একজন মানুষ যদি তার মাতৃভাষার সাথে সাথে আর কোন ভাষা জানতে বা শিখতে চায় তবে তার প্রক্রিয়াটা কি হওয়া উচিৎ? এ বিষয়ে কেউ কেউ মনে করেন আগে বর্ণ চেনা উচিৎ। আমিও বিষয়টিতে সহমত পোষন করি। আগে বর্ণ চেনা উচিৎ। তার পরে কি করা উচিৎ আসলে পরে নয় বর্ণচেনার সাথে সাথে যে কাজটি করা উচিৎ সেটা হলো বর্ণের সঠিক উচ্চারণ শেখা উচিৎ। এর পরবর্তী কাজ হলো সংশ্লিষ্ট ভাষার স্বরবর্ণ বা ভাওয়েল এর ব্যবহার জানা। আমাদের পদ্ধতি কি ? আমাদের পদ্ধতি হলো বর্ণের সাথে সাথে শব্দের সাথে পরিচয় ঘটানো এবং সেই সাথে সকল ভুলের সূত্রপাত ঘটানো। একজন শিশু আল কোরআন যত সহজে আয়ত্ব করতে পারে ইংরেজি ভাষা কিন্তু পারেনা। কারণ কি? কারন হলো আল কোরআন শুরুর আগে শিশু বর্ণ চিনে তারপর যের যবর পেশ তথা স্বরবর্ণের ব্যবহার শেখে এবং সে সেটা কখনই ভোলেনা। তার পরে সে শব্দ গঠনে মনো নিবেশ করে। সর্বপোরি কোরআন এর ভাষা তথা আরবি ভাষা যখন একজন অন্য ভাষা ভাষির শিশু শেখে তখন তার প্রতি সৃষ্টি কর্তার রহমত তার উপর বর্ষিত হয়। এবং সংশ্লিষ্ট ভাষার প্রতি তার ভালবাসা জন্ম নেয় সে কারণে অর্থ না বুঝলেও সে তা মুখস্থ করে রাখতে পারে।। এবং আরবি ভাষায় রচিত আল কোরআনই একমাত্র গ্রন্থ যা মুখস্থ করতে হয়। আর কোন গ্রন্থ মুখস্থ করার প্রয়োজন পড়েনা। আর এই মুখস্থ শুধু তারাই করতে পারে যাদেরকে সৃষ্টিকর্থা অসংখ্যা ভালবাসেন এবং তাকে সাহায্য করেন বলেই এটা সম্ভব।
No comments:
Post a Comment