ফেরিওয়ালা নিবেদিত
ভারতীয় উপমহাদেশ শিক্ষা সংস্কৃতির অপূর্ব এক মেলবন্ধন। উপমহাদেশীয় রাজনীতি অধঃপতনের সূত্রপাত কিন্তু আমাদের অদূরদর্শী রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং ব্যক্তির বাণিজ্যিক মনোভাব। অথচ আমাদের সম্মৃদ্ধি এবং প্রাচুর্যের মুল চাবিই হল আমাদের অখন্ডতা। আমাদের পরাজয়ের কারণ আজও আমরা বুঝিনা। হয়তবা আবুল কালাম আজাদ বা গান্ধীজীর মত প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিত্বের অভাবে আমরা দীর্ঘমেয়াদে ভাবতে ব্যার্থ হচ্ছি। পার্শ্ববর্তী দেশ বা রাজ্যগুলো বা নিজ দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নেতৃত্ব দানের মানুষগুলো অধিকাংশই মাইগ্রেশন করে আসা মানুষগুলো। যেমন ত্রিপুরার মূখ্যমন্ত্রী পশ্চিম বংগের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জোতিবসু বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, সাজেদা চৌধুরীর মত বাঘা বাঘা নেতৃত্ব সবাই কিন্তু বিভিন্ন কারণে জন্মভূমি ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন আজ তারা বিভিন্ন দেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কিন্তু অখন্ডতার কথা কেউ ভাবেন কিনা জানিনা। তবে উন্নত হওয়ার জন্য অখন্ডতা অপরিহার্য আজ আমরা যেটাকে আজ সভ্যাতার ক্রমবিকাশ ভাবছি আদৌতে কি তা ক্রমবিকাশ নাকি তা সভ্যা সমাজের বা সভ্য সভ্যতার ক্রমহ্রাসমান পরিস্থিতি। এক খানা তলোয়ার কিন্তু আঘাত করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রন করে ফিরিয়ে আনা যায় কিন্তু একখানা আগ্নেয়াস্ত্র কিন্তু আঘাতের জন্য ছোড়ার পর ফিরিয়ে নেওয়া যায়না। আমরা কিন্তু আজ অনেক কিছুতেই মানষিক ভাবে প্রস্তুত নই। বরং গতানুগতিক বিষয়গুলোর বাইরে বের হতে পারিনা আমরা। এ কারনেই অনেক বিষয়কে এড়িয়ে চলতে চলতে একটা সময় আমরা বিষয়টি ভূলেই যাই। অতীতের অনেক কথায় আর আমরা মানতে চাইনা বরং সেগুলোকে কুসংস্কার ভেবে অবহেলা করে করে আজ ভুলেই গেছি। আধুনিক সমাজ কিন্তু ক্ষনার বচনগূলো মানতে নারাজ কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন ক্ষনার বচন কি ভূল প্রমানিত হয়েছে। কেউ প্রমান করে দেখিয়েছেন যে সেটা ভূল। এমন হাজারটা বিষয় আছে। মানুষ আমিত্বে মত্ব সর্বাত্বে নিয়োজিত নয়। আজ সামাজিক শৃংখলা গুলো ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে জনসংখ্যার আধিক্যই যে শুধু তা নয়। দায়ী আমাদের মনুষ্যত্ব। কেউ অধিক সন্তান জন্মদানের জন্য মত্ত কেউবা স্বল্প সন্তানের জন্য স্বর্গীয় সুখ আনয়নে মত্ত। সন্তানের প্রতি পিতার বা পিতার প্রতি সন্তানের অনুভুতি আজ ক্রমহ্রাসমান। উপমহাদেশের হারাানো ঐতিহ্য ফেরাতে হলে আমাদেরকে ফিরে যেতে হবে ১৯৪৭ এ।
No comments:
Post a Comment