google-site-verification: google90012c42a1ba93ca.html

google-site-verification: google90012c42a1ba93ca.html

শিক্ষকের মর্যাদা

ফেরিওয়ালা নিবেদিত
মাথা চলেনা। একটি বিষয়ে সবসময় নিজেকে প্রশ্ন করি। অন্যের কাছে মর্যাদা পেতে হবে এই মানসিক অবস্থা নেই তবুও ভাবছি। একজন পেশাজীবী হিসাবে আমার যদি নিজে নিজের প্রতি সম্মানবোধ না থাকে তবে পেশাজীবী হিসাবে আমি অযোগ্য। প্রসংগত: আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জনাব আব্রাহাম লিংকন এর প্রধান শিক্ষকের নিকট লেখা চিঠি। শত শত টাকার সরকারি অর্থ ব্যয় করে বিদ্যালয়গোলো আধুনিক ব্যন্যারে ছাপিয়ে প্রদর্শন করা হয় বিদ্যালয়গুলোতে যেন ছাত্ররা সেটা পড়ে শিক্ষকের প্রতি আরো শ্রদ্ধাশীল হতে পারে এই জন্য। আমার প্রশ্ন হলো আব্রাহাম লিংকন যখন পত্রটি লিখেন তখন কি তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন? হয়ত না। তখন তিনি যুক্তরাস্ট্রের নাগরিক ছিলেন মাত্র। এমন অসংখ্য লিংকন পত্র না লিখলেও হয়ত মৌখিকভাবে বা আধুনিক টেকনোলজি ব্যবহার করে আমাদের এই সকল বিষয়েই আলোকপাত করেন কিন্তু সেগুলো কিন্তু বিদ্যালয়ে শোভা পায়না। তবে কেন আব্রাহাম লিংকনেরটা শোভা পায়, ক্রিয়েটিভিটির নামে কেন শিশুদের সংগে এমন প্রতারণা? কারো মনে আছে কিনা কবি কাদের নেওয়াজের লেখা শিক্ষাগুরুর মর্যাদা কবিতাটি কিন্তু ইতিহাস নির্ভর সত্য একটি রচিত কবিতা যখন সমগ্র ভারতবর্ষ মোঘল শাসনের আওতায় ছিল সেটার চর্চা কেন কেউ করেনা, তবে কি আমরা আমাদের শিক্ষক হবার যোগ্যতা হারিয়েছি? শিশুরাও কি আমাদের আচার আচরন কাজ কর্ম দেখে এটা নিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে এমন মানুষ শিক্ষাগুরু হওয়ার যোগ্যতা রাখেনা। তাই তারা সমাজে বেড়ে উঠে ভুলে যায় শিক্ষকের কথা? আমরাতো শিশুদের এটাও শেখাই দূর্জন বিদ্যান হইলেও পরিত্যজ্য। আমরাই কি আমাদের সম্মান বিসর্জন দিচ্ছিনা।