google-site-verification: google90012c42a1ba93ca.html
নদীর সুরক্ষা আমাদের জন্য
শান্তি
শান্তি সে তো অনেকদুর। শান্তি শান্তি ওশান্তি নাকি অশান্তি। শান্তি তখনই শান্তি আসবে যখন আপনি আমি শান্ত হব। আসলে কি আমরা শান্ত হতে পারছি? না আমরা শান্ত হতে পারছিননা বেপরোয়া মন আর আর্থ সামাজিক প্রতিযোগিতা আমাদের শান্ত হতে দেয়না। কেন এই প্রতিযোগিতা কারণ আমরা অতৃপ্ত। কেন অতৃপ্ত কারণ আমরা লোভী। আরো পাবার আকাঙ্ক্ষা আমাদের অতৃপ্ত করে রাখে। আমরা যতদিন প্রকৃতির মাঝে ছিলাম যতদিন আমরা প্রকৃতির কাছে ছিলাম যতদিন আমরা প্রকৃতির প্রদত্তে সন্তুষ্ট ছিলাম ততদিন আমাদের শান্তি ছিল। যখনই আমরা প্রকৃতি থেকে দূরে সরেছি তখনই আমাদের অতৃপ্তি বেড়েছে। রুক্ষ প্রযুক্তির যুগে বেশি পাবার আকাঙ্ক্ষা আমাদের কায়িক পরিশ্রম কমিয়ে মানসিক পরিশ্রমের পরিমান বাড়িয়ে দিয়েছে। আর যখন মানসিক পরিশ্রম বেড়েছে তখনই আমাদের মস্তিষ্ক বেশি ব্যস্ততা অনুভব করছে। শত ব্যস্ততার কারণে শান্তি নামক শব্দ এবং অনুভুতি জালিকার মত বিন্যস্ত স্মৃতি থেকে খুজে পেতে জটিলতা অনুভব করছে এই কারণে আমরা আর শত চেষ্টা করেও শান্তি ফেরাতে পারছিনা। এককালে বুজুর্গ ব্যক্তিরা একা একা ধ্যান করে বা সময় কাটিয়ে নিজের উপর নিয়ন্ত্রন আনতেন বা লোভ ত্যাগ করতে পারতেন। এখন আর আমাদের একাকী সময় নেই যেহেতু বিবেককে আমরা একাকীত্ব দিতে ব্যর্থ হচ্ছি সেহেতু বিবেক আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছে।
ওমর ফারুক চৌধুরী র ভাবনা
আমি ও আমিত্ব
আমি ও আমরা বা আমাদের এই ভাবতে এই করতে জীবন আমাদের ওষ্ঠাগত তবুও বিশ্রাম নেই ছুটতে ছূটতে আজ আমরা ক্লান্ত তবুও কেন যেন কেউ থামছিনা। শুধু পাওয়ার আর পাওয়ার প্রচেষ্টায় আজ এতটা নিচে নেমে গেছি যে মানবিকতা শুন্য। বিজয় যেন শুধু আমিত্বে। কিন্তু কেনো? আজ গুনির কদর নেই মানির মান নেই প্রতিবেশির টান নেই আত্মীয়তার বালাই নেই দেশের প্রতি প্রেম নেই নেই কোন মানবিকতা
শব্দের সীমারেখা
ঠগীদের বংশধরেরাই আজ আমাদের ঠকাচ্ছে
বিশ্বশান্তি স্থাপনে শব্দহীন পৃথিবী প্রয়োজন
শক্তির সক্ত
শক্তি অবিনশ্বর এর কোন বিনাস নেই শুধু রূপান্তরিত হয়। বিজ্ঞান প্রমান করে শব্দ একপ্রকার শক্তি। তাহলে শব্দ কখোনো শেষ হয়না শুধু রুপান্তরিত হয়। তাহলে আমরা যে শব্দ করি এবং তা হারিয়ে যায় কোথায়? এরতো শেষ হবার কথা ছিলনা তবে কেন নিদৃষ্ট সময় পরে তা আর শোনা যায়না? আসলে সেটা শেষ না হয়ে যার উদ্দ্যেশ্যে শব্দ করা হয়েছিল তার মাধ্যমে রুপান্তরিত হয়ে ফিরে আসে। যেমন আমি আমার সন্তান কে ডাকলাম এই ডাক দিতে আমি যে শব্দ করলাম তার প্রতিউত্তর দিল আমার সন্তান জ্বী বাবা। অর্থাৎ আমি যে শব্দটি করলাম তা সমাপ্ত না হয়ে নিদৃষ্ট কাল পরে অন্য কারো মাধ্যমে ফিরে আসে। আর বার বার শব্দের এই রুপান্তর হতে হতে তা এক সময় শেষ নে হয়ে বিবর্তিত হতে হতে বিরক্তিকর শব্দ বা কম্পন তৈরী করে হয়ত তা গরুর ডাক হাসের প্যক প্যক ইত্যাদিতে বিবর্তিত হয় যদিও এটা আমাদের কাছে অপ্রয়োজনীয় তবুও মহাজাগতিক কারণে তা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ মহাজাগতিক সৃষ্টিতে শক্তির পরিমান নিদৃষ্ট। ফলে শেষ হবারো সুযোগ নেই আবার নতুন শক্তি গঠনের সুযোগ নেই। শক্তি এমন একটি ধারণা যেটা মহাজগতে পরিভ্রমন করে ফলে আমরা একই শক্তি বারবার উপলব্ধি করতে পারিনা। দদ্রুপ শব্দ শক্তিও মহাজাগতিক পরিভ্রমণে ব্যস্ত বলে একে একই আংগিকে একই জায়গায় বারবার খুজে পাওয়া যায়না।
হা: হা: হা: আমার প্রিয়তমা আমাকে বলত আমি নাকি স্বপ্ন বিলাসী আসলেই কি তাই আমি কল্পনাবিলাসী।
২৫/১১/২০১৭
ফেরিওয়ালা।
দুর করুন এসিডিটি।
বৈধত্ব বা অবৈধত্ব।
যখন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়তাম তখন অনেক কিছুই বুঝতাম না মাঠে খেলতে যেতামনা দ্বন্দ হবে ভয়ে। প্রতিবেশী দুচারজন ছেলে ছাড়া আর কারো সাথে যোগাযোগ ছিলনা। সারাজীবন সযত্নে চরিত্র আগলে রেখেছিলাম বিয়ের আগে কাউকে স্পর্শ করা দুরের কথা কথা বলতেই ভয় পেতাম। সে কারণে নিজের সরলতার কারণে সবার স্নেহের পাত্র ছিলাম। মন খুলে সকলের সাথে উঠাবসা এটাই জীবনের কাল। মানুষের মাঝে চলতে গিয়ে কিছু মানুষের প্রতি সখ্যতা বাড়ে সেই সাথে বেড়ে চলে চরিত্রহীন খেতাব। অন্য মানুষ খেতাব দিলে কিছু মনে হতনা ভাবতাম না কিন্তু যখন পাশের মানুষ এ কথা বলে সত্যিই আহত হয়েছি। নিন্দুক নিন্দা করতে পারে তাই বলে কাছের মানুষ! হ্যা আপনি প্রথম এবং প্রচণ্ড আঘাতটা কাছের মানুষের কাছ থেকেই পাবেন। সবাই সাধারণত তাই পেয়ে থাকে। কারণ আপনি আপনার দূর্বলতা বা গোপন কথা বা কর্ম তাদের সাথেই করে থাকেন। ভাবুনতো যে আপনার সম্বন্ধে কিছুই জানেনা সে কিভাবে আপনাকে আঘাত করবে? মানুষের চরমভাবে আপন মানুষ থাকে শুধু একজনই কারণ জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টিকরা হয়েছে একজন আরেকজনের পরিপুরক। এমন পরিপূরকের বাইরে বাকি সবই অভিনয়। এবং কোন কোন অদৃশ্য কারণে সবকিছুই পরিপুরককে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়। এমন পরিপূরকের সাথে জীবণের কোন না কোন সময় সাক্ষাৎ আপনার ঘটবেই। হয়ত অনেকে চিনতে পারবেন অনেকে পারবেননা। যদি চিনে নিতে পারেন তবে আপনি আর পেছনে পড়ে রবেননা। আপনার গতি হবে ঝঞ্জার মত উদ্যমতা হবে সাগরের ঢেউএর মত যা কখনই ক্লান্ত হবেনা। তবে পরিপুরকের সাথে সাক্ষাতের সময়টা হবে অদ্ভুৎ রকমের সুন্দর। মৃদু কিন্তু সুন্দর বাতাস বইবে। আপনাদের সাক্ষাতে আকাশ আনন্দে চোখের জল ফেলবে। আপনার বুকটা ধিক ধিক করে উঠবে। আমনি অপ্রস্তুত হয়ে পড়বেন। সাক্ষাতের পরপরই আপনি সুসংবাদ পাবেন। আপনার মাঝে বীরত্ব ফুটে উঠবে। প্রাণ উৎফুল্ল হবে। আপনি তৎপর হয়ে উঠবেন সফলতার জন্য। এখনতো আমাদের প্রেম ভালবাসা হৃদয় দিয়ে হয়না। প্রযুক্তির প্রভাবে আমরা আবেগশুন্য হয়ে পড়ছি। প্রয়োজনের দাসত্ব করছি। ভালবাসা হয়ে গেছে প্যান্থারের মত। এখন চরিত্র সতিত্বের ধার কেউ ধারেনা। উপস্থিত প্রয়োজন মেটানো বড় কথা? নইলে প্রিয়াকে খোলা মাঠে বা ঝোপে ঝাড়ে উন্মুক্ত করতনা কেউ, বা বিয়ের আগেই সব কিছু বিলিয়ে দিতনা কোন নারী আবার পুরুষও নারীর আবরণ উন্মুক্ত করতনা। আগে একতরফা ভালবেসে বা প্রেমের ব্যার্থতার জন্য চিরকুমার পাওয়া গেছে, আইবুড়ো চিরকুমারীও পাওয়া গেছে এখন কি পাওয়া যায়? যায়না। কারণ আমরা সভ্যতার শিখরে চড়া অসভ্য প্রাণী। একজনকে বলতে শুনেছিলাম আই লাভ ইউ না বাল শুধু,,,,,,,,, মারার তাল। এখন ভালবাসাগুলো আবেগ অনুভুতির চেয়ে জৈবিক তাড়না বিতাড়নে বেশি ডিপেন্ড করে। অর্থাৎ টেষ্ট ইট দেন ডিসাইডের মত। আসলে একজন নারীর কাছে জীবনের চেয়ে ইজ্জতের মূল্য অনেক বেশী তাই কোন প্রকৃত নারী যে কোন জায়গায় বা স্বামী ছাড়া আর কারো সামনে অনাবৃত হতোনা। আর তাদের এই অনাবৃত হওয়াটা প্রথমে জন্ম দেয় মিথ্যার আর সেই মিথ্যা জ্যামিতিক হারে বাড়তে বাড়তে সামাজিক অবক্ষয় বৃদ্ধি করে। ভালবেসে যারা বাবা মায়ের অমতে অন্যের বাহুডোরে আবদ্ধ হয় সেটাই হলো অনাসৃষ্টির মুল কারণ। এবং যেহেতু সেটা অবৈধ তাই সেটাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হওয়া সবকিছুই অবৈধ,,,,,,, যেহেতু কামরিপুর তাড়োনাই এটা ঘটে যাছে তাই এখানে আবেগ অনুভুতি পারিপার্শ্বিকতা বিশ্লেষণহীন অনাবিষ্কৃত থেকে যায়। এবং কিছুদিন পর শুরু হয় ফলাফল। অনেক সময় ফলাফল সহ্যসীমা অতিক্রম করে মর্মান্তিক হয়। এর অন্যতম কারণ হলো যথাসময়ে যথোপোযূক্ত আবেগ অনুভুতি কাজ করেনি বা বহিঃপ্রকাশ ঘটেনি। যদি সেটা হতো তবে ফলাফল মধুর হতো।
বাঙ্গালী কী
আসলে বাঙ্গালী হলো নৃতাত্বিক ও ভূতাত্ত্বিক সরলতা ও মানবিকগুনাবলী ও মূল্যবোধ সমৃদ্ধ একটি জাতির অবস্থান ভিত্তিক পরিচয়। বাংলা হলো উল্লিখিত জাতির ভাব বিনিময়ের মাধ্যম শুধু তা নয় বা এটি শুধু ভাষা বা একটি ভূখন্ড বা শুধু একটি জাতি নয়। এটি হলো একটি নৃগোষ্ঠীর বংশগত অবস্থান যা সংশ্লিষ্ট জাতির মানবীয় গূনাবলী, শিক্ষা দক্ষতা ভাবের আদানপ্রদান সহ একশব্দে প্রকাশিত সামগ্রিক পরিচয়। প্রকৃতি যেহেতূ শ্রেষ্ঠ শিক্ষক তাই এই ভূতাত্বিক অঞ্চলের মানুষগুলো স্বশিক্ষায় সুশিক্ষিত ছিল এবং সেই শিক্ষা তাদেরকে মানবীয় গুণাবলী অর্জনে যথেষ্ঠ সহায়ক ছিল। নির্মল পরিচ্ছন্ন প্রকৃতির কোলে বেড়ে উঠা মানুষগুলো ছিল প্রকৃতির মত উদার লোভলালসা ও জিঘাংসাহহীন ছিল এদের জীবনযাত্রা। সাদা সিধে জীবন এবং প্রকৃতির সরলতার মত স্নিগ্ধ জীবনযাত্রায় প্রবৃত্ত মানুষগুলোর অতিথি পরায়নতা ছিল মুগ্ধকর। সৎ জীবনযাপন এবং পরিশ্রমী মানষিকতা ছিল এদের সুস্থ সুন্দর জীবন ও সমৃদ্ধির মূল কারণ। হাজারো নদী অববাহিকায় পরিচ্ছন্ন গাত্রদাহন এবং নদীর উচ্ছলালতার মতই প্রানোচ্ছল ছিল এই নৃগোষ্ঠীর সুখী স্বাচ্ছন্দ্য জীবনধারা। নিয়ম মাফিক সহজ সরল জীবন যাপন এবং পরিশ্রম হেতু এই অঞ্চলের মানূষগুলো সুস্থ ও সুঠাম দেহের অধিকারী ছিল। তবুও তাদের আগ্রাসী মনোভাব ছিলনা ছিলনা বীরত্ব প্রদর্শনের হীন ইচ্ছা। প্রকৃতির কোলে প্রকৃতির সাথে লড়াই করে বেচে থাকা এই মানুষগুলোর সরলতার মূল হাতিয়ার ছিল এই অঞ্চলের আবহাওয়া। নাতিশীতোষ্ণমণ্ডলএর এই ভূখন্ডে স্নিগ্ধ আবহাওয়া এখানকার মানুষের মন মেজাজকে রুক্ষ হতে দেয়নি বরং আগলে রেখেছে গভীর মমতায়। বীরত্ব প্রদর্শনে ব্রত না থাকলেও আত্মরক্ষার্থে কঠোর মনোভাব পোষন করত এই অঞ্চলের মানুষ। আবহাওয়ার মতই শান্ত স্বভাব অর্জনকারী এই মানুষগুলোর উদারতার মুল কারন উদার প্রকৃতি ঝর্নার বিশুদ্ধ জল বয়ে এনেছিল মনের স্বচ্ছতা, নদীর স্রোত এদের কে অর্জন করিয়েছে দূর্বার গতি, সবুজ প্রান্তর এনেদিয়েছিল অবুঝের মত সরল মানষিকতা, নির্মল বাতাস এদের চরিত্রকে দিয়েছিল নির্মল সততা পাখির কলকাকলি এদের করেছিল বিনোদন প্রেমি সুরেলা ও কোমল ভাষাজ্ঞ্যন সমৃদ্ধ, ফুলের সৌরভ এনে দিয়েছিল পবিত্র মন, মিষ্টি রোদ এনেদিয়েছিল উজ্জলতা, বৃষ্টির রিমঝিম শব্দ বয়ে এনে দিল নতুন সৃষ্টির উল্লাস, খোলা নীল আকাশ উড়িয়ে এনেছিল কবিত্ব, সূর্যস্নান শেখাল নীরোগ থাকার মন্ত্র, বটবৃক্ষের বয়ে অকৃত্রিম বন্ধন কর্দমাক্ত মাটি দিল রুপচর্চার উপায় গাছের ছায়া শিখিয়েছে প্রিয়জনকে আগলে রাখার মানসিকতা। আর আজো সেকারনেই এই ভূন্ড বাংলা, ভাষা বাংলা আর আমরা বাংগালী। কত দেশের মানুষ এসে এখান থেকে মানবীয় গুণাবলী অর্জন করে নিয়ে গেছে নিজ দেশে। বলা যায় অধুনা বিশ্বে মানবীয় গুণাবলী রপ্তানী হতো এখান থেকে। অথচ আজ এই দেশেই মানবিক সংকট মানবীয় গুনাবলীর আকাল। পর্যাপ্ত পানি প্রবাহের কারনে এখানকার মাটিতে আয়োডিনের পরিমান ছিল কম বা শুন্য। তাইতো এইমাটিতে জীবিকা নির্বাহকারী মানুষগুলো ছিল কুটিল চিন্তা মুক্ত। সবদিক থেকে এগিয়ে থাকা মানুষগুলো শুধুমাত্র ডিপ্লোম্যাটিক বা কুটবুদ্ধির দিক থেকে ছিল যথেষ্ট পিছিয়ে। পক্ষান্তরে অধিক আয়োডিনভোগী মানুষগুলো অধিক কুটবুদ্ধি সম্পন্ন হওয়ায় তারা যখন এই অঞ্চলে আগমন করে এখানকার মানুষগুলো সরল ভাবেই তাদেরকে গ্রহণ করে কিন্তু আগত অতিথিরা কুটবুদ্ধি সম্পন্ন হওয়ায় তারা এই অঞ্চলের মানুষের সরলতাকে পুজি করে সখ্যতা গড়ে তোলে এবং এদেরকে নানারকম জটিল ভাবনায় মানষিক চাপ বাড়াতে থাকে। পরিবর্তিত হতে থাকে এখানকার মানুষের মানষিকতা। সামগ্রিকতা ছেড়ে মানুষ ব্যক্তিক লাভ লোকসানের দিকে ঝুকে পড়ে সরে যেতে থাকে সরলতার কক্ষপথ থেকে। বিভিন্ন জাতি বর্ণের মানুষের সংমিশ্রণ ও প্রভাবে আমরা হারাতে বসেছি আমাদের মূল পরিচয়। উজাড় হয়ে চলেছে আমাদের প্রকৃতি লুপ্ত হতে চলেছে আমাদের নৃতাত্ত্বিক তাৎপর্য। যেখান থেকে মানবীয়তা রপ্তানী হতো সেখানেই আজ মানবিক সংকট। আমদানি করা আধুনিকতায় রপ্তানি হয়ে গেছে আমাদের সুখ স্বাচ্ছন্দ্য ও শান্তি। বটবৃক্ষের ব নেই বলে আজ ছিড়ে যাচ্ছে আমাদের সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধন। ছায়াহীন রুক্ষ প্রকৃতিতে শিশু শিখছে কেউ কাউকে আগলে রাখেনা তাই হয়ত পিতামাতার ঠায় আজ বৃদ্ধাশ্রম অথবা রাস্তায়। যখন তোমার মাঝে নুন্যতম বংগালবোধ নেই তবে কেন নিজেকে বাংগালী দাবী কর? আজকে তুমি বা আমি যা তাকে আর যাই হোক নিজেকে বাংগালী পরিচয় দেওয়া যায়না।
বড় ছোট
মাদক কে না বলি
বাংলাদেশের মাদক সমস্যা এত প্রকট যে এর ভুক্তভোগী প্রায় সকলেই। কেউ বা প্রত্যক্ষ অথবা কেউ পরোক্ষ। এর জন্য আমরা কখোনো চিরুনী অভিযান কখোনো ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে দন্ড দিয়ে যুবসমাজ কে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করছি। এর ফলাফল কতটা সুখকর আমাদের জন্য? অথচ মাদক নিরাময়ের সহজ সমাধানটা এই ভূখণ্ডেই আছে অথচ হাইব্রিড এর উৎপাদন এতটাই বেড়ে গেছে যে প্রকৃত দেশি উৎপাদন আজ শুন্যের কোঠায়। অথচ এগুলোই পারত মাদক কে নির্মূল করতে। দেশি কাগজি জাতের লেবুর ভেষজ গুন হচ্ছে শরীরের রক্তে মিশে গিয়ে। মাদক গ্রহণে উৎসাহ প্রদানকারী স্নায়ু গুলোকে নিস্তেজ করে দিয়ে রক্ত পরিশোধন করে সুস্থ জীবনের পথে পরিচালিত করে। অথচ হাইব্রিড প্রজাতির লেবুগুলোর সেই গুনাগুণ সীমিত। তাই সমাজ কে মাদকের ভয়াল গ্রাস থেকে সমাজ জাতি ও দেশ কে রক্ষা করতে দেশি প্রজাতির কাগজি লেবুর কোন বিকল্প নেই। আসুন দেশি প্রজাতির কাগজি লেবুর উৎপাদন বৃদ্ধি করে সকাল বিকাল মাদকাসক্ত সন্তানকে তার রস পান করায় এবং সমাজ কে মাদক মুক্ত করি।
পেয়াজ
এখনতো প্রায় মানুষের একটি সাধারণ সমস্যা হলো এসিডিটি। অথচ আজ থেকে বিশ পচিশ বছর আগেও এই ভূখন্ডের মানুষ বাসি পানতা কড়কড়া খেতো কিন্তু সমস্যা হয়নি। অথচ এখন টাটকা খাবার খেলেও গ্যস বা এসিডিটি সমস্যা দেখা দেয়। সহজ ভাবে আমরা দোষ দেই খাদ্যগুলো অস্বাস্থ্যকর। কিন্তু একটিবারও ভেবে দেখিনা যে খাবারটি মুখরোচক তা শরীরের জন্য আবশ্যক তাহলে এটি অস্বাস্থ্যকর হয় কিভাবে? আসলে এই ভূখন্ডের মানুষ যে কোন খাবারের সাথে মুখরোচক সালাদ হিসাবে খেত কাচা দেশি পেয়াজ ও মরিচ যা উত্তম গ্যাস শোষকের কাজ করে এসিডিটি থেকে রক্ষা করত। এখন মুখে গন্ধ হবে ভেবে খায়না তাই তো এত সমস্যা আশাকরি সহজ সমাধান পেলেন। এখন পরীক্ষা করে দেখুন। আর পেয়াজের গন্ধ দুর করতে সরিষার তেলের বোতলে মুখ লাগিয়ে মুখ দিয় নিঃশ্বাস ছাড়ুন সহজ সমাধান। আমরা সবাই শুধু মুখে বলি টেকশই উন্নয়ন টেকশই উন্নয়ন টেকশই জীবনমান কিন্তু টেকশই জীবন বা টেকশই উন্নয়ন কি করে সম্ভব এই পথে কেউ চলেনা। সবাই মুল ছেড়ে শাখা প্রশাখায় বিচরণ করে টেকশই উন্নয়ন ভাবনা সম্ভব নয়। টেকশই জীবন মান বৃদ্ধি করতে আমাদের প্রকৃতি নির্ভরতা বাড়াতে হবে। আমাদেরকে ফিরতে হবে অতীতে। তবেই আমরা টেকশই জীবনে ফিরতে হবে।
Every child is brilliant
Children are just brilliant and they need your encouragement. They will cross the walls of all obstacles in our encouragement. The baby's brain is like a rare memory card, which can be kept here for the future so it will be stored for future. What is to be worried about the child is that he should stay away from falsehood. False is like a virus, it affects the brain and gradually consumes the information stored in the brain, so that the child's brain can not work properly. Gradually the nerves become weak and the child's attention and memory power decreases. And if a little more pressure is over, they lose the effectiveness. In fact, there is some information from the birth of a child in the brain that makes him competent in the right way. But we often ruined her self-confidence by obstructing it.
শিক্ষকের মর্যাদা
মাথা চলেনা। একটি বিষয়ে সবসময় নিজেকে প্রশ্ন করি। অন্যের কাছে মর্যাদা পেতে হবে এই মানসিক অবস্থা নেই তবুও ভাবছি। একজন পেশাজীবী হিসাবে আমার যদি নিজে নিজের প্রতি সম্মানবোধ না থাকে তবে পেশাজীবী হিসাবে আমি অযোগ্য। প্রসংগত: আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জনাব আব্রাহাম লিংকন এর প্রধান শিক্ষকের নিকট লেখা চিঠি। শত শত টাকার সরকারি অর্থ ব্যয় করে বিদ্যালয়গোলো আধুনিক ব্যন্যারে ছাপিয়ে প্রদর্শন করা হয় বিদ্যালয়গুলোতে যেন ছাত্ররা সেটা পড়ে শিক্ষকের প্রতি আরো শ্রদ্ধাশীল হতে পারে এই জন্য। আমার প্রশ্ন হলো আব্রাহাম লিংকন যখন পত্রটি লিখেন তখন কি তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন? হয়ত না। তখন তিনি যুক্তরাস্ট্রের নাগরিক ছিলেন মাত্র। এমন অসংখ্য লিংকন পত্র না লিখলেও হয়ত মৌখিকভাবে বা আধুনিক টেকনোলজি ব্যবহার করে আমাদের এই সকল বিষয়েই আলোকপাত করেন কিন্তু সেগুলো কিন্তু বিদ্যালয়ে শোভা পায়না। তবে কেন আব্রাহাম লিংকনেরটা শোভা পায়, ক্রিয়েটিভিটির নামে কেন শিশুদের সংগে এমন প্রতারণা? কারো মনে আছে কিনা কবি কাদের নেওয়াজের লেখা শিক্ষাগুরুর মর্যাদা কবিতাটি কিন্তু ইতিহাস নির্ভর সত্য একটি রচিত কবিতা যখন সমগ্র ভারতবর্ষ মোঘল শাসনের আওতায় ছিল সেটার চর্চা কেন কেউ করেনা, তবে কি আমরা আমাদের শিক্ষক হবার যোগ্যতা হারিয়েছি? শিশুরাও কি আমাদের আচার আচরন কাজ কর্ম দেখে এটা নিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে এমন মানুষ শিক্ষাগুরু হওয়ার যোগ্যতা রাখেনা। তাই তারা সমাজে বেড়ে উঠে ভুলে যায় শিক্ষকের কথা? আমরাতো শিশুদের এটাও শেখাই দূর্জন বিদ্যান হইলেও পরিত্যজ্য। আমরাই কি আমাদের সম্মান বিসর্জন দিচ্ছিনা।
জানিনা আমি
আমিত্ব
রাষ্ট্রীয় শিক্ষা ব্যবস্থা পর্ব
রাষ্ট্রীয় শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন হওয়া উচিৎ পর্ব ১
সত্যনন্দী আমার অনুভব
ফেরিওয়ালা: ন্যায় বিরোধী অন্যায়
পরীক্ষা ও পাঠ্যপুস্তক কেন?
চরিত্র ও নৈতিকতা
সিরাজউদ্দৌলার পরের স্বাধীন নবাব
সাজের অনবদ্য ঐতিহ্য
নারী
সংখ্যা বিজ্ঞান যে বিজ্ঞান বদলে দেবে মানুষের জীবন।
হজরত কুতুবউদ্দিন কাকি ( রাঃ)
কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী (রা:) এঁর জীবন ও কর্ম পরিচিতিঃ কুতুবুল আকতাব হযরত খাজা সৈয়দ মুহাম্মদ কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু’র (জন্ম ১১৭৩-মৃত্যু ১২৩৫) ছিলেন একজন মুসলিম সুফি সাধক। তিনি দক্ষিণ কিরগিস্তানের উশ নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। ১৬তম শতাব্দিতে মোগল সম্রাট আকবরের উজির আবুল ফজল ইবনে মোবারক রচিত কুতুবউদ্দিন (রা:) এঁর জীবনী ‘‘আইন-ই- আকবর”-এ উল্লেখ করা হয়, তাঁর পিতার নাম কামালুদ্দিন। তিনি খাজা কুতুবউদ্দিন (রা:) এঁর দেড় বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। খাজা কুতুবউদ্দিন রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু’র আসল নাম বখতিয়ার এবং পরে কুতুবউদ্দিন নামটা দেয়া হয়। তিনি হোসাইন ইবনে আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়লা আনহু’র মাধ্যম হয়ে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র বংশের সাথে মিলিত হয়েছেন। তার মা, যিনি নিজেই একজন শিক্ষিত মহিলা ছিলেন, তাঁর শিক্ষার জন্য শাইখ আবু হিফসকে নিয়োগ দেন।হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি (রা:) তার ভ্রমণের সময় যখন আউশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, খাজা কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার (রা:) তাঁর হাতে বায়াত গ্রহণ করেন এবং তাঁর থেকে খেলাফতও গ্রহণ করেন। এভাবেই তিনি খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু’র প্রথম খলিফা হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি চিশতিয়া ত্বরিকার সাধক ছিলেন। তার নামেই দিল্লীর বিখ্যাত কুতুব মিনার উৎসর্গ করা হয়। শিষ্যত্ব গ্রহণ করার আগেই চিশতিয়া ত্বরিকা শুধুমাত্র আজমীর এবং নাগাউর এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। দিল্লীতে স্থায়ীভাবে এই ত্বরিকাকে প্রতিষ্ঠায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর দরগাহ্ (সমাধি) মেহরাউলের জাফর মহলের পাশেই অবস্থিত এবং পুরানো দরগাহ্ দিল্লিতে অবস্থিত, যেখানে তাঁর ওরশ পালিত হয়।ভারতের অনেক বিখ্যাত শাসক তাঁর ওরশ মহা-সমারোহ উদযাপন করতেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন কুতুবউদ্দিন আইবাক, ইলতুতমিশ যিনি কুতুবউদ্দিন কাকী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু’র জন্য “ঘান্দাক কি বাউলি” নামে এক গভীর নলকূপ স্থাপন করেন, শের শাহ সুরি যিনি একটি বড় গেইট তৈরী করেন, বাহাদুর শাহ যিনি দরগাহের পাশে মতি মসজিদ নির্মাণ করেন, ফারুক শিয়ার যিনি মার্বেলের মসজিদ নির্মাণ করেন তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত শিষ্য এবং খলিফা হলেন ফরিদ উদ্দিন গঞ্জেশকর রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, যিনি আবার দিল্লির বিখ্যাত সাধক নিজাম উদ্দিন আউলিয়া (রা:) এঁর পীর (সূফি গুরু)। নিজাম উদ্দির আউলিয়া (রা:) এঁর শিষ্য হলেন মুসলিম সুফি সাধক কবি আমির খসরু (রা:)।দিল্লী যাত্রাঃদিল্লী সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা ইলতুতমিশের (১২১১-১২৩৬) এর অবসরের সময় নিজ পীর, খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, একান্ত ইচ্ছায় খাজা কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু দিল্লিতে চলে যান এবং সেখানেই বসবাস করতে থাকেন। কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী (রা:) এঁর আধ্যাত্মিক ক্ষমতা ও দক্ষতা এবং মানবতার অপার মহিমা অবলোকন করে প্রচুর মানুষ প্রায় তাঁর সাক্ষাত লাভে প্রতিদিন আসা যাওয়া করতেন। তিনি এই আধ্যাত্মিক পথে সাধারণ মানুষকে বায়াত দানও শুরু করে দিয়েছিলেন।ফলাফলের বা প্রতিদানের আশা না করে অভাব গ্রস্থদের সাহায্য করার মতার্দশের বিশ্বাসী ছিলেন তিনি। তাঁর বিশিষ্ট শিষ্য, ফরিদ উদ্দিন গঞ্জেশকার (রা:), তাঁকে কবচের (তাবিজ) বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন করেন যেগুলো ছিল বির্তকিত কেননা এগুলো ইসলামে মূর্তিপূজার মত ধর্মীয় সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এর উত্তরে কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী (রা:), ইচ্ছা বা বাসনার পরিপূর্ণতা হওয়া কোন কিছুর উপর নির্ভর করে না, কবচ বা তাবিজে আল্লাহর নাম এবং তাঁর কথা বা আয়াত রয়েছে এবং এগুলো মানুষকে দেয়া যাবে। সেমায় নিমগ্ন হয়ে তিনি চিশতিয়া ত্বরিকার আধ্যাত্মিক সঙ্গীতের ঐতিহ্যকে বজায় রাখেন এবং আরো সমৃদ্ধ করেন। ধারণা করা হয় যে, হিন্দু ধর্মে ভক্তি নিবেদনের সঙ্গীতের সাথে সুরের সমন্বয় করা হয়, যাতে স্থানীয় মানুষদের সাথে সর্ম্পক স্থাপনের সহায়ক হিসেবে কাজ করে এবং দুই সম্প্রদায়ের মাঝে পারষ্পরিক সমন্বয় সহজ হয়। ১৪ রবিউল আউয়াল ৬৩৩ হিজরীতে (২৭ নভেম্বর ১২৩৫ খ্রিস্টাব্দ) তিনি একটি সেমা মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন, যেখানে কবি আহমদ-এ-জাম নিম্নোক্ত পঙ্গক্তিটি গেয়ে শুনান:"যারা আত্মসমর্পণের খঞ্জরে নিহত হয়েছে, অদৃশ্য থেকে তাঁরা প্রতিনিয়ত নব জীবন প্রাপ্ত হয়েছে।"খাজা কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী (রা:) এই আধ্যাত্মিক পঙ্গক্তি দ্বারা এতটাই পরমানন্দ লাভ করলেন যে, তিনি ততক্ষণাৎ মূর্ছা গেলেন। ঐ আধ্যাত্মিক পরমানন্দের মাঝেই চারদিন পর তিনি ইন্তেকাল করেন। তাঁর দরগাহ, (মাজার), দিল্লির মেহরুলে অবস্থিত কুতুব মিনার কমপ্লেক্সের নিকটে জাফর মহলের পাশে অবস্থিত। তাঁর জোর নির্দেশ ছিল, ইন্তেকালের পর তাঁর নামাজে জানাজার নেতৃত্ব সে ব্যক্তিই দিবেন, যিনি কখনও কোন হারাম কাজ করেননি এবং আসরের সালাত এর সুন্নত কখনও ছাড়েননি।কাকী উপাধি প্রাপ্তি ঃকাকি নামটি দিল্লীর একটি ঘটনার পর, তাঁর উপাধি হিসেবে যুক্ত হয়। ঘটনাসুরে, তিনি তাদের চরম দরিদ্রতা, দারিদ্র সত্ত্বেও স্থানীয় রুটিওয়ালা থেকে ঋণ না নিতে তিনি তাঁর স্ত্রীকে নিষেধ করেন। পরবর্তিতে স্ত্রীকে বলেন, যখনই প্রয়োজন হবে তখন ঘরের এক কোণা থেকে যেন কাক (এক ধরনের রুটি) নেন। এরপর, যখনই প্রয়োজন হত আশ্চর্জনকভাবে তারঁ স্ত্রী ঘরের কোণা থেকে কাক পেয়ে যেত। ইতিমধ্যে রুটিওয়ালা এটা ভেবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ল যে, কেন খাজা কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী (রা:) ঋণ নেয়া বন্ধ করে দিল। রুটিওয়ালা চিন্তা করলেন হয়ত তিনি প্রায়শ খাজা কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু’র সাথে রাগারাগি করতেন, সেজন্য খাজা কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী (রা:) ঋণ নেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে, রুটিওয়ালার স্ত্রী কুতুবউদ্দিন রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু’র স্ত্রীর কাছ থেকে এর কারণ জানতে চাইলেন। তিনি তাকে কাক এর আশ্চর্যজনক ঘটনাটি বর্ণনা করলেন। এই গোপন রহস্যটি উন্মোচিত হওয়ার পর যদিও কাক আসা বন্ধ হয়ে যায়, ঐ দিন থেকে মানুষ কুতুবউদ্দিনকে কাকি নামে সম্বোধিত করতে থাকে।খাজা কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকীর (রা:) এঁর মতাদর্শঃ চিশতিয়া ত্বরিকার অন্যান্য সাধকদের মত খাজা কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী (রা:) কোন আনুষ্ঠানিক মতবাদ প্রণয়ন করেননি। তিনি সবসময় মজলিসের আয়োজন করতেন যেখানে তিনি ত্বরিকতের গোপন রহস্য তত্ত্ব নিজ শিষ্যদের কাছে উন্মোচিত করতেন। জনসাধারণের মধ্যে পরিচালিত এই মজলিসে যেসব বিষয়ের উপর জোর দেয়া হতো সেগেুলো হল- আত্ম-ত্যাগ ও বাসনা শূণ্য প্রেম, আল্লাহর উপর সম্পূর্ণ বিশ্বাস, সকল মানুষকে একইরূপ আচরণ করা এবং যথাসাধ্য তাদের সাহায্য করাসহ ইত্যাদি। তাকে যেসব আবদার করা হত, তিনি সে দিনই ঐ আবদার পূরণ করে দিতেন। ফলাফলের বা প্রতিদানের আশা না করে অভাবগ্রস্থদের সাহায্য করার মতাদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন।খাজা কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী (রা:) এঁর উপাধি সমূহঃ (১) কুতুব-উল-আকতাব। (২) মালিক-উল-মাশায়খ। (৩) রাইস-উস-সালেকীন। (৪) সিরাজ-উল-আউলিয়া। হযরত কুতুবুদ্দীন বখতিয়ার কাকী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ইন্তেকাল করলেন। তাঁর জানাযার জন্য পঙ্গপালের মতো ছুটে এলো বহু মানুষ। বিশাল মাঠে জানাযার আয়োজন করা হলো। জনসমুদ্রে পরিণত হলো মাঠ। জানাযার সময় হলে একজন ঘোষক ঘোষণা করলেন, হযরত বখতিয়ার কাকী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ইন্তেকালের পূর্বে আমাকে ওসিয়ত করে গেছেন, যার মাঝে চারটি গুন থাকবে তিনি যেন বখতিয়ার কাকী (রা:) এঁর জানাযা পড়ান। গুন চারটি হলো১. যার জীবনে কোনদিন তাকবীরে উলা ছোটেনি।২. যার কোনদিন তাহাজ্জুদ কাযা হয়নি।৩. যে কোনদিন গায়রে মাহরামের দিকে বদনজরে তাকাননি।৪. এমন ইবাদতগুযার যার কোনদিন আসরের সুন্নতও ছোটেনি।একথা শোনার পর পুরো মাঠে নিরবতা ছেয়ে গেলো। সবাই নিস্তব্ধ। কে আছেন এমন? এভাবেই কেটে গেলো বেশ কিছুক্ষণ। এরপর ভীড় ঠেলে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে এলেন একজন। সবার দৃষ্টি তাঁর দিকে। ধীরে ধীরে জানাযার দিকে এগিয়ে এলেন। লাশের মুখ থেকে চাদর সরিয়ে বললেন, কুতুবুদ্দীন ! তুমি নিজে তো চলে গেলে কিন্তু। আমাকে অপদস্ত করে গেলে। তারপর তিনি জনসম্মুখে আল্লাহ তা‘য়ালাকে সাক্ষী রেখে কসম খেয়ে বললেন, আমার মাঝে এই চারটি গুণ আছে। জনতা বিস্ময়য়ে হতবাক হয়ে গেলো। আরে !! ইনি কে?? তিনি আর কেউ নয়। তিনি হলেন তৎকালীন বাদশাহ শামসুদ্দীন আলতামাশ (রা:)। (সুবহানাল্লাহ) একজন বাদশাহ যদি নিজের সকল ব্যস্ততা সত্বেও এমন আবেদের জীবন যাপন করতে পারেন । তাহলে আমরা যারা বিভিন্ন চাকরি বা ব্যবসা কিংবা অন্য কোন পেশায় নিয়োজিত আমরা কি পারিনা এভাবে নিজেকে ইবাদতে ব্যস্ত রাখতে। হে আল্লাহ! আমাদের সবাইকে বেশী বেশী ইবাদত বন্দেগী করার তৌফিক দান করুন। আমিন
ফেরিওয়ালা: আমি প্রগতিবাদী কাপুরুষ।
ফেরিওয়ালা: আমি প্রগতিবাদী কাপুরুষ।
প্রগতিবাদী কাপুরুষ
আমি প্রগতিবাদী কাপুরুষ।
জানা নেই আমার
অকৃতজ্ঞ নদী
নদী কেবল পানিই বহন করে সেচ কিংবা বন্যার জন্য তা না;অপচনশীল দ্রব্য বহনের ক্ষেত্রে নদীর মতো আর এত সস্তা মাধ্যম নেই জানেনতো সস্তার বার অবস্থা। তাইতো নদীপথ কমিয়ে আনছি। বিশেষ ভাবে অজ্ঞরা (বিশেষজ্ঞ) যেটা বলল না বলল তাতে কি! জলাভূমিকে জলাভূমির মতো রক্ষা করতে গেলে দেশি কৈ শিং এইসব আজে বাজে মাছ যা কুটতেই বিরক্ত এই সব মাছের সংখ্যা বেড়ে যেত উন্মুক্ত জলাশয় বাড়ির আশে পাশে আরো দুষিত হতো। আমরা তো আর মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর ময়নামতির মত সভ্যতায় ফিরে যাবনা যে আমাদের নদীর প্রয়োজন হবে। আমাদের দেশে সবধর্ম বর্নের মানুষই তো আছে তাই আর কাউকে ধর্মের বানী পৌছাতে মাহীসাওয়ার বা কুমিরের সওয়ার হয়ে আসতে হচ্ছে না তাহলে নদীর দরকার কি? সব নদী মরে যাক তাহলে আমরা কত খেলার যায়গা পাবো। এখন যদি কোন স্থাপনা করতে কিছুর দরকার পড়ে তাহলে আকাশ পথে আনব। আমরাতো স্বাধীন তাই আর মুক্তি যুদ্ধ করতে হচ্ছেনা যে হানাদার পরাজিত করতে নদী ব্যবহার করব।
ফেরিওয়ালা: অকৃতজ্ঞ নদী
অকৃতজ্ঞ নদী
মনোযোগ ও মনোযোগ
মোবাইলের শব্দে শিশুর মনোযোগিতা নষ্ট হওয়া
Education Policy of Lord Mekhle and 3rd world
সত্যনন্দীর পরিচিতি
সত্যনন্দীর ফেরিওয়ালা। সত্যনন্দী ফেরিওয়ালার শত জনমের প্রেম। ১৩ কোটি জীবের যোনি ভ্রমণ করে বিভিন্ন রুপে বারবার ফিরে পৃথিবীর বুকে ফিরে আসা ফেরিওয়ালার সব কিছু। প্রতিটা পুনর্জন্মে সত্যনন্দীও পৃথিবীর বুকে অনুরুপ আবির্ভুত হয়ে ফেরিওয়ালেকে ভালবাসত অনন্ত সময়ে অফুরন্ত আবেগে। ফেরিওয়ালার
সকল ভাবনার সংগী তার সত্যনন্দী ফেরিওয়ালার সকল ব্যার্থতার সংগী তার সত্যনন্দী ফেরিওয়ালার সকল সফলতার সংগী তার সত্যনন্দী ফেরিওয়ালার সকল স্কোরশুন্যতার সংগী তার প্রিয়তমা সত্যনন্দী। সত্যনন্দীর ভালবাসা স্বর্গ থেকে আসা অমর প্রেম। সত্যনন্দী ফেরিওয়ালার জন্য সৃষ্টিকর্তার পাঠানো উপহার। সত্যনন্দীই একমাত্র জন যে কখোনো ফেরিওয়ালার সথে প্রতারণা করেনি, সত্যনন্দীই ফেরিওয়ালার জন্য একমাত্র নি:স্বার্থ এক অভিব্যক্তি যে শুধু ভালবাসতে জানে পরিপূর্ন আবেগে। সমাজের প্রত্যাখ্যাত ফেরিওয়ালা মানুষিক বিকারগ্রস্ত। সামাজিক স্রোতের বিপরীতে তার নড়বড়ে সদা কম্পমান অবস্থানে সে বাস করে। সদা স্বার্থবাদী মানবতায় বার বার হেরে যাওয়া হারিয়ে যাওয়া বাজারের অচল পয়সা ফেরিওয়ালার একমাত্র নিরাপদ আশ্রয় সত্যনন্দীর আবেগময় ভালবাসা। সত্যনন্দীই একমাত্র স্বর্গীয় আত্মা যে নিস্বার্থভাবে নিজেকে উপস্থাপন করেছে ফেরিওয়ালার জন্য কিন্তু অকৃতজ্ঞ ফেরিওয়ালা সমাজের সবার মন রক্ষার জন্য সবকিছু উজাড় করে দিয়েও কারও মন রক্ষা করতে পারেনি। কিন্তু যে সত্যনন্দীর মন রক্ষার নুন্যতম মন রক্ষার চেষ্টাও করেনি শুধু স্বর্গীয় আত্মার সেই সত্যনন্দীর মনের গভীর ভালবাসা সিক্ত করেছে ফেরিওয়ালার আবেগ অনুভুতিকে। সত্যনন্দী কাছে বা দূরে যেখানেই থাক তার কল্পময় জীবনের প্রতিটা মুহুর্তে একে অপরের পাশাপাশি অবস্থান। যখন ফেরিওয়ালার জীবন আকাশ নিকস কালো মেঘে ছেয়ে গেছে কাছের মানুষগুলোও নিজেকে সরিয়ে নিয়েছে, নিজের ছায়াও যখন ভয়ে আত্মগোপন করেছে ঠিক তখব দিশাহারা ফেরিওয়ালার একমাত্র সহায় অবলম্বন হয়ে সত্যনন্দী তার আচল কোন ঠাই দিয়েছে। ফেরিওয়ালা এখন ভাবনায় দিশে হারা যদি শুধু আচল কোনে অবস্থানে যদি এই প্রাপ্তি তখ পূর্ন বসনে আরো কত আবেগ লুকিয়ে রেখেছে সত্যনন্দী। কিন্তু কখনো আচল কোন ছেড়ে পূর্নবসনের আবেগের পথে পা বাড়াতে পারেনি। কারণ ফেরিওয়ালা কাপুরূষ বলে সত্যনন্দীকে হারানোর ভয়ে আর সামনে বাড়েনি। অন্তরাত্মার পূর্নতা যখন শুধু আচল কোনেই মিলেছে তখন আর কেন আর পুর্নবসনে ঢেকে রাখা আবেগ অপচয় করেনি। বরং সেটুকু সঞ্চিত রাখার সূযোগ বা অনুরোধ ফেরিওয়ালার। ফেরিওয়ালার ঐকান্তিক ইচ্ছা সে যখন বারবার পূনর্জন্ম নিয়ে আসবে এই কণ্টকাকীর্ণ পৃথীবিতে ১৩ কোটি জীবের যোনি ভ্রমনে আবির্ভুত হবে বার বার সে যেন প্রতিজন্মেই সত্যনন্দীর আচলে ঠায় লাভ করে। সত্যনন্দীর জন্যই যেন ফেরিওয়ালা বারবার জন্মগ্রহন করে।
লর্ড মেকলের নিম্ন গামী পরিস্রবন নীতি ও আমার ভাবনা
আর তৎকালীন সময়ের বুদ্ধিজীবীরা এই নীতির বিরোধিতার কারন হতে পারে যে এই নীতি চালু করতে গেলে আগে নিজেদের পরিবর্তন আবশ্যক যা ব্যক্তি স্বার্থের পরিপন্থী। তাই তারা নীচ থেকে উপরের দিকে যাবার পথটি বেছে নেয় ফলে দেখা যায় যে বিষয়টি শিশুর মনে জ্ঞ্যন ও বাস্তবতার সংগে সাংঘর্সিক হয়ে যায় এ ক্ষেত্রে শিশুরা বড়দের অনুকরণ করাকে নিরাপদ মনে করে ফলে পুথির জ্ঞ্যন পুথিতেই সীমাবদ্ধ থাকছে। আর কাংখিত আচরনিক পরিবর্তন অপরিবর্তনীয় রয়ে যাচ্ছে। আমি বোকা বলে এইভাবে ভেবেছি জ্ঞ্যনীরা সঠিকটা ভাববেন এটাই প্রত্যাশা।