google-site-verification: google90012c42a1ba93ca.html

google-site-verification: google90012c42a1ba93ca.html

বৈধত্ব বা অবৈধত্ব।

যখন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়তাম তখন অনেক কিছুই বুঝতাম না মাঠে খেলতে যেতামনা দ্বন্দ হবে ভয়ে। প্রতিবেশী দুচারজন ছেলে ছাড়া আর কারো সাথে যোগাযোগ ছিলনা। সারাজীবন সযত্নে চরিত্র আগলে রেখেছিলাম বিয়ের আগে কাউকে স্পর্শ করা দুরের কথা কথা বলতেই ভয় পেতাম। সে কারণে নিজের সরলতার কারণে সবার স্নেহের পাত্র ছিলাম। মন খুলে সকলের সাথে উঠাবসা এটাই জীবনের কাল। মানুষের মাঝে চলতে গিয়ে কিছু মানুষের প্রতি সখ্যতা বাড়ে সেই সাথে বেড়ে চলে চরিত্রহীন খেতাব। অন্য মানুষ খেতাব দিলে কিছু মনে হতনা ভাবতাম না কিন্তু যখন পাশের মানুষ এ কথা বলে সত্যিই আহত হয়েছি। নিন্দুক নিন্দা করতে পারে তাই বলে কাছের মানুষ! হ্যা আপনি প্রথম এবং প্রচণ্ড আঘাতটা কাছের মানুষের কাছ থেকেই পাবেন। সবাই সাধারণত তাই পেয়ে থাকে। কারণ আপনি আপনার দূর্বলতা বা গোপন কথা বা কর্ম তাদের সাথেই করে থাকেন। ভাবুনতো যে আপনার সম্বন্ধে কিছুই জানেনা সে কিভাবে আপনাকে আঘাত করবে? মানুষের চরমভাবে আপন মানুষ থাকে শুধু একজনই কারণ জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টিকরা হয়েছে একজন আরেকজনের পরিপুরক। এমন পরিপূরকের বাইরে বাকি সবই অভিনয়। এবং কোন কোন অদৃশ্য কারণে সবকিছুই পরিপুরককে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়। এমন পরিপূরকের সাথে জীবণের কোন না কোন সময় সাক্ষাৎ আপনার ঘটবেই। হয়ত অনেকে চিনতে পারবেন অনেকে পারবেননা। যদি চিনে নিতে পারেন তবে আপনি আর পেছনে পড়ে রবেননা। আপনার গতি হবে ঝঞ্জার মত উদ্যমতা হবে সাগরের ঢেউএর মত যা কখনই ক্লান্ত হবেনা। তবে পরিপুরকের সাথে সাক্ষাতের সময়টা হবে অদ্ভুৎ রকমের সুন্দর। মৃদু কিন্তু সুন্দর বাতাস বইবে। আপনাদের সাক্ষাতে আকাশ আনন্দে চোখের জল ফেলবে। আপনার বুকটা ধিক ধিক করে উঠবে। আমনি অপ্রস্তুত হয়ে পড়বেন। সাক্ষাতের পরপরই আপনি সুসংবাদ পাবেন।  আপনার মাঝে বীরত্ব ফুটে উঠবে। প্রাণ উৎফুল্ল হবে। আপনি তৎপর হয়ে উঠবেন সফলতার জন্য। এখনতো আমাদের প্রেম ভালবাসা হৃদয় দিয়ে হয়না। প্রযুক্তির প্রভাবে আমরা আবেগশুন্য হয়ে পড়ছি। প্রয়োজনের দাসত্ব করছি। ভালবাসা হয়ে গেছে প্যান্থারের মত। এখন চরিত্র সতিত্বের ধার কেউ ধারেনা। উপস্থিত প্রয়োজন মেটানো বড় কথা? নইলে প্রিয়াকে খোলা মাঠে বা ঝোপে ঝাড়ে উন্মুক্ত করতনা কেউ, বা বিয়ের আগেই সব কিছু বিলিয়ে দিতনা কোন নারী আবার পুরুষও নারীর আবরণ উন্মুক্ত করতনা। আগে একতরফা ভালবেসে বা প্রেমের ব্যার্থতার জন্য চিরকুমার পাওয়া গেছে, আইবুড়ো চিরকুমারীও পাওয়া গেছে এখন কি পাওয়া যায়? যায়না। কারণ আমরা সভ্যতার শিখরে চড়া অসভ্য প্রাণী। একজনকে বলতে শুনেছিলাম আই লাভ ইউ না বাল শুধু,,,,,,,,,   মারার তাল। এখন ভালবাসাগুলো আবেগ অনুভুতির চেয়ে জৈবিক তাড়না বিতাড়নে বেশি ডিপেন্ড করে। অর্থাৎ টেষ্ট ইট দেন ডিসাইডের মত। আসলে একজন নারীর কাছে জীবনের চেয়ে ইজ্জতের মূল্য অনেক বেশী তাই কোন প্রকৃত নারী যে কোন জায়গায় বা স্বামী ছাড়া আর কারো সামনে অনাবৃত হতোনা। আর তাদের এই অনাবৃত হওয়াটা প্রথমে জন্ম দেয় মিথ্যার আর সেই মিথ্যা জ্যামিতিক হারে বাড়তে বাড়তে সামাজিক অবক্ষয় বৃদ্ধি করে। ভালবেসে যারা বাবা মায়ের অমতে অন্যের বাহুডোরে আবদ্ধ হয় সেটাই হলো অনাসৃষ্টির মুল কারণ। এবং যেহেতু সেটা অবৈধ তাই সেটাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হওয়া সবকিছুই অবৈধ,,,,,,, যেহেতু কামরিপুর তাড়োনাই এটা ঘটে যাছে তাই এখানে আবেগ অনুভুতি পারিপার্শ্বিকতা বিশ্লেষণহীন অনাবিষ্কৃত থেকে যায়। এবং কিছুদিন পর শুরু হয় ফলাফল। অনেক সময় ফলাফল সহ্যসীমা অতিক্রম করে মর্মান্তিক হয়। এর অন্যতম কারণ হলো যথাসময়ে যথোপোযূক্ত আবেগ অনুভুতি কাজ করেনি বা বহিঃপ্রকাশ ঘটেনি। যদি সেটা হতো তবে ফলাফল মধুর হতো।