যদি কোন বাংগালীর কাছে কোন কিছু প্রত্যাশা করেন তবে তাকে পূর্ন স্বাধীনতা দিবেন। হয়ত স্বাভাবিক দৃষ্টিতে মনে হবে বিশৃংখলা হচ্ছে কিন্তু আসলে সেটা বিশৃংখলা নয়। বাংগালীর আত্মপ্রকাশের একমাত্র মাধ্যম হলো স্বাধীনতা। সে সবকিছু শেখেও স্বাধীন ভাবে সব কিছু করতেও চায় স্বাধীন ভাবে। যখন আপনি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে যাবেন তখনই তার স্বকীয়তা নষ্ট হয়ে যায় এবং মুল বা কাংখিত অর্জন ব্যহত হয়। যেটা আমার দেশের শিশুরা খেলতে খেলতে শেখে সেটা কোন কোন দেশে কিন্তু কারিকুলাম হয়ে যায়। আমাদের যে মানবিক বিপর্যয় তার পেছনে দায়ী আমাদের পরাধীনতা। যেমন আমার সন্তান যখন ধুলোর মধ্যে খেলাধুলা করে বা রান্না বাটি বা চড়ুই ভাতি খেলে আমরা ভদ্দর নোকেলা খেলতে দিয়না কারণ গায়ে মাটি ভরবে নোংরা লাগবে জীবানু আক্রমন করবে ইত্যাদী ইত্যাদী। কিন্তু ভাবুনতো আমার সন্তান যদি রান্নাবাটি বা চড়ুইভাতির মত খেলাগুলো না খেলে তবে তারা সংসার বা অতিথি আপ্যায়ন বা প্রতিবেশির প্রতি ভালবাসা এই কাজগুলো শিখবে কিভাবে? আমার শিশু আজ ডাংগুলী খেলতে পারলে তবেইতো সে ভবিষ্যতে গলফ খেলতে পারবে। এখন যদি কপাল ফাটার ভয়ে আপনি ডাংগুলি খেলতে না দেন তবে সে কখনই গলফ খেলোয়ার হতে পারবেনা। আজ যদি আমার সন্তান বাটুল ছুড়তে না পারে তবে সে বীর সেনা হিসাবে নিশানা ভেদ করবে কিভাবে? যদি আমার সন্তান বদন খেলতে না জানে তবে কিভাবে প্রতিদ্বন্দ্বীর চোখে ধুলো দিয়ে নিজের চতুরতা প্রকাশ করবে। আমার সন্তান যদি গাছে চড়তে না পারে কিভাবে তার উচ্চতাভীতি দূর হবে? খেলতে দিতে হবে আজ খেলতে না দিলে কাল সে সন্তান বিনোদনের মাধ্যম হিসাবে মাদক গ্রহন করবে এটাই স্বাভাবিক। আমি জানিনা কি লিখছি তবে অযৌক্তিক লিখছি তা নয়। আসলে ২১৩ বছরের গোলামীত্ব আমাদের স্বকীয়তা নষ্ট করেছে। আমাদের মানসিকতা গোলামীর শৃংখলা এমন ভাবে পরিয়ে দিয়েছে যে আমরা আর স্বাধীনতা পেয়েও স্বাধীন হতে পারছিনা কারণ আমরা মানসিক ভাবেই পরাধীন।
No comments:
Post a Comment