বোর্ড টানানো আছে যে সামনে বিদ্যালয় হর্ণ বাজাবেননা। আসলে কিছু মানুষ অতি উতসাহি লোক যারা শুধু নেতিবাচক ভাবনা ভাবতেই অভ্যাস্ত যারা ইতিবাচকতা ভাবতেই ব্যার্থ। আসলে স্মার্টফোন নিষিদ্ধ নয় বরং ব্যবহারে সচেতনতা আনতে হবে। এমন অনেকেই আছেন যারা এখন আর ঘড়ি ব্যবহার করেননা স্মার্টফোনকেই ঘড়ি হিসাবে ব্যবহার করেন। এছাড়া আনন্দঘন কোন উপস্থাপনা বা চিত্র ধারন বা শিখতে উৎসাহিত করতেও স্মার্টফোন প্রয়োজন হয়। এছাড়া সময়মত শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হওয়া যথা সময়ে পাঠদান শুরু ও শেষ করতেও স্মার্টফোন কার্যকর। তাছাড়া রুটিন থেকে শুরু করে পাঠদানের ধারাবাহিক কার্যক্রম সম্পন্ন করতেও ফোন একটি কার্যকর উপাদান। আমি অনেক সময় দেখেছি যে ইমাম সাহেব জুম্মার খুৎবা পড়তেও স্মার্টফোন ব্যবহার করেন খুৎবার বই না নিয়ে। তবে কেন এত কথা। শুধু নিজেদের স্মার্টফোন ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির এই শতাব্দীতে যারা বলেন স্মার্টফোন শ্রেণীকক্ষে নিষিদ্ধ করতে হবে আমিতো মনে করি তারা প্রযুক্তি যুগে প্রবেশ করতে ব্যার্থ হয়েছেন। এখনো মনমানষিকতায় আদিমত্বের প্রভাব এখনো আছে আদিম মনোভাব বা হিংস্র মনোভাব বা লোলুপতা এখনো তাদের মাঝে বিদ্যমান। https://www.facebook.com/humayun.k.rana