আমরা যারা জাতিকে শিক্ষিত করার মানষে আত্মনিয়োগ করেছি তারা আদৌকি জানি যে আসলে আমাদের কি করা উচিৎ? আদৌনা। আমরা শিশুদেরকে কি শেখাতে চাই? সেটা শিক্ষার্থীর ব্যক্তি জীবনকে কিভাবে প্রভাবিত করে? আদৌ প্রভাবিত করেকি? এক কথায় না। আমরা বিদ্যালয়ে যেটা শেখাই তা তাদের ব্যক্তি জীবন কে আদৌ প্রভাবিত করেনা কারণ তারা এ শেখায় আনন্দ লাভ করেনা। এ শেখা তাদের সমাজ জীবনকে প্রভাবিত করেনা। তাদেরকে কি শেখাতে হবে। আসলে অনেক ধনী ব্যবসায়ী আছেন যাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই কিন্তু তারা প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। অনেক বুদ্ধিজীবী আছেন যারা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষিত নন কিন্তু তাদের উপর রিসার্স করে ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন শিক্ষিত সমাজ। অনেক মনিষী আছেন যাদের আদর্শ অনেক মানুষ অনুসরণ করেন কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা তার নেই। আসলে প্রতিটি আন্ডার ১০ ইয়ার্স শিশুকে তার স্বাভাবিক জীবনযাপনের পথ উন্মুক্ত রাখা উচিৎ। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বোঝা তারা বইতে পারেনা যদিও পারে তবুও সামাজিক বোঝা বইতে পারেনা। কিন্তু যে শিশু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকে সে কিন্তু সামাজিক বোঝা বইতে পারে। সংসারের দায়িত্ব নিতে পারে। কিন্তু একজন ৫ম শ্রেণী পাশ শিশু কিন্তু পারেনা। এটা শিক্ষা নয় হয়ত দক্ষতা। আমার পেটে ক্ষুধা আমাকে কি দেবেন রাষ্ট্রএর আইন না খাদ্য? আমাদের শিশুরা যেটা খেলার ছলে করে সেটা অনেক দেশে কারিকুলাম হিসাবে গণ্য হয়। একজন শিক্ষকের অন্যতম দ্বায়িত্ব হলো এটা শিশুর অনুভবে দেওয়া যে তার এই খেলা পৃথিবী বদলে দিতে পারে। আমাদের শিশিদের জ্ঞ্যন দেবার দরকার নেই দরকার শুধু অনুপ্রাণিত করা। তাদেরকে পর্যাপ্ত খেলা ধুলার সুযোগ দিতে হবে। আর তার ছলেই তাকে বোঝাতে হবে সে সংশ্লিষ্ট খেলা থেকে কি শিখছে? যেমন শিশুরা ফুটবল খেলছে কিন্তু কি শিখছে সে শিখছে নেতৃত্বএর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ। শিশু রান্নাবাটি খেলছে কি শিখছে? অতিথি আপ্যায়ন। শিশু পুতুল বিয়ে দিচ্ছে কি শিখছে? সামাজিকতা। এটা যদি বোঝানো যায় তবে আর পুথি মুখস্থ বা সৃজনশীলতা তাকে শেখাতে হবেনা। সে সব কিছু শিখবে নিজের প্রয়োজনে। একই রকম কারিকুলাম সকল প্রান্তের জন্য যুৎসই নয়। যেমন গ্রামের শিশুর জন্য টাফিক আইন গুরুত্বপূর্ণ নয় কিন্তু শহুরে শিশুর জন্য আবশ্যক। আবার কৃষি প্রযুক্তি শহুরে শিশুর জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয় কিন্তু গ্রামের শিশুর জন্য অতি আবশ্যক। আবার রাজশাহী অঞ্চলের শিশুর জন্য আম সম্বন্ধে জানাটা জরুরী কিন্তু সিলেটি শিশুর জন্য চা চাষ জানা জরুরী। এ কারণে বিদ্যালয়ের কারিকুলাম গুলো জাতীয়ভিত্তিক না হয়ে আঞ্চলিকতা ভিত্তিক হওয়া জরুরী। ফলে এলাকা ভিত্তক পলিসি মেকারের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট এলাকা ভিত্তিক দক্ষ জনশক্তি বৃদ্ধি পাবে। যা সমাজ ও জাতির উন্নয়নকে তরান্বিত করবে। শিশুর মনোবল বৃদ্ধি করবে।
No comments:
Post a Comment