ধুমপান বিষপান। বাংলাদেশের সকল তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গুলোর উপর এটেম টু মার্ডার এর কেস করা উচিৎ। কারণ তারা প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষকে বিষ খাওয়াচ্ছে। কয়েক দশক আগেও দেখা যেত ধুমপান করার জন্য নিদৃষ্ট জায়গায় বসে তামাক সাজিয়ে ধুমপান করতে হতো যেহেতু ধুমপান করার সরঞ্জামগুলো অপেক্ষাকৃত বড় ছিল এবং নিয়ে বেড়ানো অসুবিধাজনক ছিল তাই দিনের নিদৃষ্ট সময়ে আয়োজন করে ধুমপান করতে হতো। এতে যথেষ্ট সময় ব্যয় হতো বলে দিনে তিন চার বার এর বেশি ধুমপান করা যেতনা। তাছাড়া সেই ধুমপান ধোয়া পানিতে পরিশোধিত হয়ে আসত বলে ক্ষতির পরিমান ছিল কম। এছাড়া ধুমপান আড়ম্বরপূর্ণছিল বলে ধুম্রপায়ীর সংখ্যাও ছিল নগন্য। কিন্তু বহুজাতিক কোম্পনীগুলো যখন সহজে পরিবহন যোগ্য ধমপানের উপকরণ নিয়ে এলো তখন থেকে ধুম্রপায়ীর সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বাড়তে শুরু করে ফলে ক্ষতির পরিমান ও সামাজিক অবক্ষয় বাড়তে শুরু করে সেই সাথে ধীরে ধীরে মাদকের পথে পা বাড়াতে শুরু করে এবং যুবসমাজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌছে যায়। এ দায় তামাকজাত পন্য উৎপাদক প্রতিষ্ঠান কখনই এড়াতে পারেনা। প্রকাশ্য দিবালোকে বিষপান করে আত্মহননের উপকরণ সহজলভ্যজনক ভাবে সরবরাহ করার অপরাধে প্রতিষ্ঠান গুলোর উপর আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করা উচিৎ কারণ এটা প্রত্যক্ষ ভাবে মানব হত্যার সাথে জড়িত। যদি সহজলভ্য না হতো তবে কেউ গ্রহন করতনা। একটি জাতিকে ধ্বংস করার জন্য সাম্রাজ্যবাদীদের দ্বারা গৃহীত প্রক্রিয়া বাতিল করা উচিৎ। সাম্রাজ্যবাদীরা চেয়েছিল এই জাতি ধ্বংস হোক তাই জাতিকে অকর্মন্য ও ধ্বংস করার জন্য যে সকল পন্য চালু করা হয়েছিল তা একটি স্বাধীন জাতি কখনো চালু রাখতে পারেনা। যদি পারে তবে বুঝতে হবে আমরা প্রকৃত ভাবে স্বাধীন নই। আপনারা কি বলেন?
No comments:
Post a Comment