কি ভাবছেন? সবটাই সঠিক? না। কিছুটা বেঠিক থাকবেই, ইচ্ছা না করলেও থাকবেই, আপনি না চাইলেও দৈব আপনাকে দিয়ে ভূলটুকু করাবে, কেন করাবে ওটা না করালে আপনার সামর্থ্য অপ্রমাণিত হয়ে থাকবে। যখন দৈব আপনার দিকে হাত বাড়াবে তখন আপনি চারিদিকে শুধু অন্ধকার দেখবেন। কাছের মানুষ গুলো দূরে সরে যাবে সংসার জগৎ এ একা হয়ে যাবেন আপনি। ধৈর্য বাধ ভাংবে, অপমান সীমা অতিক্রম করবে, হতাশা পূর্ণতা পাবে শরীর অবসাদগ্রস্থ হয়ে যাবে আলোগুলো নিভু নিভু করবে কিন্তু আপনি থামবেননা যদি থেমে যান তবে হেরে যাবেন আপনার পরিসমাপ্তি ঘটবে যেটুকু ভাল ছিল তা ম্লান হয়ে যাবে। কারণ আপনার ঐ ভালটুকুর সময় দৈব হয়ত আপনার দিকে হাত বাড়ায়নি। বা সেটুকু আপনার নিজ যোগ্যতায় হয়েছে। কিন্তু যখন দৈব আপনার দিকে বাড়িয়ে আরো বড় কিছু করতে চাইছে ঠিক তখনি আপনি পরাজিত হয়ে নিজের ব্যার্থতা প্রমাণ করছেন। আর যখন আপনি ব্যর্থতা প্রমাণ করে হেরে যাচ্ছেন এবং পরাজিত হয়ে যাচ্ছেন আপনার সেই পরাজয় এটাও প্রমান করে যায় দৈব এর প্রতি আপনার আস্থা নেই। জীবন হলো অতৃপ্ত আত্মার নিরন্তর ছুটে চলা। যেখানে সবসময় নিজের ব্যার্থতা ফুটে উঠে যেখানে শুকরিয়া জ্ঞ্যাপনের সুযোগ নেই শুধু প্রতিযোগিতায় নিজেকে ব্যাস্ত রাখতে হয়। যেখানে সবটায় পূর্ণ শুধু নিজ আত্মা ছাড়া। তবুও হাজার প্রত্যাশার অক্লান্ত আহাজারি। অথচ এই আহাজারিতে উৎসাহ যোগাবে সবাই কিন্তু কেউ বলবেনা থাম আর প্রয়োজন নেই। এতেই সন্তষ্ট। এর পর বিনা নোটিশে সব থেমে যাবে। যদি আপনি বেশি কিছু রেখে যান তবে আপনি সফল যদি না পারেন তবে আপনি ব্যর্থ। যে সফলতা বেচে থাকতে প্রয়োজন ছিল সেটার মূল্যায়ন করা হচ্ছে আপনার সমাপ্তির পর অথচ সেই সফলতা আপনার পার্থিবতায় নি:স্প্রয়োজন। অথচ সারাটা জীবন সেটার পিছনেই বিচরণ করলেন। জীবন যেন একটি অনিয়মিত ব্যক্তিক ভাবনা, যেখানে ভাবনার মালিক আপনি নিজে কিন্তু ভাবনার পূর্ণতা দেওয়ার মালিক আপনি নন। কারণ নানান সামাজিক বিধিনিষেধ প্রতিবন্ধকতা আপনার প্রধান বাধা। যেখানে সমাজ আপনার পথ রুদ্ধ করবে। পরিবার আপনার স্বাধীন সত্তাকে পরাধীন করে রাখবে রাষ্ট্রের আইন আপনার হাত পা বেধে রাখবে। যেখানে সমস্যা শুধু আপনাতে আপনার। জীবনে এমন অনেক কিছু ঘটে যার জন্য আপনি দায়ি নন কিন্তু তার ফল আপনাকে ভোগ করতে হবে।
No comments:
Post a Comment