নিম্নগামী পরিস্রবন নীতি লর্ড মেকলের যে শিক্ষানীতি তা একসময় প্রহসন মনে হলেও এখন সেটা যুগোপযোগী মনে হচ্ছে। নিম্নগামী পরিস্রবন নীতিতে শিক্ষা ব্যবস্থাকে উপর থেকে নিচের দিকে ধাবিত করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে শিক্ষা বা জ্ঞ্যন উপর থেকে ক্রমান্বয়ে নিচের দিকে ধাবিত হবে। প্রকৃতি তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। যেমন একটি চারাগাছ এর যত্ন আমরা কিভাবে নিই? উপর থেকে পানি দেই সেটা ক্রমান্বয়ে নীচের দিকে ধাবিত হয়ে মাটিতে মিশে খাদ্য তৈরি করে চারাগাছটিকে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। একটি চারাগাছকে বড় করে তোলার জন্য আমরা কিন্তু নীচ থেকে উপরের দিকে পানিকে ধাবিত করিনা। আবার নিম্নগামী পরিস্রবন নীতির সার বস্তু হলো জ্ঞ্যন উপর থেকে চুইয়ে চুইয়ে নীচের দিকে পড়বে এটার অর্থ এমন যে বড়দের দেখে ছোটরা শিখবে। এবং এটাই কিন্তু সমাজে কার্যকর। শিশুরা বড়দের অনুকরণ করে শেখে। তদনুযায়ী সমাজের সিনিয়রদের দেখে তাদের শেখার কথা এবং তারা তাই শিখছে। শৈশব থেকে তারা পড়ছে কিন্তু তারা যা পড়ে সমাজ তার বীপরিত তাই তারা বই থেকে যা শিখছে সেটা ব্যবহার না করে তারা সমাজের বড়দের দেখে শিখছে ফলে শিক্ষার হার বাড়লেও কাংখিত পরিবর্তন কিন্তু ঘটছেনা
আর তৎকালীন সময়ের বুদ্ধিজীবীরা এই নীতির বিরোধিতার কারন হতে পারে যে এই নীতি চালু করতে গেলে আগে নিজেদের পরিবর্তন আবশ্যক যা ব্যক্তি স্বার্থের পরিপন্থী। তাই তারা নীচ থেকে উপরের দিকে যাবার পথটি বেছে নেয় ফলে দেখা যায় যে বিষয়টি শিশুর মনে জ্ঞ্যন ও বাস্তবতার সংগে সাংঘর্সিক হয়ে যায় এ ক্ষেত্রে শিশুরা বড়দের অনুকরণ করাকে নিরাপদ মনে করে ফলে পুথির জ্ঞ্যন পুথিতেই সীমাবদ্ধ থাকছে। আর কাংখিত আচরনিক পরিবর্তন অপরিবর্তনীয় রয়ে যাচ্ছে। আমি বোকা বলে এইভাবে ভেবেছি জ্ঞ্যনীরা সঠিকটা ভাববেন এটাই প্রত্যাশা।
আর তৎকালীন সময়ের বুদ্ধিজীবীরা এই নীতির বিরোধিতার কারন হতে পারে যে এই নীতি চালু করতে গেলে আগে নিজেদের পরিবর্তন আবশ্যক যা ব্যক্তি স্বার্থের পরিপন্থী। তাই তারা নীচ থেকে উপরের দিকে যাবার পথটি বেছে নেয় ফলে দেখা যায় যে বিষয়টি শিশুর মনে জ্ঞ্যন ও বাস্তবতার সংগে সাংঘর্সিক হয়ে যায় এ ক্ষেত্রে শিশুরা বড়দের অনুকরণ করাকে নিরাপদ মনে করে ফলে পুথির জ্ঞ্যন পুথিতেই সীমাবদ্ধ থাকছে। আর কাংখিত আচরনিক পরিবর্তন অপরিবর্তনীয় রয়ে যাচ্ছে। আমি বোকা বলে এইভাবে ভেবেছি জ্ঞ্যনীরা সঠিকটা ভাববেন এটাই প্রত্যাশা।