নিমন্ত্রণ
খোকা যাবে বোনের বাড়ি,
বোনের বাড়ি খেতে,
যে যাইবে বোনের বাড়ি
সোনার হাঁস পেতে।
যে খোকাটি যেতে চায়
চলুক আমার সাথে,
বোনের বাড়ি মাছের ঝোল
ভাত মেখে খেতে।
মাছের ঝোলে কাঁচা লঙ্কা
ঝাঁঝে জিভ জ্বলে,
একগাছি পাট শাক দেবে
বোন ফেলে দিলে।
গাঁদা ফুলের মালা পরিয়ে
বোন করবে হেসে,
বোনের বাড়ি খাওয়াদাওয়া
হবে শেষে শেষে!
"নিমন্ত্রণ" কবিতাটি কবি জসীম উদ্দীন এর অন্যতম বিখ্যাত একটি রচনা। এটি একটি চিত্রময় ও আবেগঘন ছড়া যেখানে কবি গ্রামের নিমন্ত্রণের চিরায়ত দৃশ্যকে তুলে ধরেছেন। নিমন্ত্রণের আবহ এবং আন্তরিকতার সাথে গ্রামীণ জীবনের সরলতাকে সুন্দরভাবে প্রকাশ করেছেন। নিচে "নিমন্ত্রণ" কবিতাটি দেওয়া হলো:
নিমন্ত্রণ
– জসীম উদ্দীন
তোরা দেখিসনে আড়চোখে,
তোরা হেসে থুইলি মুখ,
আজি আমার ভাঙা কুঁড়ে
সাজবে শালার বউয়ের সুখ।
ওরা দেখে দেখে শিখুক
আমার ভাঙা ঘরের চালা,
তোরা দেখে যা রে শালা!
তোরা দেখে যা।
মাঠে আমার খোকারা সব
ধান কাটে গোছায়,
গাভিন গরু, ধেনু বাছুর
ঘরে ফিরে চায়।
বৌ শাশুড়ির ছায়া তলে
বসে কাঁদে রোদে,
খুকি আমার সোনামণি
মা মা ব’লে রোদে।
আজকে আমার ঘরের মাঝে
আনন্দেরই ঢল,
যে জন আছে ভাই-বন্ধু
সব্বাইকে রে বল।
এই কবিতায় গ্রামীণ জীবনের আন্তরিকতা ও সরল সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, যা মানুষের মনের গভীরে নিমন্ত্রণের আনন্দ এবং মমতাকে স্পর্শ করে।
No comments:
Post a Comment