বাংগালী জাতি হিসাবে বীরের জাতি যদিও বা আলেকজান্ডার বা নেপোলিয়ন এর মত বীরত্বপূর্ন ব্যক্তিত্ব এই জাতির ইতিহাসে জানা যায়না তবুও এই জাতির বীরত্বগাথা সর্বজন বিদিত। নিকট অতীতে এমন একজন ব্যাক্তিত্ব এই জাতির পথ প্রদর্শক হিসেবে আবির্ভুত হয়েছিলেন যে তার একটি ভাষন সাড়ে সাত কোটি মানুষকে একই কাতারে এনে দাড় করিয়ে ছিলেন। এ জাতি কখনো পরাক্রমশালী নয় তবে আত্মরক্ষার্থে এরা ছিল কঠোর। এরা লোভী ছিলনা ছিল নি:স্বার্থ পরপোকারী। বাহুল্যতা ছিলনা তবে প্রাচুর্য ছিল। ভোগবিলাসী ছিলনা তবে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ ছিল। ধার্মিক ছিলনা তবে কপট ভন্ডামীও ছিলনা। মহানুভব ছিলনা তবে মানবিক ছিল। প্রাচুর্য্য সৌন্দর্য আর ভোজনরসিক এই বাংগালী জাতির উপর হিংসা বিদ্বেষ আর লোভ ছিল সকলের। বার বার আক্রান্ত হতো বর্গী মারাঠা বা অন্য কোন জাতি দ্বারা দূর্দমনীয় এই জাতিকে দমন করতে না পারার গ্লানি নিয়ে বিভিন্ন সময় কুট কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে তারা। এমনকি সংকর বাংগালী জন্ম দেবার জন্য তারা ধর্ষন বা কপট প্রেমের আশ্রয় নিয়ে নিজেদের লালসার বীজ রোপন করে বাংগালী ললনার গর্ভে। অতিথি পরায়ন অতিথি নারায়ন ভেবে বিষয়টি নেতিবাচক ভাববার অবসর পায়নি। হয়ত তৃতীয় চতুর্থ বা পঞ্চম পুরুষে এসে বোধদয় ঘটে যখন মীর্জাফর আবির্ভূত হয়। নবাব পরাজিত হয় এমনই এক মীরজাফর এর ঘৃন্য চক্রান্তে। যাকে আমরা বলি বিশ্বাসঘাতক। বাংগালীর উপর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর শাসন একদিনো টিকতনা কিন্তু শত বছর টিকেছিল কোম্পানী শাসন কারন এদেশের কিছু দালাল বিশ্বাসঘাতক ব্রিটিশদের সহায়তা করেছিল যাদের জন্ম হয়ত কপট প্রেমের বীর্যপাতে জন্ম হয়েছিল। আমরা ক্ষুদিরাম বসুর আত্মত্যাগকে স্মরণ করি কিন্তু অনেকেই আজো জানিনা যে ক্ষুদিরাম বসু ধরা পড়েছিলেন আপন ভগ্নিপতির বিশ্বাসঘাতকতায়। সেই কারনে তার এক ঘনিষ্ঠ সহচর আত্মহত্যা করেছিলেন ক্ষোভ আর অভিমানে। ১৭৫৭ সালের পরে যতটি আন্দোলন হয়েছিল তা সফলতার মুখ দেখেনি বা ব্যার্থ হবার একমাত্র কারণ ছিল নিকটজনের বিশ্বাসঘাতকতা। আমরা বিশ্বাস ঘাতকতার সর্বোচ্চ করুন পরিনতি হলো জাতির পিতার স্বপরিবারে নিহত হওয়া। আসলে বাংগালী জাতি সমৃদ্ধি অর্জন করেছিল শুধু তার সততা, সত্যবাদিতা ও সৎ জীবন যাপনের জন্য। আর তাদের মেধা ও মনন ছিল দৈব প্রদত্ত। আর তাদের মেধা ও মননশীলতার প্রয়োগক্ষেত্র ছিল নিকট প্রকৃতি ও পরিবেশ। একজন প্রকৃত বাংগালী সবসময় সয়ংসম্পূর্ন শুধু তার ব্যার্থতার পেছনে মূল কারণ হলো তার নিকটজনের বিশ্বাসঘাতকতা। অর্থাৎ একজন বাংগালী যদি হয় দেবসন্তান তবে বিশ্বাসঘাতক হলো অশুরপুত্র। বর্তমানে একজন বাংগালীর যেটুকু ব্যার্থতা তার মূল কারণ কিন্তু অন্যের বিশ্বাসঘাতকতা। যদি কেউ মনে করে যে নিদৃষ্ট একটি অনুভুতি সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ তবে জেনে রাখতে বাংলা ভুখন্ড এবং বাংগালী হলো তার পরীক্ষাগার। নিকটতম অনেক রাষ্ট্র বাংগালীর বুদ্ধিমত্তাকে চরম ভয় পায়। সে কারণে তারা বাংগালীর ধংস্ব নিশ্চিত করতে যথেষ্ট আয়োজন করেছে। কারন এই জাতিকে ধংস্ব করতে হলে এই যুবসমাজ ধংস করতে হবে। এ কারনেই হাতের নাগালে মাদকের সহজপ্রাপ্তি। বাংগালীর প্রাণের সংগঠনে অশুর পুত্রের কার্যকলাপ জাতিকে বিভ্রান্ত করছে অনৈতিক কার্যকলাপ দ্বারা। ইহুদীর মত বিতাড়িত সম্প্রদায় চোরাচালানে ধ্বংস করছে অর্থনৈতিক মেরুদন্ড। হয়ত পলিসি লেভেল এ অবস্থান করে বিশ্বাসঘাতকতা করছে ভুখন্ডের সাথে। যে ভূখন্ড স্বর্গতূল্য তা নরকে পরিণত করতে সক্রিয় রাবনের বংশধরেরা। রাবনদের ধ্বংসযজ্ঞের বলী জাতির পিতা ও শেখ ফজলুল হক মণি। পিতা বেচে থাকলে জাতির উপর প্রভূত্ব করতে পারতনা রাবনের বংশধরেরা। আর মনি জীবিত থাকলে যুবসমাজকে ধ্বংস করতে পারতনা রাবনপুত্ররা। আমি বিশ্বাস করি মনি বেচে থাকলে একেকজন যুবক হত দেশের রক্ষাকবজ ও সমাজ বিনির্মানের জীবন্ত হাতিয়ার। সেখানেও বাধা মীরজাফর বিশ্বাসঘাতকদের বিশ্বাস ঘাতকতা। এই বিশ্বাসঘাতকদের চেনা খুব সহজ কারণ এদের আচরন হলো আসল পরিচয়পত্র। যেমন ঘুষ নেবে এবং দেবার জন্য উৎসাহিত করবে, নিজে দূর্নিতী করবে এবং করার জন্য উৎসাহিত করবে। অন্যায়কে প্রশ্রয় দিবে এবং উৎসাহিত করবে। বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে এবং আত্মকলহ উস্কে দেবে। মুখে মধু অন্তরে বিষ লালন করবে।
চলমান.......
Adsense
বাংগালীর অন্তরায় বিশ্বাসঘাতকতা
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment