google-site-verification: google90012c42a1ba93ca.html

google-site-verification: google90012c42a1ba93ca.html

ভাল শিক্ষক

একজন শিক্ষককে সবার আগে শিক্ষার্থী হওয়া জরুরী। অনেকে মনে করেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রশিক্ষণ  এমন কেন? আসলে একজন শিক্ষক যদি ভাল শিক্ষার্থী হতে না পারে তবে তিনি কখনো ভাল শিক্ষক হতে পারবেননা। এখন প্রশ্ন হলো ভালো শিক্ষক বলতে  কি বোঝায়? আসলে ভাল শিক্ষক হতে হলে প্রথমত আপনাকে শিশু হতে হবে। শিশুর মানষিকতা বুঝতে হবে। শিশু যদি আপনাকে আপন ভাবতে না পারে তবে কখনো আপনি ভাল শিক্ষক হতে পারবেননা। গোমড়া মুখো মানুষের কাছে শিশুদের কিছু পাওয়ার থাকেনা। একজন গোমড়া মুখো মানুষ শিশুকে যত ভাল কথায় বলুক সেটা তার কাছে নিমের রস মনে হবে। শিশু চায় শিক্ষক আমাকে বুঝুক আমার বন্ধুবর হোক।  একজন ভাল শিক্ষক শিশুর কাছ থেকে শেখে কিন্তু শিশুকে শেখানোর চেষ্টা করেনা শুধু উৎসাহ প্রদান করে। আর এই উৎসাহ শিশুর ভাববার পরিধি বাড়ায় এবং শেখার প্রতি আগ্রহী করে তোলে। একজন ভাল শিক্ষকের কাজ শিশুকে আগ্রহী করে তোলা।  কিন্তু শিক্ষক শেখাতে চেষ্টা করে আর এইখানেই সমস্যা শুরু হয়। কেউ কারো কাছ থেকে কিছু শিখতে চায়না কিন্তু যেটা তার প্রয়োজন সেটা কিন্তু ঠিকই অন্যকারো কাছে হোক বা বার বার চেষ্টা করে হোক সে ঠিকই শিখে নিবে। তাই শিশুকে শেখানোর দরকার নেই শুধু শেখার প্রয়োজনটা অনুধাবন করাতে পারলেই হলো বাকি কাজ সে এমনিতেই করে ফেলবে। শিক্ষকের বড় সমস্যা হলো তিনি মনে করেন তিনি যত তাড়াতাড়ি অনুধাবন করতে পারলেন শিশুও তাই পারবে কিন্তু তা নয়। শিশুর সময় লাগবে তাই তাকে চেষ্টা করার পর্যাপ্ত সুযোগ দিতে হবে। প্রশ্ন করেই উত্তর প্রত্যাশা করা যাবেনা। তাকে  প্রশ্ন বোঝার পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। তার মাথায় চিন্তা করার সুযোগ দিতে হবে। মনে রাখতে হবে যত সুযোগ বেশি দিবেন তত ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাবে। একজন ভাল শিক্ষক সব সময় অনুপ্রাণিত করবেন প্রয়োজন অনুধাবন করাবেন প্রাচীনকালে শেখার জন্য শিশুদেরকে গুরুগৃহে পাঠানো হতো। কারণ গুরুর গৃহে থাকার ফলে শিশুর মানষিকতা যেমন গুরুরা বুঝতে পারতেন ঠিক তেমনি শিশুরাও গুরুকে অতি আপনজন ভাবত এবং নিজের ইচ্ছা অনিচ্ছা পছন্দ অপছন্দ স্বাচ্ছন্দ্যএ বলতে পারত। এবং যেহেতু সবসময় তারা গুরুর কাছাকাছি থাকত তাই গুরুরা তার শিষ্যকে প্রয়োজনীয় চ্যালেঞ্জ প্রদান করতে পারতেন। এবং শিশুরা সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে করতে নিজেদের জ্ঞ্যন শিক্ষা দক্ষতা বাড়াতে পারতো। এবং যেটা অর্জন করতে জীবনের কোন সময়েই তা ভুলতনা বরং দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগাত ফলে তাদের শিখন টেকসই হতো।