google-site-verification: google90012c42a1ba93ca.html

google-site-verification: google90012c42a1ba93ca.html

ফেরিওয়ালা: বাংগালীর অন্তরায় বিশ্বাসঘাতকতা

 বাংগালী জাতি হিসাবে বীরের জাতি যদিও বা আলেকজান্ডার বা নেপোলিয়ন এর মত বীরত্বপূর্ন ব্যক্তিত্ব এই জাতির  ইতিহাসে জানা যায়না তবুও এই জাতির বীরত

ফেরিওয়ালা: গণিত কি? বা সংখ্যা কি?

গণিত শুধু কি একটি বিষয় মাত্র! না তা হতে পারেনা। গণিত হলো একটি যোগাযোগ ব্যবস্থা বা যোগাযোগ মাধ্যম। এর নিজস্ব বর্ণ আছে, আছে নিজস্ব কিছু ব্যকা...

Number which can change life

Feriwala Sottonondi:
Over time, many things change. People's lives change. We blame the controllers on the side for this change, but are they really responsible for the change? Maybe yes or no but we do not have time to research this or we do not study it. But the main reason behind all the changes is the numbers. Not surprisingly, the beginning and the end of the formation of man and the earth are all dependent on numbers, even the rise and fall of a person's life. No one accepts or not. Behind every creation is the dimension of numbers. Human development - depression, rise, fall, defeat, joy, pain, laughter - crying is the only negative which, whatever happens, depends on numbers and numbers. Only the Creator knows this narrow theory of numbers. If people knew that, then humans could have the power to control everything, just as the binary power of the 5 could control many things through the computer. Dimensions of numbers and numbers The effect of the number or number of persons upon the arrival and arrival of the person by the number created by the person or creation is the same. If people were aware of the numbers affected by their arrival or birth, as well as the positive and negative numbers affecting their lives, then people could control their victories, their successes, their rise and fall, and that would be the actual digitalization. If we can unravel the number of factors that influence the success of a successful person or the number of factors that influence the failure of a successful person, then the failed person can succeed or the successful person can fail. But to do this, a man should know the exact facts and figures of each and every matter of his life from the exact date of birth.

Life Circle

ফেরিওয়ালা নিবেদিত Dedicated to the ferryman:Life is a circle However, numerous points have been thrown to shape this circle. The way in which these points are joined or adjusted is like a circle of life. Creation is a science, astrology, the science of creation is above all human confidence. This power of self-confidence also has the power to affect the provisions of the Rules if the concerned person is able to apply it. The Creator created the creation in a straight line. Man has curbed creation in his kargun. When straight-line creation was disobedient to the Creator, the Creator sent a new creation as a punishment, whose primary arrangement was straight-line, but it was curved to a different creation. If the creatures are considered as dots, then every creation, like countless dots, is a single point. People meet different people in different places at different times while traveling on earth. And if a human being is given a point, his or her connections form one point and another. And these connections are made up to a certain age and form a different organism. And the shape of the organism that is created is evaluated by human-like characteristics at the age of evaluation. And this is why we compare ourselves to the creatures we are abusing ourselves with. Nothing on earth happens that way. Every event is a life-or-person event. What is the shape of a dot? Round or flat, long or short? In fact, according to physics, if a point is atom, there are numerous atoms of point. And each point is a circle. And each point has its own shape again. Those who make a perfect circle by connecting at the right point are counted as successful. And the right circle is created when people obey the Creator in most cases.

শিক্ষা ব্যবস্থায় ইংরেজির সূচনা

ফেরিওয়ালা নিবেদিত  
বাংলা বিহার উড়িষ্যার মহান অধিপতি ও শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজুদ্দৌলা বিশ্বাসঘাতকতার স্বীকার হয়ে পলাশীর যুদ্ধে পরাজিত হন।   ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাংলায় শাসন  শোষণ পাকাপোক্ত হয়ে ওঠে। বক্সারের যুদ্ধে ইংরেজদের জয়ের মধ্য দিয়ে  এলাহাবাদ চুক্তির মাধ্যমে  ভারতবর্ষে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন শুরু হয়। ১৭৯৩ সালে-এ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে ভারতে একচেটিয়া ব্যবসা করার সুযোগ দেয় ব্রিটিশ সরকার। এর মেয়াদ ছিল পরবর্তী বিশ বছরের জন্য। এই উপমহাদেশে শাসন করতে এসে কোম্পানিকে প্রতিনিয়ত কোন না কোন ঝামেলার ভেতর দিয়ে যেতে হতো। বহু সংস্কৃতির ভারতে এসে প্রথমেই তাদের যে সমস্যায়  পড়তে হয় তা হলো  ভাষাজনিত সমস্যা। মুঘল শাসকদের অনেক বছর রাজত্বের ফলে  এখানে আরবি ও ফার্সি ভাষা প্রচলিত হয়েছিল অনেক আগে থেকেই। এমনকি আদালত আর অনেক অফিসের প্রধান ভাষা ছিল ফার্সি। আর হিন্দু আধিক্যের এই এলাকায় সংস্কৃত ভাষা চর্চাও প্রচলিত ছিল। আবার প্রত্যেক  অঞ্চলের মানুষের ছিল  নিজস্ব মাতৃভাষা। ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারের জন্য আগমনের শুরু থেকেই ইংরেজরা ভাষার সমস্যা উপলব্ধি করতে লাগল। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছেও ইংরেজি ভাষা প্রায়ই নতুন। আবার কোম্পানির সাথে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে  ইংরেজি ভাষাটাও একটা আবশ্যকীয় ব্যাপার হয়ে দাড়াল। স্বাভাবিকভাবেই কোম্পানির ব্যবসায়ীরা এমন কাউকেই তাদের অধীনে কর্মচারী হিসেবে চাইতোনা যারা তাদের সাথে ভাবের আদান প্রদানে সহজে করতে পারবেনা। রাজত্ব যখন কোম্পানির আর তারা ইংরেজ অতএব   ইংরেজি মুখ্য ভাষা হয়ে দাড়াল সমাজের ধনিক শ্রেণীর  কাছে। আবার  ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিও প্রশাসনিক কার্য ভালভাবে চালানোর জন্য স্থানীয় লোকেদের মুখের ভাষায় দক্ষ হওয়াটাকে গুরুত্বের সাথে নিতে লাগলেন। প্রথমদিকে ব্যবসায়িক কাজের পাশাপাশি এ অঞ্চলের প্রশাসনিক দেখভাল করাটাও কোম্পানির হাতেই ন্যস্ত ছিল বলে  প্রথমদিকে এ অঞ্চলের শিক্ষার প্রসারে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে অনেকটাই ইচ্ছার বিরুদ্ধে দায়ভার নিতে হয় যদিও তখনো এটাকে তাদের উপর বাধ্যতামূলক করা হয়নি।
ভারতবর্ষে শিক্ষার প্রসারে খ্রিস্টান মিশনারীদের অবদানও উল্লেখযোগ্য। যদি তখনকার শিক্ষা ব্যবস্থার কথা ভাবতে হয়  তাহলে কলকাতা মাদ্রাসা আর সংস্কৃত কলেজের দিকে দৃষ্টিপাত করলে তা সহজে বোঝা যায়। ১৭৮১ সালে হেস্টিংস  কলকাতায় একটি মাদ্রাসা স্থাপন করেন যেখানে সাধারণত প্রথমদিকে মুসলিমদের আইন কানুন, আরবি আর ফার্সি ভাষায় শিক্ষাদান করা হতো। প্রায় একদশক পর ১৭৯১ সালে ডানকান সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন যেখানে সাধারণত হিন্দুদের রীতি নীতি, দর্শন আর সংস্কৃত ভাষার উপরেই জ্ঞান দান করা হতো। সে সময় ইংরেজি শিক্ষার প্রসারে খুব একটা কর্মকাণ্ড লক্ষ্য করা যায়নি।
কিন্তু ঘটনার মোড় ঘটে ১৮১৩ সালের দিকে, যখন চার্টার আইন অনুমোদন পায়। এই অ্যাক্টের মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর ভারতে একচেটিয়া ব্যবসা করার যে স্বাধীনতা ভোগ করছিলো  তা অনেকাংশেই খর্ব হয়ে যায়। ব্রিটেনের অনেক প্রাইভেট কোম্পানি এ অঞ্চলে বিনিয়োগ করার সুযোগ পায়। আর ব্রিটিশরাজ এর পক্ষ থেকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উপর কিছু শর্ত আরোপ করা হয় যার ভেতরে রয়েছে শিক্ষার ব্যাপারটিও। ব্রিটিশরাজ থেকে বলা হয় যে, "এখন থেকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থার উপরেও নজর রাখবে।" এমনকি প্রতি বছর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে ভারতের শিক্ষা ও সাহিত্য বিস্তারের জন্য এক লক্ষ রুপি দিতে হবে এমন বিধানও রাখা হয়। এরপর ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থার দেখভাল করা প্রায় অনেকটাই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির জন্য বাধ্যতামূলক হয়ে যায়। সে সময়ে ভারত উপমহাদেশে দুই শ্রেণির লোকের আবির্ভাব ঘটে। এক শ্রেণির লোক চাইত যে ভারতে শিক্ষা ব্যবস্থা নিজ নিজ অঞ্চলের মাতৃভাষা, আরবি, ফার্সি আর সংস্কৃত ভাষার মাধ্যমেই হোক। তাদেরকে বলা হয় প্রাচ্যবাদী যারা ভারতীয় সংস্কৃতিকে ধরে রাখাই শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য বলে ধরে নিতেন। অন্য শ্রেণীর লোকেরা হলেন পশ্চিমাবাদী  যারা কিনা ইংরেজি ভাষার মাধ্যমে শিক্ষা বিস্তারকে প্রাধান্য দিতেন। এদের অনেকেই পাশ্চাত্যের শিক্ষা সংস্কৃতিকে প্রাচ্যের তথা ভারতীয় উপমহাদেশের শিক্ষা সংস্কৃতির তুলনায় বড় করে দেখতেন। ১৮২০ থেকে ১৮৩০ সালের দিকে এ দুই শ্রেণির বিতর্ক চরম পর্যায়ে ওঠে। প্রাচ্যবাদী ধারণার মনীষীরা দাবি করেন যে, শিক্ষা ব্যবস্থার যে অনুদান সেটি এমন স্কুল কলেজেই দান করা হোক যেখানে আরবি, ফার্সি আর সংস্কৃতের চর্চা হয়। আর পাশ্চাত্যবাদী ধ্যান ধারণার মনীষীরা দাবি করতে থাকেন যে শিক্ষা ব্যবস্থার অনুদান সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই দেওয়া হোক যেখানে ইংরেজি ভাষা দিয়ে জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রসার ঘটানো হয়। দ্বন্দ্বের অবসান ঘটান ব্রিটিশ এমপি লর্ড ম্যাকলে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এই সদস্য ছিলেন  জোরালোভাবেই পাশ্চাত্যবাদী ধারণায় বিশ্বস্ত। ১৮৩৫ সালের ফেব্রুয়ারির ২ তারিখ প্রচার করেন ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার উপর তার নিজস্ব মতামত।যেখানে খুব জোরালোভাবেই তিনি দাবি করেন যে ভারতে শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসার ইংরেজি ভাষা দিয়েই হবে। তার ফলশ্রুতিতে ১৮৩৫ সালেই তখনকার ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড বেন্টিংক ‘ইন্ডিয়ান এডুকেশন অ্যাক্ট’ প্রস্তাব করেন এবং ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসারে ইংরেজি ভাষাকে বৈধতা দান করেন। লর্ড ম্যাকলে যে পাশ্চাত্যের সংস্কৃতিকে অন্য দেশের সংস্কৃতির তুলনায় কি পরিমাণ বড় করে দেখতেন তা তার মিনিট অন এডুকেশনে  দেখা যায়। তিনি বলেন, “ভালো একটা ইউরোপীয় লাইব্রেরীর বইয়ের একটি তাকে যে পরিমাণ সাহিত্যজ্ঞান আছে, পুরো ভারত আর আরব সাহিত্যেও সেরকম জ্ঞানের প্রাচুর্যতা নেই।”
ইংরেজি তখন হয়ে উঠে অনেক স্কুল কলেজে শিক্ষা বিস্তারের মূল ভাষা। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সেসব স্কুল কলেজেই অনুদান দিতে থাকে যেখানে ইংরেজি ভাষা দিয়ে জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চা করা হয়। এ আইন ভারতের অনেক জ্ঞানী ব্যক্তিদের ভেতরেই অসন্তোষের তৈরি করে। যারা প্রাচ্যবাদী ধারণায় বিশ্বাসী তাদের অনেকেই দাবি করেন যে, ইংরেজি যেহেতু ভারতবর্ষে একদম অপ্রচলিত এবং নতুন তাই আগে মাতৃভাষায় শিক্ষাদান করাই সমিচীন, এছাড়া  ইংরেজি শিক্ষা খুব একটা ফলপ্রসূ হবে না। আবার অনেকে ইংরেজি ভাষায় জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রসারকে ইতিবাচক  হিসাবে দেখতেন।
১৮৩৫ সালের পর ভারতে অনেক স্কুল কলেজ নির্মাণ করা হয় আর সে সময়ে ভারতে ইংরেজি শিক্ষার যথেষ্ট  প্রসারও ঘটে। কিন্তু তারপরেও অনেক জায়গাতে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের দিকে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠা স্কুল কলেজে মাতৃভাষাতেই শিক্ষাদান চলতে থাকে। যদিও সেখানে ব্রিটিশ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা একদম থাকতো না বললেই চলে। ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার উপর একটি জরীপ  চালানো হয়, যেখানে উঠে আসে ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার করূণ চিত্র। প্রায় বিশ বছর পর ভারতের লোকজনের জন্য আশার বার্তা বয়ে নিয়ে আসে উডের শিক্ষা কমিশন , যা কিনা ব্রিটিশ ভারতের আধুনিক শিক্ষার ম্যাগনা-কার্টা হিসেবে প্রবর্তিত হয়। এখানে বলা হয় প্রাথমিক স্কুলগুলোতে নিজ নিজ অঞ্চলের মাতৃভাষাতেই শিক্ষাদান করা হবে, এরপর উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে মাতৃভাষার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষাও শেখানো হবে আর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষাতে জ্ঞানদান করা হবে। চার্লস উডের এই শিক্ষা প্রস্তাবে ইংরেজির পাশাপাশি যেমন মাতৃভাষায় পাঠদানকে স্বীকৃতি  দেওয়া হয় ঠিক তেমনই নারীদের জন্য শিক্ষাকেও বৈধতা দেওয়া হয় যার ফলশ্রুতিতেই গড়ে উঠে কলকাতায় নারীদের জন্য বেথুন কলেজ। ১৮৩৫ সালের ইন্ডিয়ান এডুকেশন অ্যাক্টের পরেই চার্লস উড কমিশন যেন ভারতীয় প্রাচ্যবাদীদের জন্য আশার বাণী নিয়ে এল। চার্লস উডের এই শিক্ষা প্রস্তাব পরবর্তীতে ব্রিটিশ শাসনামলের অন্যান্য শিক্ষা কমিশনের জন্য এক আদর্শ হয়ে ওঠে। এবং  মাতৃভাষায় জ্ঞান চর্চা বাড়তে থাকে ঠিক সেভাবেই ইংরেজি ভাষায়ও ভারতীয়দের দক্ষতা বাড়তে থাকে। পরবর্তীতে ব্রিটিশদের অনুদানে ভারতে গঠিত হয় আরো অনেক স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়। এভাবেই জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চায় প্রাচ্যবাদী আর পাশ্চাত্যবাদী সমাজের সেতুবন্ধন ঘটে।
রোয়ার মিডিয়া সৌজন্যে   

PUTHIA TEMPLE





সুখ শান্তির জন্য প্রকৃতি

ফেরিওয়লা নিবেদিত

প্রকৃতির সাথে নিবিড়তা সুস্থ জীবনের নিশ্চয়তা  
গানের মতো কি আমরা বিষণ্ণতাকেও ছুটি জানাতে পারি না? হ্যাঁ, অবশ্যই পারি। যদি বলি বেশি বেশি সবুজ দেখুন, সবুজের মাঝে থাকুন, মাঝে মধ্যে হারিয়ে যান সবুজ প্রকৃতির মাঝে, তাহলেই বিষণ্নতা থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন- বিশ্বাস করুণ বা না করুন সুস্থ, স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য এর চেয়ে ভালো ওষুধ যে নেই, তা অধিকাংশ মনোবিজ্ঞানীদের অভিমত। বিশ্বাস করুন বা না-ই করুন বিষন্নতা থেকে ছুটি পেতে চাইলে প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকার চেয়ে বিকল্প কিছুই নেই। যদি এ বিষয়টি আপনি মানতেই না চান তাহলে বলুন তো, আপনি যখন বেড়াতে যান পাহাড়ের কোলে বা সাগরের গর্জনের মাঝে অথবা ঘন সবুজ অরণ্যে, তবে কেন আপনার মন ভালো হয়ে যায়? এর ব্যাখ্যা কারো কাছে নেই। সবুজের সান্নিধ্য বিষন্নতা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে সে কারণে সবুজ কর্মক্ষেত্র এখন সময়ের প্রয়োজন আসলে বর্তমান উন্নত প্রযুক্তির দৌড়ের মাঝে আমরা কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপে এতটাই ব্যস্ত থাকি যে আমাদের মানসিক চাপ, বিষণ্ণতা, শারীরিক অসুস্থতা ইত্যাদি বেশিরভাগ সময়েই আমাদের দৈনন্দিন নানা জটিলতায় ফেলে দেয়। আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন, যারা সামান্য মানসিক চাপে একেবারেই ভেঙে পড়েন। আবার অনেকেই আছেন সামান্য অসুস্থতায় ঔষধ বা ডাক্তারের দ্বারস্থ না হয়ে পারেন না। আমাদের আশেপাশে এমন মানুষের সংখ্যা খুব একটা কম নয়। সমস্যা থেকে যায় সমস্যার আড়ালেই, সমাধানের পথ আর বেরোয় না। ভার মুক্ত জীবন পেতে চাইলে দিনের কিছু সময় প্রকৃতি মাঝে কাটানো উচিত এসবের সমাধান কিন্তু আমাদের হাতেই আছে। অনেকেই জানেন না, প্রকৃতি এক্ষেত্রে আমাদের কতটা উপকার করে থাকে। বলতে গেলে আমাদের শারীরিক অসুস্থতা থেকে শুরু করে মানসিক সমস্যাসহ সকল কিছুর সমাধান প্রকৃতির মধ্যেই বিরাজমান। গবেষকরা জানিয়েছেন, নিজেকে চাপমুক্ত রাখতে চাইলে প্রতিদিন অন্তত কিছুটা সময় প্রকৃতির মাঝে কাটানো উচিত। প্রকৃতির নিবিড় ভালোবাসার হাতছানিতে কিছুটা সময় জিরিয়ে নিতে পারলে মন উৎফুল্ল হয়ে উঠবেই। প্রকৃতি কীভাবে আমাদের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে সাহায্য করে। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন বিজ্ঞানী কিছু মানুষের উপর গবেষণার জন্য মানুষদেরকে দু'ভাগে ভাগ করে একদলকে সবুজ ছায়ায় ঘেরা উদ্যানে, আরেক দলকে শহরের চেনা পরিবেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। যখন তারা ফিরে আসেন, তখন তাদের উপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখা যায়, যারা সবুজের মাঝে ছিলেন, তাদের স্মৃতিশক্তি আগের তুলনায় ২০ শতাংশ উন্নতি ঘটেছে। আর যারা ছিলেন শহরের পরিবেশে, তাদের কোনো উন্নতিই ঘটেনি। এ থেকে বোঝা যায় যে, প্রকৃতি মানুষকে তার স্মৃতি পুনরুদ্ধারে কতটা সাহায্য করে থাকে। প্রকৃতি মানুষের স্মৃতিশক্তি বিকাশে বেশ সাহায্য করে থাকে পরিবেশ বিষয়ক এক মনোবিজ্ঞান জার্নালে বিজ্ঞানীরা বিষয়টিকে উল্লেখ করেছেন 'মানসিক ক্লান্তি' নামে। গবেষকরা দেখেছেন, কোনো মানুষ যদি প্রকৃতির কোনো ছবির দিকেও মনোযোগ দেয়, তাহলেও তার স্মৃতি কিছুটা সতেজ হয়। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। তাহলে বুঝতেই পারছেন, ছবি না হয়ে তা যদি সত্যিকারের প্রকৃতির সান্নিধ্য হতো, তাহলে তার প্রভাব কত বেশি হতো? মানসিক চাপ ও মনযোগ বাড়াতে প্রকৃতির নিবিড় সান্নিধ্য আবশ্যক। এর কোন বিকল্প নেই। বিজ্ঞানীরা প্রমাণ দিয়েছেন, মানসিক চাপ ও বিষণ্ণতার মতো মানসিক ব্যাপারগুলোর সবচাইতে বড় ওষুধ হচ্ছে প্রকৃতির কাছাকাছি থাকা। গবেষকদের পরামর্শ অনুযায়ী, মানসিক চাপগ্রস্ত ব্যক্তি চরম হতাশ মুহূর্তে মাত্র ১০ মিনিটের জন্যেও যদি কোনো পার্ক বা খোলামেলা হাওয়াযুক্ত সবুজ পরিবেশ থেকে হেঁটে আসেন, তাহলেও তার মানসিক বিকারগ্রস্ততা কিছুটা সময়ের জন্যে হলেও উপশম হয়। কারণ, এতে মস্তিষ্কে তৈরি হয় কিছু ভালোলাগার হরমোন এবং তা মানসিক চাপ উপশমে অসাধারণ কাজ দেয়। মৃত্যুভয় থেকে মুক্তি পেতে চাইলে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে হবে এর কোন বিকল্প নেই। যত সভ্যতা ততই ভীতি বৃদ্ধি। ১৯৯৫ ও ২০০৮ সালে প্রকাশিত জার্নালে  ডাচ গবেষকরা প্রায় ২০০০০০ লোকের উপর গবেষণা চালিয়ে তাদের ফলাফলে জানিয়েছেন, গ্রামাঞ্চলের লোকেরা বেশি সবুজ আবহাওয়ায় থাকেন। কিন্তু যারা শহরাঞ্চলে ইট-কাঠ-পাথরের মাঝে জীবনযাপন করেন, তাদের তুলনায় গ্রামাঞ্চলের মানুষজন বেশি দীর্ঘায়ুসম্পন্ন এবং সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়ে থাকেন। তাদের মানসিক পীড়া তুলনামূলক কম থাকে। এটিই তাদের দীর্ঘায়ু হওয়ার মূল কারণ।
ক্যান্সার প্রতিরোধে ও মনকে উদ্দীপ্ত করতে সবুজ প্রকৃতিই শ্রেষ্ঠ ঔষধ। কঠিন অসুখ থেকে সেরে ওঠার জন্য অনেক সময় ডাক্তাররা প্রেসক্রাইব করে থাকেন রোগী যেন পছন্দসই কোনো ছায়া নিবিড় শান্ত পরিবেশে কিছু সময় কাটিয়ে আসেন। এ কথার পেছনে রয়েছে খুব সুন্দর যুক্তি ও নানা গবেষণালব্ধ ফলাফল। জাপানের কয়েকজন গবেষক বিষয়টির উপর গবেষণা চালিয়ে দেখেছেন, প্রকৃতির নির্মল পরিবেশ, বনের সবুজ ছায়া, পাখির কিচির-মিচির ইত্যাদি বিষয়গুলো ক্যান্সার প্রতিরোধী প্রোটিনকে উদ্দীপ্ত করে থাকে। তাতে প্রাথমিক ধাপে থাকা ক্যান্সার উপশম সত্যি সম্ভব। তাছাড়া গবেষণায় আরও দেখা গেছে, চেইন স্মোকাররা তাদের অতিরিক্ত ধূমপানের অভ্যাস থেকে মুক্তিলাভের জন্য যদি প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে পারেন, তাহলে তাদের সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
দৃষ্টি শক্তির প্রখরতা বৃদ্ধিতে সবুজের কোনো বিকল্প নেই। তাইওয়ানের কয়েকজন বিজ্ঞানী একটি স্কুলের শিশুদের উপর গবেষণা চালিয়ে দেখেন যে, স্কুলের ১২ বছরের মধ্যকার বেশিরভাগ শিশুই কঠিন মায়োপিয়া রোগে আক্রান্ত। মায়োপিয়া হলো এমন একধরনের চোখের অসুখ, যার কারণে আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমশ কাছের জিনিস কম দেখতে শুরু করেন। তখন তাদেরকে চশমা ব্যবহার করতে হয়। গবেষকদল ওই স্কুলের শিক্ষার্থীদের আউটডোর অ্যাক্টিভিটি বাড়িয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন। এক বছর পর তার ফলাফল হলো, মায়োপিয়া আক্রান্তের হার ১৭.৬৫% এ নেমে এসেছে; তার মধ্যে প্লে আউটসাইড স্কুলগুলোতে ৮.৪১% পর্যন্ত হয়ে থাকে। বাচ্চারা আউটসাইডে খেলাধুলা বা বেড়াতে যাওয়ার বেশিরভাগ সময়টাতেই প্রকৃতির খুব কাছাকাছি থাকে। সুতরাং বাচ্চাদের সুস্থ-স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে প্রকৃতির গুরুত্ব অপরিসীম। 

অন্তর্দহন প্রতিরোধে সবুজের ছোঁয়া
ইনফ্ল্যামেশন বা অন্তর্দহন এমন এক স্বাভাবিক ঘাতক, যা কি না ধীরে ধীরে আপনাকে গভীরে তলিয়ে নিয়ে যাবে। এই সমস্যার একেবারেই শেষ পর্যায়ে অটোইমিউনো ডিসঅর্ডার হাইপারটেনশান ডিপ্রেশন বা মানসিক অবসাদগ্রস্ততা, ক্ষুধামন্দা, এমনকি প্রাণঘাতী ক্যান্সারও হতে পারে। এক সমীক্ষায় দেখা যায়, এই সমস্যা থেকে প্রতিরোধের একমাত্র উপায় হচ্ছে বেশি বেশি প্রকৃতির সন্নিকটে থাকা। মনের জালা থেকে মুক্তি পেতে চাই সবুজের ছোঁয়া এক অমোঘ ঔষধ। আর সেই প্রকৃতির মাঝে যদি থাকে সমুদ্র বা ঝর্ণাধারা, তবে তো একেবারে সোনায় সোহাগা। যাদের নিয়ম মেনে চলার অভ্যাস নেই অর্থাৎ যাদের রয়েছে অনিদ্রা সমস্যা, তা অনেকটা দূর করতে সাহায্য করে সকালের সূর্যালোক রশ্মি। ভোরের আলো আমাদের শরীর এমনকি মনের মাঝেও এক বায়োলজিক্যাল ঘড়ি হিসেবে কাজ করে, যা আমাদের দেহকে সময় মেনে কাজ করার জন্য বার্তা পাঠায়। সকালে নির্দিষ্ট একটা নিয়ম মেনে ঘুম থেকে উঠলে খেয়াল করে দেখবেন রাতে একটি নির্দিষ্ট সময়ে আপনা-আপনিই ঘুম চলে আসে। সে নিদ্রা সুখনিদ্রাই হয় বটে। জীবনকে ভালবাসতে ও নতুনভাবে উপলব্ধি করতে প্রকৃতির সাহচর্যে থাকা খুব জরুরী একবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন স্টেট ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীদেরকরা এক সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা  জানিয়েছিলেন তারা ভালো থাকার কারণ খুঁজতে মোট ১৩টি মেট্রিকস ব্যবহার করেছিলেন। সেসব মেট্রিকের মাঝে অন্যতম ছিল প্রকৃতির সাহচর্যে থাকা, আউটডোর গেমস, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিটি, সম্পর্কের বিশ্বাসযোগ্যতা ইত্যাদি। দেখা যায়, জীবনে সন্তুষ্টি ও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের অনুভূতি এনে জীবনের গতি সচল রাখতে সেই ১৩টি মেট্রিকের ১১টিই সরাসরি যুক্ত। আরেক গবেষক কেলি বিডেনওয়েগ এনভায়রনমেন্টাল জার্নালে প্রকাশিত তার এক গবেষণার ফলাফল সম্পর্কে জানান, ‘প্রকৃতির সঙ্গে মানব জীবনের সম্পর্ক গুলোর ভালো থাকা না থাকা ভিত্তিক পারস্পরিক সম্পর্কের ব্যাপারে খুব একটা মাথা ঘামানো হয় না। আমরা সেই দিকটাই তুলে ধরতে চেয়েছিলাম। প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ যত গভীর হবে, বা যত বেশি সময় প্রকৃতির সঙ্গে কাটবে আমাদের ভাবনার স্বচ্ছতা, চিন্তার গভীরতা ও বোঝার ক্ষমতা ততই উন্নত হবে। যা সামগ্রিকভাবে জীবনকে গ্রহণ করার ও উপভোগ করার মানসিকতা গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।
রোয়ার বাংলা সৌজন্যে।  

Sound thinking at spanish language

No hay pérdida de poder de indestructible, pero solo convertido. La ciencia demuestra que el sonido es un tipo de fuerza. Entonces el término nunca termina, simplemente se transforma. Entonces, ¿de dónde sacamos esa palabra y dónde se pierde? Se suponía que no debía terminar, pero ¿por qué no se puede escuchar después de un tiempo específico? En realidad, no fue terminado y regresó al ser transformado en una palabra cuyo propósito fue hecho. Como llamé a mi hijo, llamé a mi voz y le dije: "Mi hijo, mi padre". Es decir, las palabras que he hecho no se han terminado y después de un período de tiempo, la otra persona regresa. Repitió las palabras de esta transformación se podría llevar una sola vez viene evolucionando desde el molesto ruido o vibración producido algunos de los patos dígitos ternera pyaka pyaka, etc. evolucionar a nosotros innecesaria, incluso cósmica, porque es demasiado importante, ya que la creación cósmica, el nivel de potencia de lo particular . Como resultado, no hay un alcance para el final y no hay posibilidades de una nueva generación de energía. La energía es un concepto que transmite la atmósfera por lo que no podemos entender la misma energía repetidamente. Angike dadrupa sonido paseo cósmico de energía juntos en el mismo lugar al mismo tiempo una y otra vez que no se puede encontrar.
Ha: Ha: Ha: Mi afición me dijo que soy un soñador o un soñador, así que soy un fanático.
25/11/2017
Ferryman

Sound thought


There is no loss of power of indestructible, but only converted. Science proves that the sound is a kind of force. So the term never ends, it is just transformed. So where do we get that word and where is it lost? It was not supposed to end, but why can not it be heard after a specific time? Actually, it was not finished and turned back by being transformed into a word whose purpose was made. As I have called my son, I made a call to my voice and said, "My son, my father." That is, the words that I have done are not finished and after a period of time the other person comes back. And since this transformation of the word has to be repeated one time, it may create annoying words or vibration to evolve, or it may evolve into cow's patch packs, etc. Although it is unnecessary to us, it is very important because of cosmic reasons, because of the amount of energy produced in the cosmic creation. . As a result, there is no scope to end and there is no scope for new power generation. Energy is a concept that transmits the atmosphere so we can not understand the same energy repeatedly. Sense sound is also busy in cosmic travels and it can not be found repeatedly in the same place in the same place.
Ha: Ha: Ha: My fondness told me that I am a dreamer or a dreamer, so I'm a fancier.
25/11/2017
Feryman

Sound hamper class???

ফেরিওয়ালা নিবেদিত Recently, some people have demanded to ban mobile phones in the classroom. And this is the normal reason, when the phone rings during the reading, the attention of the child's reading is really going on? Most of the educational institutions of this country have been established either by the side of the street or by the locality or by the market, most of the institutions either in high schools or secondary schools or anywhere near the college. As a result, it is seen that the traffic movement of the road and the loss of the vehicle is lost. Besides, if the school is beside the market or the school in front of the children, the children who are going out of the window, who are going to talk about what is going on, these are not the reasons for the loss. I often notice that the girls of high schools do not come to the earliest primary school in the pretext of excuse them, and they can not see the teachers of their school or their teachers. Do not interfere in class reading? Actually do not seem to be spstyle="text-align: justify; white-space: pre-wrap;">Recently, some people have demanded to ban mobile phones in the classroom. And this is the normal reason, when the phone rings during the reading, the attention of the child's reading is really going on? Most of the educational institutions of this country have been established either by the side of the street or by the locality or by the market, most of the institutions either in high schools or secondary schools or anywhere near the college. As a result, it is seen that the traffic movement of the road and the loss of the vehicle is lost. Besides, if the school is beside the market or the school in front of the children, the children who are going out of the window, who are going to talk about what is going on, these are not the reasons for the loss. I often notice that the girls of high schools do not come to the earliest primary school in the pretext of excuse them, and they can not see the teachers of their school or their teachers. Do not interfere in class reading? Actually do not seem to be obstructing just because of mobile. Apart from this, some Innovative teachers use smartphones in suitable schools, especially in remote areas or electronic technical equipment. Besides, it is easy to eliminate confusion by giving accurate and quick solutions to practicing pedagogical education for children through this smartphone. Moreover, I have also noticed that some of the teachers do not read textbooks for reading aid and download and read the books on the phone. Why are we just confused with negative thoughts? I do not think the school was established in the appropriate place. I did not find schools near a road where there is a board that does not play the horns in front of the school. In fact, some people are very enthusiastic people who are only thinking about negative thoughts, who are inclined to think positively. In fact, the smartphone is not banned but will be used to raise awareness. There are many people who do not use the watch anymore and use the smartphone as a watch. Also, there is a need for smartphones to entertain any ideas or ideas that are entertaining or inspiring. In addition to presenting the class in time, in the meantime, the smartphone is effective in starting and completing the lessons. Besides, the phone is also an effective component to complete the routine work from routine to completion. I have seen a lot of times that Imam Sahib used the smartphone to read Jumma Khutba without taking books of Khutba. But why so much talk Just be aware of using their own smartphones. In this century of IT technology, people who say that the smartphone will be banned in the classroom, I think they have failed to enter the technology age. Still, the influence of primordialism in mind is still in the mind of the primitive just because of mobile. Apart from this, some Innovative teachers use smartphones in suitable schools, especially in remote areas or electronic technical equipment. Besides, it is easy to eliminate confusion by giving accurate and quick solutions to practicing pedagogical education for children through this smartphone. Moreover, I have also noticed that some of the teachers do not read textbooks for reading aid and download and read the books on the phone. Why are we just confused with negative thoughts? I do not think the school was established in the appropriate place. I did not find schools near a road where there is a board that does not play the horns in front of the school. In fact, some people are very enthusiastic people who are only thinking about negative thoughts, who are inclined to think positively. In fact, the smartphone is not banned but will be used to raise awareness. There are many people who do not use the watch anymore and use the smartphone as a watch. Also, there is a need for smartphones to entertain any ideas or ideas that are enome people have demanded to ban mobile phones in the classroom. And this is the normal reason, when the phone rings during the reading, the attention of the child's reading is really going on? Most of the educational institutions of this country have been established either by the side of the street or by the locality or by the market, most of the institutions either in high schools or secondary schools or anywhere near the college. As a result, it is seen that the traffic movement of the road and the loss of the vehicle is lost. Besides, if the school is beside the market or the school in front of the children, the children who are going out of the window, who are going to talk about what is going on, these are not the reasons for the loss. I often notice that the girls of high schools do not come to the earliest primary school in the pretext of excuse them, and they can not see the teachers of their school or their teachers. Do not interfere in class reading? Actually do not seem to be obstructing just because of mobile. Apart from this, some Innovative teachers use smartphones in suitable schools, especially in remote areas or electronic technical equipment. Besides, it is easy to eliminate confusion by giving accurate and quick solutions to practicing pedagogical education for children through this smartphone. Moreover, I have also noticed that some of the teachers do not read textbooks for reading aid and download and read the books on the phone. Why are we just confused with negative thoughts? I do not think the school was established in the appropriate place. I did not find schools near a road where there is a board that does not play the horns in front of the school. In fact, some people are very enthusiastic people who are only thinking about negative thoughts, who are inclined to think positively. In fact, the smartphone is not banned but will be used to raise awareness. There are many people who do not use the watch anymore and use the smartphone as a watch. Also, there is a need for smartphones to entertain any ideas or ideas that are entertaining or inspiring. In addition to presenting the class in time, in the meantime, the smartphone is effective in starting and completing the lessons. Besides, the phone is also an effective component to complete the routine work from routine to completion. I have seen a lot of times that Imam Sahib used the smartphone to read Jumma Khutba without taking books of Khutba. But why so much talk Just be aware of using their own smartphones. In this century of IT technology, people who say that the smartphone will be banned in the classroom, I think they have failed to enter the technology age. Still, the influence of primordialism in mind is still in the mind of the primitive attitude or violent some people have demanded to ban mobile phones in the classroom. And this is the normal reason, when the phone rings during the reading, the attention of the child's reading is really going on? Most of the educational institutions of this country have been established either by the side of the street or by the locality or by the market, most of the institutions either in high schools or secondary schools or anywhere near the college. As a result, it is seen that the traffic movement of the road and the loss of the vehicle is lost. Besides, if the school is beside the market or the school in front of the children, the children who are going out of the window, who are going to talk about what is going on, these are not the reasons for the loss. I often notice that the girls of high schools do not come to the earliest primary school in the pretext of excuse them, and they can not see the teachers of their school or their teachers. Do not interfere in class reading? Actually do not seem to be obstructing just because of mobile. Apart from this, some Innovative teachers use smartphones in suitable schools, especially in remote areas or electronic technical equipment. Besides, it is easy to eliminate confusion by giving accurate and quick solutions to practicing pedagogical education for children through this smartphone. Moreover, I have also noticed that some of the teachers do not read textbooks for reading aid and download and read the books on the phone. Why are we just confused with negative thoughts? I do not think the school was established in the appropriate place. I did not find schools near a road where there is a board that does not play the horns in front of the school. In fact, some people are very enthusiastic people who are only thinking about negative thoughts, who are inclined to think positively. In fact, the smartphone is not banned but will be used to raise awareness. There are many people who do not use the watch anymore and use the smartphone as a watch. Also, there is a need for smartphones to entertain any ideas or ideas that are entertaining or inspiring. In addition to presenting the class in time, in the meantime, the smartphone is effective in starting and completing the lessons. Besides, the phone is also an effective component to complete the routine work from routine to completion. I have seen a lot of times that Imam Sahib used the smartphone to read Jumma Khutba without taking books of Khutba. But why so much talk Just be aware of using their own smartphones. In this century of IT technology, people who say that the smartphone will be banned in the classroom, I think they have failed to enter the technology age. Still, the influence of primordialism in mind is still in the mind of the primitive attitude or violent attitude or lust.

বাংগালীআনা

সভ্যতার নামে বাংগালীর চিরাচরিত অভ্যাস গুলো বদলে ফেলার চেষ্টা করাটাই সবচেয়ে বেশি খারাপ। জাতি যত অত্যাধুনিকতার পথে পা দিয়েছে তত সমস্যা বেড়েছে। মল যতই পাকা আমের মতো হোক দূর্গন্ধ ছড়াবেই অথচ সেই মল ত্যাগের যায়গা ঘরে নিয়ে এসে বলছেন এটাচ বাথরুম। অথচ গত শতাব্দীতেও দেখা গেছে টয়লেট বাস যোগ্য ঘর থেকে ছিল নিরাপদ দূরত্বে। আজ পরিচ্ছন্ন টিস্যু ব্যবহার করতে গিয়ে রুমালের ব্যবহার ভুলে গেছেন, ঘাড়ে গামছা থাকাটাকে গায়য়া মনে করেন অথচ একই রুমাল বার বার ব্যবহার করা যে কতটা বৈজ্ঞানিক তা ভেবে দেখার সময় মেলেনি হয়তো। সভ্যতা এত উন্নতির শেখরে পৌছেছে যে জাতীয় পোশাক পরে আপনি কর্মস্থলে যেতে পারেন না,  আবার কোন কোন দেশের রাষ্ট্র প্রধান যখন নিজেদের জাতীয় পোশাক পরে সফরে আসে তা নিয়ে প্রশংসায় গর্বিত হন......

হযরত শাহ মুখদুম রুপোষ (রা)

ফেরিওয়ালা সংগৃহীত
হযরত মখদুম শাহ (রহঃ) এর জীবনীঃ

                ইতিহাস বলে - পুর্ব বাংলায় কোন নবী রাসূল আসেন নি ইসলামের অমীয় বানী প্রচার করতে। কিন্তূ,  যাদের পবিত্র পদধুলিতে বাংলার মাটি নূরের আলোতে উদ্ভাসিত হয়েছে তারা হলেন পীর, আউলিয়ায়েকেরাম। তাদের উদারতা, মহত্ত্ব, মহানুভবতা এ দেশের মানুষকে করেছে মুগ্ধ। যার ফলশ্রুতিতে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে শোষিত ও নির্যাতিত মানুষেরা দলে দলে ইসলাম এর পতাকাতলে আশ্রয় নিয়ে শান্তি আর সমৃদ্ধির সন্ধান পায়। হজরত শাহ মখদুম (রহঃ) ছিলেন ঐ সকল আউলিয়া, পীর দের মধ্যে অন্যতম। তার আগমনে উত্তরবঙ্গ বিশেষ করে রাজশাহী অঞ্চলে ইসলামের বিস্তৃতি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। হযরত মখদুম শাহ (রহঃ) ছিলেন বড়পীর হজরত আব্দুর কাদের জিলানী (রহঃ) এর নাতি, উনার মাজার শরীফ রাজশাহী জেলার দরগাপাড়ায় অবস্থিত (পদ্মার তীরে এবং রাজশাহী কলেজের পশ্চিম পাশে )। শাহ মখদুম (রহঃ) এর প্রকৃত নাম আব্দুল কুদ্দুস। তিনি সুদূর বাগদাদ শহর থেকে ইসলাম প্রচারের নিমিত্তে হিজরি ৬৮৫ সনে এদেশে তার আগমন ঘটে।

অবদান: 
        আজ রাজশাহী অঞ্চলে মুসলমান দের যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা তার পটভুমিতে শাহ মখদুম (রহঃ) এর অনবদ্য ভূমিকা রয়েছে। তার ইসলাম প্রচারের এ অবদান এর জন্যে বিভিন্ন সময়ে তিনি বিভিন্ন উপাধি তে ভুষিত হয়েছেন। ইসলাম প্রচারের এ অবদান এর জন্য 'শাহ', 'মখদুম', 'রুপোশ' প্রভৃতি উপাধিতে তিনি ভুষিত হন। প্রাচীন বরেন্দ্র এবং গৌড় অঞ্চলে ইসলামের ভিত কে শক্তিশালী করতে তার মুখ্য ভূমিকা রয়েছে।
শান্তি ও কামিয়াবির চলার পথে সাহায্যের জন্য হুজুরে পাক (সঃ) এর পরও যুগে যুগে বহু পীর অলি আওলিয়া এসেছেন, যাঁরা ছিলেন সংসার ত্যাগী, সংগ্রাম করেছেন অন্যায় আর অসত্যের বিরুদ্ধে এবং এ পৃথিবীতে করেছেন সত্য প্রতিষ্ঠা। এ ব্রত নিয়েই হযরত শাহ্‌ মখদূম রুপোশ (রহঃ) এদেশে এসে ছিলেন সুদুর বাগদাদ থেকে। ‘রুপোশ’ শব্দটি ফার্সী শব্দ। এর অর্থ মুখ আবরণকারী ব্যক্তি। এটি তার উপাধি ছিল। তার আসল নাম ছিল সৈয়দ আব্দুল কুদ্দুস। তিনি শিক্ষা লাভ করে বিদ্যাসাগর, বিদ্যাবিশারদ হন এবং মহাবুযূর্গী লাভ করে মখদুম শাহ্‌ রুপোশ “কুদ্দুশা শারাহ্‌” নামে অভিহিত হন। ‘কুদ্দুশা শারাহ’ মানে চিরস্থায়ী হোক তার রহস্য। তিনি ৬১৫ হিজরীল ২রা রজব বাগদাদ শরীফে জন্ম গ্রহণ করেন।

শাহ মখদুম (রহঃ) এর জন্ম ও বংশ পরিচিতিঃ
            হযরত শাহ মখদুম (রহঃ) ছিলেন বড় পীর হযরত আবদূল কাদের জিলানী (রহঃ) এর পুত্র আজাল্লা শাহের মেজ পুত্র। সে হিসেবে বড় পীর হযরত আবদূল কাদের জিলানী (রহঃ) ছিলেন হযরত শাহ মখদুম (রহঃ) এর দাদা। ইসলামের এক সঙ্কটময় মুহুর্তে আল্লাহর করুনায় ন্যায় ও সত্যের প্রতীক পবিত্র ইসলামের পূনরুজ্জীবনকারী মহাপুরুষ হযরত আবদুল কাদের জিলানী আল হোসেনী আল হোসায়নী (রহঃ) এর জন্ম হয়।আল্লাহ পাক হযরত আদম (আঃ) কে এক খোশ খবরী দিয়েছিলেন যে, নবুয়াতের দরজা বন্ধ হওয়ার পর পৃথিবীর বুকে তোমার এক সন্তানের জন্ম হবে। তিনি হবেন আউলিয়াকুল শ্রেষ্ঠ ও মারেফতের সর্বগুনে গুণান্বিত। সর্বাপরি তাঁর পৃষ্ঠদেশে অঙ্কিত থাকবে আখেরী নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর পদচিহ্ন, সে তাঁর স্বীয় প্রতিভা ও সাধনার দ্বারা পবিত্র ইসলামের গৌরব ও মহিমাকে সঞ্জীবিত করে তুলবে। তিনি হলেন বড়পীর হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ)।আল্লাহ পাকের প্রিয় হাবীব হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা (দঃ) তাঁর প্রাণপ্রীয় দৌহিত্র হযরত হাসান (রাঃ) কে উদ্দেশ্যে করে বলেছিলেন, হে ভাই হাসান। আল্লাহ পাকের রহমতে তোমারই বংশে পরবর্তীকালে আগমন করবে আওলিয়াকুল শ্রেষ্ঠ এক মহাতাপস। যার নাম হবে সৈয়দ আবদুল কাদের জিলানী। তিনি প্রথিবীর মানুষকে মুক্তির পথ দেখাবেন। তিনি যাবতীয় কাজ কর্মে, চিন্তায় ও আদর্শে উজ্জল কীর্তি স্থাপন করবেন।পরবর্তীকালে বিশ্বনবী (দঃ) এর ভবিষ্যত বানী সত্যে পরিণত হল এবং হযরত হাসান (রাঃ) বংশে গাওছুল আযম বড় পীর হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ) জন্ম গ্রহণ করেন।শেরে খোদা হযরত আলী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত আছে যে, বিশ্ব নবী (দঃ) আল্লাহ পাকের দরবারে আরজ কে ছিলেন যে, ওগো দ্বীন দুনিয়ার মালিক, তুমি আমার সেই প্রতিনিধির উপর রহমত ও করুণা বর্ষণ কর, সে আমার পরে পৃথিবীতে আগমন করবে এবং আমার হাদীস  যথার্থ ও সঠিকভাবে বর্ণনা করবে আর আমার তরীকাকে পুনরুজ্জীবিত করে মৃত প্রায় ইসলামকে পুনঃজীবন দান করবে। বিশ্বনবী (দঃ) এর উল্লেখিত প্রতিনিধি রূপে বড়পীর হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ) এর আবির্ভাব হয়েছিল বলে অনেকে মনে করে থাকেন।মাতৃ-পিতৃ উভয় সুত্রেই হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ) ছিলেন জগদ্বিখ্যাত সৈয়দ বংশের উজ্জল জ্যেতিঙ্ক। তাঁর পুন্যবান পিতার বংশ  সুত্র উর্দ্ধতন পর্যায়ে আওলাদে রাসুল (দঃ) হযরত হাসান (রাঃ) এর সহিত মিলিত হয়েছে, অপর দিকে সতী সাধবী মাতার বংশক্রম উর্দ্ধতন পর্যায়ে মিলিত হয়েছে হযরত হোসেন (রাঃ) এর সংগে। এজন্যই তিনি ‘আল হাসানী এবং আল হোসেনী’ উভয়বিধ উপাধিতেও বিভুষিত হতেন। তাঁর আদি পিতৃপুরুষ ছিলেন হযরত আলী (রাঃ) সুতরাং পিতা এবং মাতা উভয় সুত্রেই তিনি বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (দঃ) এর সংগে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। বড়পীর হযরত আবদূল কাদের (রহঃ) ছিলেন হযরত শাহমখদুম (রহঃ) এর দাদা। বড়পীর সাহেবের ২৭ জন পুত্রের মধ্যে হযরত আজাল্লা শাহ ছিলেন একজন। হযরত আজাল্লা শাহের দ্বিতীয় পুত্রই হলেন হযরত শাহ্‌ মখদুম রূপোষ (রহঃ)।হযরত আজাল্লা শাহের তিন পুত্র ছিল। তাঁর অন্য দু’পুত্রের নাম ছিল সৈয়দ মুনির আহমদ (রহঃ) ও সৈয়দ আহমদ তন্নুরী (রহঃ) ছিলেন সকলের বড়। শাহ্‌ মখদুম ছিলেন মেজ এবং সৈয়দ মুনির আহমদ ছিলেন সবার ছোট। হযরত শাহ্‌ মখদুম (রঃ) এর পিতা হযরত আজাল্লাশাহও একজন বড় ওলী ছিলেন। দিল্লীর সুলতান ফিরোজমা হযরত আজাল্লা শাহের মুরীদ ছিলেন। হযরত শাহ্‌ মখদুম (রহঃ) এর পুরো পরিবারটাই ওলী ছিলেন। হুজুর আকরাম (ছঃ) এর তরীকাকে পুনরুজ্জীবিত করে দীনকে দুনিয়ায় প্রতিষ্ঠা করার জন্য পরিবারের সকল সসদ্যবৃন্দ দেশ দেশান্তরে গিয়েছেন, সকলেরই উদ্দেশ্য ছিল দ্বীন কি করে জিন্দা রাখা যায়। হুজুর আকরাশ (ছঃ) এর ঐ একই উদ্দেশ্য ছিল। পিতা ও মাতার উভয় সুত্রেই শাহ্‌ মখদুম (রাঃ)  ছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুম্মদ (দঃ) এর বংশধর।

শাহ মখদুম (রহঃ) পিত্রকুলের বংশ সুত্র :
                হযরত সৈয়দ আবদূল কুদ্দুস ওরফে হযরত শাহ্‌ মখদুম রূপোশ (রহঃ) এর পিতার নাম (১) হযরত সৈয়দ আজাল্লা শাহ (রহঃ) (২) তাঁর পিতার নাম হযরত আব্দূর কাদের জিলানী (রহঃ)। তার পিতার নাম (৩) হযরত সৈয়দ আবু আব্দুল্লাহ মুসা (রহঃ)। তার পিতার নাম (৪) হযরত সৈয়দ আবু আবদুল্লাহ (রহঃ), তাঁর পিতার নাম (৫) হযরত সৈয়দ ইয়াহইয়া জাহেদ (রহঃ), তাঁর পিতার নাম (৬) হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ (রহঃ), তাঁর পিতার নাম (৭) হযরত সৈয়দ দাউদ (রহঃ), তাঁর পিতার নাম (৮) হযরত সৈয়দ মুসা সানী (রহঃ) তাঁর পিতার নাম (৯) হযরত সৈয়দ আবদুল্লাহ সানী (রহঃ), তাঁর পিতার নাম (১০) হযরত সৈয়দ মুসা আল জোহন (রহঃ), তাঁর পিতার নাম (১১) হযরত সৈয়দ আবদুল্লাহ আল মহজ (রহঃ), তাঁর পিতার নাম (১২) হযরত সৈয়দ হাসানে মোসাল্লাহ (রহঃ), তাঁর পিতার নাম (১২) হযরত সৈয়দ হাসানে মোসাল্লাহ (রহঃ), তাঁর পিতার নাম (১৩) হযরত সৈয়দ হাসান (রহঃ), তাঁর পিতার নাম (১৪) শেরে খোদা হযরত আলী মোর্তজা (রহঃ), আল্লাহ পাক তাঁদের উপর রহমত করম দান করুন। হযরত শাহ্‌ মখদুম (রহঃ) এর মাতৃকুলের বংশ সূত্র বড়পীর আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ) এর  মতই। এইক্ষেত্রে লক্ষনীয় বিষয় হল যে, হযরত বড়পীর আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ) এর পিতৃকুলের দ্বাদশতম সুত্র এবং মাতৃকুলের চতুদর্র্শতম সুত্র হযরত আলী মোর্তজা (রাঃ) এর সহিত মিলিত হয়েছে। শাহ মখদুম (রহঃ) এর পুরো পরিবারটাই ওলী দরবেশ ছিলেন এবং দ্বীন প্রচারের জন্য দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়েন। শাহ্‌ মখদুম (রহঃ) এর বড় ভাই হযরত সৈয়দ আহমদ তন্নুরী বড় পীর হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ) এর কাছ থেকে স্বপ্নে পাওয়া নির্দেশেই দিল্লী থেকে কতিপয় অনুচর সহ বাংলাদেশের পানডুয়া এলকায় আসেন। পরে পানডুয়া থেকে পৌত্তলিকতা ধ্বংশ করতে করতে নোয়াখালী জেলায় হাজির হন এবং সেখানে স্থায়ী আস্তানা স্থাপন করেন। এ সাধকের মাযার শরীফ নোয়াখালী অবস্থিত।

হযরত শাহ মখদুম (রহঃ) এর এদেশে আগমন ও আগমনের উদ্দেশ্য :
  হযরত মিরান শাহ (রহঃ) এবং সৈয়দ আবদুল কুদ্দুস (রহঃ) বিভিন্ন অবিচার অনাচার দুর করে ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে বাগদাদ শরীফ থেকে এ দেশে আসেন ৬৮৫ হিজরী সনে। হযরত মিরান শাহ্‌ তাঁর অনুচর সহ কাঞ্চনপুরে আস্তানা গাড়েন। হযরত আবদূল কুদ্দুস (রহঃ) নোয়াখালী জেলায় রামগঞ্জে অবস্থিত শ্যামপুরে আস্তানা গাড়েন। দু’বছর অধিক কাল শ্যামপুর এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলে দ্বীন ইসলাম প্রচার করেন। পরে তিনি তাঁর মুরীদ হযরত সৈয়দ জকিম উদ্দীন হোসেনী (রহঃ) কে শ্যামপুর মোকামের খলিফা নিযুক্ত করেন। রামপুর বোয়ালিয়ায় হযরত তুরকান শাহের শহীদ হওয়ার সংবাদ শুনে দানবকুলকে ধ্বংশ করার উদ্দেশ্য চারজন কামেল দরবেশ সহ কুমির বাহনে নদীবক্ষে বোয়ালিয়া অভিমুখে যাত্রা করেন। হযরত দিলাল বোখারী (রহঃ), হযরত সৈয়দ আব্বাস (রহঃ), হযরত সুলতান শাহ্‌ (রহঃ) ও হযরত করম আলী শাহ (রহঃ) দরবেশের সংগী হন। শাহ মখদুম এদেশে এসে বাঘা নামক স্থানে উপস্থিত হয়ে পদ্মা নদীর নিকটস্থ যে কেল্লা স্থাপিত করেছিলেন উহাই মখদুম নগর নামে খ্যাত। মখদুম নগর রাজশাহী জেলার চারঘাট থানার অন্তর্গত। বর্তমানে এটি বাঘা শরীফ বা কসবে বাঘা নামে পরিচিত।গৌড় নগরের বাদশা হোসেন শাহের পুত্র নছবত শাহ দেশ পর্যটনকালে বিখ্যাত মখদুম নগরে উঠে সমস্ত শুনে ৯৩০ হিজরীতে একটি দীঘি খনন ও কারুকার্য খচিত প্রকান্ড মসজিদ নির্মান করে দেন। তৎপর দিল্লীর বাদশা জাহাঙ্গীরের পুত্র শাহজাহানের পরিভ্রণকালে তিনি বিখ্যাত মখদুম নগর পরিদর্শন করেন এবং পরবর্তীকালে তাঁর ভ্রমন রোয়েদাদ অনুসারে ঐ মসজিদ আদির কীর্তি রক্ষার্থে ও ধর্ম কার্যের জন্য ৪২টি মৌজা দান করেন এবং ঐ সবের তদবীর তদারক ও দেখাশুনার জন্য ঐ নগরে কিছু লোক লস্কর রেকে আল্লাবকস বরখোরদারকে লস্কর প্রধান নিযুক্ত করেন। শাহ মখদুম (রহঃ) এর আগমনের সময় রাজশাহী শহরের নাম ছিল ‘মহাকালগড়’। তবে পরে এ নাম রামপুর বোয়ালিয়াতে রূপান্তরিত হয়।

হযরত শাহ মখদুম (রহঃ) এর আগমনঃ
 রামপুর বোয়ালিয়া ( বর্তমানে দরগাপাড়া নামে পরিচিত) কে পূর্বে মহাকালগড় বলা হত। এ স্থানে বহু রকমের দেও এর প্রতিমুর্তি ও বহু মঠ-মন্দির পূর্ন ছিল।  এখানে মহাকাল দীঘি নামে একটা প্রকান্ড দীঘি ছিল। এখানে ৩০/৪০ বিঘা জমির উপর দেও রাজার বাড়ী ছিল। তৎকালিন দৈত্য ধর্মালম্বিদিগের প্রধান তীর্থ স্থান ছিল এ রামপুর বোয়ালিয়া। তাদের ধর্মমতে এখানে এসে নরবলি দিত। অনেক সময় লোক মানূষ খরিদ করে আনত। কখনও আবার জোর করে ধরে আনত। অনেকে আবার আসত স্বেচ্ছায়। কাহারও সনতান না হলে মানত করত যে সন্তান হলে একট বলি দেবে। এখানে দু’জন দেওরাজা ছিল তাদেরকে মানুষ ঈশ্বরের অবতার বলে বিশ্বাস করত।কয়েকজন মুসলমান দরবেশ এ অঞ্চলে আসলে তাদেরকে ধরে বলি দেওয়া হয়। এ সংবাদ বাগদাদ শরীফে পৌছালে পীরানে পীর দস্তগীর দপ্তর হতে হযরত তুরকান শাহকে রামপুর বোয়ালিয়াতে ধর্ম প্রচারের জন্য পাঠানো হয়। তিনি কিছু অনুচর সহ এ স্থানে পৌছলে এবং ধর্ম প্রচার শুরু করলে দেও রাজের সাথে সংঘর্ষ বাধে এবং তুরকান শাহ তাঁর হাতের লাঠি দ্বারা বহু দেও ধর্মালম্বির প্রাণ নাশ করেন। ফলে জীবন্ত অবস্থায় এ ফকিরকে বেধেঁ আনার আদেশ হয়। রাত্রিকালে এ ফকিরকে বেধেঁ ফেলা হয়। কিন’ শত শত লোক চেষ্টা করেও হযরত তুরকান শাহকে তাঁর গদী হতে সরাতে পারেনি।  শেষ পর্যন্ত ঐ স্থানেই তাঁকে ৬৭৭ হিঃ সনে হত্যা করা হয়। কিন্তু লাশ হস্তী লাগিয়ে বিন্দু মাত্র স্থানান্তর করতে না পেরে ঐ স্থানেই তাকে পুঁতে রাখা হয়। আজও উক্ত স্থান বর্তমানে দরগাপাড়ায় তুরকান শহীদের আস্তানা নামে খ্যাত।রামপুর বোয়ালিয়ায় হযরত তুরকান শাহের শহীদ হওয়ার সংবাদ শুনে হযরত শাহ মখদুম (রহঃ) দানবকুলকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্য এখানে আসেন। তিনি কিছু সংগীসহ নদী পথে কুমীরের পিঠে চড়ে এসে চারঘাট থানার বাঘা নামক স্থানে উপস্থিত হয়ে পদ্মা নদীর তীরে কেল্লা স্থাপন করেন এবং উক্ত স্থানই মখদুম নগর নামে পরিচিত।তাঁর নির্মিত মখদুম নগরের এ দুর্গ থেকে তিনি অভিযান চালিয়ে মহাকালগড় দেও রাজ্য জয় করেন। আধ্যাতিক শক্তি বলে তিনি যাদুকুন্ড ধবংশ করেন। এখান থেকে দেও রাজার বিরূদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন।

এক নাপিতের গল্পঃ
রামপুর বোয়ালিয়ায় এক নাপিতের তিন পুত্র ছিল। তার দু’পুত্রকে নরবলি দেওয়া হয় এবং শেষ পুত্রকেও বলি দেয়ার সিদ্ধান্ত হলে সে মখদুম নগরে উপস্থিত হয়ে হযরত শাহ মখদুম (রহঃ) এর নিকট নালিশ পেশ ‘করলে  তিনি বললেন, “যাও তুমি তোমার সন্তানসহ নদীর ধারে অবস্থান করগে আমার সাক্ষাৎ পাবে। “নাপিত দম্পত্তি সন্তান সহ দিবা রাত্রি নদীর ধারে ধারে কেঁদে বেড়ায়। কিন্তু তারা শাহ মখদুমের দর্শন না পেয়ে সন্তানসহ পানিতে ডুবে মরার সিদ্ধান্ত নেয় এবং পানির মধ্যে নামতে থাকে। এমন সময় পদ্মা গর্ভে “ভয় নেই ভয় নেই” বলে কুমীর বাহনে মখদুম (রহঃ) নাপিত দম্পতির নিকট আবিভূর্ত হলেন। তাদের অভয় দিয়ে পুত্রের গলদেশে পাক হস্ত বুলিয়ে দিলেন এবং ফুঁ দিলেন আর বলিলেন, “শীঘ্রই দেও রাজ্য ধ্বংশ হয়ে যাবে। তোমার পুত্রের বলি হবে না। কোন কথা প্রকাশ করো না।” এসব বলে সাধক কুমিরের পিঠে আবরা ফিরে গেলেন। সকাল বেলা দেও মন্দিরে নাপিত পুত্রকে আনা হল । খাড়ার ঘাত প্রতিঘাতেও নাপিত পুত্রকে কাটা গেল না। সে কোনরূপ কষ্ট বোধও করল না। দেও রাজের নিকট ঐ সংবাদ দেয়া হল। সব শুনে তিনি বললেন যে, ঐ নরে দোষ আছে। ওকে ছেড়ে দাও। নরবলি দেবার কাজে ব্যবহৃত পাথরটি আজও সাধকের মাযার প্রাঙ্গণে সংরক্ষিত আছে।

মহাকাল গড়ের যুদ্ধঃ
 হযরত তুরকান শাহ ও অন্যান্য মুসলমানদের হত্যার প্রতিবাদ এবং সমাজ থেকে অনাচার অত্যাচার দুর করে দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য শাহ্‌ মখদুম (রহঃ) কে তিন তিন বার দেও রাজার সাথে যুদ্ধ করতে হয়।প্রথম বারে তিনি তার লোকজন নিয়ে দেও রাজপ্রসাদ ঘিরে রাখেন। দেও ধর্মালম্বীগণ সমবেত হয়ে যুদ্ধ করে অনেক দেও ধর্মালম্বী মারা গেল। শাহ মখদুম (রহঃ) এর পক্ষেও কিছু লোক শহীদ হলেন। শেষ দিনের যুদ্ধে দরবেশগণের কিছু ঘোড়া শহীদ হল। যেখানে ঘোড়া শহীদ হয় উক্ত স্থানটি ঘোড়ামারা নামে খ্যাত। রাজশাহী শহরের ঘোড়ামারায় বর্তমানে একটা পোষ্ট অফিস রয়েছে। দৈত্য ধর্মালম্বীগণ বুঝতে পারল এ দরবেশগণকে না তাড়াতে পারলে তাদের কোন শান্তি নেই। তাই তারা দিক দিগন্তে সংবাদ পাঠিয়ে যুদ্ধের প্রসত্তুতি নিতে লাগল। হযরত শাহ মখদুম (রহঃ) ধ্যানে উহা জানতে পেরে তাদের প্রতিরোধের জন্য স্থানে স্থানে ফকির দরবেশ মোতায়েন করলেন এবং নিজেও এ যু্‌দ্ধ শরীক হলেন। বহু দৈত্য ধর্মলম্বী ধরাশায়ী হল। কিছু সংখ্যাক পালিয়ে গেল, মঠ মন্দির ভেঙ্গেচুরে লুট হল। যাদুর কুন্ডের দ্বারা দৈত্য ধর্মলম্বীগণ কোন ফল পেল না। কেননা হযরত শাহ মখদুম (রহঃ) পূর্বেই তা তাঁর আধ্যাত্মিক শক্তি দ্বারা নষ্ট করে রেখেছিলেন। মঠ মন্দিরের সে বড় বড় পাথর ও পাথর মুর্তি আজও রাজশাহীর বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়। লোকজন সেগুলি বসা ও শোয়ার  আসন হিসাবে নানাবিধ কাজে ব্যবহার করে আসছে। দৈত্য রাজ সপরিবারে পালিয়ে জীবন রক্ষা করল। মহাকাল গড়ের যুদ্ধের শহীদদের কবর মখদুম মাযার প্রাঙ্গণে আজও বিদ্যমান যা সে যুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে। মখদুম (রহঃ) বিজয়ীর বেশে মখদুম নগরে ফিরে গেলেন। এ শুভ সাংবাদে মখদুম নগরে আল্লাহ ও রাছুলের জয়ধ্বনী পড়ে গেল। এ বিজয়ের স্মৃতি রক্ষার্থে দ্বীন ইসলামের নামে ৭২৬ হিজরীতে এক প্রকান্ড ও অতি উচ্চ বিজয়ী সদর দরজা প্রসত্তত করা হল। ঐ দরজার পাথর ফলকে সে বৃত্তান্ত লেখা ছিল। এ তোরনের ধংসাবশেষ কালের সাক্ষী হয়ে আজও মখদুম নগরে পদ্মার তীরে বিদ্যমান রয়েছে।বনবাসী দৈত্য রাজের নিকট পলাতক দৈত্য ধর্মলম্বীগন পুনরায় সমবেত হয়ে রাজ আজ্ঞায় জয়ের আশীর্বাদ গ্রহনে তীর্থস্থান উদ্ধার কল্পে রামপুর বোয়ালিয়াতে উপস্থিত হওয়ার সংবাদ পেয়ে শাহ মখদুম (রহঃ) পুনরায় রামপুর বোয়ালিয়ায় আগমন করলেন এবং সমবেত দৈত্য ধর্মলম্বীদের মধ্যে তাঁর পাক পা হাতে এক পাট খড়ম ছুড়ে মারলেন। হু হুংকার রবে বিঘুর্নিত খড়মের আঘাতে বহু শত্রু ধরাশায়ী হল এবং কতক পালিয়ে প্রাণ বাঁচাল। ওদিকে দৈত্য রাজের দু পুত্রই মুখে রক্ত উঠে মারা গেল। দৈত্যরাজ ঘটনা উপলদ্ধি করতে পেরে মৃত পুত্রদয়ের লাশ নিয়ে এসে শাহ মখদুম (রহঃ) এর পায়ে পড়ে কান্নাকাটি শুরু করল। তিনি তখন মৃতলাশ দ্বয়ের হাত ধরে বললেন, ঘুমাও মাত উঠ। পুত্রদ্বয় উঠে বসল। দৈত্য রাজদ্বয় স্বপরিজনে ঈমান এনে মুসলমান হল। ইহা দেখে দৈত্য ধর্মলম্বীগণ দলে দলে মুসলমান হল। মহাকালগড় দেও মন্দির স্থানেই শাহ মখদুম (রহঃ) এর আস্তানা স্থাপিত হল। শাহ মখদুম (রহঃ) পানি পথে কুমির বাহনে, শূন্যপথে বসবার পীড়ি আসন বাহনে এবং স্থল পথে সিংহ বা বাঘ বাহনে চলাফেরা করতেন। তাঁর এ অলৌকিক ঘটনা, বোজর্গী, কেরামতী এবং অখন্ডন দোয়া ও বরদোয়া ইত্যাদি দেখে শুনে প্রায় সবাই ঈমান আনল।

হযরত শাহ মখদুম (রহঃ) এর ওফাত বরন এবং ওসিয়াতঃ
এই মহা সাধকের কেরামতি আদেশে হঠাৎ মখদুম নগর হতে দরবেশগণ মখদুম সদনে এসে উপস্থিত হলেন। তাদের মধ্যে হতে শাহ জলিল ও শাহ নিয়ামতকে এখানকার খাদেম পদে এবং শাহ আব্বাসকে মখদুম নগরের খলিফা পদে নিযুক্ত করে তাঁদের নিকট মখদুম (রহঃ) গুপ্তভেদ ও ভবিষ্যৎ ব্যক্ত করে অছিয়ত প্রদান করলেন্‌ যে, “আমার ভ্রাতার বংশের সন্তান শাহ নুর বাগদাদ শরীফ হতে আসবেন এবং তিনিই এখানকার খলিফা পদ পাবেন। তিনি ভিন্ন অন্য কেহ খলিফা পদ পাবেন না এবং পাবার যোগ্যও নন। শাহ নুরের আসন নিয়ত আমার ডান পাশে থাকবে। তিনি সসম্মানে ভুষিত হবেন।মহাকালগড় বিজয়ের মাত্র পাঁচ বছর পরই হযরত শাহ মখদুম (রহঃ) ৭৩১ হিজরীতে ২৭শে রজব ওফাত পান। মহাকালগড় মন্দির প্রাঙ্গনে তাঁকে সমাহিত করা হয়। বর্তমানে রাজশাহী কলেজের খেলার মাঠে রূপান্তরিত হয়েছে। আস্তানার কিছু অংশ পরবর্তীকালে কীর্তিনাশা পদ্মার বুকে বিলীন হয়েছে বলে জানা যায়।

শাহ মখদুম (রহঃ) এর কুমির ও বাঘঃ
 শাহ মখদুম (রহঃ) এর রেখে যাওয়া স্মৃতির মধ্যে দুটি কুমির ও দুটি মেটে রঙ্গের বাঘ ছিল অন্যতম। কুমির দুটি ‘বোঁচা-বুচি’ নামে পরিচিত ছিল। অন্যান্য খাদেমগনের মতই দরগাহে তাদেরও বিশেষ মর্যাদা ছিল। শাহ মখদুম (রহঃ) এর বাহন এ বিরাট কুমির দুটি তার সঙ্গেই আনা হয়েছিল। তারা মহাকাল দীঘিতে থাকত। নাম ধরে ডাকলে উঠে আসত। প্রতিনিয়ত মানুষের মধ্যে থাকতে থাকতে প্রায় গৃহপালিত পশুর ন্যায় হয়ে গিয়েছিল। অনেক ছেলে-পেলে তাদের পিঠে বসে খেলা করত। কিন্তু তারা কিছূ বলতো না। বাঘ দু’টি প্রতি সোমবার ও শুক্রবার রাতে আসত। ঐ বাঘ মাজার ও কবরের চারিদিকে প্রদক্ষিণ করত এবং তাদের লেজের দ্বারা মাজার ঝাড়- দেয়া হয়ে যেত। তাই তাদের লেজকে মাজারের ঝাড়- বলা হত। এরূপ প্রদক্ষিণ করার পর বাঘ বসে যেত, তবে কবরের , পায়ের দিকে ছাড়া অন্য কোন দিকে কখনও বসত না। এব ঘন্টার বেশী মাজারে থাকত না। এবং বাঘ দুটিকে শের বাব্বার ও সিংহ বলা হত। বাঘ যাবার সময় মাজারের পিছনে ২/৩ রশি গিয়ে ডাক ছাড়ত ও চলে যেত। চলে গিয়ে আর ফিরে আসত না। এরা কাহারও কোন ক্ষতি করত না। তবে লোক মনে করত মাজারে গিয়ে কোনরূপ বেয়াদবী করলে তারা খেয়ে ফেলবে। এ বাঘ দুটি যে ছিল শাহ মখদুম (রহঃ) এর বাহক তাতে কোন সন্দেহ নেই। যারা এ দরগাহ খেদমত করে বুজুর্গী হাছিল করেছিলেন তাঁদের অনেকেই নাকি হযরত শাহ মখদুম ও শাহ নুরকে এ দু’বাঘের পিঠে সওয়ার হয়ে আসতে যেতে দেখেছেন। তাই শুক্রবার ও সোমবার রাত্রে মাজারে ভক্তদের খুব ভীড় হতো ও এখনো হয়।

সোনার বাংলাদেশ

চিরসমৃদ্ধ 'সোনার বাংলা'


এই উপমহাদেশে তথা ভারতবর্ষে বাংলা নামে যে এলাকাটি দীর্ঘকাল ধরে মানুষের কাছে পরিচিত তার সাথে যুক্ত হয়ে আছে সুজলা সুফলা এক ভূমি, দিগন্তজুড়ে সবুজের স্বর্গরাজ্যের ছবি। মাইলের পর মাইল ছড়িয়ে আছে সবুজ ধানের ক্ষেত। সেই ধান পাকার মৌসুমে সোনালী আভা ছড়িয়ে যায় চারদিকে। তাই যখনই ইতিহাসে বাংলা আর বাঙালির অর্থনীতির কথা আসে ‘সোনার বাংলা’ শব্দটি যেন আমাদের নিজেদেরকে বর্ণনার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে যায়। বাংলার নামের সাথেই জড়িয়ে আছে দিগন্তবিস্তৃত সবুজ।তবে সত্যিকার সোনার খনি না থাকলেও এখানে আছে নদী নালা বেষ্টিত নরম মাটি। এমন উর্বর মাটিতে বীজ পুঁতে দিলে মাটি প্রতিদান দেয় বুকভরে। তবে বাঙালির মাটিতে এমন জাদু থাকার পরেও দারিদ্রতা বাঙালির পিছু ছাড়েনি। বরং চাপা পড়ে থাকা পাতায় দুর্ভিক্ষ, মহামারী আর খাদ্য সংকটের মতো সমস্যায় জর্জরিত বাংলার ইতিহাস।তাই সামাজিক আর অর্থনৈতিক ইতিহাস নিয়ে যারা গবেষণা করেন তাদের মনে প্রশ্ন, বাংলার ইতিহাসে সমৃদ্ধির এই বহুল উচ্চারিত ‘সোনার বাংলা’র সময়কালটি কখন? ইতিহাসে এর অস্তিত্ব কি আদৌ ছিল? ব্রিটিশ শাসনে আমরা দেখেছি দুর্ভিক্ষের অগ্নিমূর্তি, ব্রিটিশ শাসনের আগেই কি তাহলে সেই 'সোনার বাংলা' ছিল? ইতিহাসের পিঠে চড়ে মধ্যযুগে কিংবা তারও আগে ফিরে গেলে নানা ঐতিহাসিক আর পর্যটকদের বর্ণনায় দেখা যায় বাংলা এক স্বর্গরাজ্য। বাজারে প্রাচুর্য, সস্তায় জিনিসপত্র পাওয়া যাচ্ছে, এমন বর্ণনাও আছে অনেক। তবে অর্থনীতিবিদদের অনেকের মতে বাংলায় এত প্রাচুর্য কোনোকালেই ছিল না, অর্থনীতির বাস্তবতায় অন্তত ব্যাপারটি সম্ভব ছিল না। এমনকি প্রাক-ব্রিটিশ আমলে বাংলায় কোনোদিন দুর্ভিক্ষ হয়নি এমন প্রচলিত ধারণাও ঠিক নয়। 
বাংলায় দুর্ভিক্ষ 
প্রচলিত আছে বাংলায় প্রাক-ব্রিটিশ আমলে দুর্ভিক্ষ ছিল না। ব্রিটিশদের শাসন-শোষণে বাংলার অবস্থার অবনতি হয়েছে, তবে বাংলার দারিদ্র্যের আছে সুদীর্ঘ ইতিহাস। প্রাক-ব্রিটিশ আমলে এমনকি ব্রিটিশরা চলে আসার পরেও বাংলার বেশিরভাগ মানুষই কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল ছিল। এই কৃষিভিত্তিক সমাজে যখন কলকারখানা গড়ে উঠেনি, তখন অর্থনীতির অন্যতম প্রধান নিয়ামক ছিল জনসংখ্যা।অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় শ্রমের দামের সাথে জনসংখ্যার সরাসরি সম্পর্ক বিদ্যমান। কোনো সমাজে কাজের মজুরী বাড়লে জনসংখ্যার পরিমাণ বাড়বে, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী বাড়লে মজুরীর পরিমাণ আবার কমে যাবে। ম্যালথাসের তত্ত্ব অনুসারে, অনুকূল পরিবেশে বেশি মজুরী দিলে জনসংখ্যা বাড়বে, খাদ্যশস্যের উৎপাদন গাণিতিক হারে বাড়লেও জনসংখ্যা বাড়ে জ্যামিতিক হারে। সুতরাং সমাজে খাদ্যাভাব অবশ্যাম্ভাবী, শুরু হবে দুর্ভিক্ষ। দুর্ভিক্ষের পরে জনসংখ্যা কমে গেলে আবার মজুরীর হার বাড়বে। এভাবেই দুর্ভিক্ষ কৃষিভিত্তিক সমাজে পণ্যের চাহিদা, কৃষকের মজুরী কিংবা লভ্যাংশের সাথে জনসংখ্যার ভারসাম্য বজায় রাখে।তাই ইতিহাসের অনুসন্ধানে দেখা যায় প্রাক-ব্রিটিশ শাসনামলেও বাংলায় বড় বড় দুর্ভিক্ষের প্রমাণ আছে। মহাস্থানগড়ের লিপিতে প্রাচীন এক দুর্ভিক্ষের সন্ধান পাওয়া যায়, সেই দুর্ভিক্ষে পুণ্ড্রনগরের মহাজাতককে ত্রাণ সরবরাহ এবং ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে দেখা যায়। শশাঙ্কের মৃত্যুর পরের অস্থির সময়ে বাংলায় আরেকটি দুর্ভিক্ষের খবর পাওয়া যায় ইতিহাসের পাতায়। আর তৃতীয় আরেকটি দেখা যায় ১৬৬১ থেকে ১৬৬৩ সালের মধ্যে। তবে বড়সড় দুর্ভিক্ষের পাশপাশি অতিবৃষ্টি আর অনাবৃষ্টির কারণে ফসল নষ্ট হয়ে খাদ্য সংকটের ঘটনা খুব দুর্লভ ছিল না। তবে ঐতিহাসিক বিশ্লেষণে বন্যা, খরার নিদর্শন পাওয়া গেলেও এর ফলে সৃষ্ট খাদ্য সংকট কিংবা অর্থনৈতিক সংকটের উল্লেখ করা হয়েছে খুবই কম। এর একটি কারণ বাংলার ইতিহাস লিখিত হয়েছে দুইটি ধারায়। একটি রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতায়, সত্যকে দ্বিতীয় স্থানে রেখে শাসকের গুণগান আর সমৃদ্ধির ইতিহাসকে সামনে তুলে ধরা হয়েছে। আর অন্যটি লিখিত হয়েছে পর্যটকদের দ্বারা, পর্যটকেরা বেশিরভাগ সময়েই সমাজের উঁচু স্তরের মানুষের সাথে মিশে অভ্যস্ত, একদম সাধারণ মানুষের সাথে তাদের যোগাযোগ কতটুকু ছিল তা নিয়েও সন্দিহান অনেকেই। মরক্কোর বিখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতার বিবরণে আছে পৃথিবীর অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে এই দেশে পণ্য সস্তা। প্রায় একই বর্ণনা পাওয়া যাবে সিবাস্তিয়ান ম্যানেরিক, ফ্রাঁসোয়া বার্নিয়ের কিংবা ওয়াং তু ওয়ানের ভ্রমণ কাহিনীতে। পর্যটকদের বর্ণনা বাংলার অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে আমাদের পরিষ্কার ধারণা দিতে পারেন। তবে এই পর্যটকরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভালো পথে চলাচল করতেন, বড় বড় বাজার আর শহরের মধ্য দিয়ে রাস্তা বেছে নিতেন। পাশাপাশি অনেকেই রাজকোষ থেকে ভাতাও পেতেন পথের খরচ নির্বাহের জন্য। দিল্লী থেকে ইবনে বতুতাকে সতের হাজার দিনার বাৎসরিক ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। তাই তার কাছে যা সস্তা মনে হতে পারে তা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে থাকাও অসম্ভব নয়। আবার তার বর্ণনা থেকে দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ে ভ্রান্তি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই তিনি লিখছিলেন, “আমি তাদের বলতে শুনেছি, এ দামও তাদের কাছে অত্যন্ত বেশি।” তাই পর্যটকদের ভ্রমণ কাহিনী আর দিনলিপি থেকে ইতিহাসের যে খণ্ডচিত্র পাওয়া যায় তা অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করা জরুরী। বিদেশি পর্যটক আর ঐতিহাসিকেরা যখনই বাংলার পণ্যকে সস্তা বলছেন তা স্বাভাবিকভাবেই অন্য দেশের কিংবা এলাকার সাথে তুলনা করে বলছেন। আর পণ্যের বাজার মূল্যের সাথে শ্রমিক, কৃষক কিংবা উৎপাদনকারীর মজুরী সরাসরি জড়িত। পণ্যের দাম কম হওয়ার পরোক্ষ অর্থ দাঁড়ায় উৎপাদনকারীর হাতেও কম অর্থ পৌঁছাবে।বাংলার অন্যতম সমৃদ্ধ শিল্প মসলিনের কথায় যদি আসা যায় সেখানেও তাঁতিদের মজুরী ছিল অস্বাভাবিক রকমের কম। ১৭৩৫ সালের তথ্য উপাত্ত থেকে দেখা যায় ভারতীয় শ্রমিকদের ছয়গুণ মজুরী পেত ফরাসী শ্রমিকেরা। মজুরীর অর্থে জীবন নির্বাহ করাই দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে শ্রমিকদের, পেটের দায়ে অন্য পেশায় চলে যায় অনেকেই। যে পণ্যের জন্য বাংলার খ্যাতি বিশ্বজুড়ে, সেই শিল্পে মজুরীর এমন দুর্দশা হলে অন্যান্য শিল্পে কী হবে তা সহজেই অনুমেয়। তবে বাংলার সমৃদ্ধি আর সাফল্যের আরেকটি উদাহরণ হলো শায়েস্তা খানের আমলে বাংলায় পণ্যমূল্যের দাম ব্যাপকভাবে কমে যাওয়া। বাংলা প্রবাদ আর বাগধারায় শায়েস্তা খানের আমল বলতেই প্রাচুর্য বোঝানো হয়ে থাকে। কিন্তু শায়েস্তা খানের আমলে পণ্যের দাম কীভাবে কমে গেল সেই ব্যাখ্যা অনেকটাই অস্পষ্ট। জলদস্যুদের বিতাড়ন, নৌপথে পণ্য আনা নেওয়ার সুবিধা বেড়ে যাওয়ায় পণ্যের সরবরাহ বেড়ে যেতে পারে। তবে এর কোনোটিই পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়ার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারে না। অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক বিশেষজ্ঞরা এক টাকায় আট মণ চাল পাওয়ার কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন বাজারে চাহিদা কমে যাওয়া। মানুষের আয় কমে গেলে পণ্যমূল্য কেনার ক্ষমতাও কমে আসে। সুতরাং বাজারে একটি কৃত্রিম পরিবেশ তৈরি হয়, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের চাহিদাও কমে আসে। এমনইভাবে সেই আমলে ক্রেতার অভাবে চালের দামও কমতে থাকে। সাধারণ মানুষের আয় কমে আসার একটি কারণ হিসেবে দেখা হয় শায়েস্তা খানের আমলে উচ্চ রাজস্ব আদায়। শায়েস্তা খানের আমলে বেড়েছিল রাজস্ব আদায়, ফলে মানুষের আয়ও কমে যায়; শায়েস্তা খান থেকে আরো পেছনে ফিরে গেলে দেখা যাবে বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন চর্যাপদেও অনাহারের নিদর্শন আছে,
“টালিতে মোর ঘর নাই পড়িবেশী
হাঁড়ীতে মোড় ভাত নাহি নিতি আবেশী”
যার অর্থ দাঁড়ায় টিলাতে আমার ঘর, প্রতিবেশী নেই। হাঁড়িতে ভাত নেই, নিত্যই ক্ষুধিত। তবে শুধু চর্যাপদেই নয় চৈতন্যমঙ্গল আর ময়মনসিংহের লোকগীতিতেও আছে দুর্ভিক্ষের কথা। অনাহার আর দুর্ভিক্ষের পাশাপাশি বাংলার ইতিহাসে দেখা যায়  দাসপ্রথাও। বাবা মায়ের দ্বারা সন্তান বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনা উল্লেখ পাওয়া যায়। ‘চৈতন্য চরনামৃত’এ পাওয়া যায় এই শ্লোকটি,
“নাহা লুহা লবণ বেচিবে ব্রাহ্মণে
কন্যা বেচিবেক যে সর্ব শাস্ত্রে জানে।”    
তবে দাসদের বিক্রয়মূল্যের দলিল দস্তাবেজের দিকে তাকালে দেখা যাবে তাদের দামও তুলনামূলক কম। ইবনে বতুতা নিজেই আড়াই দিনারে ক্রীতদাসী ক্রয় করেছিলেন, বাজারে কম দামে প্রচুর দাস-দাসী বিক্রি হতে দেখেছেন তিনি। অনাহার আর দুর্ভিক্ষ কিংবা ঋণের কারণে নিজেকে বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনাও পাওয়া যায় সেই সব রেকর্ডে। আবার দাসের মূল্য নির্ধারিত হয় তার সারা জীবনে যা আয় করবে তার উপর, অর্থাৎ তার মজুরীর উপর। সুতরাং একজন দাসের এককালীন বাজারমূল্য কম হওয়ার থেকে সহজেই অনুমান করা যায় মানুষের দৈনিক শ্রমের মজুরী কত কমে গিয়েছিল। তাই অর্থনৈতিক তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সোনার বাংলার যে সমৃদ্ধ প্রতিচ্ছবি আমাদের সামনে ভেসে উঠে বাংলা ঠিক তেমন ছিল না কখনোই। তবে দারিদ্র্যের পাশাপাশি এখানে সমৃদ্ধিও ছিল, তবে তা নিরবচ্ছিন্ন নয় মোটেও। দুর্ভিক্ষ, অতিবৃষ্টি ছিল, বন্যার কারণে ফসলের ক্ষতি হওয়ায় গ্রামের পর গ্রাম উজাড় হয়ে যেত। বন্যা, খরা আর দুর্ভিক্ষের মতো দুর্যোগের পর জনসংখ্যা কমে আসতো, নতুনভাবে শুরু হতো মানুষের লড়াই। সময় আর প্রকৃতির বিরুদ্ধে লড়াই করেই বাংলায় যুগ যুগান্তর ধরে টিকে আছে মানুষ। ইংরেজ শাসনের পর থেকে সেই লড়াই আরো তীব্র হয়েছে, প্রকৃতির বিরুদ্ধে যে লড়াই ছিল তা ছড়িয়ে পড়েছে মানুষে মানুষে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয়েছে। সুজলা সুফলা গ্রাম বাংলার অনাহার আর দারিদ্র্যের ঘরে যে শান্তির প্রতিচ্ছবি সেটিই আসল 'সোনার বাংলা'।
সৌজন্যে রোয়ার মিডিয়া

ন্যায় বিরোধী অন্যায়

অন্যায় কি অন্যায় হলো অন্যের চোখে যেটা ন্যায় নয়। মানুষ কি অন্যায় করে? না মানুষ কখনো অন্যায় করেনা। মানুষ যেটা করে সেটা হলো কাজ। স্বভাবতই অন্যায় হলো এক ধরনের ক্রিয়া।  মানূষ তার নিজের কাজ সমাধা করলে তা কিছু মানুষের সামনে উপস্থাপিত হয়ে যায় এমনিতেই। কিন্তু যাদের সামনে উপস্থাপিত হয় তা কিছুটা ভার্চুয়াল এনালিটিক্স এর মতো মানুষের মস্তিষ্ক দ্বারা বিশ্লেষিত হয়। আর মস্তিষ্ক তার রক্ষিত তথ্যগুলোর সাথে মিলিয়ে দেখে এবং এর ফলে মিল গুলো বাদ রেখে শুধু অমিল গুলো অন্যের জন্য কপিরাইট সংরক্ষিত রেখে সম্পুর্ন বা আংশিক প্রকাশ করে বা পরবর্তী সময়ে প্রকাশের জন্য ড্রাফট করে রাখে। এক্ষেত্রে কাজের সাথে এবং পূর্বে রক্ষিত স্মৃতি  বিশ্লেষণ করে যদি মিল গুলো বেশি হয়ে যায় তবে সেটা পজিটিভ প্রদর্শিত হয় এবং ন্যায় উপাধি দেওয়া হয় আর যদি অমিল গুলো বেশি হয় তখন যিনি পুর্বে কৃত কাজের বিষয়ে তথ্য পেয়েছেন বা যিনি কাজের সম্পর্কে অবহিত হয়েছেন তার বিশ্লেষনে তা নেগেটিভ প্রদর্শন করে  সেটাকে অন্যায় উপাধি দেওয়া হয় । একজন মানুষ যত ভালোয় হোক তার মাঝে যতটুকু খারাপ থাকে সে ততটুকুই ভাল। মানুষ তার আয়ুষ্কাল যায় হোক তার মাঝে দোষ গুন এর অনুপাত ৫০%৫০%।  একজন মানুষ অন্যের বিশ্লেষনে যত বেশি ভাল হবে অর্থাৎ ফলাফল পজিটিভ বলে স্বীকৃতি পাবে সে প্রকৃত পক্ষে তত বেশিই নেগেটিভ বা খারাপ ধারন করে রাখে। শুধু স্মৃতি শক্তির কারনে প্রকাশটা কম বেশি হয়ে থাকে কিছুটা ক্ষুদ্র বার্তার মত যেমন আমরা যখন ক্ষুদ্র বার্তা পাঠাই তখন কি ঘটে যার উদ্দ্যেশ্যে পাঠাই সে তার সংযোগ চালু থাকলে উদ্দিষ্টের নিকট পৌছে যায়। আর যদি সংযোগ চালু না থাকে তবে নিদৃষ্ট সময় পরে ব্যার্থ হয়ে ফিরে আসে এবং প্রেরিত বা পরে ব্যবহারযোগ্য ড্রাফট বা টেমপ্লেটে সংরক্ষিত হয়ে থাকে। এখন যার কৃত কাজ গুলো অন্যের প্রকাশনা অনুসারে পজিটিভ প্রদর্শিত হয় তখন সে ভালো আর যদি অন্যের প্রকাশনা অনুসারে যদি নেগেটিভ প্রদর্শিত হয় তখন সে খারাপ। তাহলে ব্যক্তির সম্পাদিত মূল কর্মের সাথে আনুষঙ্গিক আরও অনেক কর্ম থাকে এবং প্রতিটা কর্মই মূল কর্মের মতো স্বতন্ত্রতা লালন করে। এবং প্রতিটা কর্মেরই কেউ না কেউ উদ্দিষ্ট 
থাকে। এবং তাদের সংরক্ষিত স্মৃতি অনুসারে তা পজিটিভ বা নেগেটিভ প্রদর্শন করে এবং অবচেতন গণনার ভিত্তিতে আনুষঙ্গিক কর্মগুলোর পজিটিভের সংখ্যা বেশি হলে তার প্রতিটি পজিটিভের জন্য সর্বোচ্চ পজিটিভ স্কোর লাভ করে  তদ্রুপ নেগেটিভ প্রদর্শনের জন্যেও সর্বোচ্চ নেগেটিভ স্কোর লাভ করে এক্ষেত্রেও প্রতিটি আনুষঙ্গিক কর্ম স্বাতন্ত্র‍্যতা লালন করে এবং প্রতিটা নেগেটিভএর জন্য সর্বোচ্চ নেগেটিভ স্কোর লাভ করে। যার কর্ম উদ্দিষ্টএর সংযোগ ব্যর্থতার কারনে প্রেরন ব্যর্থতা ঘটলে সে সর্বোচ্চ পজিটিভ স্কোর লাভ করে আর আবার ড্রাফট বা টেম্পলেট হিসাবেই থেকে যায় তবে নেগেটিভ স্কোর প্রাপ্য কর্ম গুলো সম্পূর্নতা না পায় তবে তার নেগেটিভ স্কোর অপরিবর্তিত থাকে এবং শুধু পজিটিভ স্কোর প্রাপ্য গুলো সম্পূর্নতা পায় তবে তবে পজিটিভ স্কোর বেড়ে যায় আর আমরা প্রদর্শন করি কর্তার পজিটিভ বা নেগেটিভ স্কোর এবং তৃতীয়রা আমাদের প্রদর্শন মেনে নিলে কর্তা খুব ভাল বা খারাপ উপাধী লাভ করে। কর্তার একা বা নিজে নিজে কখনো ভাল বা খারাপ উপাধি প্রাপ্তির যোগ্যতা রাখেননা বা ক্ষমতা রাখেনা শুধু কর্ম উপস্থান করার যোগ্যতা বা ক্ষমতা থাকে কর্তার এবং তিনি একা কোন পজিটিভ বা নেগেটিভ স্কোর প্রাপ্যতার অধিকারী কখনোই হননা। কর্তার স্কোর প্রাপ্তি সম্পূর্ন হতে তিনটা পক্ষ বাধ্যতামূলক।
সত্যনন্দীর ফেরিওয়ালা

ন্যায় অন্যায় ভাই ভাই

ফেরিওয়ালা নিবেদিত
অন্যায় কি অন্যায় হলো অন্যের চোখে যেটা ন্যায় নয়। মানুষ কি অন্যায় করে? না মানুষ কখনো অন্যায় করেনা। মানুষ যেটা করে সেটা হলো কাজ। স্বভাবতই অন্যায় হলো এক ধরনের ক্রিয়া।  মানূষ তার নিজের কাজ সমাধা করলে তা কিছু মানুষের সামনে উপস্থাপিত হয়ে যায় এমনিতেই। কিন্তু যাদের সামনে উপস্থাপিত হয় তা কিছুটা ভার্চুয়াল এনালিটিক্স এর মতো মানুষের মস্তিষ্ক দ্বারা বিশ্লেষিত হয়। আর মস্তিষ্ক তার রক্ষিত তথ্যগুলোর সাথে মিলিয়ে দেখে এবং এর ফলে মিল গুলো বাদ রেখে শুধু অমিল গুলো অন্যের জন্য কপিরাইট সংরক্ষিত রেখে সম্পুর্ন বা আংশিক প্রকাশ করে বা পরবর্তী সময়ে প্রকাশের জন্য ড্রাফট করে রাখে। এক্ষেত্রে কাজের সাথে এবং পূর্বে রক্ষিত স্মৃতি  বিশ্লেষণ করে যদি মিল গুলো বেশি হয়ে যায় তবে সেটা পজিটিভ প্রদর্শিত হয় এবং ন্যায় উপাধি দেওয়া হয় আর যদি অমিল গুলো বেশি হয় তখন যিনি পুর্বে কৃত কাজের বিষয়ে তথ্য পেয়েছেন বা যিনি কাজের সম্পর্কে অবহিত হয়েছেন তার বিশ্লেষনে তা নেগেটিভ প্রদর্শন করে  সেটাকে অন্যায় উপাধি দেওয়া হয় । একজন মানুষ যত ভালোয় হোক তার মাঝে যতটুকু খারাপ থাকে সে ততটুকুই ভাল। মানুষ তার আয়ুষ্কাল যায় হোক তার মাঝে দোষ গুন এর অনুপাত ৫০%৫০%।  একজন মানুষ অন্যের বিশ্লেষনে যত বেশি ভাল হবে অর্থাৎ ফলাফল পজিটিভ বলে স্বীকৃতি পাবে সে প্রকৃত পক্ষে তত বেশিই নেগেটিভ বা খারাপ ধারন করে রাখে। শুধু স্মৃতি শক্তির কারনে প্রকাশটা কম বেশি হয়ে থাকে কিছুটা ক্ষুদ্র বার্তার মত যেমন আমরা যখন ক্ষুদ্র বার্তা পাঠাই তখন কি ঘটে যার উদ্দ্যেশ্যে পাঠাই সে তার সংযোগ চালু থাকলে উদ্দিষ্টের নিকট পৌছে যায়। আর যদি সংযোগ চালু না থাকে তবে নিদৃষ্ট সময় পরে ব্যার্থ হয়ে ফিরে আসে এবং প্রেরিত বা পরে ব্যবহারযোগ্য ড্রাফট বা টেমপ্লেটে সংরক্ষিত হয়ে থাকে। এখন যার কৃত কাজ গুলো অন্যের প্রকাশনা অনুসারে পজিটিভ প্রদর্শিত হয় তখন সে ভালো আর যদি অন্যের প্রকাশনা অনুসারে যদি নেগেটিভ প্রদর্শিত হয় তখন সে খারাপ। তাহলে ব্যক্তির সম্পাদিত মূল কর্মের সাথে আনুষঙ্গিক আরও অনেক কর্ম থাকে এবং প্রতিটা কর্মই মূল কর্মের মতো স্বতন্ত্রতা লালন করে। এবং প্রতিটা কর্মেরই কেউ না কেউ উদ্দিষ্ট  
থাকে। এবং তাদের সংরক্ষিত স্মৃতি অনুসারে তা পজিটিভ বা নেগেটিভ প্রদর্শন করে এবং অবচেতন গণনার ভিত্তিতে আনুষঙ্গিক কর্মগুলোর পজিটিভের সংখ্যা বেশি হলে তার প্রতিটি পজিটিভের জন্য সর্বোচ্চ পজিটিভ স্কোর লাভ করে  তদ্রুপ নেগেটিভ প্রদর্শনের জন্যেও সর্বোচ্চ নেগেটিভ স্কোর লাভ করে এক্ষেত্রেও প্রতিটি আনুষঙ্গিক কর্ম স্বাতন্ত্র‍্যতা লালন করে এবং প্রতিটা নেগেটিভএর জন্য সর্বোচ্চ নেগেটিভ স্কোর লাভ করে। যার কর্ম উদ্দিষ্টএর সংযোগ ব্যর্থতার কারনে প্রেরন ব্যর্থতা ঘটলে সে সর্বোচ্চ পজিটিভ স্কোর লাভ করে আর আবার ড্রাফট বা টেম্পলেট হিসাবেই থেকে যায় তবে নেগেটিভ স্কোর প্রাপ্য কর্ম গুলো সম্পূর্নতা না পায় তবে তার নেগেটিভ স্কোর অপরিবর্তিত থাকে এবং শুধু পজিটিভ স্কোর প্রাপ্য গুলো সম্পূর্নতা পায় তবে তবে পজিটিভ স্কোর বেড়ে যায় আর আমরা প্রদর্শন করি কর্তার পজিটিভ বা নেগেটিভ স্কোর এবং তৃতীয়রা আমাদের প্রদর্শন মেনে নিলে কর্তা খুব ভাল বা খারাপ উপাধী লাভ করে। কর্তার একা বা নিজে নিজে কখনো ভাল বা খারাপ উপাধি প্রাপ্তির যোগ্যতা রাখেননা বা ক্ষমতা রাখেনা শুধু কর্ম উপস্থান করার যোগ্যতা বা ক্ষমতা থাকে কর্তার এবং তিনি একা কোন পজিটিভ বা নেগেটিভ স্কোর প্রাপ্যতার অধিকারী কখনোই হননা। কর্তার স্কোর প্রাপ্তি সম্পূর্ন হতে তিনটা পক্ষ বাধ্যতামূলক।
সত্যনন্দীর ফেরিওয়ালা

নিম্নগামী পরিস্রাবণ নীতি

ফেরিওয়ালা নিবেদিত নিম্নগামী পরিস্রবন নীতি লর্ড মেকলের যে শিক্ষানীতি তা একসময় প্রহসন মনে হলেও এখন সেটা যুগোপযোগী মনে হচ্ছে। নিম্নগামী পরিস্রবন নীতিতে শিক্ষা ব্যবস্থাকে উপর থেকে নিচের দিকে ধাবিত করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে শিক্ষা বা জ্ঞ্যন উপর থেকে ক্রমান্বয়ে নিচের দিকে ধাবিত হবে। প্রকৃতি তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। যেমন একটি চারাগাছ এর যত্ন আমরা কিভাবে নিই? উপর থেকে পানি দেই সেটা ক্রমান্বয়ে নীচের দিকে ধাবিত হয়ে মাটিতে মিশে খাদ্য তৈরি করে চারাগাছটিকে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। একটি চারাগাছকে বড় করে তোলার জন্য আমরা কিন্তু নীচ থেকে উপরের দিকে পানিকে ধাবিত করিনা। আবার নিম্নগামী পরিস্রবন নীতির সার বস্তু হলো জ্ঞ্যন উপর থেকে চুইয়ে চুইয়ে নীচের দিকে পড়বে এটার অর্থ এমন যে বড়দের দেখে ছোটরা শিখবে। এবং এটাই কিন্তু সমাজে কার্যকর। শিশুরা বড়দের অনুকরণ করে শেখে। তদনুযায়ী সমাজের সিনিয়রদের দেখে তাদের শেখার কথা এবং তারা তাই শিখছে। শৈশব থেকে তারা পড়ছে কিন্তু তারা যা পড়ে সমাজ তার বীপরিত তাই তারা বই থেকে যা শিখছে সেটা ব্যবহার না করে তারা সমাজের বড়দের দেখে শিখছে ফলে শিক্ষার হার বাড়লেও কাংখিত পরিবর্তন কিন্তু ঘটছেনা। আর তৎকালীন সময়ের বুদ্ধিজীবীরা এই নীতির বিরোধিতার কারন হতে পারে যে এই নীতি চালু করতে গেলে আগে নিজেদের পরিবর্তন আবশ্যক যা ব্যক্তি স্বার্থের পরিপন্থী। তাই তারা নীচ থেকে উপরের দিকে যাবার পথটি বেছে নেয় ফলে দেখা যায় যে বিষয়টি শিশুর মনে জ্ঞ্যন ও বাস্তবতার সংগে সাংঘর্সিক হয়ে যায় এ ক্ষেত্রে শিশুরা বড়দের অনুকরণ করাকে নিরাপদ মনে করে ফলে পুথির জ্ঞ্যন পুথিতেই সীমাবদ্ধ থাকছে। আর কাংখিত আচরনিক পরিবর্তন অপরিবর্তনীয় রয়ে যাচ্ছে। আমি বোকা বলে এইভাবে ভেবেছি জ্ঞ্যনীরা সঠিকটা ভাববেন এটাই প্রত্যাশা।

Idle of Children

ফেরিওয়ালা নিবেদিত
Who can be a child's ideological male? Who can be the symbol of love and discipline? Of course parents. Like a banyan tree that we compare, like a umbrella, it also takes father. Parents are strongly related to the dependency of the word. Baba is hiding in the words of respect, love, dependence, shelter. To succeed every successful man, the man grew up with a lot of hard work, many sacrifices, many love, many affection, affection, shadow, and guidance. There is no defect in father's heartbreaking efforts to make children happy with many pursuits. Thinking about the future of the child, what hard work she has to father to laugh at the child's face My father forgot about his mistake. Many people do not understand the dentures as they are teeth, so how can they understand their lack of parental status? I do not have the ability to tell the parents whose parents are lacking. The father does not know how much pain, the pain, the pain of losing the father. They understand what Father is like.
Father You're gone, you have to leave. As others leave it. Do you remember the crossing day? I do not have to. Nobody remembers the earlier words. Dad, did you notice a thing? How big is your little boy today? It's been too big. Not so big anybody's eyes. Do you remember the day you left? The environment seemed to be burdensome. Your little boy does not understand the significance of that burden, does not understand the pain of losing loved ones, why do not everyone cry so much. She is frozen-hung-speechless. Just watching the Phal Fal But wonder, when your body is nearing the house from the city, your favorite domestic animals scream. The shade of mourning came down in their home. The heart of the corrosive cry also crying. But I think this is without thinking. Do you understand how much you left me? I understand Now understand I try to fail to find out. To find the cry of death, in the light of the pairing in the dark night. Jana Baba, sitting near your grave, sitting in the pond of Puurghat, you sit near deep night. You will meet with me, I will talk. Tell me how I am. How is your son How was it going to be It hurts hard, it hurts hard for your son. She is still desperately looking for a little happiness, Shyamalaya, a little affection, love, love. Peace, joyous atmosphere. People of the beautiful mind are the flock. Above all, a position. I know if it was you would have been. Because you are the symbol of dependency, the father you are. 'You are the beginning, I am Sara / you have wings, I have water / you sit, my movement.' I wonder if the father! That's the truth, this is the reality. Your journey started in the upper side, because of me leaving Sarah is my I'm moving. Always run it. I do not know when it will end. You have followed the path that you thought you would follow. Still the heart has been wounded by thorns. The funny thing is, I did not do it at all. Neither neighboring or mate-partners Listen to those stories? Come on a full moon night, in the pond of the pond. I will not tell you the words,

MD HUMAYUN KABIR

পৃত্বিত্বের ছায়া

ফেরিওয়ালা নিবেদিত
সন্তানের আদর্শিক পুরুষ কে হতে পারেন? আদর ও শাসনের প্রতীক কে হতে পারেন? অবশ্যই বাবা। আমরা যে বটবৃক্ষের ন্যায়, ছাতার ন্যায় তুলনা করি তাও বাবাকে নিয়ে। বাবা শব্দটির সঙ্গে নির্ভরশীলতা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। বাবা কথাটির মাঝেই যেন লুকিয়ে রয়েছে শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, নির্ভরশীলতা, আশ্রয়। প্রত্যেক সফল মানুষকে সফল হয়ে উঠতে যে মানুষটি অনেক পরিশ্রম, অনেক ত্যাগ, অনেক ভালোবাসা, অনেক স্নেহ-মমতা, ছায়া, দিকনির্দেশনা দিয়ে বড় করে তোলেন তিনিই বাবা। অনেক সাধনার ধন সন্তানকে সুখী করার জন্য বাবার প্রাণান্তকর চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই। সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে, সন্তানের মুখে হাসি ফোটাতে বাবার সে কী পরিশ্রম। নিজের কথা বাবা তখন বেমালুম ভুলে যান। দাঁত থাকতে অনেকেই যেমন দাঁতের মর্ম বোঝে না, তেমনি বাবার স্বীয় অবস্থানে তারা তার অভাব কী করে বুঝবে? যাদের বাবা বর্তমান তাদের বাবার অভাব বোঝানোর সাধ্য আমার নেই। যার বাবা নেই সে-ই বোঝে বাবা হারানোর কত কষ্ট, কত বেদনা। তারাই বোঝে বাবা কী।
বাবা। তুমি তো চলে গেছ, চলে যাওয়ার জন্য। অন্যরা যেমন যায়। তোমার পারাপারের দিনটির কথা কি মনে আছে? না থাকারই কথা। এতদিন আগের কথা কেউ কি মনে রাখে। বাবা তুমি একটা বিষয় খেয়াল করেছ? তোমার ছোট্ট ছেলেটি আজ কত বড় হয়েছে? অনেক বড় হয়েছে। এতই বড় যে কারো চোখে ধরে না। তোমার চলে যাওয়ার দিনের কথা মনে আছে? পরিবেশটা কেমন যেন ভার ভার মনে হচ্ছিল। তোমার ছোট্ট ছেলেটি সেই ভারের তাৎপর্য বোঝে না, বোঝে না প্রিয়জন হারানোর ব্যথা, বোঝে না কেন সবাই এত কান্নাকাটি করে। সে নিথর-স্তব্ধ-বাকরুদ্ধ। শুধু ফ্যাল ফ্যাল চোখে তাকিয়ে থাকা। অথচ কী আশ্চর্য, তোমার শবদেহটি যখন শহর থেকে বাড়ির কাছাকাছি পেঁৗছায়, তখন তোমার প্রিয় গৃহপালিত পশুগুলো আর্তনাদ করে ওঠে। তাদের চিৎকারে শোকের ছায়া নেমে আসে বাড়িতে। পাষাণ হৃদয়ও হুহু করে কেঁদে ওঠে। অথচ এই আমি ভাবলেশহীন। বুঝতে পারছ বাবা আমাকে কতটুকু রেখে তুমি চলে গেছ? আমি বুঝি। এখন বুঝি। বুঝি বলেই খোঁজার ব্যর্থ চেষ্টা করি। কেঁদে মরি খোঁজার তরে, জোছনার আলোয় গভীর রাতে। জান বাবা, তোমার সমাধিস্থলের পাশেই তোমারই করা শানবাঁধানো পুকুরঘাটে প্রায় জোছনায় গভীর রাত পর্যন্ত বসে থাকি। তোমার সঙ্গে দেখা হবে, কথা হবে। বলব আমি কেমন আছি। তোমার ছেলে কেমন আছে। কেমন থাকার কথা ছিল। কষ্ট হয়, ভীষণ কষ্ট হয় তোমার ছেলের জন্য। সে এখনো মরিয়া হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছে একটু সুখ, শ্যামলছায়া, একটু স্নেহ-আদর, ভালোবাসা। শান্তি, আনন্দমুখর একটি পরিবেশ। সুন্দর মনের একপাল মানুষ। সর্বোপরি একটি অবস্থান। জানি তুমি থাকলে তা হয়েও যেত। কারণ তুমি যে নির্ভরশীলতার প্রতীক, তুমি যে বাবা। 'তোমার হলো শুরু, আমার হলো সারা/তোমার আছে ডানা, আমার আছে জল/তোমার বসে থাকা, আমার চলাচল।' অবাক হলে তাই না বাবা! এটাই সত্য, এটাই বাস্তবতা। ওপারেতে তোমার যাত্রা শুরু, তোমার চলে যাওয়ায় আমার হলো সারা। চলছি তো চলছি। অবিরাম সে চলা। এ চলা কবে শেষ হবে জানি না। যে পথে চলব বলে তুমি ভেবেছ, তার থেকেও সরল পথে চলছি। তার পরও কাঁটার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে হৃদয়। মজার ব্যাপার হলো, কখনো এ আঘাতে উহ করিনি। বুঝতে দিইনি প্রতিবেশী বা সঙ্গী-সাথীদের। শুনবে সেসব কাহিনী? এসো কোনো এক পূর্ণিমা রাতে, সেই শানবাঁধানো পুকুরঘাটে। তোমাকেই বলব না-বলা কথাগুলো।