google-site-verification: google90012c42a1ba93ca.html

google-site-verification: google90012c42a1ba93ca.html

চরিত্র ও নৈতিকতা

ফেরিওয়ালা নিবেদিতঃ
চরিত্র বা নৈতিকতা এমন এক অবস্তুগত ধারণা যার সাথে বস্তুনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে ব্যক্তি ও সমাজের। এটা সবসময় আর্থিক মূল্যে বিচার্য নয়। তবে মানুষের বৈষয়িক উন্নয়নের বা অধপতনের পেছনে চরিত্র বা নৈতিকতার যথেষ্ঠ প্রভাব রয়েছে। যেমন একজন চরিত্রহীন ব্যক্তি যদি বাণিজ্য করতে যায় বা বাণিজ্য করে তবে তার আত্মিক নৈতিকতাহীনতার কারণে তার বাণিজ্যে ঘাটতি বা লস হবে এবং একসময় মূলধন হারিয়ে যাবে। তদ্রূপ কেউ যদি নীতিহীন হয় তবে তার উন্নয়ন আপাত দৃষ্টিতে দেখা গেলেও সার্বিক ভাবে সে দেউলিয়াত্বে থাকে হয়তো এই দেউলিয়াত্বের  বহিঃপ্রকাশ দৃশ্যমান নয় তবুও সে সার্বিক ভাবে অন্তত নিজের কাছে নিজেই দেউলিয়াত্বের কারণে ছোট হয়ে যায় এবং সবদিক থেকেই তার নানাবিধ দূর্বলতা প্রকাশিত হতে থাকে কথা ও কাজের মাঝে ব্যপক ব্যবধান পরিলক্ষিত হয়। তেমনি যদি  কোন নারী চরিত্রহীন হয় তবে সে যেখানে আস্তানা গাড়বে বা যেখানে অবস্থান করবে তা তার কাছে বা তার সাথে অবস্থানরত সকলের উপর এর প্রভাব পড়ে। তার নিকটবর্তী সকলের জন্য অশান্তি, অনুন্নয়ন, ব্যথা, জরাজীর্নতা ইত্যাদি এসে অবস্থান নেয়। যদিও আমরা এজন্য নানা পারিপার্শ্বিকতাকে দায়ী করি তবু্ও বাস্তবতা  সেটাই। কারণ যার আত্মার পরিশুদ্ধতা নেই সে নারী হোক বা পুরুষ তার উন্নয়ন সম্ভব নয়। হয়তো আপাত দৃষ্টিতে তাদের ধন সম্পদ প্রভাব প্রতিপত্তি দেখা গেলেও আত্মিকতা বিচারে সে হীন। যদিও আমরা সামাজিকভাবে তাদের ধনী সম্পদশালী, প্রভাবশালী, প্রতিপত্তিশালী বিচার বিশ্লেষণ করি কিন্তু আদৌতে তা নয়। বরং এইভাবে বিশ্লেষণ করা মানে সৃষ্টিকর্তার অবাধ্যতা করার শামিল কারণ যার নামাজ নাই তার চরিত্র নাই, আর যার চরিত্র নাই তার ঈমানই নাই। প্রতিটি ব্যক্তি নারী বা পুরুষ অন্তত পূর্বের এমন চরিত্রহীনতা বা নৈতিকতাহীনতা থেকে বের হয়ে এসে অনুতপ্ত হয়ে তওবা করে নতুন করে শুরু করা উচিৎ নতুবা তার সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। তার কোন শ্রম কোনো কাজেই আসবেনা।