Adsense

পারিবারিক সহিংসতা বসনে অবসান

প্রতিদিন ঘর থেকে বের হন বা না হন খবরে চোখ রাখেন বা না রাখেন। পারিবারিক সহিংসতা ঘটছে প্রতিনিয়ত, যার ফলাফল এতই মারাত্মক যে প্রাণাবসান কখনো কখনো এর পরিনতি। কিন্তু পারিবারিক সহিংসতা কেন কি কারণে ঘটছে? তা খুজে বের না করে আমরা আইনের আশ্রয় নিয়ে শাস্তি নিশ্চিত করছি ঠিকই কিন্তু প্রকৃত সত্য অজানা থেকে যাচ্ছে। এ সহিংসতা বন্ধ করা যাচ্ছেনা বরং প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে। কিন্তু এর কারণ কি? এর অন্যতম কারণ প্রযুক্তির আধুনিকতা ও সামাজিক অবক্ষয় কিন্তু এটা শুধু দায়সারা কথা। আসলে এর মূল কারণ বসন বা পোশাক পরিচ্ছদ। যদিও এই বসন বা পোশাক পরিচ্ছদ এর পরিবর্তন ঘটেছে প্রযুক্তির মাধ্যমে। আবার এই পারিবারিক সহিংসতা বন্ধ করা কঠিন কিছু নয় যদি আমরা বসন সম্বন্ধে সচেতন হই। যেমন একটি ভাল মানের রসালো সুস্বাদু ফল কিন্তু আবরণে আবৃত থাকে। ঠিক তেমনি পারিবারিক সুখ সমৃদ্ধির রসালো ফলটাও কিন্তু আবরন নির্ভর। কিন্তু যখনই আমরা অনাবৃত হই তখন কিন্তু নিজের অবয়ব নিজের কাছেই কুৎসিত মনে হয়। তাহলে অন্যের চোখে তা কেন কুৎসিত মনে হবেনা। যদি আমরা বাংগালী ঘরাণার ভদ্র পোশাকের ইতিহাস খুজে দেখি তবে দেখা যাবে একজন বাংগালী ভদ্র সচ্ছল রমনী কিন্তু মার্জিত পোশাকে নিজেকে ঢেকে রাখতেন। এমনকি নিজের অনেক অভাব বা অভিযোগও তারা ঢেকে রাখতেন এই জন্যই হয়ত তারা সুখের নাগাল পেয়েছিলেন। এর অর্থ কিন্তু এই নয় যে অসচ্ছল রমনীরা অভদ্র ছিলেন আসলে তারা সম্পুর্ণ আবৃত করে রাখার পর্যাপ্ত বসনের অভাবে ছিলেন। তবুও তারা মনের পোশাকে নিজের শরীর সতীত্ব ঢেকে রাখতেন। তারা বাহ্যিক পোশাককেই সতীত্ব ঢাকবার একমাত্র ভাবনাই ছিলেননা মনের পবিত্রতা দিয়েও নিজেকে ঢেকে রাখতেন এই কারণে তারাও সুখের নাগাল পেয়েছিলেন পারিবারিক সহিংসতা কম ছিল যেটুকু ছিল তা অনেক ক্ষেত্রেই গোপনীয় ছিল। যেটাকে আমরা আধুনিক পরিভাষাবলে নির্যাতন উপাধি দিয়েছি। তবুও একজনের আর একজনের উপর কতৃত্ব ভালবাসা দাবী সবকিছুই ছিল। এখন কিন্তু হিজ হিজ হুজ হুজ কেউ কারোনা। শুধু সামাজিক লোকলজ্জার ভয়ে নির্লজ্জের মত পাশাপাশি চলে। নারীর বসন গোড়ালী আবৃত হবার কথা আর পুরুষের গোড়ালীর উপরে এতে নারী পুরুষের শারীরিক সক্ষমতার ব্যালেন্স রক্ষা হয় কিন্তু বর্তমানে আমরা দেখি কি? পুরুষের গোড়ালী ঢাকা আর মেয়েরা পরে গোড়ালী উন্মুক্ত ধুতি পায়জামা ফলে পথে চলা গোড়ালী ঢাকা তরুনো মন্তব্য করে বসে খানকি। কিন্তু কেন? কারণ সেই ছেলেটিও এটা বিশ্বাস করে বা মানে যে গোড়ালী উন্মুক্ত থাকা রমনীর শারীরিক সামর্থ্য বেশি হবে এবং গোড়ালী ঢাকা একজন পুরুষ দ্বারা তার পরিতৃপ্তি সম্ভব নয়। স্বভাবতই সে পর পুরুষে মনোনিবেশ করবে। একজন সভ্য বাংগালী গৃহলক্ষী যখন গৃহের বাইরে পা রাখবেন তখন তার ৩য় পোশাকটি কিন্তু কনুইয়ের নিচ পর্যন্ত ঢাকা থাকবে, পায়ের গোড়ালীও ঢাকা থাকবে দেহ সৌষ্ঠব এর কেন্দ্রবিন্দু ঢাকা থাকবে, তার দাত কেউ দেখতে পাবেনা, নিজের ঠোট রাংগাবেনা অন্যকে দেখানোর জন্য। এতে আর যায় হোক রকে বসে থাকা কেউ তার সম্বন্ধে বাজে মন্তব্য করার সাহস বা সুযোগ কেউ পাবেনা। সর্বোচ্চ হয়ত তাকে সালাম দিয়ে বিদায় নেবে যেটা একজন সভ্য মানুষের কাজ। কিন্তু এখনকার লক্ষীর রুপধারণকারীরা এমন গেট আপ গ্রহণ করে যে একজন খেটে খাওয়া মজুরো তার কাজ ফেলে মন্তব্য করার সাহস পায়। অনেকে যুক্তি দাড় করান এই বলে যে নারী শাড়ী পরলে পেট  দেখা যায় যেটা শরীয়ত সম্মত নয়। তাহলে কি আমার মা বোনেরা শরিয়ত মানেননা না বোঝেননা। আসলে তারাও মানেন তারাও বোঝেন। শাড়ী পরতে জানলে পেট দেখা যায়না। আসলে কেউ কেউ আছেন যারা শাড়ী পরেনই পেট দেখানোর জন্য ফলে দেখা যায় নিজের স্বামী বাবা ভাই তারাও তাকে নিয়ে বাইরে যেতে বিব্রত বোধ করেন। একজন স্ত্রীর সৌন্দর্য ভোগ করার একমাত্র অধিকারী কে? তার স্বামী অথচ সেই স্বামীর সামনে সে ৩ পিচ পোশাকে নিজেকে ঢেকে রাখেন শাড়ী পরেন না অথচ একজন মেয়ের কিন্তু বিয়ের পরে শারীরিক পরিবর্তন ঘটে আর এই পরিবর্তনের পর সে যদি মনে করে ৩ পিচ পোশাকে আমাকে অতি সুন্দর দেখায় এবং এতে আমার স্বামী আমাকে আরও বেশি পছন্দ করবে এটা তার একটা ভূল ধারণা। কারণ স্বামীই একমাত্র পুরুষ যে লজ্জা ছাড়াই স্ত্রীকে পর্যবেক্ষণ করতে পারে। ফলে ভূল গুলো স্বামীর সামনে যেভাবে ধরা পড়ে আর কারো সামনে পড়বেনা। ফলে স্বামীর সামনে অরুচিকর হিসাবে উপস্থাপিত হয়ে যায় নিজের অজান্তেই। একদিন দুইদিন একসময় দেখা যায় স্বামী অন্য কারো প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যায়। শুরু হয় সহিংসতা। এক্ষনে ৩ পোশাকে ঢাকা নারীর প্রশংসা যে করে সংশ্লিষ্ট স্ত্রী তার কাছে দূর্বল হয়ে পড়ে এই ভেবে যে আমার কদর স্বামী না বুঝলেই অন্য কেউ বোঝে। হয়ত তা কখনো কখনো পরকিয়ার রুপ ধারণ করে। শুরু বিবাদ কলহ। স্বামী কখনো এটা ভাবেনা টাকনুর নীচে পোশাক পরার ফলে তার যে শারীরিক দূর্বলতা জন্ম নেয় তা স্ত্রীর চাহিদা মেটাতে সক্ষম নয়। ফলে একে অপরের প্রতি জন্ম নেয় সহিংস আচরন পারিবারিক সংহাৎ বৃদ্ধি পেতে থাকে। সন্তান তা দেখে জন্ম নেয় বাবা মায়ের প্রতি চরম অশ্রদ্ধা। অথচ যদি উভয়েই পোশাক সচেতন হতেন তাহলে হয়ত তা এড়ানো যেত। একজন গৃহলক্ষীর সাজ সজ্জা শুধু স্বামীকে তুষ্ট করার জন্য হওয়া উচিৎ যদি সেই সজ্জা সমাজকে দেখানোর উদ্দ্যেশ্যে হয় তবে নৈতিক অবক্ষয় হওয়া অসম্ভব নয় কারণ সমাজের প্রতিটা ব্যক্তি মুখোশে মোড়া বিভীষণ। দু একজন বিভীষনের অশালীন মন্তব্য কিন্তু গৃহলক্ষীর সুখ সমৃদ্ধি ধংস্ব করার জন্য যথেষ্ট। আর আমরা যে যেমন তেমন ভাবেই আর সকলকে বিশ্লেষণ করি। এতেই সোনায় সোহাগা হয়ে যায়। পোশাক সচেতন হন নিজে ভাল থাকুন সমাজ ভাল রাখুন। আপনার সৌন্দর্য শুধু আপনার বাম পাশের হাড়ে তৈরী জুটির জন্য আর কারো জন্য নয়। যে পুরুষ শুধু স্ত্রীর জন্য সাজসজ্জা করে আর যে স্ত্রী শুধু স্বামীর জন্য সাজ সজ্জা করে তারাই সবচেয়ে বেশী সুখী।

No comments: