বাড়ি ফিরে দেখি আমার বড় মেয়েটা বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনের নিমিত্তে প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিষয়: "সৃজনশীলতা বিকাশের অন্তরায় গাইড বই"। মাথায় গরম হয়ে গেল আমার। যদিও আমি গাইড বইয়ের পক্ষের নই কিন্তু তার অর্থ কি এই যে আমি পাঠ্যপুস্তকের পক্ষে? আসলে তা নয় আমি আসলে পাঠ্যপুস্তকেরো বিরোধী। কারন নেই কারন অবশ্যই আছে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি পাঠ্যপুস্তক হলো সরকারী অর্থের সরাসরি অপচয়। আসলে যেটাকা অপচয় করা হয় তার চেয়ে সাশ্রয়ী ভাবে জ্ঞ্যন অর্জনের সুযোগ করে দেয়া যায়। আসলে বিদ্যালয় গুলোতে কি প্রয়োজন? পাঠ্যপুস্তক নাকি সমৃদ্ধ লাইব্রেরী? পাঠ্যপুস্তক শিক্ষক শিক্ষার্থীর হাতে দিয়ে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে আমাদের। পাঠ্যপুস্তক থাকার কারনে শিক্ষক পাঠ্যপুস্তকএর কাজ গুলোকেই শেখানোর প্রয়োজন বোধ করছেন এবং যথা নিয়মে সিলেবাস শেষ করে মনে করছেন তার দায়িত্ব শেষ। যদি পাঠ্যপুস্তক না দিয়ে শিক্ষকের হাতে কারিকুলাম দিয়ে বিদ্যালয়ে একটা সমৃদ্ধ লাইব্রেরী থাকলে শিক্ষক কারিকুলাম অনুযায়ী যোগ্যতা অর্জন করানোর জন্য আগে নিজে স্টাডি করতেন এবং নিজে আগে সৃজনশীল হতেন। অথচ পাঠ্যপুস্তক থাকায় শিক্ষক নিজেই সৃজনশীল হতে পারছেন না শিক্ষার্থীদের কিভাবে সৃজনশীল করে গড়ে তুলবেন? পাঠ্যপুস্তক না থাকলেও নজরুল, লালন, আরজ আলী মাতবরেরা আজ মহামানব। সম্ভব হয়েছেতো হয়নি? আমার বাবার ছোট্ট একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। আমি এমন অনেক এম এ পাশ পড়ুয়া দেখেছি তারা প্রতিমাসে আসা বিদ্যূৎবিলএ কত টাকার বিল সেটাই ধরতে পারেনা আবার স্বাক্ষরজ্ঞ্যানহীন মানুষ দ্রুত বিল বলে আমার আগেই হিসাব করে ফেলে কত টাকা দিতে হবে বিল বাবদ! এমন হাজারো উদাহরণ আছে অত আর না বলি। ঘুমাতে হবে। তবে কতৃপক্ষ ভেবে দেখবেন আমি ভূল বলিনি। পাঠ্যপুস্তক নয় চাই পাঠাগার। তবেই সৃজনশীলতা সম্ভব শুধু গাইড, কোচিং, টিউশনি বন্ধ করে সৃজনশীলতা সম্ভব নয়। পাঠাগার থাকলে দুটো লাভ সামাজিক অবক্ষয় যেমন প্রতিরোধ সম্ভব হবে আবার সৃজনশীলতাও বৃদ্ধি পাবে।
Adsense
পাঠ্যবই নয় পাঠাগার দরকার
বাড়ি ফিরে দেখি আমার বড় মেয়েটা বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনের নিমিত্তে প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিষয়: "সৃজনশীলতা বিকাশের অন্তরায় গাইড বই"। মাথায় গরম হয়ে গেল আমার। যদিও আমি গাইড বইয়ের পক্ষের নই কিন্তু তার অর্থ কি এই যে আমি পাঠ্যপুস্তকের পক্ষে? আসলে তা নয় আমি আসলে পাঠ্যপুস্তকেরো বিরোধী। কারন নেই কারন অবশ্যই আছে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি পাঠ্যপুস্তক হলো সরকারী অর্থের সরাসরি অপচয়। আসলে যেটাকা অপচয় করা হয় তার চেয়ে সাশ্রয়ী ভাবে জ্ঞ্যন অর্জনের সুযোগ করে দেয়া যায়। আসলে বিদ্যালয় গুলোতে কি প্রয়োজন? পাঠ্যপুস্তক নাকি সমৃদ্ধ লাইব্রেরী? পাঠ্যপুস্তক শিক্ষক শিক্ষার্থীর হাতে দিয়ে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে আমাদের। পাঠ্যপুস্তক থাকার কারনে শিক্ষক পাঠ্যপুস্তকএর কাজ গুলোকেই শেখানোর প্রয়োজন বোধ করছেন এবং যথা নিয়মে সিলেবাস শেষ করে মনে করছেন তার দায়িত্ব শেষ। যদি পাঠ্যপুস্তক না দিয়ে শিক্ষকের হাতে কারিকুলাম দিয়ে বিদ্যালয়ে একটা সমৃদ্ধ লাইব্রেরী থাকলে শিক্ষক কারিকুলাম অনুযায়ী যোগ্যতা অর্জন করানোর জন্য আগে নিজে স্টাডি করতেন এবং নিজে আগে সৃজনশীল হতেন। অথচ পাঠ্যপুস্তক থাকায় শিক্ষক নিজেই সৃজনশীল হতে পারছেন না শিক্ষার্থীদের কিভাবে সৃজনশীল করে গড়ে তুলবেন? পাঠ্যপুস্তক না থাকলেও নজরুল, লালন, আরজ আলী মাতবরেরা আজ মহামানব। সম্ভব হয়েছেতো হয়নি? আমার বাবার ছোট্ট একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। আমি এমন অনেক এম এ পাশ পড়ুয়া দেখেছি তারা প্রতিমাসে আসা বিদ্যূৎবিলএ কত টাকার বিল সেটাই ধরতে পারেনা আবার স্বাক্ষরজ্ঞ্যানহীন মানুষ দ্রুত বিল বলে আমার আগেই হিসাব করে ফেলে কত টাকা দিতে হবে বিল বাবদ! এমন হাজারো উদাহরণ আছে অত আর না বলি। ঘুমাতে হবে। তবে কতৃপক্ষ ভেবে দেখবেন আমি ভূল বলিনি। পাঠ্যপুস্তক নয় চাই পাঠাগার। তবেই সৃজনশীলতা সম্ভব শুধু গাইড, কোচিং, টিউশনি বন্ধ করে সৃজনশীলতা সম্ভব নয়। পাঠাগার থাকলে দুটো লাভ সামাজিক অবক্ষয় যেমন প্রতিরোধ সম্ভব হবে আবার সৃজনশীলতাও বৃদ্ধি পাবে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment