google-site-verification: google90012c42a1ba93ca.html

google-site-verification: google90012c42a1ba93ca.html

আমার সত্যনন্দী

ফেরিওয়ালা জীবন চলার পথে হোচট খেয়েছে বার বার ভেংগে পড়তে গিয়েও ভেংগে পড়েনি, বারবার প্রতারিত হয়েছে আবেগের কারণে। চলার পথ ছিল বন্ধুর। পৃথীবিতে বিচরন কালে বার বার আকাশ মেঘে ঢেকে গিয়েছে নিজের ছায়াও সাথ ছেড়েছে তবুও একা হয়ে যায়নি ফেরিওয়ালা দুয়ারে দুয়ারে ঘুরতে ঘুরতে জুতোর সুখতলী ক্ষয়ে গেছে তবুও তার আশা গুলো ক্ষয়ে যায়নি। বার বার দংশিত হয়েছে সমাজের অসামাজিক হিংস্র পশু ও সরিসৃপ দ্বারা তবুও বিষবেদনায় নীল বা আঘাত জনিত লাল হয়ে যায়নি, কাপুরুষের মত বার বার মারা গিয়েছে তবুও দীর্ঘশ্বাস বন্ধ করেনি আবার ঘুরে দাড়ানোর প্রত্যায়ে ঘুরে দাড়িয়েছে নতুন উদ্দ্যমে শুধু সত্যনন্দীর একান্ত ইচ্ছায়। তার পথ চলার অবলম্বন যখন স্বার্থ আর মনুষত্বের দ্বন্দ প্রকট হয়ে মনুষত্ব পরাজিত তখন নি:স্বার্থ সত্যনন্দীর বস্তুহীন চাহিদা তাকে উৎসাহ যুগিয়েছে তুমি পারবে তোমাকে পারতেই হবে। তুমি না পারলে পরা;হবে বিবেক নামক প্রানপাখি। যখন পাশের মানুষগুলো স্বার্থের টানে হিংস্র পশুর গলায় আপোষের মালা সপে দিয়েছে ছাদনাতলায় দাঁড়িয়ে তখন আর কিই বা করার ছিল ফেরিওয়ালার শুধু সত্যনন্দীকে বুকে ধারন করে একাকী চলেছে অমসৃণ পৃথীবির পথে। শুধু তার জন্য যে তাকে নি:স্বার্থ ভালবেসে গেছে অনন্তলোকে। শুধু তার কারনেই আজো ফেরি করে চলেছে ফেরিওয়ালা। ফেরিওয়ালার জীবনে ব্যর্থতা সেটাই যেটা তার সত্যনন্দীর কামনার বিরুদ্ধে। ফেরিওয়ালা জ্ঞ্যন দক্ষতা শুন্য একজন পথের পথিক যেখানে সে বিশ্বাস খুজে ফিরেছে সেখানেই হায়েনা বাসা বেধেছে শুধু একটি ভাবনা তাকে কুরে কুরে খেয়ে তীলে তিলে শেষ করে দিয়েছে কি হবে তার সীমানা অতিক্রমের সন্ধিক্ষন? শব যাত্রা নাকি দাফন নাকি কাঠের বাক্সে সযত্নে বন্দী নতুবা অথর্ব দেহ খানি নাকি ছাই হয়ে উড়ে যাবে সত্যনন্দীর ভালবাসার এই পিঞ্জর। ফেরিওয়ালার পুজোর থালা শুধু নাকি সত্যনন্দীর পূজা অর্চনায় প্রস্তুত সর্বদা। একমাত্র সত্যনন্দী ছাড়া ফেরিওয়ালার আকাশ মুখ থবড়ে মিশে যায় কল্পলোকের সবুজ বনানীর সাথে। সে আকাশ ভেষে থাকে শুধু সত্যনন্দীর অদৃশ্য সুতোর টানে। তাই হয়ত ফেরিওয়ালা সত্যনন্দীর পুজো অর্চনায় আপোষহীন।