google-site-verification: google90012c42a1ba93ca.html

google-site-verification: google90012c42a1ba93ca.html

পথ ভুলে যাই।

চলার পথে চলতে চলতে আমরা ভুলেই গেছি কোন পথে কোন গন্তব্যের লক্ষ্যে চলছি নাকি হাজার পথের হাতছানি দিক ভুলিয়ে দিয়েছে। যে পথেই চলি কিছুদিন পর সেটাকেই ভুল মনে হয়। আবার নতুন করে যাত্রা শুরু আবার পথ ভোলা। যদি সকল বিনিয়োগ সকল সামর্থ্য শুধু যাত্রার শুরুতেই শেষ হয়ে যায় তবে গন্তব্যে পৌছাব কি করে আমরা? সৎ হওয়া যত সহজ সৎ থাকাটা তত সহজ নয়। কিন্তু সৎ জীবন যাপনে যে মানসিক প্রশান্তি তা সৎ মানুষ ছাড়া আর কেউ বোঝেনা। আমার চলার পথ মসৃণ কখোনোই ছিলনা সকল সময় দু:সময় দু:সহ যন্ত্রণায় পার করতে হয়েছে। স্বপ্ন পূরনে একমাত্র ভরষা মহান সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কেউ সাথী ছিলনা। যাদের পাশে থাকার কথা তারা নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে প্রমাণ করেছে কেউ কারো নয়। কতটা ব্যার্থতা বুকে নিয়ে একজন মানুষ বেচে থাকে তা শুধুমাত্র ব্যার্থ হয়ে বেচে থাকা মানুষেরাই জানে। কেউ স্বতঃফুর্ত ভাবে পাশে এসে হাত বাড়ায়নি। মুহুর্মুহ অবহেলা অবিশ্বাস অকৃতজ্ঞতা আর মানসিক যন্ত্রণায় ঝঞ্জার পতে উড়ে গেছি। আর্তনাদ এর হাহাকার কারো কর্ণকুহরে পৌঁছায়নি। আত্মহনন ছাড়া কোন বিকল্প ভাববার সুযোগ হয়নি। তবুও হেরে যেতে চাইনি। কিন্তু যখন পারিপার্শ্বিকতা হারিয়ে দিতে চায় তখন কে সেই পরাজয় ঠেকাতে পারে? পারে শুধু নি:স্বার্থ আপনজন। যে ভূবনে পিতা স্বার্থ ছাড়া সন্তান জন্ম দেয়না, মাতা স্বার্থ গর্ভধারণ করেনা, সৃষ্টিকর্তা স্বার্থছাড়া সৃষ্টি করেনা সেখানে নিঃস্বার্থ আপনজন কোথায় পাব। যাদের কে চিরজীবন এর জন্য আপন করে নেবার প্রত্যায় ব্যক্ত ছিল তারাও একটি নির্দৃষ্ট সময় শেষে বুঝিয়ে দিয়েছে আমি অপ্রয়োজনীয় সামাজিক অংশ, স্বপ্নে যার সূচণা স্বপ্নভংগে তার পরিসমাপ্তি। আজ আর নিজের চোখকে বিশ্বাস করিনা কারণ সে সুন্দরের পুজারী কানকে বিশ্বাস করতে পারিনা কারণ তারা শুধু আমি আমার শুনতে চায়, হাতকে বিশ্বাস করতে পারিনা কারন সে সঠিক সংগীকে আগলে রাখতে পারেনা। মন কে আর বিশ্বাস করিনা কারন আবেগাপ্লুত হয়ে সে ভাল মন্দের ব্যবধান করতে পারেনা, পা দুটোকে আর বিশ্বাস করিনা কারণ সে সঠিক পথ খুজে চলতে পারেনা, এই দেহকে আর বিশ্বাস করতে পারিনা কারণ সে ভবের মমতা ছাড়তে চায়না। আজ বিশ্বাস নেই সাহস নেই সামর্থ্য নেই। সব চেয়ে বড় কথা নিজেই নিজের হতে পারিনি। তাই অন্যের দোষ নেই সবাই নির্দোষ