Adsense

অস্তিত্ব পূনর্বিন্যাস

জীবন মানে সংগ্রাম, জীবন মানে যুদ্ধ, জীবন মানে যন্ত্রনা, অর্থাৎ একই জীবন নানা মানুষের কাছে নানা রুপ নিয়ে আবির্ভূত হয়েছে। একই প্রক্রিয়ায় আগমন প্রস্থান করলেও জীবন কিন্তু একই নয়। প্রতিটি মানুষ একেক প্রতিকুলতার মধ্যা দিয়ে চলতে চলতে একসময় জগৎ পরিবর্তন করে ঠিকই অর্থাৎ প্রস্থান করেই কিন্তু এই প্রস্থানের পূর্বে যে সময়টা অতিবাহিত হয়ে গেছে সে সময়টুকু যখন নিরপেক্ষভাবে বিশ্লেষণ করা যায় দেখা যায় তার প্রকৃত অবস্থান কি ছিল কেমন ছিল? ইতিবাচক বা নেতিবাচক বিশ্লেষণ হয়ত কাওকে নায়ক বা মহামানব রুপে প্রতিষ্ঠিত করে কাউকে বা ভিলেন হিসাবে। সে যাইহোক সবাই কিন্তু প্রতিযোগিতা করেই বাচে। এই প্রতিযোগিতা কখনো স্নায়ুবিক কখনো শারীরিক। কিন্তু এই প্রতিযোগীতা এক ধরণের হিংস্রতা। হয়ত হিংস্রতার মাত্রা কম বা বেশি হতে পারে তবে হিংস্রতা থাকতেই হবে। কেউ কেউ অহিংসক হন বা হিংসার প্রতি বিদ্বেষ পোষন করেন সারাজীবন অহিংস থাকার চেষ্টা করে জীবন পার করেন কিন্তু তিনি ভুলে যান হিংসার বিরুদ্ধে বিদ্বেষ সেটাও একধরনের হিংসা ফলে তিনিও নিজেকে অহিংস দাবী করার অধিকার রাখেননা। হয়ত দেখা যায় তিনি নিজেও হিংসার আক্রমনের স্বীকার হন। হয়ত আমরা সাধুভাষায় বলেন প্রতিবাদ আসলে প্রতিবাদ নয় এটাও হিংসা বা অনাকাঙ্ক্ষিতের প্রতি নেতিবাচক অবস্থান। কিন্তু এর সূচনা বা জন্ম কিন্তু আদি সৃষ্টির থেকেই সৃষ্টি। যারা আস্তিক তারাও ভুলে যান হিংসার জন্ম স্বর্গ থেকেই। যেহেতু নেতিবাচকতার স্থান স্বর্গে নয় তাই হয়ত সৃষ্টিকর্তা স্বর্গের নেতিবাচক অবস্থানগুলো মর্তে পাঠিয়ে দিয়েছন আর আমরা সেটাকে ঈমান বা আস্তিকতার পরীক্ষা হিসেবে লড়াই করে চলেছি যে লড়াই আমৃত্যু চলছে। আবার সকল লড়াই শুরুর মূল কেন্দ্র কিন্তু মানবের শরীরের কেন্দ্র থেকেই উৎপত্তি অর্থাৎ মানুষের পেট ও শরীরের বিশেষ অংগের কারণেই শুরু হয়। অর্থাৎ শরীরের চাহিদা থেকেই লড়াই এর সূচনা। আর এই লড়াইয়ে নিজেকে বিজয়ী করতে সকল দায় আমরা বিপরীত লিংগধারণকারী সৃষ্টিকর্তার এক নিয়ামতের উপর চাপিয়ে দিই। কিন্তু আমরা উভয়েই ভূলে যায় বা খুজে দেখিনা সমস্যার সুচালো আঘাতের সূচনা কোথায়? আসলে সুচনা বসনে। মানুষের বসন মানুষকে ইমোশনাল টাচ করে সমস্যা তৈরী করে।

No comments: